এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 28 November 2023, 513 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্যাংকারদের মধ্যে অভিজ্ঞতা ও তথ্য বিনিময়, পেশাগত ও সামাজিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে এসোসিয়েশনভূক্ত ব্যাংকসমূহের সদস্যদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের ১২৫ শাখায় কর্মরত প্রায় ছয় শতাধিক কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত ‘এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হলো। আজ ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় আমিন কমপ্লেক্সে (৮ম তলা) কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম মোঃ মোবারক হোসেন।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জনতা ব্যাংকের অঞ্চল প্রধান মোঃ আবু হানিফা, কৃষি ব্যাংকের অঞ্চল প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ খান, কর্মসংস্থান ব্যাংকের অঞ্চল প্রধান তালিম হোসেন।

সভায় এসোসিয়েশনভূক্ত ব্যাংকসমূহের নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় এসোসিয়েশনের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত স্যুভেনির এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

এ ছাড়াও ২০২২, ২০২৩ সনে ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষার দ্বিতীয় পর্বে উত্তীর্ণদের এবং ২০২৩ সনে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।

সভায় এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।

সোনালী ব্যাংকের এজিএম মোঃ শরীফুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অগ্রনী ব্যাংকের এসপিও মোঃ ছাগীউর রহমান।

একে একে সকল ব্যাংকের নির্বাহী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন।

সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভা সঞ্চালনা করেন সোনালী ব্যাংকের এসপিও মোঃ শহিবুর রহমান।

Leave a Reply

চিকিৎসা সহায়তা প্রদান

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্যোগে আশার সদস্যদের মাঝে Read more

সরাইলে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইলে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা Read more

আশুগঞ্জে গাঁজাসহ গ্রেফতার ২

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ২৩ কেজি গাঁজাসহ মোঃ সুমন (৩০) Read more

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দ মিছিল,…

চলারপথে রিপোর্ট : ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় Read more

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের খবরে ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল

চলারপথে রিপোর্ট : অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার খবরে আখাউড়ায় Read more

ঘরের মাঠে বড় পরাজয় বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক : ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজ দিয়ে Read more

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন

অনলাইন ডেস্ক : সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে Read more

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল…

চলারপথে রিপোর্ট : রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ করার দাবিতে Read more

চালক নয়নকে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার কেরানীগঞ্জে মো. নয়ন (২৫) নামের এক Read more

ভারতকে ৩-১ হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক : সেমিফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালীয় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কার্ডধারিদের মধ্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়…

চলারপথে রিপোর্ট : নিম্ন আয়ের কার্ডধারীদের মধ্যে ভুর্তুকিমূল্যে অক্টোবর মাসের Read more

আখাউড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীদের মাঝে মাছের…

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়ায় বন্যা, অতিবৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নববর্ষ উদযাপিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 15 April 2024, 300 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা আর আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাঙ্গালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ পালন করা হচ্ছে।

বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে ১৪ এপ্রিল রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শহরের লোকনাথ ট্যাংকের পাড় ময়দান থেকে জেলা প্রশাসক মো. মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সামাজিক ও সাংস্কৃতি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।

পরে শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে শোভাযাত্রাটি ফারুকী পার্কে এসে শেষ হয়।

র‍্যালিতে মুখোশ, প্যাচা,মাছ সহ বাঙালী সাংস্কৃতির বিভিন্ন অনুসঙ্গ স্থান পায়। এছাড়া অনুষ্ঠানে লাঠিখেলা, সাপখেলা প্রদর্শন করা হয়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা অংশ নেওয়া আবেদ, লিজা, অয়ন নামে অংশ গ্রহনকাকারী বলেন, এটি কোনো নিদিষ্ট ধর্মের উৎসব নয়। এটি বাঙালীর প্রাণের উৎসব। ইউনেস্কো পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে অন্যতম উৎসবের স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই আমরা প্রতিবছর বাঙালীর সার্ববজনীন এই উৎসবে অংশ গ্রহন করে থাকি।

পরে ফারুকী পার্কে জেলা প্রশাসনের আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ফাহিমা খাতুন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পহেলা বৈশাখকে সরকারিভাবে পালন করছেন। আমাদের অনুষ্ঠানটিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের স্বীকৃতি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, নববর্ষের স্বাগত জানানোর জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি হিসেবে আমরা এখন দাঁড় করাতে পেরেছি। যতদিন বাংলাদেশ অস্তিত্ব থাকবে ততদিন পহেলা বৈশাখের মতো আমাদের এই সাংস্কৃতি বেঁচে থাকবে। অনুষ্ঠানে ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে প্রাণের তাগিদে, নিজের তাগিদে, প্রাণের দাবিতে আমরা অংশগ্রহণ করেছি।

অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

যেকোনো সভ্য জাতির প্রাণ হলো তার সংস্কৃতি : গণপূর্তমন্ত্রী

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 27 April 2024, 467 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, যেকোনো সভ্য জাতির প্রাণ হলো তার সংস্কৃতি। একটি জাতির বড় শক্তি হলো তার সংস্কৃতি। আমাদের খুবই শক্ত একটা সংস্কৃতি রয়েছে, যা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি।

আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ এর এলটি রুমে ভাষা সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া আয়োজিত বৃত্তিপ্রদান, পুরষ্কার বিতরণী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, দেশে নববর্ষ এখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উদযাপিত হচ্ছে। আর এটা বর্তমান সরকারের আমলেই হয়েছে। তিনি বলেন, নববর্ষের যে অনুষ্ঠান তা বাঙালি সংস্কৃতির অনেক বড় একটা পরিচয়। ভাষা সাহিত্য ও অনুশীলন কেন্দ্রের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল সংস্কৃতি সংগঠরের ভালো কাজের সাথে আমি পাশে আছি থাকবো। এসময় তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতির বিকাশে সহযোগিতা করতে বলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক এসআরএম ওসমান গণি সজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম শফিকুল্লাহ প্রমুখ।

প্রধান অতিথি গৃহায়ন গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরও বলেন, সংস্কৃতি চর্চায় কোনো মানুষ বিপদগামী হয় না। আর তাই আমাদেরকে বেশি করে সংস্কৃতি চর্চা করতে হবে। তিনি বলেন, ভাষা ও সাহিত্য একটি দেশের তথা ওই জাতির প্রাণ। আমাদেরকে সেই ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য কাজ করতে হবে। সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে তার গতিচাঞ্চল্য বাড়াতে কাজ করতে হবে। তিনি গর্বভরে বলেন, আমাদের সংস্কৃতি এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জায়গা করে নিয়েছে।

অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন মেধাবি শিক্ষার্থীদের মাঝে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও প্রফেসর ফাহিমা খাতুন এর নামে প্রবর্তিত বৃত্তি হিসেবে ১০ হাজার টাকা মুল্যমানের চেক ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি অঙ্গনে দীর্ঘ সময় ধরে ভুমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রবীন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি আব্দুল মান্নান সরকারকে ভাষা সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র পুরস্কার প্রদান করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে নগদ অর্থের ১০ হাজার টাকা মুল্যের একটি চেক এবং ক্রেষ্ট।

সংগঠনের সদস্যদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকারের দাফন সম্পন্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 2 October 2023, 635 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ ২ অক্টোবর সোমবার সকাল ৮.২৫ মিনিটে তিনি শহরের বাগানবাড়ি এলাকায় তাঁর শ্বশুর বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান।

আল-মামুন সরকারের শ্যালক তানভীর আহমেদ জানান, সোমবার সকাল সাতটার দিকে তিনি ঘুম থেকে উঠে শৌচাগারে যান। পরে আবার ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর স্ত্রী জিনাত আখতার তাঁকে ডাক দেন। কিন্তু তাঁর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে চিকিৎসক ডাকলে তিনি এসে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আল-মামুন সরকার দীর্ঘদিন ধরে হার্ট, কিডনি, ফুসফুসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আল-মামুন সরকার দশম শ্রেনীতে পড়ার সময় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক ছিলেন। ১৯৯৩ সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

“নির্লোভ রাজনীতিবিদ ও সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত আল-মামুন সরকার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সাথে যুক্ত ছিলেন। সমাজসেবায় তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে মানবকল্যান পদক লাভ করেন।

এদিকে আল-মামুন সরকারের মৃত্যুর খবর শুনে সকালেই তার বাড়িতে ছুটে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা, নবীনগর পৌরসভার মেয়র শিব শংকর দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বাদ আছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ঈদগাহ ময়দানে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জানাজার আগে মরহুমের কর্মময় জীবনের প্রতি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আহমদ হোসেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম এমপি, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, মরহুমের শ্যালক তানভীর আহমেদ। নামাজে জানাযায় ইমামতি করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব সিগবাতুল্লাহ নূর। নামাজে জানাযার আগে জেলা পুলিশের একটি দল রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে।

পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে শহরের শেরপুর কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে তার লাশ দাফন করা হয়।

এদিকে আল-মামুন সরকারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসনের এমপি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম এমপি, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 15 December 2023, 525 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আয়োজনে আজ ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি নিয়াজ মুহাম্মদ খাঁন বিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক কবি জয়দুল হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবদুন নূর, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাবেক-সহ-সভাপতি সৈয়দ আকরাম হোসেন, সাবেক-সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোঃ আশিকুল ইসলাম, জিটিভির জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান, যমুনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, এশিয়ান টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমান পারভেজ। স্বাগত বক্তব্য প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পাকিস্তানী শাসকরা যুদ্ধে তাদের নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে বিজয়ের মাত্র দুইদিন আগে বাংলাদেশকে মেধাশুন্য করার জন্য দেশের সূর্যসন্তান বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করেছে। কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে আমাদের দেশে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হয়নি। এখনো হয়নি রাজাকারদের তালিকা। বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ বলেন, মহান স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও এখন নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা বানানো হচ্ছে।

বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের ভূমিকা ছিলো অপরিসীম। সাংবাদিকরা পাকিস্তানী শাসকদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করেছিলেন।

বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানী সেনাদের সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। কিন্তু যে স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা নিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিলো, সেই স্বপ্ন এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাধীন দেশে এখনো বৈষম্য রয়ে গেছে। দেশে দিন দিন কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে। বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন দেশ গঠনে সবাইকে দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।

বক্তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে বধ্যভূমি চিহ্নিত করা, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্নাঙ্গ তালিকা, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের তালিকা তৈরীর করার আহবান জানান।

আলোচনার সভার আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, সংস্কৃতি ও তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী, একাত্তর টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন রুমি, খোলা কাগজের জেলা প্রতিনিধি রতন, জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত রাফি, দেশ িেটিভর জেলা প্রতিনিধি মেহেদি নূর পরশ, দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি মাজহারুল করিম অভি, প্রতিদিনের বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি ইফতেয়ার রিফাত, আমার সময়ের জেলা প্রতিনিধি আল-মামুন, বাংলাদেশের আলোর জেলা প্রতিনিধি মাঈনুদ্দিন রুবেল, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ দাস প্রমুখ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও হতাহতদের রোগমুক্তি কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, রাজনীতি, 7 September 2024, 118 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, জেলা ছাত্রদল, যুবদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদ শেখ মো. হাবিবুল্লাহসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও হতাহতদের রোগমুক্তি কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৬ সেপ্টেম্বর শুত্রুবার বিকেল ৫টায় কাউতলী রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের হল রুমে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

জেলা বিএনপির সাবেক তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. সাদির সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শেখ মো. হাফিজ উল্লাহ হাফিজ।

প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর শহরের পৌর মার্কেটের সামনে জেলা বিএনপির মিছিলে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় শেখ হাবিবুল্লাহ নিহত হয়। আইনি প্রক্রিয়ায় মামলাটি চলছিল এবং যারা দোষী তারা প্রমাণিত হয়েছিল, বিচার চলাকালীন আওয়ামী সরকার নির্বাহী আদেশে মামলাটি স্থগিত করে দেয়। আইনি প্রক্রিয়ায় বাংলার মাটিতে শেখ হাবিবুল্লাহর হত্যার বিচার অবশ্যই হবে। তিনি জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামকে নির্দেশ দেন মামলাটি সচল করে পুনরায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে। তিনি সব নেতাকর্মীদের সংযত থেকে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে আহবান জানান। তিনি দলের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার করে বলেন, আওয়ামী সরকার যেভাবে পালিয়েছে আমাদেরকেও যেন এমনভাবে পালাতে না হয় এজন্য জণগনের জন্য কাজ করতে অনুরোধ করেন।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, আনিসুর রহমান মঞ্জু, এবি এম মমিনুল হক, আলী আজম, মাঈনুল হোসেন চপল, মইনুল ইসলাম, হাসেন আলী, ভিপি লিটন, আলহাজ মনির হোসাইন, মিজানুর রহমান, শামিম মোল্লা, রাশেদ হক, আতিকুল হক জালাল, নাজমুল হুদা সানি, জিয়াউল হক, শেখ আব্দুল্লাহ, ফুজায়েল চৌধুরী রুবেল, সাজিদুর রহমান সাজিদ, রাসেল সরকার, সোলায়মান হোসেন জুয়েল, মো. মামুন, সোহেল, মো. মুক্তি, এখলাস খাব, মীর রিয়াদ প্রমুখ।

দোয়া মাহফিলে পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ শেখ হাবিবুল্লাহর ছোট ভাই শেখ আমানুল্লাহ ন্যায় বিচার পেতে সব নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।