স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেললাইনে বসে মোবাইলে ব্যস্ত ৩ বন্ধু। ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত একজন। নিহত তরুণের নাম রিমঝিম (২০)। এ সময় অন্য আরো দুই তরুণ গুরুতর আহত হয়েছে। ২১ জানুয়ারি শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেলা শহরের পুনিয়াউট এলাকার রেললাইনে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম।
রিমঝিম শহরের সরকার পাড়া এলাকার মনজু মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন : সরকারপাড়া এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে আরাফাত (২২) ও বাদশা মিয়ার ছেলে দিপু মিয়া (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সহকারী উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, রাতে পুনিয়াউট এলাকায় তিন তরুণ ঢাকাগামী রেললাইনে বসে মোবাইল চাপছিলেন। তারা গভীর মনোযোগে মোবাইল ব্যবহার করায় দ্রুতগামী ট্রেন আসার বিষয়টি খেয়াল করতে পারেননি। এসময় তিন তরুণই ট্রেনে কাটা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে রিমঝিম মারা যায়। বাকী দুই তরুণের পা ও মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। হতাহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অবৈধ সীমানা প্রাচীর, টিনের ঘর ও চার চালা টিনের ঘর উচ্ছেদ করে প্রায় তিন শতক খাস জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামে এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার সুলতানপুর ও রামরাইল ইউনিয়নের অধীনে সেন্দ মৌজায় রামরাইল ইউনিয়নের শিলাউর গ্রামের সৈয়দ জাকির হোসেন বাহারের ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা রয়েছে। জাকির হোসেনের জায়গার উত্তর পাশে রয়েছে সরকারি রাস্তা। সরকারি সার্ভেয়ার নিয়োগ করে সরকারি রাস্তার সীমানা নির্ধারণের জন্য ২০১৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জাকির হোসেন বাহার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। ওই বছরের ৮ মার্চ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সার্ভেয়ারকে নিয়ে মাপঝোঁক করে সরকারি রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করেন।
সে সময় ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা ও রাস্তার সীমানার উপর ছয়টি পিলার স্থাপন করে জাকিরকে বুঝিয়ে দেন। কিন্তু সেন্দ গ্রামের চার ভাই সেলিম মিয়া, মনির মিয়া, খোকন মিয়া ও মামুন মিয়া নিষ্পত্তিকৃত সীমানা নির্ধারণ লঙ্ঘণ করে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে বরাদ্দ নিয়ে সরকারি রাস্তাটি বিভাজন করেন। পরে তারা জাকিরের জায়গা দখলের পায়তাঁরা শুরু করেন। এক পর্যায়ের তারা সরকারী রাস্তা দখল করে সীমানা প্রাচীর দিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করা শুরু করেন। ২০২০ সালের ১২ জুলাই জাকির হোসেন বাহার নকশা অনুযায়ি সরকারি রাস্তাসহ তার ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে কাছে লিখিত আবেদন করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামের চার ভাই সেলিম মিয়া, মনির মিয়া, খোকন মিয়া ও মামুন মিয়া সেন্দ মৌজার ১ নং বিএস খাস খতিয়ানভুক্ত ৫৬৩২ দাগে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছেন। সেখানে তারা অবৈধভাবে দুটি সীমানা প্রাচীর, একটি ভিটি পাকা টিনের ঘর ও একটি চার চালা টিনের ঘর নির্মাণ করে বসবসা করে আসছিলেন।
২০২০ সালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের ( রাজস্ব) আদালতের এক উচ্ছেদ মামলার রায়ের নির্দেশনা এবং জেলা প্রশাসসক কার্যালয়ের এক চিঠি অনুযায়ী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন অবৈধভাবে দখলদার চার ভাই সেলিম, মনির, খোকন ও মামুনকে প্রথমে গত ১০ এপ্রিল পরে গত ৫ জুনের মধ্যে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও তারা কর্ণপাত না করায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের চার ভাইয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। এসময় দুটি সীমানা প্রাচীর, একটি ভিটি পাকা টিনের ঘর ও একটি চার চালা টিনের ঘর উচ্ছেদ করে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিমশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন জানান, অবৈধ স্থাপনাসহ দখল সরিয়ে নিতে তাদের দুই দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু দখলকারীরা কোনো কর্ণপাত করেননি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) আদালতের উচ্ছেদ মামলা মূলে খাস জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উক্ত অবৈধ স্থাপনা সমূহের কারণে সেখানে সরকারি রাস্তা নির্মান করা যাচ্ছিল না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ে স্টেশনের টিকেট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন শেষে ফেরার পথে ছাত্রদের উপর হামলা করে টিকেট কালোবাজারিরা। এ ঘটনায় চার ছাত্র আহত হয়। আহতদেরকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা দেয়া হয়। ৭ মার্চ শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ফ্ল্যাটফরমে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শাহজাহান নামে এক টিকেট কালোবাজারিকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যায়। আটক শাহজাহানের বাড়ি পৌর এলাকার পুনিয়াউট মহল্লায়। একাধিক সূত্র ও পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে টিকেট কালোবাজারি ও দায়িত্বশীলদের টিকেট সিন্ডিকেট, ব্ল্যাকারসহ সিন্ডিকেটে জড়িত সকলদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার বেলা ১১টার সময় “সচেতন ছাত্রসমাজ ও ভুক্তভোগীরা” ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে ছাত্ররা চলে যাওয়ার সময় তিতাস কমিউনিটার টিকেট কাউন্টারের সামনে টিকেট কালোবাজারি নাজমুল হক সানি ও শাহজাহানের নেতৃত্বে টিকেট কালোবাজারিরা ছাত্রদের উপর হামলা করে। হামলায় ৪ ছাত্র আহত হয়। আহতদের মধ্যে সৌরভ ও তারভীরকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা দেয়া হয়। নাজমুল হক সানি পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক। খবর পেয়ে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে কালোবাজারি শাহজাহানকে আটক করে। নাজমুল হক সানিসহ অন্যান্য টিকেট কালোবাজারিরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে টিকেট কালোবাজারি শাহজাহানকে আটক করে আখাউড়া রেলওয়ে থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। এ ঘটনায় আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা হবে।
এর আগে শুক্রবার বেলা ১১টায় রেল স্টেশনের প্লাটফরর্মে “সচেতন ছাত্রসমাজ ও ভুক্তভোগীরা” ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মূখ্য সংগঠক শেখ আরিফ বিল্লাহ আজিজী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিনিধি মোঃ বোরহান সিয়াম, মোঃ মোহাইমিনুল আজমিন, মোঃ আবু বক্কর, মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, মোঃ মারুফ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের টিকেট কালোবাজারি ও দায়িত্বশীলদের টিকেট সিন্ডিকেট, ব্ল্যাকারসহ সিন্ডিকেটে জড়িত সকলদের শাস্তির দাবিতে আমাদের এই মানববন্ধন। তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে প্রকাশ্যে টিকেট কালোবাজারি হলেও প্রশাসন নিরব। আমরা টিকেট কালোবাজারির সাথে জড়িত সকলের শাস্তি দাবি করি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বরত (মাষ্টার) মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, কেউ যদি অনলাইনে কেটে বেশি দামে বিক্রি করে সেটাতো রোধ করা যাবেনা। টিকেট কালোবাজারির সাথে স্টেশনের কেউ জড়িত না বলে তিনি দাবি করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দৈনিক ইত্তেফাকের ৭১ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আজ ২৪ ডিসেম্বর রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথিছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি ও নাট্যকার আবদুল মান্নান সরকার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা,খ আ ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান, আ ফ ম কাউসার এমরান, দীপক চৌধুরী, সাংবাদিক শিহাব উদ্দিন বিপু, আশিকুল ইসলাম, ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, হাবিবুর রহমান পারভেজ, ইত্তেফাকের সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি জুলকার নাইন ও ইত্তেফাকের বিজয়নগর উপজেলা প্রতিনিধি জিয়াদুল হক । অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ আরজু ।
সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে দৈনিক ইত্তেফাকের ভূমিকা ছিল অপরিসিম।