ঢাকা।।
রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আজ আয়োজিত গণসমাবেশে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি, দলীয় কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে এবং গুলিতে নিহত নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে আগামী ১৩ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) ঢাকা মহানগরসহ প্রতিটি মহানগরে বিক্ষাভ ও গণমিছিল কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। এছাড়া ১০ দফা আদায়ের জন্য আগামী ২৪ ডিসেম্বর (শনিবার) ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর আগে সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, ৯৬ এর আলোকে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনসহ ১০ দফা দাবি পেশ করেন খন্দকার মোশাররফ। এ ১০ দফা আদায়ের কর্মসূচিতে আগামী দিনে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে আহ্বান জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যুবককে ডেকে নিয়ে তরুণীর সাথে জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও চাঁদা আদায় চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় ভিডিও ধারণের কাজে ব্যবহৃত দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলও নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
আজ ১২ জুন সোমবার দুপুরের দিকে আসামিদের নোয়াখালী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, রবিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী বাজারের মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে মো.ইমন (২১) ও একই গ্রামের তাজুল ইসলাম সজিব (২০)।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে-বলেন, মো.আব্দুল আজিজ নামে এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করেন ইমন ও সজিব তাকে মারধর করে নাজনিন সুলতানা প্রিতি নামে এক তরুণীর বাড়িতে ঢুকিয়ে জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। এরপর ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে নগদ ১ লাখ ১০হাজার টাকা আদায় করে। পরবর্তীতে আরও চাঁদা দাবি করে। পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযোগের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত ২ আসামিকে গ্রেফতার করে। একই সাথে ভিডিও ধারণের কাজে ব্যবহৃত দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলও নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এসপি আরো বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ওই মামলায় আসামিদের গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া হলো লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার।
আজ ২২ জুন শনিবার সকাল ৯টার দিকে নয়াদিল্লির ফোরকোর্টে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ সরকারের মন্ত্রীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এরপর প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয় রাজকীয় সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার। এর পরে শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশটির মন্ত্রী ও পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
এদিকে, আজ মোদি-হাসিনা শীর্ষ বৈঠকের পাশাপাশি দিনভর রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত সময় পার করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিন রাজঘাটে গান্ধীর সমাধিসৌধে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন শেখ হাসিনা।
মোদি-হাসিনা বৈঠকের পর ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে একাধিক মউ (সমঝোতাপত্র) স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আজ শনিবার হাসিনার সম্মানে একটি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করার কথাও রয়েছে হাসিনার।
আজ সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বিমানে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চলারপথে রিপোর্ট :
তীব্র শীতে উষ্ণতা ছড়াতে প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৫ জানুয়ারি সোমবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও ড্রিম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন ড্রিম ফর ডিসএবিলেটির চেয়ারম্যান হেদায়েতুল আজীজ মুন্না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস.এম. শান্তনু চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম শেখ, সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. লোকমান হোসেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকারের কল্যাণে প্রতিবন্ধীরা আজ সমাজের মূল স্রোতধারায় ফিরে আসছে।
বক্তারা শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পরে অতিথিরা ২০০ শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের মধ্যে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আরও ১৬ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২৯ মার্চ বুধবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
নিহত ১৮ বাংলাদেশি হলেন-
১। রুকু মিয়া, পিতা: কালা মিয়া, থানা/উপজেলা: কসবা, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া;
২। মো. ইমাম হোসাইন রনি, পিতা: মো. আব্দুল লতিফ, থানা/উপজেলা: টঙ্গী, জেলা: গাজীপুর;
৩। খাইরুল ইসলাম;
৪। মো. রাসেল মোল্লা;
৫। মো. নজরুল ইসলাম, পিতা: কাউসার মিয়া, থানা: কোতয়ালী, জেলা: যশোর;
৬। রুহুল আমিন;
৭। সবুজ হোসাইন, পিতা:মো. হারুন, উপজেলা: রায়পুর, জেলা: লক্ষ্মীপুর;
৮। মো. হেলাল উদ্দিন, নোয়াখালী;
৯। মোহাম্মদ আসিফ, উপজেলা: মহেশখালী, জেলা: কক্সবাজার;
১০। শাফাতুল ইসলাম, উপজেলা: মহেশখালী, জেলা: কক্সবাজার;
১১। শাহিদুল ইসলাম, পিতা: মো. শরিয়ত উল্লাহ, উপজেলা: সেনবাগ, জেলা: নোয়াখালী;
১২। তুষার মজুমদার;
১৩। মামুন মিয়া, পিতা: আব্দুল আউয়াল, উপজেলা: মুরাদনগর, জেলা: কুমিল্লা;
১৪। মিরাজ হোসাইন;
১৫। গিয়াস, পিতা: হামিদ, উপজেলা: দেবিদ্বার, জেলা: কুমিল্লা;
১৬। মো. হোসাইন, পিতা: কাদের হোসাইন, উপজেলা: রামু, জেলা: কক্সবাজার;
১৭। সাকিব, পিতা: আব্দুল আউয়াল;
১৮। রানা মিয়া।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বুধবার রাতে জানিয়েছেন, সৌদি আরবে যেই বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, তাতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৪ জন। বাস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আরও ১৬ বাংলাদেশি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সূত্র জানায়, সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে ওমরাহ যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত হয়েছেন। গত ২৭ মার্চ ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাসটি একটি সেতুর ওপরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। একপর্যায়ে বাসটি উল্টে আগুন ধরে যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আসির প্রদেশ ও আভা শহরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী ওই সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারানোয় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কা যাচ্ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঘুস দিয়ে মসজিদের অনুমোদন নিলে সেখানে নামাজ পড়া নাজায়েজ হবে বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী।
আজ ৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রাজউকে মসজিদের নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে ঘুস চাওয়ার অভিযোগের জবাবে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, রাজউকে ঘুস দিয়ে যে মসজিদের অনুমোদন নিতে হয়েছে, সেখানে নামাজ পড়া নাজায়েজ হবে।
সেই মসজিদ ভেঙে ফেলা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দুর্নীতি রোধ ও সরকারি ভবন নির্মাণে অপচয় কমানোর চেষ্টা করা হবে জানিয়ে র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী বলেন, বালিশকাণ্ডের মতো ঘটনা যেন আর না ঘটে। এ জন্য দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতিগ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, কিছু দিন দেখেন কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যেসব প্রকল্প বা প্রতিষ্ঠান নিয়ে অভিযোগ আছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ও গৃহায়ণের চেয়ারম্যান প্লট নিয়েছেন- এমন অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যদি আইনের বাইরে কিছু করা হয়, এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মানহীন ও অপ্রয়োজনীয় ভবন নির্মাণ করা হবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি।