অনলাইন ডেস্ক :
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য খালি ছিল মাত্র একটি জায়গা। সেই জায়গাটি পূরণ করল উগান্ডা।
নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো বৈশ্বিক আসরে খেলতে যাচ্ছে তারা।
আফ্রিকান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব পেরোতে উগান্ডার জন্য আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জয়ের দরকার ছিল। রুয়ান্ডাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে কাজটা সহজভাবেই করে দলটি। নামিবিয়ার ওয়ান্ডারার্স ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৬৫ রানেই গুটিয়ে যায় রুয়ান্ডা।
জবাব দিতে নেমে ৮.১ ওভারেই সেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় উগান্ডা। তাদের এই জয়ে কপাল পুড়ল জিম্বাবুয়ের। আরো একবার বিশ্বমঞ্চের স্বাদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলো তারা। যদিও খেলেছিল গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এবারের বিশ্বকাপের বাছাইয়ের বাধাই পার করতে পারল না।
বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে কেনিয়ার বিপক্ষে খেলছে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু সেই ম্যাচে জিতলেও কোনো লাভ নেই। আফ্রিকান অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপের টিকিট আগেই কেটে রেখেছে নামিবিয়া। পাঁচ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা। এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উগান্ডা। শেষ ম্যাচ খেলার আগে পয়েন্ট টেবিলের তিনে থাকা জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল পাঁচ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট। তাই ১০ পয়েন্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই তাদের।
এদিকে আগামী বছরের ৪ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের আসরে বেড়েছে দল সংখ্যা। ১৬ দলের পরিবর্তনে অংশগ্রহণ করবে ২০টি দল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে যারা: ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, ভারত, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, পাপুয়া নিউ গিনি, কানাডা, নেপাল, ওমান, নামিবিয়া, উগান্ডা।
স্টাফ রিপোর্টার:
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। নানা আয়োজন ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পালিত হল দিবসটি। এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে উপজেলার গোলচত্বরে সম্মুখ সমরের ¯ভৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সম্মুখ সমরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মুখ সমরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, বাংলাদেশ আইনসমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী, মোজাম্মেল হক গোলাপসহ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনেই পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আশুগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
উয়েফা আয়োজিত টুর্নামেন্ট থেকে গত মৌসুমে সবচেয়ে বেশি প্রাইজমানি পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে এক হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা আয় করে শীর্ষে রয়েছে তারা।
ক্লাবগুলোর আয়ের এই তালিকা প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগ ও কনফারেন্স লিগে অংশ নেওয়া ক্লাবগুলোর আয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। মোট ২০০ কোটি ইউরো প্রাইজমানি থেকে অর্থ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে ক্লাবগুলোকে। যেখানে সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষে রিয়াল। ২০২১-২২ মৌসুমে তাদের আয় ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ৫৬৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
ক্লাবগুলোর এই আয় হিসাব করা হয়েছে কিছু নীতি মেনে। গ্রুপ পর্বের আয়, জয়ে পাওয়া বোনাস, সম্প্রচার স্বত্বের ভাগ এবং উয়েফার টুর্নামেন্টে অতীত ফলের ওপর নির্ভর করে অতিরিক্ত যে অর্থ দেওয়া হয়, সেসব হিসাব করেই এই আয়ের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বড় ও ছোট ক্লাবগুলোর আয়ে তারতম্য ঘটবে। উয়েফা আয়োজিত টুর্ণামেন্টে অতীতের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয় প্রাইজমানি। ফলে বড় দলগুলোর আয় বেশি হয়।
বিনোদন ডেস্ক :
আলিয়া ভাটের দাদু নরেন্দ্র নাথ রাজদান আর নেই। বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি।
অভিনেত্রী নিজেই বৃহস্পতিবার দাদুর মৃত্যুর খবর জানালেন। মৃত্যুর খবর অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার সময় দাদুর ৯২তম জন্মদিনের কয়েকটি মুহূর্ত ভাগ করে নেন। দাদুর মৃত্যুতে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন বলিউড সেনসেশন।
দাদুকে নিয়ে আলিয়ার আবেগঘন পোস্ট—
আলিয়া লেখেন, ‘আমার দাদু, আমার হিরো। ৯৩ বছর বয়সেও গলফ খেলেছেন। কাজ করেছেন ৯৩ বছর পর্যন্ত। সেরা অমলেট বানাতেন। আমাকে সেরা গল্প শোনাতেন, ভায়ালিন বাজাতেন। নিজের পপৌত্রী (রাহা)-র সঙ্গে খেলা করতেন। ক্রিকেট ভালোবাসতেন, আঁকতে ভালোবাসতেন আর সর্বোপরি নিজের পরিবারকে ভালোবেসেছেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত…। জীবনকে ভালোবেসেছেন!
আমার হৃদয় বিষাদে ভরপুর, একই সঙ্গে আনন্দে…। কারণ আমার দাদু একটাই কাজ করেছেন, আমাদের আনন্দ জুগিয়েছেন। এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ এবং আর্শীবাদ ধন্য যে ওঁনার ছত্রছায়ায় বড় হতে পেরেছি। আবার দেখা না হওয়া পর্যন্ত…’।
ভিডিওতে দেখা গেল, সপরিবারে জন্মদিনের কেক কাটছেন আলিয়ার দাদু। কেকের উপর লাগানো মোমবাতি হাতে করে নেভাতে সাহায্য করছেন রণবীর। এরপর তাঁর দাদুর বার্তা, ‘সব সময় হাসতে থাকো’।
আলিয়ার এই পোস্টে সহকর্মীদের সমবেদনা ভরা বার্তা- করণ জোহর লেখেন, তোমার জন্য একটা আলিঙ্গন পাঠালাম। মাসাবা গুপ্তা লেখেন, অনেক ভালোবাসা আলিয়া। অনুরাগীরা আলিয়ার দাদুর আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।
আইফা-তে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আলিয়ার: আইফা অ্যাওয়ার্ডের আসরে যোগ দিতে আবুধাবি যাওয়ার কথা ছিল আলিয়ার। সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার নিতে রওনাও দিয়েছিলেন। এয়ারপোর্টে পৌঁছে দাদুর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে শুনে হাসপাতালে ছোটেন। দুঃসময়ে পরিবারের পাশে থাকতে চেয়েছেন অভিনেত্রী। এর জন্য আয়োজকদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে পুরস্কারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আলিয়া।
বাবার সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে বছর কয়েক আগে সোনি রাজদান জানিয়েছিলেন, ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী রাম গোপালের ট্রুপের সঙ্গে সারা ইউরোপ ট্যুর করতেন তার বাবা নরেন্দ্র নাথ রাজদানে। ভায়োলিন বাজাতেন তিনি। তেমনই এক কনসার্টের ব্যাকস্টেজে সোনির মায়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তার, তারপর শুরু সেই প্রেম কাহিনি। নরেন্দ্র নাথ রাজদানের মৃত্যুতে শোকের ছায়া ভাট ও রাজদান পরিবারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে যুব সমাজের কোন বিকল্প নেই। আমরা মনে করি যুব সমাজ হলো দেশের আইকন। ভবিষ্যতে তাদের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা হবে।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্স ক্রিকেটার এসোসিয়েশন আয়োজিত ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্ত্বাবধানে অ্যাডটাচ্ কাপ টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আরো বলেন, খেলাধূলা সুস্বাস্থ্য একটি মুল উৎস। সুস্থ সমাজ গড়তে হলে খেলাধুলার ও সংস্কৃতির কোন বিকল্প নেই। খেলাধূলা সমাজ ও এবং রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপ থেকে দূরে রাখে।
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার মোঃ জয়নাল আবেদীন।
বক্তব্য রাখেন আম্পায়ার মাইনুল হোসেন চপল।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য আবু কাউছার খানের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য নাজমুল হক সেলিম, আল মামুন, আলী মাসুম, বাবুসহ শত শত ক্রীড়ামোদি দর্শক।
উদ্বোধনী দিনের প্রথম খেলায় শেখ হাবিবুল্লাহ স্মৃতি সংসদ, কাউতলী ৬ উইকেটে ভাদুঘর এলিভেনকে পরাজিত করে। ২য় খেলায় ফুলবাড়িয়া স্পোটির্ং ক্লাব ৬ উইকেটে উবায়দুল মোকতাদির ক্রিকেট একাডেমীকে পরাজিত করে। খেলা পরিচালনা করেন আম্পায়ার মাইনুল হোসেন চপল ও মোঃ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, স্কোরার মোঃ সুমন ও মেহেদী হাসান শ্রাবন। বুধবার ২টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
দিনের শুরুটা ভালো না হলেও পরবর্তীতে বোলার ও ব্যাটারদের দুর্দান্ত নৈপুন্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৭০ রানের বড় ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চালকের আসনে বসে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
আজ ১৫ জুন বৃহস্পিতবার সকালে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এরপর আফগানিস্তানকে প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। এতে প্রথম ইনিংস থেকে টাইগাররা ২৩৬ রানের লিড পেলে ফলো-অনে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু আফগানিস্তানকে ফলো-অন না করিয়ে ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে দ্বিতীয়বারের মত ব্যাট হাতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ১৩৪ রান করে বড় লিড দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দিন শেষে ৭৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬২ রান করেছিলো বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৪৬, মাহমুদুল হাসান জয় ৭৬ রানে আউট হন। দিন শেষে মুশফিকুর রহিম ৪১ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আজ, দ্বিতীয় দিন ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের পরের দিকের ব্যাটাররা। বাকী ৫ উইকেটে মাত্র ২০ রান যোগ করতে পারে বাংলাদেশ। ৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা। এরমধ্যে ৩টিই নেন আফগানিস্তানের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা নিজাত মাসুদ।
মুশফিক ৭৬ বলে ৪টি চারে ৪৭ ও মিরাজ ৮টি চারে ৮০ বলে ৪৮ রানে আউট হন। লোয়ার অর্ডারে তাসকিন আহমেদ ২, তাইজুল শূন্য, শরিফুল ইসলাম ৬ রানে আউট হন। বল হাতে আফগানদের পক্ষে সেরা বোলার ছিলেন প্রথম দিন ২ উইকেট নেয়া মাসুদ। ১৬ ওভারে ৭৯ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও আব্দুল মালিক। ৫ ওভারে ১৭ রান তুলে ফেলেন তারা। অবশ্য দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে বিচ্ছিন্ন হতে পারতেন জাদরান ও মালিক। শরিফুলের বলে লিটনের হাতে জীবন পান জাদরান।
জীবন পেয়ে সুবিধা করতে পারেননি জাদরান। ষষ্ঠ ওভারে শরিফুলের শিকার হন তিনি। ৬ রান করেন জাদরান। এরপর আফগানিস্তানের উপর চাপ বাড়ান আরেক পেসার এবাদত। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আফগানদের ২ উইকেট তুলে নেন এবাদত। মালিককে ১৭ ও রহমত শাহকে ৯ রানে শিকার করেন এবাদত। এতে ৩ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে বিরতিতে যায় আফগানিস্তান।
বিরতি থেকে ফিরে আফগানিস্তান শিবিরে দ্বিতীয়বারের মত আঘাত হানেন শরিফুল। অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদিকে ৯ রানে থামান তিনি। এতে ৫১ রানে ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এ অবস্থায় দলের হাল ধরে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আফসার জাজাই ও নাসির জামাল। জুটিতে ৭৩ বলে ৬৫ রান তুলে উইকেটে সেট হয়ে যান তারা। এ অবস্থায় জুটি ভাঙ্গতে মরিয়া ছিলো বাংলাদেশ।
অবশেষে দলীয় ১১৬ রানে জামালকে লেগ বিফোর আউট করে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন মিরাজ। ৬টি চারে ৩৫ রান করেন জামাল।
মিরাজের ব্রেক-থ্রুর পর আফগানিস্তানকে চেপে ধরেন এবাদত ও তাইজুল। এতে ৩৯ ওভারে ১৪৬ রানে শেষ হয় আফগানদের প্রথম ইনিংস। আফগানদের পক্ষে জাজাই সর্বোচ্চ ৩৬ ও জানাত ২৩ রান করেন।
এবাদত ৪৭ রানে ৪টি, শরিফুল ২৮ রানে, তাইজুল ৭ রানে এবং মিরাজ ১৫ রানে ২টি করে উইকেট নেন। ইনিংসে ২ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৫০ ও মিরপুরের ভেন্যুতে ৫০ শিকার পূর্ণ করেন মিরাজ।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩৮২ রানের জবাবে ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে ফলো-অনে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু আফগানদের ফলো-অন না করিয়ে ম্যাচের ২৩৬ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।
জাকির হাসানকে নিয়ে ইনিংস শুরু করে প্রথম ওভারের শেষ বলে ক্যাচ দিয়ে জীবন পান মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে আফগানিস্তানের বাঁ-হাতি স্পিনার আমির হামজার বলে আউট হন ৪টি চারে ১৩ বলে ১৭ রান করা জয়।
দলীয় ১৮ রানে জয়ের বিদায়ের পর জাকিরকে নিয়ে ওয়ানডে স্টাইলে খেলেছেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যক্তিগত ৯ রানে জীবন পেয়ে আহমাদজাইর করা ১৮তম ওভারে শেষ চার বলে চারটি বাউন্ডারি মারেন শান্ত।
ইনিংসের ২১তম ওভারে বাউন্ডারি মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান জাকির। পরের ওভারের প্রথম বলে চারের সহায়তায় টেস্টে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি করেন শান্ত। হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করেন জাকির ও শান্ত। দু’জনই ৬৪ বল করে খেলে সমান ৫৪ রানেই অপরাজিত আছেন। জাকির ৬টি ও শান্ত ৮টি চার মারেন।
স্কোর কার্ড (টস-আফগানিস্তান)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস (প্রথম দিন শেষে ৩৬২/৫, ৭৯ ওভার, মুশফিক ৪১*, মিরাজ ৪৩*) :
মাহমুদুল হাসান ক ইব্রাহিম ব রহমত ৭৬
জাকির হাসান ক আফসার ব নিজাত ১
নাজমুল হোসেন শান্ত ক নাসির ব হামজা ১৪৬
মোমিনুল হক ক আফসার ব নিজাত ১৫
মুশফিকুর রহিম ক জামাল ব মাসুদ ৪৭
লিটন দাস ক ইব্রাহিম ব জহির ৯
মিরাজ ক হামজা ব আমাদজাই ৪৮
তাসকিন এলবিডব্লু ব আজাদজাই ২
তাইজুল ক মালিক ব নিজাত ০
করিফুল বোল্ড মাসুদ ৬
এবাদত অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (বা-৮, লে বা-১, নো-১৬, ও-৭) ৩২
মোট (অলআউট, ৮৬ ওভার) ৩৮২
উইকেট পতন : ১/৬ (জাকির), ২/২১৮ (মাহমুদুল), ৩/২৫৬ (মোমিনুল), ৪/২৭১ (শান্ত), ৫/২৯০ (লিটন), ৬/৩৭৩ (মিরাজ), ৭/৩৭৫ (মুশফিক), ৮/৩৭৫ (তাইজুল), ৯/৩৭৭ (তাসকিন), ১০/৩৮২ (শরিফুল)।
আফগানিস্তান বোলিং :
আহমদজাই : ১০-১-৩৯-২ (নো-১),
মাসুদ : ১৬-২-৭৯-৫ (ও-১, নো-৪),
জানাত : ১১-৩-৩৩-০ (ও-১),
জহির : ১৬-০-৯৮-১ (ও-১, নো-৮),
হামজা : ২৪-১-৮৫-১ (নো-৩),
শাহিদি : ৩-০-৯-০
রহমত : ৬-১-৩০-১।
আফগানিস্তান প্রথম ইনিংস :
জাদরান ক লিটন ব শরিফুল ৬
মালিক ক জাকির ব এবাদত ১৭
রহমত ক তাসকিন ব এবাদত ৯
শাহিদি ক মিরাজ ব শরিফুল ৯
জামাল এলবিডব্লু ব মিরাজ ৩৫
জাজাই ক শরিফুল ব এবাদত ৩৬
জানাত স্টাম্প লিটন ব মিরাজ ২৩
হামজা ক মোমিনুল ব এবাদত ৬
আহমাদজাই ক লিটন ব তাইজুল ০
মাসুদ ক জাকির ব তাইজুল ০
জহির অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (লে বা-১, নো-৪) ৫
মোট (অলআউট, ৩৯ ওভার) ১৪৬
উইকেট পতন : ১/১৮ (জাদরান), ২/২৪ (মালিক), ৩/৩৫ (রহমত), ৪/৫১ (শাহিদি), ৫/১১৬ (জামাল), ৬/১১৬ (জাজাই), ৭/১২৮ (হামজা), ৮/১৪০ (আহমাদজাই), ৯/১৪৬ (মাসুদ), ১০/১৪৬ (জানাত)।
বাংলাদেশ বোলিং :
তাসকিন : ৭-০-৪৮-০ (নো-৪),
শরিফুল : ৮-২-২৮-২,
এবাদত : ১০-১-৪৭-৪,
তাইজুল : ৫-০-৭-২,
মিরাজ : ৯-১-১৫-২।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস :
মাহমুদুল হাসান ক জাদরান ব হামজা ১৭
জাকির হাসান অপরাজিত ৫৪
নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত ৫৪
অতিরিক্ত (নো-৩, ও-৬) ৯
মোট (১ উইকেট, ২৩ ওভার) ১৩৪
উইকেট পতন : ১/১৮ (জয়)।
আফগানিস্তান বোলিং :
আহমদজাই : ৫-০-৩৪-০,
মাসুদ : ৩.৫-০-৩০-০ (নো-৩),
হামজা : ৬.১-০-২৭-১,
জানাত : ৪-০-২৪-০ (ও-২),
জহির : ৪-০-১৯-০।