স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেছেন মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। এ সময় শাখাওয়াত হোসেনকে স্বাগত জানান বিদায়ী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কুশল বিনিময় শেষে বিদায়ী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জেলার দায়িত্বভার তুলে দেন নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের হাতে। এ সময় জেলার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউজে আসলে নবাগত পুলিশ সুপারকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমরানুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পুলিশের দায়িত্বভার গ্রহণ করে নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরস্থ বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মোঃ সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মোঃ আনিছুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) কামরুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ। পরবর্তীতে তিনি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা পুলিশের সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সকল থানার অফিসার ইনচার্জদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা করেন। নবাগত পুলিশ সুপার দায়িত্ব পালনে এবং জেলার আইনশঙ্খলা রক্ষার্থে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৫ জন প্রবীণতম নেতাকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
আজ ২৩ জুন রবিবার বিকালে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জমকালো ও বর্ণাঢ্য এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সম্মাননাপ্রাপ্ত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা ও কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি অ্যাড. মকবুল হোসেন তালুকদার।
সম্মাননাপ্রাপ্ত নেতারা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউল্লাহ, মুসলিম মিয়া, আবুল কালাম ভূঞা, অ্যাড. হামিদুর রহমান, গোলাম ইসহাক, হেবজুল বারী, নিয়াজ মুহাম্মদ খান, আলী আকবর, আবদুল মতিন দারু, কাজী হারিছুর রহমান, শেখ বোরহান উদ্দিন, আবদুল হাই মাস্টার, কার্তিক চন্দ্র দাস, ফুল মিয়া ভূঞা, মিসেস মিনারা আলম, মিসেস মমতাজ বাশার, মিসেস রেহেনা বেগম রানী, অ্যাড. মকবুল হোসেন তালুকদার, ডা. রাফি উদ্দিন আহমেদ, অ্যাড. আজিজুর রহমান, অসীম কুমার পাল, নজির শাহ, মফিজ উদ্দিন, মো. আবদুর রহিম খান, হাজি মুজিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে সত্তরোর্ধ নেতাদের ফুলের তোড়া, মেডেল, ক্রেস্ট ও শাল উপহার প্রদান করা হয়।
সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি হাজি মুজিবুর রহমান বলেন, ৭৫ এর পর আমার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো। আজ আজীবন সম্মাননা পেয়ে মনে হচ্ছে তখনকার বাড়ি পোড়ানো আজ সম্মান আর মর্যাদা এনে দিয়েছে।
নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ডা. রাফি উদ্দিন বলেন, জীবনভর আওয়ামী লীগ করে বয়সের শেষ সময়ে এসে যে সম্মান জেলা আওয়ামী লীগ দেখালো তা আমৃত্যু প্রেরণা যোগাবে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, জেলা আওয়ামী লীগ ২৫ জন নেতাকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করে তরুণ প্রজন্মের কাছে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তারা বুঝতে পারবে দলের প্রতি সবসময় অনুগত থাকলে, অবিচল আস্থা রেখে দলের কাজ করলে একসময় না একসময় সম্মান আসে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড়ো অর্জন স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। আওয়ামী লীগের আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। আওয়ামী লীগের ইতিহাস লড়াই-সংগ্রাম আর এগিয়ে চলার ইতিহাস। আওয়ামী লীগকে বারবার ধ্বংস করার চেষ্টা হলেও আওয়ামী লীগ পুনরায় স্ফীংসের মতো আকাশে ডানা মেলে উড়ে দেখিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি। স্মার্ট বাংলাদেশও প্রতিষ্ঠা করবে আওয়ামী লীগ। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ অগ্রসর চিন্তার আরেক নাম। তাই যতোদিন বৈষম্যহীন সমাজ, ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হবে ততোদিন আওয়ামী লীগের সংগ্রামশীলতা চলবে। তিনি আরো বলেন, প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব নেই তেমনি আওয়ামী লীগের বিকল্প কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই।
জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে আজীবন সম্মাননা প্রদানের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর আগে সকাল ৬ টায় শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০ টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ছয়টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্যে গত ৩ দিনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন ৪৯ জন। সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে। এই আসনের জন্যে সর্বোচ্চ ১৩ জন দলের মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।
সংসদ নির্বাচন কেন্দ্রিক গত একবছর ধরে আলোচনায় এই আসন। একাদশ সংসদের মেয়াদকালে ৩ বার নির্বাচন হয়েছে এখানে। এরমধ্যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এবং ৫ই নভেম্বর দুটি উপনির্বাচন হয়। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সংসদ থেকে তার পদত্যাগে শূন্য হয় এই আসন। সেখানে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থনে তিনি স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। গত ৩০শে সেপ্টেম্বর তার মৃত্যুর পর আবার ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় উপনির্বাচন।
ছয়টি আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশিরা হলেন :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে দলের মনোনয়নের জন্যে ফরম নিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এমএ করিম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম আলমগীর, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা নাজির মিয়া ও তার স্ত্রী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মোছাম্মৎ রোমা আক্তার, ফান্দাউক ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফারুকুজ্জামান ফারুক, আওয়ামী প্রজন্ম লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো. ইখতেশামুল কামাল, প্রভাষক ইমরান হাই জাবেদ, কৃষক লীগ নেতা আদেশ চন্দ্র দেব, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ নেতা এডভোকেট রাকেশ চন্দ্র সরকার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের জন্যে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন সদ্য উপনির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, নারী সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মাইনুদ্দিন মঈন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল হান্নান রতন, কামরুজ্জামান আনসারী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ডাক্তার আশীষ কুমার চক্রবর্তী, সরাইল আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট নাজমুল হোসেন, আশুগঞ্জ আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী ছফিউল্লাহ মিয়া, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান, সরাইল যুবলীগ নেতা এডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু, জাপান যুবলীগ নেতা আবু শামীম পিয়ার পলাশ, সরাইল ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. জালাল মিয়া।
এ ছাড়া এই আসনে তৃণমূল বিএনপি’র মনোনয়ন নিয়েছেন প্রয়াত আলোচিত সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাইনুল ইসলাম তুষার। এর আগে পিতার মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে তুষার আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের জন্যে মনোনয়ন চেয়েছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, সুইডেন প্রবাসী জহিরুল হক চৌধুরী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আনিসুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট আলহাজ্ব মো. শাহআলম, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এ কেএম বদিউল আলম জামাল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল কুমার রায়, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ন সাহা মনি, জেলা যুবলীগ নেতা তসলিমুর রেজা, কসবা যুবলীগের সাবেক নেতা হাজী মো. লুৎফুর রহমান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল, সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, নবীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী অধ্যাপক নূরুন্নাহার বেগম, আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. কবির আহমেদ ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মো. আলামিনুল হক। এই আসনে জাসদের মনোনয়নপ্রার্থী এডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন অব. এ বি তাজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা মো. মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. রফিকুল ইসলাম আবুল ও এডভোকেট দিদার হোসেন রেজভী, বাঞ্ছারামপুর আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ আহমেদ বাবু, এডভোকেট হাবিবুর রহমান বাদল ও মো. গোলাম মোস্তফা কামাল, ঢাকা বাড্ডা আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান ধীরন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডাক্তার এ কে মাহবুবুল হক দলের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন আগামী জুন মাসে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে ট্রেন চলাচল করবে। এতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। তিনি রোববার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শীবনগর এলাকায় নির্মাণাধীন আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে প্রকল্প পরিদর্শনকালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শুন্যরেখায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এইকথা বলেন।
পূর্বাঞ্চলীয় রেলপথ সম্পর্কে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ধীরে ধীরে সবগুলো রেলপথকে মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথকে পর্যায়ক্রমে মিটার গেজ থেকে ব্রডগেজে পরিনত করা হচ্ছে। তেমনিভাবে আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত যে রেলপথ আছে সেটিকেও ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি আন্দোলনের নামে পাকিস্তানের ভাবার্দশে বিশ্বাসী, ৭১এর পাকিস্তানী বাহিনীর প্রেতাত্মারা রেলের কোচ পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে। রেলে আগুন দিয়েছে। তাদের আন্দোলনের গতি প্রকৃতি নিয়ে আমরা সব সময় শংকিত থাকি।
এক প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদে সাড়ে ৩শ সদস্য রয়েছেন। বিএনপির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেছে তাতে কিছু যায় আসে না। এতে সংসদের কোন ব্যাঘাত ঘটবে না। তিনি বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে জনমত তৈরী করার আহবান জানান।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকোর কান্ট্রি ডিরেক্টর শরৎ শর্মা, এজিএম ভাস্কর বকশী, ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইরকনের টিম লিডার রমন সিংলা বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (পূর্ব) জাহাঙ্গীর হোসেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সহিদুল ইসলাম, রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ব) জাফর আহমেদসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
স্টাফ রিপোর্টার :
বিশ্বের সর্ববৃহৎ আত্মনির্ভরশীল ক্ষুদ্র ঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠান আশার নিজস্ব অর্থায়নে দরিদ্র, সুবিধা বঞ্চিত শীতার্ত মানুষের মাঝে প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরেও সারাদেশব্যাপী আশার পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার আশা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিনিয়র ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মোঃ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী আনুষ্ঠানিক ভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের নিকট ৩৫০ পিস কম্বল হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রণয় চাকমা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু। এছাড়াও আশার এসডিএম মোঃ নজরুল ইসলাম, আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দীন আলী, মোঃ মিজানুর রশীদ চৌধুরী, মোঃ আবুবকর সিদ্দিক আরএম (এগ্রি), এএসই ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোজাম্মেল হক ও মোঃ সামসুল হক, আশার অরুয়াইল স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ শাহ কামালসহ আশার অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।