চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস পেয়েই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পদ থেকে বহিষ্কার হওয়া আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান।
তিনি আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত মতামতকে প্রাধান্য দিয়েই নির্বাচনে এসেছি। আমার বিষয়ে বিএনপি কী বলল- সেটা আমার মন্তব্য করার বিষয় না। আমি সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস পেয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এর চেয়ে বেশি আশ্বাস আর প্রয়োজন নেই। এছাড়াও আমার উপর নির্বাচনী এলাকার জনগণের চাপ ছিল নির্বাচন করার।
সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান বলেন, সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও সরকারের উপর চাপ আছে সুষ্ঠু নির্বাচনের। তাই আমি জনগণের মতামত নিয়েই নির্বাচনে এসেছি।
বিজয়ী হলে বিএনপি যদি দলে ফেরাতে চায় তাহলে ফিরবেন কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে একরামুজ্জামান বলেন, যদি আমি নির্বাচিত হই এবং তখন যদি কেউ আমাকে টানে তখন আমি দেখব কোথায় যাব, কী করব।
বিএনপির বিশ্বাসঘাতক বলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের জায়গা থেকে বলতেই পারে, আমি আমার ব্যক্তিগত মতামতে চিন্তা করে নির্বাচনে এসেছি। আমার ব্যাপারে বিএনপি কি বললো না বললো তা আমি মন্তব্য করবো না।
উল্লেখ্য আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং আর.এ.কে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
সৈয়দ একরামুজ্জামান গত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে “কুলা” প্রতিক, নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মাঠ পর্যায়ে একরামুজ্জামানের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বি.এম. ফরহাদ হোসেন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ১ হাজার ১১০ হাজার ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পান ৬০ হাজার ৭৩৪ ভোট। এর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী প্রয়াত ছায়েদুল হক পেয়েছিলেন ৯৯ হাজার ৮৮৬। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট। আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান গত ২৭ নভেম্বর সোমবার দুপুর তিনটার দিকে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এর আগে ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় পরদিন মঙ্গলবার বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ সহ দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামানকে বহিষ্কার করা হয়।
মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুষ্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামানসহ জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোঃ আবু জাফরকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টাসহ অন্যান্য পদ থেকে বহিষ্কারের পর বুধবার বহিষ্কৃত সৈয়দ এ কে একরামুজ্জানকে নাসিরনগরে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে উপজেলা বিএনপি। বুধবার দুপুরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম.এ. হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন স্বাক্ষরিত ফেসবুকে দেয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।
নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির দলীয় প্যাডে লেখা অবাঞ্ছিতের ঘোষণাটি নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেন এম.এ. হান্নান। নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত অবাঞ্ছিত ঘোষণার বিবৃতি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি কমিটি দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানকে বহিস্কার করেছে। বিএনপির নাসিরনগর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে এই বহিস্কৃত নেতাকে নাসিরনগরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হান্নান বলেন, একরামুজ্জামানকে উপজেলার সকল জায়গায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ৩‘শ দু:স্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
৮ এপ্রিল সোমবার সকালে “মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে “গোকর্ণ হিতৈষী সংঘ” নামে একটি সেবামূলক সংগঠনের উদ্যোগে গোকর্ণ সৈয়দ পাড়ার লায়ন সৈয়দ মোহাম্মদ শরীফের বাড়ি প্রাঙ্গণে এসব ঈদ সমাগ্রী বিতরণ করা হয়। ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিলো পোলার চাল, সরু ভাতের চাল, চিনি, তেল, পিয়াঁজ, আলু, লবন, সেমাই ও দুধ। অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ভূপাল দত্ত চৌধুরীর সভাপতিত্বে ঈদ সামগ্রী বিতরণের উদ্বোধন করেন গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন। এসময় সাবেক উত্তরা ব্যাংক কর্মকর্তা ও “গোকর্ণ হিতৈষী সংঘ” এর সভাপতি সৈয়দ সালাউদ্দিন মুকুল, সৈয়দ আশরাফ আনোয়ার টিটু, সৈয়দ জাজ্ঞা বীরসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
“গোকর্ণ হিতৈষী সংঘ” এর সভাপতি সৈয়দ সালাউদ্দিন মুকুল জানান, এলাকার কৃতি সন্তান লায়ন সৈয়দ মোহাম্মদ শরীফ, ডা: গৌতম পদ সৌম, ডাঃ সৈয়দ ইসরার কামাল, মিসেস সৈয়দা নাসিম, সৈয়দ আলী রেজাসহ আরো অনেকের সহযোগিতায় প্রতিবারের ন্যায় এবারও ৩‘শ পরিবারের মাঝে হিতৈষী সংঘের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হিসেবে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়। যারা সার্বিক সহযোগিতা করেছে আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
চলারপথে ডেস্ক :
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন অসুস্থ খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
খালেদা জিয়ার পরিবারের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ১২ মার্চ রবিবার এ মতামত দেওয়া হয়।
শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হচ্ছে। গত সপ্তাহে তার পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে করা আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়। এরপর মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। সেটার সময় শেষ হয়ে আসায় পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। আমরা তাকে আগের মতো দুটি শর্তে সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাসের জন্য বৃদ্ধি করেছি। শর্তগুলো হলো তিনি ঢাকায় নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসাগ্রহণ করবেন। হাসপাতালে যেতে পারবেন না-তা নয়, যেতে পারবেন এবং উক্ত সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
খালেদা জিয়া বাসায় থেকে রাজনীতি করতে পারবেন কি-না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে আসা আবেদনে বলা হয়েছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ। সেক্ষেত্রে রাজনীতি করার প্রশ্নটাই অবান্তর। তিনি মুক্ত, তিনি অসুস্থ, তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমার মনে হয়, এখানে রাজনীতির কথা আসার কোনো প্রয়োজন নেই।
আনিসুল হক বলেন, একজন অসুস্থ মানুষ কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না, আমি সেই নির্দেশনা দেব না। সবাই স্বীকার করছেন, তিনি অসুস্থ। এটা পরিষ্কার করার কিছু নেই। একটা বাস্তবতা, তাকে যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সেই আবেদনের মধ্যে প্রথমে থেকেই যে কথাটা কনস্ট্যান্ট ছিল, তিনি গুরুতর অসুস্থ। এজন্য দুই শর্তে তার দণ্ডাদেশ স্থগিত করে তাকে মুক্ত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আবেদনসংক্রান্ত নথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এরপর সেখান থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ছে।
করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড ৬ মাস স্থগিত করার পর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। এরপর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার কারামুক্তির মেয়াদ ৬ বার বাড়ানো হয়।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানের বাসভবনে অবস্থান করছেন। করোনাভাইরাস ও লিভার সিরোসিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাও নেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে বিএনপি বরাবরই দাবি জানিয়ে আসছে। এর আগে পরিবারের পক্ষ থেকেও কয়েক দফা আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তা নাকচ করে দেয় সরকার।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মীর ফাহাদ (৩২) নামের আহত এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ৯ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তিনি নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার মীর মোশারফ হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ২ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে মীর মোশারফ হোসেন ও মীর জালালের মধ্যে বাগিবতণ্ডা হয়। এর পরপরই মীর জালালের লোকজন লাঠি নিয়ে মীর মোশারফ ও তার বড় ছেলে মীর ফাহাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় ফাহাদের মাথায় বল্লম দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুঠিয়ে পড়েন। পরে গুরুতর আহত ফাহাদকে ওই দিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত নয়টার দিকে তিনি মারা যান।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা জানান, নিহত যুবকের মরদেহ এখনো বাড়িতে আসেনি। প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের সাথে জড়িত তিন আাসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই মারামারির মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে বলে জানান ওসি।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ২৮ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাদের সাথে বৈঠক করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বৈঠকে অংশ নিতে গণভবনে যাবেন সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান সুখন। একরামুজামানের ব্যক্তিগত সহকারী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন একরামুজ্জামান সুখন। তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি তাকে বহিষ্কার করেছে।