চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা ফিরোজুর রহমানের সমর্থনকারী শতকরা এক ভাগ ভোটারের প্রায় ২৫০ স্বাক্ষরপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারের কাছে মৌখিকভাবে এ অভিযোগ দিয়েছেন ফিরোজুর রহমান।
তিনি (ফিরোজুর রহমান) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। নির্বাচনে অংশ নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হচ্ছে ফিরোজুর রহমানকে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে এখন পর্যন্ত একক এবং হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী।
ফিরোজুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, মোট ভোটার সংখ্যার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনস্বরূপ সাক্ষরিত একটি তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ভোটারদের তালিকা নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসার পথে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের খালকাটা এলাকায় আমার কর্মী মহিবুর রহমানের কাছ থেকে ২৫০ জন ভোটারের স্বাক্ষরিত একটি তালিকা ছিনতাই করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক।
তিনি আরো বলেন, শুনেছি বর্তমান সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী আবু মূসা আনসারির মদদে ভোটার তালিকা ছিনতাই করা হয়েছে। আমি যেন নির্বাচনে অংশ না নিতে পারি সেজন্যই এটি করা হয়েছে।
ফিরোজুর রহমানের কর্মী মহিবুর রহমান বলেন, আমরা ভোটারদের তালিকা নিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে খালকাটা মোড়ের সেতুর ওপর অবুঝ নামের এক যুবকসহ সাত-আটজন আমাদের পথরোধ করে। এ সময় তারা আমার কাছ থেকে সমর্থনকারী ভোটারদের স্বাক্ষরিত তালিকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী আবু মূসা আনসারি বলেন, উনি (ফিরোজুর রহমান) একেক সময় একেক কথা বলছেন। একবার বলছেন খালকাটার লোকজন ছিনতাই করেছে, আবার বলছেন চিনাইরের লোকজন করেছে। আরেকবার বলছেন আমার লোক নিয়েছে। আমি কেন ছিনতাই করাব? উনার কথাবার্তা অসংলগ্ন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভোটার তালিকার কয়েকটি পাতা ছিনতাই হয়েছে বলে মৌখিকভাবে ফিরোজুর রহমান আমাকে জানিয়েছেন। তবে তার কাছে তালিকার অতিরিক্ত কপি আছে। এছাড়া তিনি নিজেই ছিনতাই হওয়া তালিকা উদ্ধার করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৫৩জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত (৩৩), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাসুম বিল্লাহ (৪০), সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন (৩৫), জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল (৩৫), সহ-সভাপতি মহসিন মোল্লা (৩০), সহ-সভাপতি ওবাইদুর রহমান বাবু (৩০), সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আফরিন ফাতেমা জুই (৩০), জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিকাইল হোসেন (২৭), সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন আফ্রিদি (২৬), সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন রানা (৩৫), সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সামী আহমেদ নাবিল, সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুরে মওলা ফারানী-(৩০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সভাপতি জুবায়ের আহমেদ খান (৩২), জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সুমন মিয়া (৪০), শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন লিটন (৩৫), শহর যুবলীগের সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন রনি (৩৫), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রিদওয়ান আনসারী রিমো (৩৫ ) ও জুম্মান সরকার (৪০), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিন মিয়া (৩০) ও যুব মহিলা লীগের নেত্রী উম্মে হানি ওরফে সেতু (৩৭)। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামী করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে শহরতলীর বিরাসার মোড় থেকে জেলা শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। মিছিলটি বিরাসার চৌরাস্তায় পৌঁছালে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হাতে দেশীয় ধারালো অস্ত্র, ইট-পাটকেল, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়। সে সময় তারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর অতর্কিতভাবে ককটেল ও পটকা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এক পর্যায়ে তারা ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশে আঘাত করলে বেশ কয়েকজন সাধারণ জনতা ও ছাত্র আহত হয়। পরে ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অনেক মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে সম্পদের ক্ষতি সাধন করে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফফর বলেন, পুলিশের কাজে বাঁধা প্রদানসহ সম্পদের ক্ষতি সাধণ করায় বিস্ফোরক আইনে গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের এক এসআই ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের ৫৩জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে মাতৃদুগ্ধের গুরুত্ব, উপকারিতা এবং মাতৃদুগ্ধ বিকল্প আইন ২০১৩ ও বিধি ২০১৭ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা আজ ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেলা ১১টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীন।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহর সভাপতিত্বে অবহিতকরণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের উপ-পরিচালক মাহমুদুল বাশার, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের সহকারি পরিচালক জয়াশীষ রায়।
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের স্লাইড প্রদর্শন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক ডাঃ মাহমুদুল হাসান।
অবহিতকরণ কর্মশালায় বক্তব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।
কর্মশালায় বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশে মাতৃদুগ্ধ দিবস জাতীয়ভাবে পালন করা হচ্ছে। মায়ের দুধের কোন বিকল্প নেই। মায়ের দুধই হচ্ছে শিশুদের সর্বোত্তম খাদ্য। বাংলাদেশে শতকরা ৬৫ ভাগ শিশু মায়ের দুধ পান করে। যা বিশ্বে সর্বোচ্চ।
সভায় বলা হয়, মায়ের দুধের কোন বিকল্প হতে পারেনা। এর পরেও যদি পরিস্থিতির কারণে কোন শিশুকে বিকল্প খাবার দিতে হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামে নিখোঁজের চার দিন পর দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
আজ ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায় মহিলা পরিষদ।
ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তকরণপূর্বক দ্রুত গ্রেপ্তারসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়। সেই সাথে নারী ও কন্যার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানায়। সেই সঙ্গে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে যুক্ত করে সমন্বিত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামে নিখোঁজের চার দিন পর দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত দুই ছাত্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের পয়াগ ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল।
গত ২৩ আগস্ট শুক্রবার নিহত ওই দুই ছাত্রী মাদ্রাসায় যায়। ২৪ আগস্ট শনিবার মাদ্রাসা থেকে মোবাইল ফোনে নিহতের পরিবারকে জানানো হয় তারা দুজন মাদ্রাসায় নেই। তাদের খোঁজ পাওয়া না গেলে পরিবারের লোকজন মাদ্রাসার ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চাইলে মাদ্রাসার শিক্ষকরা তা দেখতে দেন নাই। তারা কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার উত্তরপাড়া বায়তুল করিম মসজিদের মুয়াজ্জিন আজান দিতে যাওয়ার সময় টর্চের আলোতে রাস্তার পাশের জমিতে লাশ দুটি পরে থাকতে দেখেন। তার ডাকাডাকিতে আশপাশের লোকজন এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, নিহত দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নারী ও কন্যারা নিষ্ঠুর সহিংসতার শিকার হচ্ছে। সহিংসতা হত্যাকাণ্ডে পরিণত হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির চলমান নাশকতামূলক হরতাল ও অবরোধের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শান্তি সমাবেশ ও পদযাত্রা করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ।
আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান, অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, শেখ মো. মহসিন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তানজিল আহমেদ, মহসিন মিয়া, সৈয়দ মিজানুর রেজা, হাজি ফারুক আহমেদ, জায়েদুল হক, স্বপন রায়, মাহমুদুর রহমান জগলু, কাচন মিয়া, সৈয়দ মো. আসলাম, ফারুকুল ইসলাম, খোকন কান্তি আচার্য,সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড.শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এড.সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা মুজিব, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি অ্যাড. আবু কাউসার, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ, যুগ্ম-আহবায়ক সেলিম ভূঞা, জেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি রাবেয়া খাতুন রাখী, সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক শাহপরান, তাঁতী লীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল।
সমাবেশ শেষে পদযাত্রাটি কাউতলী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, ১৯৭৫ এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নির্মম হত্যাকান্ড পরবর্তী খুনী মুস্তাক, জিয়া-এরশাদের শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সুবিধাবাদি নেতারা আর কোন দিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি সৃষ্টি করতে পারবেনা। আসন্ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে জেলা ও সকল উপজেলা কমান্ডের নির্বাচনে ‘৭১ এর সকল জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ প্যানেলে নির্বাচন অংশগ্রহণ করবে।
তিনি আজ ৫ এপ্রিল প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলীর শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই অভিমত ব্যাক্ত করেন। তিনি প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে, মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধপরবর্তী সমাজ ও জাতি গঠনে মরহুম লিয়াকত আলীর অনূন্য ভূমিকা ও অবদানের কথা উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরব উজ্জল ভূমিকার স্মৃতি সংরক্ষণে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলীর স্মরণে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা দাবী বাস্তবায়ন পরিষদ ও সম্মিলীত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যৌথ আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াছেল সিদ্দিকী সভাপতিত্বে সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ্ সঞ্চালনায় জেলাপরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়া, এডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ, রহুল আমীন ভূঁইয়া বকুল, রুস্তম আলী ভূঁইয়া, তাজুল ইসলাম, মদন মিয়া, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান প্রমুখ বীর মুক্তিযোদ্ধা বক্তৃতা করেন।