চলারপথে রিপোর্ট :
১ ডিসেম্বর ছিল বিশ্ব এইডস দিবস। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।
আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাঙ্গন হতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালি শেষে শহীদ ডা. মিলন সভা কক্ষে এক মনোজ্ঞ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ সভার সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন এবং ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পরিচালক ডা. মো. শাখাওয়াত হোসেন।
এবারের বিশ্ব এইডস দিবস এর প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘কমিউনিটির আমন্ত্রন এইডস হবে নিয়ন্ত্রণ’ (Let Communities Lead) বিষয় ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. মো. মারুফ হোসেন, উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বন্ধু ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির মুখপাত্র মো. আরিফ।
অনুষ্ঠানে এইডস বিষয়ে প্রেজেনটেশন উপস্থাপনা করেন ডিএসএমও ডা. মফিজুর রহমান ফিরোজ।
বক্তাগণ প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর বিষদ আলোচনা করেন এবং এইডস নির্মূলে জনসচেতনার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজবাহুল ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর দাবি পূরণ হয়েছে। রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে সিলেট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন।
আজ ৫ এপ্রিল বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের মধ্য দিয়ে পূরণ হওয়া এ দাবিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ‘ঈদুল ফিতরের উপহার’ হিসেবে মনে করছেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে- ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর রেল ভ্রমণের দুর্দশা লাঘবে ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে একটি ট্রেন সার্ভিস চালুকরণ, বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেসের ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে যাত্রাবিরতি এবং বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সদয় অনুমোদন দিয়েছেন। নির্দেশনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এর অগ্রগতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবহিত করার জন্যে রেলপথ সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, ঢাকার সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর কাছে ট্রেনযাত্রা খুবই জনপ্রিয়। এ অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ে স্টেশনে অতিরিক্ত যাত্রী হওয়ায় টিকেটধারী যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারছেন না। আসন সংকটের কারণে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। আসন সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় দাঁড়িয়ে ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল ভ্রমণ করছেন যাত্রীরা।
উক্ত দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রেলমন্ত্রী বরাবর একাধিকবার পত্র প্রেরণ করেন।
এ নিয়ে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মানববন্ধন ও নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবগত করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর রেল ভ্রমণে দুর্দশা লাগবে প্রধানমন্ত্রী রেলপথ মন্ত্রণালয়কে ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে একটি নতুন স্পেশাল এবং ঢাকা-সিলেট পথে চলাচলকারী কালনী এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ পথে চলাচলকারী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতি করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। পাশাপাশি ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধিরও নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন।
এদিকে ট্রেনের যাত্রা বিরতির খবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের আহ্বায়ক আব্দুর নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা খেলাঘর আসলে সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্তসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সুধী সমাজের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমকে ‘নেপথ্যের কারিগর’ উল্লেখ করে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সচেতন মহল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত বলেন, নতুন ট্রেন চালু ও আরো দুই ট্রেনের যাত্রাবিরতি এবং আসন সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। আন্দোলনের সময় আমরা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেই। বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় আমরা পুরো জেলাবাসী উপকৃত হলাম।
স্টাফ রিপোর্টার :
রানার্স কমিউনিটির উদ্যোগে আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এই প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হাফ ম্যরাথন প্রতিযোগীতায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বয়সের দুই ২৫০ জন দৌড়বিদ প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়।সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষন দেবনাথ ম্যারাথন প্রতিযোগীতা উদ্বোধন করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির এডমিন অলি আহাদ রতন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ২১ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার এবং ৫ কিলেমিটার ক্যাটাগরিতে হাফ ম্যারাথন দৌড় শুরু হয়। দৌড়বিদরা শহরের শিমরাইলকান্দি হয়ে শেখ হাসিনা সড়ক (সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক) দিয়ে বিজয়নগর উপজেলা ঘুরে আবারো শেখ হাসিনা সড়কের তিতাস সেতুতে ফিনিসিং পয়েন্টে এসে শেষ হয়।
আয়োজকরা জানান, ভোরে হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করতে রাশিয়া, জাপান, ভারত, নেপালসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন বয়সী ২৫০জন দৌড়বিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে এসে জড়ো হয়। পরে সেখান থেকে তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হাফ ম্যরাথন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।
ম্যারাথনে অংশ গ্রহণকারীকারীরা জানান, সুস্থ দেহ ও সবল মনের জন্য দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই। সিলেট থেকে আসা দৌড়বিদ গোলাম রাহাত তোফায়েল বলেন, আমি দেশের বিভিন্ন জেলায় ম্যারাথন প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করে থাকি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অংশ গ্রহন করে খুব ভালো লাগছে।
পটুয়াখালী জেলা থেকে আসা দৌড়বিদ মশিউর রহমান পলাশ বলেন, আমি প্রথমবারের মতো ম্যারাথন প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করেছি। ম্যারাথনে অংশ গ্রহণ করে আমার খুব ভালো লাগছে। আগামীতে দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ের ম্যারাথনে যাওয়ার চেষ্টা করবো।
ফারজানা খানম নামে এক নারী দৌড়বিদ বলেন, জীবনের প্রথমবারের মতো আমি ৫ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করে নারীদের মধ্যে আমি প্রথম হয়েছি। শরীরকে ফিট ও সুস্থ রাখার জন্য প্রতিটা মানুষের দৌড়ানো উচিত।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষন দেবনাথ বলেন, আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে প্রথমবারের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগীতায় আমাদের দেশসহ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষসহ ২৫০ জন দৌড়বিদ অংশ গ্রহণ করেছে। আজ হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে আগামীতে আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুল ম্যারাথন প্রতিযোগীতার আয়োজন করার চেষ্টা করবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির এডমিন অলি আহাদ রতন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমরা প্রথমবারের মতো হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছি। আমাদের সুস্থতার জন্য দৌড়ানো উচিত। সবার কাছে এমন তথ্য পৌছে দেয়ার জন্যই আমাদের এই আয়োজন। আগামীতে সকলের সহযোগীতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল্টা বা ফুল ম্যারাথন প্রতিযোগীতা করার চেষ্টা করবো।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর উৎস দাস গুপ্ত জানান, প্রতিযোগীরা যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়ে সেজন্য প্রতিযোগীতা শুরুর সময় সড়কে যানচলাচল বন্ধ রাখা হয়। ম্যারাথন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারীদের নিরাপত্তার জন্যও আমরা কাজ করেছি।
প্রতিযোগীতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর মনোনয়ন পেতে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র নিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। ৮ ই ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দেয়া যাবে।
মনোনয়নপত্রের আবেদন নিয়ে এডভোকেট নিশাত সাংবাদিকদের কাছে দলের সর্বস্থরের নেতাকর্মীসহ জেলাবাসীর দোয়া কামনা করেন। এরআগে নবম ও একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে আবেদন করেছিলেন নিশাত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামীলীগের তুখোর নেত্রী এডভোকেট নিশাত ১৯৮৯ সালে ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের মহিলা সম্পাদিকা, জেলা ছাত্রলীগের মহিলা সম্পাদিকা নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ওই বছরই জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত একই পদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে তৎকালীন বিএনপি-জামায়েত জোট সরকারের রোষানলে পড়েন নিশাত। দ্রুত বিচার আইনে তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা ও আদালতে ২টি মামলা হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের তত্ত্বাবধানে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরে আসেন নিশাতসহ মামলার অন্যান্য আসামিরা। আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে নিশাত সাংগঠনিক কর্মকান্ডে বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। জেলা আওয়ামী লীগের ২০২২ সালের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের সম্মেলনে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক প্রশংসা পান।
এছাড়া জাতীয় সংসদ এবং স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে দল অন্তপ্রাণ নিশাত দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় সবসময় মুখ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে নারী প্রচারকর্মীদের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন নিশাত। প্রায় ১৫শ’ নারীকর্মী তার নেতৃত্বে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ঘরে ঘরে গিয়ে গণসংযোগ এবং প্রচারণা চালিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে নারীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে নারী সমাবেশের আয়োজন হয় তার নেতৃত্বে।
নিশাত ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৭৫ হাজার ৫৫২ ভোট পেয়ে নারী ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নারীদের কল্যাণে কাজ করেন নিশাত। পারিবারিক কলহে অসহায় নারীদের আইনী সহায়তা প্রদান, দরিদ্র নারীদের ভাগ্য পরিবর্তনে তার ভূমিকা অসামান্য। জাতিসংঘের ইউএন উইম্যান এবং ইউএন সিডিএফ প্রতিনিধিদল ছাড়াও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিনিধি দল তার কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি সুইড বাংলাদেশ পরিচালিত আসমাতুন্নেছা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৫ বছর প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে সুইড বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক নিশাত। এছাড়াও তিনি ড্রিম ফর ডিসএ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশন, ড্রিম ফর ডিসএ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশন হুইল চেয়ার ক্রিকেট টিম, ড্রিম ফর ডিসএ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশন ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টিমের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সমাজ উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকার জন্যে ২০২১ সালে চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হন নিশাত। এছাড়া নারী উদ্যোক্তা হিসেবে ২০২০ সালের ৮মার্চ জাতীয়ভাবে দেশের অন্যতম শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’ কর্তৃক ‘আনস্টপ্যাবল ওম্যান অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি চক্রের ৫জন সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-৯। এসময় বিভিন্ন ট্রেনের ১২৯টি আসনের ৫৯টি অনলাইন টিকেট, ৭টি মোবাইল ফোন ও টিকেট বিক্রয়ের ৪৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে (র্যাব-৯) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আটককৃতরা হলো শহরের উত্তর মোড়াইল এলাকার মোঃ আব্দুল হাকিম (৩৫) মোঃ জাকির হোসেন (৪৮), মোঃ রুবেল মিয়া (৩২), মোঃ শাহিন মিয়া (৪০) ও মোঃ সাজ্জাদ মিয়া (২৮)।
এর আগে রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র্যাব-৯ এর সদস্যরা।
(র্যাব-৯) এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল জানান, টিকেট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম থামাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ এর একটি আভিযানিক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে অভিযান চালায়।
এ সময় বিভিন্ন ট্রেনের ১২৯ টি আসন বিশিষ্ট ৫৯ টি টিকেট, কালোবাজিরর কাজে ব্যবহৃত ৭টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪৮হাজার টাকাসহ ৫ কালোবাজারিকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছে, অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি করে আসছিল।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে ইমন মিয়া (১৩) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের ছাতিয়াইন গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মৃত ইমন মিয়া ছাতিয়াইন গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাতিয়াইন গ্রামের একটি নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের ছাদে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ইমন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।