স্টাফ রিপোর্টার :
আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ফি সর্বোচ্চ ২ হাজার ১৪০ টাকা ধরা হয়েছে। ২০২৩ সালের বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ টাকা ফরম পূরণের ফি বাবদ নেওয়া যাবে। গতকাল রোববার এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এসব কথা জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ২০ টাকা। ফরম পূরণ শুরু হবে ১৮ ডিসেম্বর। আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ফরম পূরণ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণের ফি জমা দেওয়া যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১০০ টাকা বিলম্ব ফি দিয়ে ৭ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করা যাবে। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের ফি জমা দেওয়া যাবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফির মধ্যে ব্যবহারিকসহ কেন্দ্র ফি অন্তর্ভুক্ত বলেও জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ফি ২ হাজার ১৪০ টাকার মধ্যে বোর্ড ফি ১ হাজার ৬২৫ টাকা ও কেন্দ্র ফি ৫১৫ টাকা। ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ২ হাজার ২০ টাকা ফির মধ্যে বোর্ড ফি ১ হাজার ৫৩৫ টাকা ও কেন্দ্র ফি ৪৮৫ টাকা। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জের টাকা নিতে পারবে স্কুলগুলো। তবে নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন ও সেশন চার্জ নেওয়া যাবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসএসসি পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পত্রপ্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ৩০ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৩৫ টাকা, মূল সনদ বাবদ শিক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা অনিয়মিত ফি দিতে হবে। আর জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের ১০০ টাকা অনুমতি বা তালিকাভুক্তি ফি দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের তথ্য-সংবলিত সম্ভাব্য তালিকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হবে। সম্ভাব্য তালিকা থেকে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফরম পূরণ করতে পারবে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফি জমা দেওয়ার সময় ৫ জানুয়ারি শেষ হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকায় বসবাসরত ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীদের সংগঠন ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি, ঢাকা’-এর বিশেষ সভা ১৬ মার্চ শনিবার তোপখানা রোডে সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি, ঢাকা’-এর সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
সভায় আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯টি উপজেলার দরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আলোচনা শেষে উপস্থিত কার্যনির্বাহী সদস্যের সঙ্গে নিয়ে মোনাজাত ও ইফতার সম্পন্ন করা হয়।
সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমান, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ও ২৪৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মোঃ মঈন উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান খাদেম, সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ ভূইয়া, সাবেক সচিব গোলাম রাব্বানী, সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেনসহ সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ আকারের প্রবাহমান একটি খাল যেটি সরাসরিভাবে যুক্ত হয়েছে সুবিশাল যমুনা নদীর সাথে। শুষ্ক মৌসুমে খালের পানি কম থাকলেও বর্ষা মৌসুমে পানি বেড়ে যায় কয়েক গুণ। আর এই খালের উপর চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সেতু না থাকায় ২০১৮ সালে এলাকাবাসীর শ্রম ও নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করা হয়েছিলো একটি কাঠের সাঁকো। সাঁকো দিয়ে প্রায় ৪ বছর ধরে চলাচল করে আসছিলো সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের সড়াতৈল, খোলাবাড়ি, পোড়াবাড়ি, মদনাবাড়ি, ভেন্নাবাড়ি, রুপেড়বেড় গ্রামের সর্বস্তরের জনসাধারণ। বর্তমানে সেতুটির বেহাল অবস্থা হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ৬ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের।
স্থানীয়রা জানান, চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট কোন রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে শিশুদের স্কুলে যাওয়া-আসা করতে হয় এই সাঁকো দিয়ে, এছাড়াও কৃষকদেরকে জমি থেকে ফসল নিয়ে আসতে বেগ পেতে হয়। প্রায়ই সাঁকো পার হতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছে অনেকে। ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু পার হতে গিয়ে যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রিপন মিয়া জানান, সাঁকোটির অবস্থা বর্তমান খুবই ভয়াবহ। স্থানীয়রা বিষয়টি আমাকে অবগত করলে ৬ মাস আগে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে সেতু নির্মাণের জন্য একটি আবেদন করা হয়। পরে আশ্বস্ত করা হয়েছিল এই খালের উপর দিয়ে সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহটের শরণখোলায় একই সঙ্গে মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামে। নিহত পাপিয়া বেগম (৩৫) ও তার মেয়ে সাওদা জেমীকে (৫) ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় মেয়েটি। গুরুতর অবস্থায় মা পাপিয়াকে উদ্ধার করে রাত ৮টার দিকে হাসপাতলে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ রাত ৯টার দিকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে। তবে কি কারণে কে বার কারা এই হত্যাটি ঘটেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ স্বপন কুমার বালী জানান, খবর পেয়ে পাপিয়া বেগমকে তার ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় বাড়ির কিছু দূরে পড়ে থাকা অবস্থায় মেয়ে সাওদা জেমীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশকে জানানো হয়।
গ্রাম পুলিশ স্বপন বালী জানান, পাপিয়ার স্বামী আবু জাফর হাওলাদার কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকেন। তার ছেলে জিহাদ (১৫) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়াতে একটি দোকানে কাজ করে। মেয়েকে নিয়ে পাপিয়া বাড়িতে থাকতেন। কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা বোঝা যাচ্ছে না।
রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তা জানান, তার ইউনিয়নের ১ নম্বর উত্তর রাজাপুর ওয়ার্ডে মা-মেয়ের জোড়া হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। পারিবারিক কারণে এটি ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশফাক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই পাপিয়া বেগমের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম পাওয়া গেছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন বলেন, মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুনরায় আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দিলেন আইনজীবীরা। আজ ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আইনজীবীর সমিতিরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভা ও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের কাছে দায়িত্বভার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। আগামীকাল ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে তাদের সকল আদালত বর্জন কর্মসূচি শুরু হবে চলবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
জেলা আইনজীবী সমিতির সূত্রে জানা গেছে, আদালতের শীতকালীর ছুটির আগে গত ১ ডিসেম্বর আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল। ওই দিন তিনটি মামলা না নেয়ায় ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন শুরু করেন আইনজীবীরা। ২ জানুয়ারি বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সাথে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি আদালতের কক্ষে ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে একদিনের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পালন করে জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
এ ঘটনার পর গত ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের কর্মসূচি শুরু করেন আইনজীবীরা। তারা জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরনের অভিযোগে সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে ১৭ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
এছাড়াও আন্দোলন চলাকালে জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে অশালীন শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে গত ১১ জানুয়ারি ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে গত ১২ জানুয়ারি রাতে ঢাকায় আইনমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে আইনমন্ত্রী আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আদালতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা।
মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর ২৪ জানুয়ারির মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে দুই আদালত ব্যতিত (জেলা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত) সকল আদালতে ফিরে যান আইনজীবীরা। এতে আদালতের অচলাবস্থা দূর হয়।
গত ২৪ জানুয়ারির মধ্যে আইনজীবীদের দাবি পূরন না হওয়ায় তারা ওইদিন বিশেষ সাধারণ সভা করে তারা তাদের কর্মসূচি ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। ৩০ জানুয়ারি মধ্যে তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় তাদের কর্মসূচি আবার ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার আইনজীবীরা তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় বিশেষ সাধারণ সভা করে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।
এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোঃ তানবীর ভূঞা জানান, গত ৩০ জানুয়ারি সমিতির সাধারণ সভা করে তাদের কর্মসূচি ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। ওই সভায় বলা হয়েছিল উল্লেখিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে পুনরায় বিশেষ সাধারণ সভা করে পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে।
কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় আমরা মঙ্গলবার পুনরায় সাধারণ সভা করে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। সকল আইজীবীর মতামতের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার থেকে তাদের সকল আদালত বর্জনের কর্মসূচি শুরু হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেছেন, সবাই মিলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে।
জেলা প্রশাসন আয়োজিত আইন-শৃংখলা সম্পর্কিত বিশেষ সভা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আজ ২৭ নভেম্বর বুধবার বিকেলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, কেউ অনিরাপদ মনে করলে প্রশাসনকে জানাবেন। কেউ যাতে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি করতে না পারে এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, দেশটা আমাদের, সবাই দেশটাকে ভালোবাসতে হবে। সবার মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে।
সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, সারা বিশ্বে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কেউ শান্তি বিনষ্ট করলে তাকে ছাড় দেয়া হবেনা। সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ৬০ বিজিবির অধিনায়ক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড: কামরুজ্জামান মামুন, প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড: আবদুল মান্নান, সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, জেলা হেফাজতে ইসলামীর সভাপতি মুফতি মোঃ মোবারকুল্লাহ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা সভাপতি দিলীপ কুমার নাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষন দেবনাথ, বিটিজেএ’র সভাপতি আল-আমীন শাহীন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রবীর চৌধুরী রিপন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সু-দীর্ঘকাল ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান আছে। কাউকে এই সম্প্রীতি নষ্ট করতে দেয়া হবেনা।
বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ও বিভিন্ন উপজেলার কিছু দুর্বৃত্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস দিয়ে, সামাজের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের ছবি বিকৃত করে ছবি আপলোড করে ও ফেসবুকে লেখালেখি করে সামাজিক অস্থিরতা ও ধর্মীয় উম্মাদনা ছড়াচ্ছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বক্তারা চট্টগ্রামের আইনজীবী হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বক্তারা জেলার প্রতিটি উপজেলায় প্রশাসনের উদ্যোগে আইন-শৃংখলা সম্পর্কিত বিশেষ সভা এবং শান্তি ও সম্প্রীতি সমাবেশ করার দাবি জানান এবং আগামী শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইমামদেরকে বয়ান ও জেলার বিভিন্ন উপাসনালয়ে তাদের উদ্যোগে কেউ যাতে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সভা করার আহবান জানান।
সভায় আইন-শৃংখলা সম্পর্কিত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক দলের নেতৃবৃন্দ ও জেলার সূধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।