অনলাইন ডেস্ক :
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থানীয় সময় আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে মানবিক বিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১০৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়েছে। গাজা শাসনকারী হামাস সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ইসরায়েল এদিন সকাল থেকে গাজায় তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু করে। এখন পর্যন্ত ১০৯ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সরকারি ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা বলেছিল, ৬৫ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই ‘শিশুসহ নিরীহ বেসামরিক’। গাজাজুড়ে ইসরায়েলি বোমা হামলাকে আবাসিক এলাকায় নির্বিচার বলে বর্ণনা করেছে ওয়াফা।
দিনের প্রথম দিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছিল, ‘মানবিক বিরতি শেষ হওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২। কয়েকজন মানুষ আহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ২৪ নভেম্বর কার্যকর হয়েছিল এবং শুক্রবার সকালে তা শেষ হয়েছে।
আনাদোলুর সংবাদদাতা জানিয়েছেন মানবিক বিরতি শেষ হওয়ার পর পরই পূর্ব গাজা উপত্যকায় ভারী গোলাবর্ষণ এবং ইসরায়েলি কামানের আঘাত আবার শুরু হয়েছে। উত্তর ও মধ্য গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনি দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
অনলাইন ডেস্ক :
চালুর দু’দিনে মধ্যে আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি অফিসিয়াল মিম কয়েন। শতকরা ৪০ হাজার শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে এর দাম। গত শুক্রবার ক্রিপ্টো কারেন্সির বাজারে লঞ্চ করা হয়েছে $ট্রাম্প নামের মিম কয়েনটি।
ক্রিপ্টো মুদ্রা বাজার পর্যবেক্ষকদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, লঞ্চ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে বিলিয়ন ডলারের ‘মূল্য’ তৈরি করেছে $ট্রাম্প, যা একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কতা এবং সমালোচকদের নিন্দার জন্ম দিয়েছে।
যখন ট্রাম্পের মিম কয়েনটি লঞ্চ হয়, সে সময় এক একটি কয়েনের মূল্যমান ছিল মার্কিন মুদ্রায় ১৮ সেন্ট (পয়সা)। কিন্তু হটকেকের মতো বিক্রি হতে থাকায় রবিবার এর মূল্যমান পৌঁছায় ৭৫ ডলারে। বাজার সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে বাজারে ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ব্যবসা করেছে $ট্রাম্প।
ক্রীড়া বিষয়ক প্রথম সারির মার্কিন সংবাদমাধ্যম বারস্টুল স্পোর্টেসের প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড পোর্টনয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেন, “$ট্রাম্প লঞ্চিংয়ের খবর ছিল আমার কাছে ঘুম থেকে জেগে ওঠার মতো। কয়েনটি লঞ্চ হওয়ার পর আমি ৫ লাখ ডলারের সমমুল্যের $ট্রাম্প কিনেছিলাম।”
“কিন্তু শনিবার সন্ধ্যা থেকে দাম বাড়া শুরু করলে রবিবার সেগুলো আমি বিক্রি করে দিয়েছি। ২০০ শতাংশ লাভে বিক্রি করেছি। যত সময়ের মধ্যে বিক্রি হবে ভেবেছিলাম, তার চেয়েও অনেক দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিক্রি হয়েছে কয়েনগুলো। আমি ট্রাম্পের আমেরিকাকে ভালোবাসি! এখন ঘুমাতে যাচ্ছি।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের আরেক ব্যবহারকারী জানান, শুক্রবার লঞ্চের পরপর ১৮ সেন্ট দরে ১০ ডলারের সমপরিমাণ $ট্রাম্প কয়েন কিনেছিলেন তিনি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রায় তার কাছে থাকা সেসব কয়েনের মূল্য ৩৬ কোটি ১০ লাখ ডলার।
“আমি জিতেছি… হা হা। এই মুহূর্তে আমি আমার কয়েনগুলো বিক্রি করছি না।”
আরেকজন বলেছেন, “এটা ট্রাম্প পরিবারের একটি কৌশল। অবশ্যই এর পেছনে তাদের হাত রয়েছে। তারা জানে কোন জিনিস কখন বিক্রি করতে হয়। এভাবেই ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে। সূত্র: ফোর্বস, নিউজ এইউ, ইনভেস্টরস
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
ক্ষময়তায় এসেই আবারও ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতিতে ফিরলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডামে স্বাক্ষর করেছেন। এর মাধ্যমে মূলত তার প্রথম মেয়াদের নীতিতে ফিরে গেলেন। ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের এই নীতির মধ্যে রয়েছে, ইরানের তেল রফতানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, যাতে তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা যায়।
প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডামে স্বাক্ষর করার পর এবং সফররত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠকের আগ মুহূর্তে ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, তিনি ইরানের বিরুদ্ধে এই আদেশে স্বাক্ষর করতে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আদেশটির কথা উল্লেখ করে বলেন, সবাই চায় আমি এটি স্বাক্ষর করি। আমি তা করেছি এবং এটি ইরানের জন্য খুবই কঠিন হবে। ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে একটি চুক্তি করতে চায়। আমি ইরানকে বলছি, যারা খুব মনোযোগ সহকারে শুনছে, আমি একটি দুর্দান্ত চুক্তি করতে চাই। এমন একটি চুক্তি যেখানে আপনি আপনার জীবন চালিয়ে যেতে পারেন।
ট্রাম্পের মতে, ইরানের একটি জিনিস থাকতে পারে না। তাদের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না। তারা যদি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে আমি মনে করি এটি তাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক হবে। তেহরান পারমাণবিক অস্ত্রের কতোটা কাছাকাছি জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, তারা খুব কাছাকাছি।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে ইরানের মিশন এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
ট্রাম্প সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ইরানের ওপর তেল রফতানি নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ করেছেন। তেল রফতানি নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে প্রয়োগ না করার বাইডেনের নীতি ওয়াশিংটনকে দুর্বল করেছে এবং তেহরানকে সাহস জুগিয়েছে। যা ইরানকে তেল বিক্রি, নগদ অর্থ সঞ্চয় এবং সশস্ত্র মিলিশিয়ার মাধ্যমে পরমাণু কর্মসূচি ও প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম করেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক নজরদারি সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি শুরু করেছে ইরান। তাদের কাছে ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ৯০ শতাংশের কাছাকাছি। তবে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্য অস্বীকার করেছে।
ট্রাম্পের স্বাক্ষর করা প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডামে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে- মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারিকে ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক চাপ’ আরোপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও প্রয়োগ ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এছাড়া মার্কিন অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইরানের তেল রফতানি শূন্যের কোঠায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের অনুমান অনুযায়ী, তেল রফতানি থেকে তেহরানের ২০২৩ সালে ৫৩ বিলিয়ন ডলার এবং এর আগের বছর ৫৪ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। ওপেকের তথ্য্নুযায়ী, ২০২৪ সালে উৎপাদন ২০১৮ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ইরানের তেল রফতানি প্রায় শূন্যের কোঠায় নিয়ে গিয়েছিলেন। বাইডেনের আমলে ইরান নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সফল হওয়ায় তেল রফতানি বৃদ্ধি পায়।
ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছে, প্রয়োজনে তারা ইরানের ওপর সব আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে প্রস্তুত। যাতে করে দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে। সূত্র: রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
আজ বিশ্ব হিজাব দিবস। হিজাবভীতির বিরুদ্ধে সংহতি জানাতে ও হিজাবের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তৈরি করতে দিবসটি পালিত হয়। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের ১৫০টির বেশি দেশে তা উদযাপিত হচ্ছে। বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের নারীরা দিবসটি উদযাপনে অংশ নেন।
এই বছর দিবসটির ১২তম বার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য #VeiledInStrength অর্থাৎ শক্তিতে আবৃত।
দিবসটি উদযাপনকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ড হিজাব ডে জানিয়েছে, ‘হিজাব দিবসের লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে, পারষ্পরিক বোঝাপড়া, সহনশীলতা ও সংহতি বৃদ্ধির মাধ্যমে মুসলিম নারীদের ধর্মীয় অনুশীলন সম্পর্কে ধারণা তৈরি করা। পোশাক ও অভিব্যক্তি সম্পর্কিত ব্যক্তিগত পছন্দের বৈচিত্র্য সম্পর্কে ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করা ও সচেতনতা প্রচার করতে দিবসটি একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।
২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘বিশ্ব হিজাব দিবস’ পালনের উদ্যোগ নেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা নাজমা খান। ১১ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। বর্তমানে তিনি নিউ ইয়র্কের ব্রঙ্কসে বসবাস করছেন। সেখানে গিয়ে হিজাব পরা শুরু করেন তিনি।
কিন্তু হিজাব পরার পর থেকে নানা ধরনের অসহিষ্ণু আচরণের মুখোমুখি হন তিনি। তখন থেকে হিজাবের প্রতি ইতিবাচক ধারণা তৈরি করতে দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। দ্য ওয়ার্ল্ড হিজাব ডে (ডাব্লিওএইচডি)-এর উদ্যোগে দিবসটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
আরবি ভাষায় হিজাবের শাব্দিক অর্থ, বিভাজন বা পর্দা। ইসলামী শরিয়ত অনুসারে মুসলিম নারীদের জন্য নির্দিষ্ট অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঢেকে রাখার বাধ্য-বাধ্যকতা রয়েছে।
বিশ্বের অনেক দেশে নারীদের হিজাব পরা নিয়ে বাধা-বিপত্তি থাকলেও তা অনেক নারীর জন্য আশা ও অগ্রগতির প্রতীক।
অনলাইন ডেস্ক :
লন্ডনে এক হোটেলের সামনে থেকে গ্রেটা থুনবার্গসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে যুক্তরাজ্যের পুলিশ। মঙ্গলবার ওই হোটেলে তেল ও গ্যস কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সম্মেলন চলছে।
সম্মেলনকে ঘিরে ‘ওয়েলি মানি আউট’ বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল পরিবেশবাদী সংগঠন ফসিল ফ্রি লন্ডন ও গ্রিনপিস। থুনবার্গসহ টুনব্যার্গসহ কয়েকশ বিক্ষোভকারী হোটেলের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন। তারা হোটেলে প্রবেশের সব পথ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। খবর বিবিসির
গ্রেফতারের আগে থুনবার্গ গণমাধ্যমকে বলেন, দরজা বন্ধ করে সম্মেলনের নামে মেরুদণ্ডহীন রাজনীতিবিদেরা ধ্বংসাত্মক জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের লবিস্টদের সাথে চুক্তি এবং আপস করছেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে কাজ করা কোম্পানিগুলো বেশি লাভের জন্য ইচ্ছে করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির গতি ধীর করে দিচ্ছে।
থুনবার্গ বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানিতে পৃথিবী ডুবে যাচ্ছে। ‘আমাদের আশা, স্বপ্ন এবং জীবন মিথ্যার বন্যায় ভেসে যাচ্ছে’ বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সম্মেলন চলবে। সেই সময় পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ ‘এক্স’ এ বিক্ষোভস্থল থেকে ২০ জনকে গ্রেফতারের খবর জানিয়েছে।
এর আগে এবছর বিক্ষোভ করতে গিয়ে সুইডেন, নরওয়ে ও জার্মানিতে আটক হয়েছিলেন গ্রেটা থুনবার্গ।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন তিনি এক ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত পণ্যে ২৫ শতাংশ সীমান্ত কর আরোপ করবেন। এবার তা বাস্তবায়ন হলো ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
৩১ জানুয়ারি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। তবে কোন কোন পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হবে তা এখনো নিশ্চিত করেননি নবনির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট।
বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প জানিয়েছেন তাঁর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে কারণ ছিল বিপুল পরিমাণে অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ রোধ করা। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত পেরিয়ে আসা ফেন্টানাইল ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবিলা করা।
কানাডা ও মেক্সিকো জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের জবাবে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। একই সঙ্গে ওয়াশিংটনকে জানিয়েছে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সম্পর্কে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে তা দূর করার জন্য পদক্ষেপ নেবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যদি কানাডা ও মেক্সিকো থেকে তেল আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপ কার্যকর করে তাহলে জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো ট্রাম্পের জন্য কঠিন হবে।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন তিনি এখন চীনের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন এবং এটি প্রক্রিয়াধীন। এ ব্যাপারে তিনি জানুয়ারি মাসের শুরুতে বলেছিলেন চীনের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে কোন কোন পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হবে তার বিস্তারিত বিবরণ দেননি।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনি প্রচারণার সময় বলেছেন চীনা তৈরি পণ্যের ওপর তিনি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করবেন। কিন্তু হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দিনেই তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নেননি। বরং প্রশাসনকে এ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
২০১৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চীন থেকে পণ্য আমদানি কমে গেছে। অর্থনীতিবিদরা এর কারণ হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আরোপিত একাধিক পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন।
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে ভাষণ দেওয়ার সময় চীনের ভাইস প্রিমিয়ার ডিং জুয়েক্সিয়াং বলেছিলেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য উত্তেজনার উপযুক্ত সমাধান চায় এবং তাদের রপ্তানি সম্প্রসারণ করতে চায়।
শুল্ক হলো বিদেশে উৎপাদিত পণ্যের ওপর একটি আমদানি কর। এটি আরোপ হলে কোনো দেশ থেকে আসা পণ্য কেনার সম্ভাবনা কমে যায় এবং কর আরোপিত পণ্য আরও ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে।
কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত জ্বালানি তেলের ওপর শুল্ক আরোপ হলে খুচরা ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে। পেট্রোল থেকে শুরু করে সব ধরনের তেলের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে। কেননা, মার্কিন তেল আমদানিকারকরা যে অপরিশোধিত তেল সরবরাহ করে তার প্রায় ৪০ শতাংশ আমদানি করা হয়। এর বেশিরভাগই আসে কানাডা থেকে।