অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের বিহার রাজ্যে এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেপুরার একটি সরকারি স্কুলে সদ্য চাকরি পেয়েছিলেন গৌতম নামের ওই যুবক। তাঁর অভিযোগ, স্কুলে যখন ক্লাস নিচ্ছিলেন, সেই সময় কয়েকজন জোর করে সেখানে ঢুকে পড়েন। তারপর তাঁকে মারধর করে অপহরণ করে নিয়ে যান।
গৌতমের আরো অভিযোগ, তাঁকে অপহরণ করে রাজেশ রায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে শাসানো হয়, বিয়ে না করলে খারাপ পরিণতি হবে। তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিবাদে কাজ হয়নি।
তার পরই তাঁর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রাজেশ রায়ের মেয়ের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। স্কুল থেকে গৌতমের অপহরণের খবর পেয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ পেয়েই তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গৌতমের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করে নারায়ণপুরের ডেরপুরা গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
ওই গ্রামের একটি বাড়ি থেকে গৌতমকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর নববিবাহিত স্ত্রীও ছিলেন সেখানে।
এই প্রথম নয়, ২০১৯ সালেও সরকারি চাকুরে এক যুবককে অপহরণ করে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মামলা আদালতে ওঠে। আদালত সেই বিয়েকে বেআইনি বলে রায় দেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস গত সোমবার কমিউনিটি অপ-এডে লিখেছেন, তিন বছর আগে আমি আপনার মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার মুহূর্ত থেকে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো নিরাপদ রাস্তা, নিরাপদ পাতাল রেল এবং নিউইয়র্ক পরিবারের জন্য একটি নিরাপদ শহর তৈরি করা। এর অর্থ হলো অস্ত্র সহিংসতার ইস্যুটিকে সামনের দিকে মোকাবেলা করা এবং অপরাধীদের আরো দমন করার আগে তাদের হাত থেকে অবৈধ অস্ত্রগুলো বের করার জন্য কাজ করা।
আমি গর্বিত যে আমাদের প্রশাসন আমাদের রাস্তা থেকে এবং আমাদের কমিউনিটির বাইরে অস্ত্র কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। আমরা প্রথম দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গত সপ্তাহে পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছি। এই ২০,হাজার অস্ত্র আর আমাদের প্রতিবেশী, আমাদের পরিবার এবং আমাদের শিশুদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি দেয় না; একজন নিউইয়র্কবাসীকে গুলি বা হত্যা করার সম্ভাবনা কম। এই পরিসংখ্যানটি শুধুমাত্র একটি বড় সংখ্যার চেয়েও বেশি- এটি আমাদের শহরের জন্য একটি বড় মাইলফলক এবং সঠিক দিকের একটি স্পষ্ট পরিবর্তন।
আমরা আগের তিন বছরের সময়ের তুলনায় ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমাদের রাস্তা থেকে আরও ৩ হাজার অস্ত্র তুলে নিয়েছি। আমরা যে ২০ হাজার অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছি, তার মধ্যে ১ হাজার চার শোর বেশি গোস্ট গান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে- যা খুঁজে পাওয়া যায় না এমন আগ্নেয়াস্ত্র। এসব আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করা এবং কিনতে পাওয়া খুব সহজ। আমরা আমাদের রাস্তা থেকে বিপজ্জনক অস্ত্রগুলো সরিয়ে ফেলছি এবং আমাদের কমিউনিটিগুলোকে নিরাপদ রাখছি- এবং আমাদের কৌশল কাজ করছে।
পরপর তিন বছর খুন ও গোলাগুলির সংখ্যা দ্বিগুণ সংখ্যায় হ্রাস পেয়েছে: মানুষ খুন প্রায় ২৩ শতাংশ কমেছে এবং গোলাগুলি ৪২ শতাংশেরও বেশি কমেছে। এর মানে হলো আমরা ২৬৮ অতিরিক্ত জীবন বাঁচিয়েছি এবং ১,৫০০ কম গুলির শিকার দেখেছি।
গত বছর ব্রুকলিনের ইতিহাসে সর্বনিম্ন পরিমাণে বন্দুক সহিংসতা দেখা গেছে। অন্যদিকে পুরো শহরজুড়ে ডিসেম্বরে সামগ্রিক অপরাধ ১৫ শতাংশ কমেছে। বন্দুক সহিংসতা নির্মূলে আমাদের অবিচল মনোনিবেশের কারণে, নিউইয়র্ক সিটি আমেরিকার সবচেয়ে নিরাপদ বড় শহর হিসেবে অবিরত রয়েছে।
আমরা নতুন বছর শুরু করার সাথে সাথে আমাদের অগ্রাধিকার একই থাকে: বন্দুক সহিংসতা মোকাবেলা করা এবং আমাদের শহর থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র অপসারণের মাধ্যমে নিউইয়র্কবাসীদের নিরাপদ রাখা। এনওয়াইপিডি অফিসাররা ইতিমধ্যেই ২০২৫ সালের প্রথম কয়েক সপ্তাহে ৩৫০ টিরও বেশি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছেন। তবে আরও এগিয়ে যেতে আমরা করতে পারি এবং আমরা করব।
গত কয়েক মাসে, আমরা এলোমেলো সহিংসতা দেখেছি যা অনেক নিউইয়র্কবাসীকে নাড়া দিয়েছে। আমরা সকলেই জানি যে নিরাপত্তা কেবল পরিসংখ্যানের চেয়ে বেশি কিছু – মানুষ অবশ্যই নিরাপদ থাকবে এবং তাদের অবশ্যই নিরাপদ বোধ করতে হবে। সেই পরিচিত নীল ইউনিফর্মের উপস্থিতির চেয়ে উপলব্ধিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য আর কিছুই ভাল কাজ করে না। তাই, নিউইয়র্কবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে আমরা রাতভর প্রতিটি সাবওয়েতে দুইজন অফিসারসহ টহলের জন্য শত শত অতিরিক্ত পুলিশ অফিসারকে নিযুক্ত করছি।
এটি তিন বছর আগে আপনাদের কাছে আমার প্রতিশ্রুতি ছিল এবং আজও রয়েছে। যখন অন্যরা পুলিশকে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিল, আমি তাদের রক্ষা করেছি, কারণ আপনার সুরক্ষার জন্য লড়াই করার জন্যই আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন। নিউইয়র্ক সিটিকে আরও নিরাপদ করতে অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা, পাচারের পাইপলাইনগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং গুলিবর্ষণের আগেই গুলি প্রতিরোধ করার মতো বিভিন্ন কাজে এনওয়াইপিডি কঠোর পরিশ্রম করতেই থাকবে।
আমি এই মাসের শুরুর দিকে আমার স্টেট অফ দ্য সিটি ভাষণে বলেছিলাম, আমাদের অবশ্যই নিউইয়র্ক সিটিকে একটি পরিবার গড়ে তোলার জন্য বিশ্বের সেরা জায়গা বানাতে হবে। এটি শুরু হয় আমাদের পরিবারের জন্য নিরাপদ হাঁটার রাস্তা, নিরাপদ ট্রানজিট চালানো এবং খেলার জন্য আরও নিরাপদ পার্ক দিয়ে। আমরা আমাদের রাস্তা থেকে যে বন্দুক জব্দ করি তা আমাদের সেই লক্ষ্যের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। প্রতিদিন আমি আমাদের শহর ও আমাদের দেশে বন্দুক সহিংসতা বন্ধ করতে কাজ চালিয়ে যাব।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েল সফরে গিয়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল সফর করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। সফরের পর হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ বিরতিতে অগগ্রতির আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার লাইভ আপডেট প্রোগ্রামে এ তথ্য জানায় আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, দক্ষিণ ইসরায়েলের কিবুতজ বেইরি শহর পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবারই তিনি ইসরায়েলে পৌঁছান। এরপর তিনি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনসহ কিবুতজ বেইরি পরিদর্শনে যান।
গত ৭ অক্টোবর কিবুতজ বেইরি শহরে হামলা চালায় হামাস। ওই হামলায় প্রায় ১০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল। পরিদর্শনের সময় এলি কোহেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে হামলার ভয়াবহতা সম্পর্কে জানান।
পরে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে নিজের পরিদর্শনের বিষয়ে একটি পোস্ট দেন ডেভিড ক্যামেরন। তিনি লেখেন, আমি নিজের জন্যই জায়গাটি পরিদর্শনে আসতে চেয়েছিলাম। আমি এমন কিছু শুনেছি এবং দেখেছি যা কখনই ভুলব না।
ওই পোস্টে তিনি হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতিতে ‘অগ্রগতির’ আশা প্রকাশ করেন। ক্যামেরন লিখেছেন- আজ এমন একটি দিন যেখানে আমরা মানবিক বিরতির অগ্রগতি দেখতে আশা করি। এটি জিম্মিদের বের করে আনা ও গাজায় সাহায্য করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। এটি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সাহায্য করার সুযোগ, যেখানে মানুষ ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল পরিদর্শন করবেন বলেও পোস্টে জানান পশ্চিমা বিশ্বের এ নেতা।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো বলছে, ডেভিড ক্যামেরন তার সফরের অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ ও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তবে, কখন, কোথায় তাদের এ সাক্ষাৎ হবে সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
চলারপথে ডেস্ক :
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার ছুঁয়েছে। তুরস্কে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮ হাজার ৪৪ দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার আটশ জন।
ভূমিকম্পের দ্বিতীয় সপ্তাহেও তুরস্কে উদ্ধারকাজ চলছে। তবে প্রতিদিন উদ্ধার হওয়া মানুষের সংখ্যা কমছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার কাহরামানমারাস প্রদেশের ধ্বংসস্তূপ থেকে এক কিশোরীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘ সিরিয়ায় ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকার মানুষের জন্য ৪০ কোটি ডলার সহায়তা জরুরি বলে জানায়। সংস্থাটি আরো জানায়, তুরস্কের দুর্গত এলাকার মানুষদের জন্য ১০০ কোটি ডলার সহায়তা প্রয়োজন।
জাতিসংঘের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বৃহস্পতিবার বলেন, অবর্ণনীয় কষ্ট পাচ্ছেন তারা। আমাদের অবশ্যই তাদের অন্ধকার সময়ে পাশে দাঁড়াতে হবে ও নিশ্চিত করতে হবে তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের কাছে। পরে আরও কয়েক দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
সূত্র : আল জাজিরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের উত্তর গাজার জাবালিয়ায় জাতিসংঘের পরিচালিত ‘আল-ফাখুরা’ নামে একটি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে।
গতকাল শনিবার ভোরে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত ওই স্কুলটিতে ইসরায়েলী বাহিনীর অবিরাম হামলা থেকে বাঁচতে শত শত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।
গাজা থেকে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিনিধি তারেক আবু আজজুম জানান, স্কুলের ভেতর মরদেহ পড়ে আছে। মেডিকেল টিমগুলো আহতদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি আরো জানান, উত্তর গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত স্থল আক্রমণ থেকে বাঁচতে অনেক ফিলিস্তিনি সুরক্ষার জন্য ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের আশপাশে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আল-ফাখুরা স্কুলে আশ্রয় নেওয়া লোকেরা, যাদের অনেকের চিকিৎসা সমস্যা ছিল, তারা ভেবেছিল তারা সেখানে আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পারে।
গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় প্রাণহানির সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার সরকারি মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক ইসমাইল থাওয়াবতা।
চলারপথে রিপোর্ট :
চীনে দেখা দেওয়া ভাইরাস এইচপিভি ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আশংকাজনক হারে বাড়তে থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে স্বাস্থ্য পরিক্ষা ডেস্ক চালু করা হয়েছে।
১৩ জানুয়ারি সোমবার সকালে আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ডেস্ক চালু করেন জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন। এসময় ভারত থেকে আসা যাত্রীদের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ডেস্ক চালু করা সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খান।
জানা যায়, নতুন করে দেখা দেওয়া এইচএমপিভি ভাইরাস রোধ করার জন্য বাংলাদেশ স্থলবন্দরগুলোতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়। সতর্কতাস্বরূপ প্রাথমিক ভাবে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের নামের তালিকাভুক্ত করে শরীরের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করা, যাত্রীদের মুখে মাক্স ব্যবহার, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এইচএমপিভি ভাইরাস প্রতিরোধ রোধে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে একটি অস্থায়ী মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এখানে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দুই ধাপে ৪ জন স্বাস্থ্য সহাকরী কাজ করবে। প্রাথমিকভাবে করোনাকালীন যে সতর্কতাগুলো মানুষের কাছে পৌঁছেনো হয়েছিল সেই সতর্কতাগুলোই এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও অবলম্বন করা হচ্ছে। শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয়, মাস্ক পরিধান করা, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে আগত যাত্রীদের সতর্ক করা হচ্ছে। এই ভাইরাস নিয়ে জনমনে যেন কোন ধরনরে আতঙ্ক সৃষ্টি না হয় সে বিষয়েও আমরা কাজ করছি।