অনলাইন ডেস্ক :
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য খালি ছিল মাত্র একটি জায়গা। সেই জায়গাটি পূরণ করল উগান্ডা।
নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো বৈশ্বিক আসরে খেলতে যাচ্ছে তারা।
আফ্রিকান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব পেরোতে উগান্ডার জন্য আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জয়ের দরকার ছিল। রুয়ান্ডাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে কাজটা সহজভাবেই করে দলটি। নামিবিয়ার ওয়ান্ডারার্স ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৬৫ রানেই গুটিয়ে যায় রুয়ান্ডা।
জবাব দিতে নেমে ৮.১ ওভারেই সেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় উগান্ডা। তাদের এই জয়ে কপাল পুড়ল জিম্বাবুয়ের। আরো একবার বিশ্বমঞ্চের স্বাদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলো তারা। যদিও খেলেছিল গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এবারের বিশ্বকাপের বাছাইয়ের বাধাই পার করতে পারল না।
বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে কেনিয়ার বিপক্ষে খেলছে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু সেই ম্যাচে জিতলেও কোনো লাভ নেই। আফ্রিকান অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপের টিকিট আগেই কেটে রেখেছে নামিবিয়া। পাঁচ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা। এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উগান্ডা। শেষ ম্যাচ খেলার আগে পয়েন্ট টেবিলের তিনে থাকা জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল পাঁচ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট। তাই ১০ পয়েন্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই তাদের।
এদিকে আগামী বছরের ৪ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের আসরে বেড়েছে দল সংখ্যা। ১৬ দলের পরিবর্তনে অংশগ্রহণ করবে ২০টি দল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে যারা: ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, ভারত, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, পাপুয়া নিউ গিনি, কানাডা, নেপাল, ওমান, নামিবিয়া, উগান্ডা।
স্পোর্টস ডেস্ক :
‘১৪ সংখ্যাটা খারাপ নয়’ -ম্যাচশেষে বলছিলেন ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম। ১৪ তার চোখে খারাপ না লাগারই কথা।
কেননা ১৪-০ ব্যবধানেই যে জিব্রাল্টারকে গতকাল উড়িয়ে দিয়েছে তার দল। তুলে নিয়েছেন নিজেদের ইতিহাস ও ইউরো বাছাইয়ে সবচেয়ে বড় জয়।
গোলবন্যার ম্যাচে ফ্রান্সের হয়ে গোলের খাতায় নাম লেখান ৯ জন ফুটবলার। এর মধ্যে হ্যাটট্রিকের দেখা পান কিলিয়ান এমবাপ্পে। জোড়া গোল করেন অলিভিয়ে জিরু ও কিংসলি কোমান। একটি গোল করে ফ্রান্সের হয়ে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার মালিক হন ওয়ারেন জের-এমেরি। ১৭ বছর বয়সী এই ফুটবলারের অভিষেক হয়েছে আজ। তিনি ছাড়াও একটি করে গোল করেছেন মার্কাস থুরাম, জনাথন ক্লস, ইউসুফ ফোফানা, আদ্রিয়ান রাবিওঁ, ওসমান দেম্বেলে।
গতকালের আগে ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় জয় এসেছিল ১৯৯৫ সালে। আজারবাইজানকে সেবার ১০-০ গোলে হারিয়েছিল তারা। এছাড়া ইউরো বাছাইয়ে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডটি ছিল জার্মানির। ২০০৬ সালে সান মারিনোকে ১৩-০ গোলে হারায় তারা।
ফ্রান্সের কাছে রেকর্ড হারানো রাতটা ভালোভাবে কাটেনি জার্মানদের। ঘরের মাঠে প্রীতি ম্যাচে ৩-২ গোলে হেরেছে তুরস্কের কাছে। পঞ্চম মিনিটে কাই হাভার্ৎজের গোলে এগিয়ে গেলেও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই পিছিয়ে পড়ে ২-১ ব্যবধানে। বিরতির পর ৪৮ মিনিটে সমতা ফেরান নিকলাস ফুলক্রুগ। তবে ৭০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে তুরস্ককে জয়সূচক গোলটি এনে দেন ইউসুফ সারি।
অনলাইন ডেস্ক :
ইন্টার মায়ামির হয়ে স্বপ্নের অভিষেক হলো লিওনেল মেসির। লিগস কাপে ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নামেন আর্জেন্টাইন তারকা। সেই সময় তার দল ১-০ গোলে এগিয়ে। পরে আজুল সমতা টানে ম্যাচে। তবে যোগ করা সময়ে গোল করতে দলকে জায়ের আনন্দে মাতিয়েছেন মেসি।
বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে ডিআরবি পিএনকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি মায়ামি জিতেছে ২-১ গোলে। রবার্ট টেলর মায়ামিকে এগিয়ে নিয়েছিলেন প্রথমার্ধে। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫তম মিনিটে উরিয়েল আনতুনা সমতা এনে দেন আজুলকে।
একটা সময় মনে হচ্ছিল ১-১ সমতায় শেষ হবে খেলা। কিন্তু একেবারে অন্তিম মুহূর্তে জাদুকরী রূপে হাজির হন মেসি। ফ্রি-কিকে গোল করে দলকে উপহার দেন জয়। যা দেখতে মাঠে এসেছিলেন অসংখ্য সমর্থক।
লিওনেল মেসি মাঠে কতটা প্রভাব রাখতে পারেন, এদিন তার খেলায় সেটা আরও একবার প্রমাণ হয়েছে। ৫৪তম মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামার পাঁচ মিনিটের মধ্যে সতীর্থকে গোলের সুযোগ তৈরি করে দেন মেসি। তবে জোসেফ মার্তিনেজ সেটা কাজে লাগাতে পারেননি।
৭১তম মিনিটে বুসকেতসের বাড়ানো বল ধরে বক্সের বাইরে থেকে বাঁপায়ে শট নেন মেসি। তবে সেই শট প্রতিহত হয়। ৮৭তম মিনিটে মেসির পাস ধরে গোল করেন রবার্ট টেলর। তবে মেসি নিজেই অফসাইডে থাকায় গোলটি বাতিল হয়।
তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে ফ্রি কিক থেকে মেসি বাঁপায়ের শটে জাল খুঁজে নিলে উৎসবে মাতে মায়ামির সমর্থকরা।
২০২১ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে পাড়ি দিয়েছিলেন মেসি। সেখানে দুই বছর কাটিয়ে এ মৌসুমে নাম লিখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে। অনেকে বলে থাকেন, ইউরোপের ফুটবলের চাপ কাটাতে মেজর লিগ সকারের দলে যোগ দিয়েছেন মেসি।
তবে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক যে আসলে নতুন জায়গায় নতুন কিছু জয় করতে এসেছেন, সেটাই যেন প্রথম ম্যাচে প্রমাণ করে দিলেন। মেসির সৌজন্যে গত মে-র পর এই প্রথম কোনো ম্যাচ জিতল মায়ামি।
এদিন মায়ামির জার্সিতে একই সঙ্গে অভিষেক হয় মেসি ও তার সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ সার্জিও বুসকেতসসের। মায়ামি কোচ আগেই আভাস দিয়ে রেখেছিলেন, দুজনই খেলতে পারেন বদলি হিসেবে। হয়েছেও সেটাই।
মেসিকে মাঠে নামানো হয় বেঞ্জামিন ক্রেমাশ্চির জায়গায়। ডেভিড রুইজের জায়গায় নামেন বুসকেতস। মেসি-বুসকেতসের যুগলবন্দীতে মায়ামি গোলের সম্ভাবনাও জাগিয়েছে পরে।
অনলাইন ডেস্ক :
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পরিসংখ্যানটা পোশাকের মতোই রঙিন। বিপরীতে টেস্টে সেটি ধূসর। এর আগে ১৭ টেস্টে টাইগাররা মাত্র একটিতে জিতেছিল। সেটি তাদের মাঠ মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে। দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে একাধিকবার ওয়ানডেতে ধবলধোলাইয়ের অভিজ্ঞতা থাকলেও টেস্টে কোনো জয়ই ছিল না। শান্ত-তাইজুলরা আজ সেই খরা কাটালেন, ঘরের মাঠে ইতিহাসের প্রথম জয় তুলে নিলেন কিউইদের বিরুদ্ধে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রের শুরুতেই সাবেক চ্যাম্পিয়নদের ১৫০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
জয়ের দৃশ্যপটটা বাংলাদেশ চতুর্থ দিনেই তৈরি করে রেখেছিল। যদিও ম্যাচের আগে অনিশ্চয়তা ছিল পঞ্চম দিন পর্যন্ত খেলা গড়াবে কি না। দুই ইনিংসেই কিউইদের পরীক্ষা নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। স্পিনবান্ধব হয়ে পড়া উইকেটে চতুর্থ দিন তার ঘূর্ণিতে ১১৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার শেষ দিনে নেমে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন আগেরদিন ৪৪ রানে অপরাজিত থাকা ড্যারিল মিচেল। অবশ্য এরপর তিনি আর বেশিক্ষণ টেকেননি। চোখ রাঙাতে পারেননি সেভাবে।
বাংলাদেশের জয়ের অপেক্ষাটা যা একটু বাড়িয়েছেন কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি। তাদের ২য় ইনিংসের সেরা জুটিটা উপহার দিয়ে সাউদি আউট হওয়ার পরই জয় ধরা দিল। ব্যক্তিগত ফাইফারে (৫ উইকেট) তাইজুল কিউইদের গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ১৮১ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেছেন মিচেল। বাংলাদেশের হয়ে তাইজুলের ৬টি ছাড়াও নাঈম হাসান ২টি, মেহেদি মিরাজ ও শরিফুল একটি করে শিকার ধরেন।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ হেরেছিল ১৩ টেস্টে। ৩টি টেস্ট ড্র হয়েছিল। সিলেটের এই টেস্টে জিততে হলে ইতিহাসই গড়তে হতো কিউইদের। নিজেদের ইতিহাসে তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড পাকিস্তানের বিপক্ষে, ক্রাইস্টচার্চে। ৩২৪ রান তাড়া করে তারা ১৯৯৪ সালে জিতেছিল। এই ম্যাচে তাদের সামনে বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য ছিল ৩৩২ রানের।
চতুর্থ দিন শেষে ৭ উইকেট হারালেও সফরকারী স্পিনার এজাজ প্যাটেল লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন। লড়াই হলেও, তাদের জয়ের স্বপ্ন দেখা ছিল অসম্ভবকে সম্ভব করার মতো। তবে তার আশা একেবারেই অমূলকও ছিল না, ক্রিজে ছিলেন স্বীকৃত ব্যাটার মিচেল। তিনি যদি কিছু করে ফেলতে পারেন!
শেষদিনে দ্রুত কিউই ইনিংস থামাতে মিচেলের উইকেটই সবার আগে প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। সেটি পেতে লাগল ১০ ওভার। ১০ম ওভারে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিচেল। নাঈম হাসানের বলটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে তাইজুলের হাতে বন্দি তিনি। এর আগে মিচেল ১২০ বলে ৫৮ রান করেন। ইশ সোধির সঙ্গে ৯১ বলে ৩০ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি।
ততক্ষণে হার প্রায় নিশ্চিত কিউইদের, ফলে শেষ চেষ্টা হিসেবে ব্যবধানটা কমিয়ে আনতে আক্রমণাত্মক খেলার মানসিকতা নিয়ে নামেন কিউই অধিনায়ক। সাউদির আগে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে কেউ ছক্কা মারেননি। শেষ পর্যন্ত ২ ছক্বা ও ১ চারে ২৪ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন তিনি। তাকে ফিরিয়ে টেস্টে ১২তম বারের মতো এক ইনিংসে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন তাইজুল।
এরপর শেষ উইকেটটাও তুলে নেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ বাঁ-হাতি স্পিনার। তার বলে সিলি পয়েন্টে দাঁড়ানো জাকির হাসানকে ক্যাচ তুলে দেন সোধি (৯১ বলে ২২)। ৩১ বছর বয়সী তাইজুল নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৫ রানে নিলেন ৬ উইকেট।
ভারত বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশের। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রের শুরুতেই প্রতিপক্ষ শক্তিমত্তা-পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ড। অভিজ্ঞ কেইন উইলিয়ামসন, ডেভন কনওয়ে কিংবা ড্যারিল মিচেল- কে নেই সফরকারীদের দলে। অন্যদিকে, ঠিক বিপরীত চিত্র বাংলাদেশের। অভিজ্ঞ তিন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, লিটন দাস ও অধিনায়ক সাকিবকে ছাড়াই সিলেটে খেলতে নামে লাল-সবুজের দল। সাকিবের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের ভার ওঠে শান্তর কাঁধে। তরুণ নেতৃত্ব ও দল নিয়েই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে দারুণ শুরু পেল স্বাগতিকরা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩১০ রানের জবাবে কেইন উইলিয়ামসনের লড়াকু সেঞ্চুরিতে ভর করে কিউইদের সংগ্রহ ছিল ৩১৭। ৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দারুণ জবাব দেয় বাংলাদেশ। অধিনায়ক শান্তর সেঞ্চুরিতে ৩৩২ রানের পাহাড়সম টার্গেট ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। শান্ত ১০৪, মুশফিকুর রহিম ৬৭ ও মেহেদি হাসান মিরাজ অপরাজিত ৫০ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের স্পিনার এজাজ প্যাটেল সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন।
এর আগে এতবড় রান তাড়া করে জয়ের নজির নেই নিউজিল্যান্ডের। বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় কিউইরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন শরিফুল ইসলাম। এই বাঁ-হাতি পেসারের খাটো লেন্থের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন টম লাথাম। ডাক খেয়ে এই ওপেনার সাজঘরে ফেরায় রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় সফরকারীরা।
লাথাম ফেরার পর কনওয়েকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টায় ছিলেন সাবেক অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান এ যাত্রায় ব্যর্থ হন। তাইজুলের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন তিনি! লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে ২৪ বলে করেন ১১ রান।
এরপর তাইজুলকে অনুসরণ করলেন মেহেদী মিরাজও। থিতু হওয়ার আগেই হেনরি নিকোলসকে বিদায় করেন এই অলরাউন্ডার। ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে মিরাজকে সুইপ করতে গিয়ে ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেননি নিকোলস। টপ এজ হয়ে বল ওঠে সোজা আকাশে। শর্ট ফাইন লেগ থেকে কয়েক পা সরে বল তালুবন্দি করেন নাঈম। ২ রান করে নিকোলস ফেরায় ৩০ রান তুলতেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে নিউজিল্যান্ড।
এরপর মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন কনওয়ে। চা বিরতি থেকে ফিরে এই জুটি ভাঙেন তাইজুল। এই বাঁহাতি স্পিনারের টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বল ডিফেন্স করতে গিয়ে সিলি পয়েন্টে ক্যাচ দেন কনওয়ে। ২২ রান করে এই ওপেনার ফেরায় দলীয় ফিফটির আগেই সাজঘরে ফেরে সফরকারীদের চার ব্যাটার। এভাবে চতুর্থ দিন শেষ হওয়ার আগে একশ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারায় সাউদির দল। ৫ম দিনে এসে ‘মিরাকল’ কিছু না হলে নিউজিল্যান্ডের পরাজয় আর বাংলাদেশের জয় আগেই লেখা হয়ে গিয়েছিল।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেমকে (৭৩) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। পারিবারিক সূত্র জানায়, আবুল হাশেম দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত শনিবার রাতে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। গতকাল রোববার দুপুরে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের মাঠে তাকে নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীনের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫ ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সম্প্রতি পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের মাঠে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়ে পাকিস্তানে ক্রিকেটারদের এ সাফল্যকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যা দেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, পুরো জাতি তাদের অর্জনে গর্বিত।
খেলোয়াড়দের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, জয়ের পর অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং জাতির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম।
প্রধান উপদেষ্টা একটি জাতিকে একত্রিত করতে খেলাধুলার শক্তির কথা খেলোয়াড়দের স্মরণ করিয়ে দেন। সম্প্রতি প্যারিস অলিম্পিকে একজন উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করার কথা উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।
জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ড. ইউনূসকে তার কার্যালয়ে এ সংবর্ধনা আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রত্যেক খেলোয়াড় এখানে আসতে পেরে খুশি। এটি সত্যিই আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।
শান্ত বলেন, খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের কঠোর পরিশ্রম পাকিস্তানে তাদের সাফল্যের জন্য মুখ্য ছিল। এ কঠিন সময়ে সাফল্য আনার জন্য খেলোয়াড়দের স্বাগত জানান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ, পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।