নতুন পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেনের যোগদান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 13 December 2022, 857 Views,

স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেছেন মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। এ সময় শাখাওয়াত হোসেনকে স্বাগত জানান বিদায়ী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কুশল বিনিময় শেষে বিদায়ী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জেলার দায়িত্বভার তুলে দেন নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের হাতে। এ সময় জেলার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

banner

এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউজে আসলে নবাগত পুলিশ সুপারকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমরানুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।


জেলা পুলিশের দায়িত্বভার গ্রহণ করে নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরস্থ বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মোঃ সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মোঃ আনিছুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) কামরুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ। পরবর্তীতে তিনি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা পুলিশের সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সকল থানার অফিসার ইনচার্জদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা করেন। নবাগত পুলিশ সুপার দায়িত্ব পালনে এবং জেলার আইনশঙ্খলা রক্ষার্থে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।

Leave a Reply

আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা দফতরের প্রধান হলেন…

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা Read more

১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেনটাইন’স ডে

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে : ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিশ্ব Read more

এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” প্রতিপাদ্যে…

মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর : নাসিরনগর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে এবং Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব

চলারপথে রিপোর্ট : তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার, কারাগারে…

চলারপথে রিপোর্ট : অবৈধভাবে শটগানের কার্তুজ রাখায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের Read more

সরাইলে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন Read more

আশুগঞ্জে ২৫ কেজি গাঁজাসহ চারজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে পৃথক অভিযানে ২৫ কেজি Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাইদুল Read more

আয়নাঘর পরিদর্শন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা…

অনলাইন ডেস্ক : ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের কুখ্যাত আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন Read more

নবীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি Read more

আখাউড়ায় মাদকসহ চারজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়ায় মাদকসহ চারজন গ্রেফতার হয়েছে। আজ ১১ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাত মাদকসেবীকে সাজা

চলারপথে রিপোর্ট : মাদক সেবনরত অবস্থায় আটক করে ৭ যুবককে Read more

গ্রীষ্মকালীন টমেটোর ভালো ফলন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 11 September 2023, 501 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
গ্রীষ্মকালীন টমেটোর ভালো হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় চাষীদের মুখেও তৃপ্তির হাসি। এ বছর জেলায় প্রায় ৫১ কোটি টাকার গ্রীষ্মকালীন টমেটো বিক্রি করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।

banner

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় ১২৮ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৫ হেক্টর, সরাইল উপজেলায় ৫ হেক্টর, কসবা উপজেলায় ২ হেক্টর, নবীনগর উপজেলায় ১ হেক্টর, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১ হেক্টর, আখাউড়া উপজেলায় ৩ হেক্টর, আশুগঞ্জ উপজেলায় ১ হেক্টর, বিজয়নগর উপজেলায় ৮ হেক্টর ও নাসিরনগর উপজেলায় ৫২ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করা হয়েছে।

তবে জেলার হাওর বেষ্টিত উপজেলা নাসিরনগরে ৫২ হেক্টর জমিতে (৭.৫ বিঘায় ১ হেক্টর) এ বছর গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করা হয়েছে। চাষীরা তাদের জমিতে বারি-৮ ও মঙ্গলরাজা জাতের টমেটোর চাষ করেছেন। চলতি বছর শুধু নাসিরনগর উপজেলাতেই প্রায় ২০ কোটি টাকার টমেটো বিক্রি করা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাওর বেষ্টিত নাসিরনগর উপজেলায় চলতি বছর প্রায় ২২ হেক্টর (৪০০ বিঘা) জমিতে টমেটোর আবাদ করা হয়েছে। টমেটোর বাগানগুলো বেশীর ভাগই করা হয়েছে বাড়ির আঙিনা ও উঁচু জায়গায়। ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। বাগান থেকেই আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি টমেটো পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে।
উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের কৃষক হাসিম মিয়া জানান, সারা বছরই তার এই জমি পতিত থাকতো। গত প্রায় তিন মাস আগে কৃষি অফিসের লোকজন তার বাড়িতে এসে বলেন, তিনি যদি তার পতিত জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করে তাহলে তিনি লাভবান হবেন। তাদের পরামর্শে তিনি তার ৪০ শতাংশ জমিতে টমেটোর চারা রোপন করেছেন। তাতে তার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যেই তিনি টমেটো বিক্রি শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত তিনি দুই লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন।

উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের কৃষক আবুল কাশেম বলেন, আমি ৬০ শতাংশ জায়গা বর্গা নিয়ে ৫৫ হাজার টাকা খরচ করে গ্রীষ্মকালীর টমেটোর চাষ করেছি। এ পর্যন্ত আমি তিন লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছি। একই ইউনিয়নের কৃষক রফিক মিয়া বলেছেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে তিনি বাড়ির আঙ্গিনার ২৫ শতাংশ পতিত জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করেছেন। টমেটোর ফলন ও ভালো হয়েছে। তিনি এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন।

বিভিন্ন চাষীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে খরচ কম, লাভ বেশী। তাই তারা টমেটোর চাষ করেছেন। আগামীতে উপজেলায় টমেটোর চাষ আরো বাড়বে।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় চলতি বছর ১২৮ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করা হয়েছে। আমারা জেলার প্রতিটি উপজেলাতেই গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের উদ্যোক্তা তৈরি করছি। টমেটোর ফলনও এ বছর ভালো হয়েছে। আশা করি এ বছর জেলায় প্রায় ৫১ কোটি টাকার টমেটো বিক্রি করা হবে। ফলন বাড়াতে আমরা চাষীদেরকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি।

স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।

banner

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে ৩৪ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজনীতি, 18 December 2023, 730 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।

banner

আজ ১৮ ডিসেম্বর সোমবার সকালে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তাঁর কার্যালয়ে প্রার্থী ও তাদের মনোনীত প্রতিনিধিদের কাছে প্রতীক বরাদ্দ দেন।

৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে ০৫ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগগঞ্জ) আসনে ০৭ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে ০৮ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনে ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) আসনে ০৫জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৬-(বাঞ্ছারামপুর) আসনে ০৪জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ থেকে বহিষ্কৃত আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান পেয়েছেন (কলার ছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ শাহনুল করিম পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোঃ ইসলাম উদ্দিন পেয়েছেন ( মোমবাতি প্রতীক) ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ বকুল হোসেন পেয়েছেন ( হাতুড়ি প্রতীক)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) : এই আসনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মঈন উদ্দিন মঈন পেয়েছেন (কলার ছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূইয়া পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক), ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ আবুল হাসনাত পেয়েছেন (মিনার প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোঃ রাজ্জাক হোসেন পেয়েছেন (আম প্রতীক), তৃণমূল বিএনপির মাইনুল হোসেন তুষার পেয়েছেন (সোনালী আঁশ), সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোঃ জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন (ঈগল প্রতীক) ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ পেয়েছেন (ফুলের মালা প্রতীক)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও পেয়েছেন (কাঁচি প্রতীক), ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সৈয়দ মোঃ নূরে আজম পেয়েছেন (মোমবাতি প্রতীক), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মোঃ আবদুর রহমান খান (ওমর) পেয়েছেন (মশাল প্রতীক), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী পেয়েছেন (বটগাছ প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সৈয়দ মাকসুদুল হক আক্কাছ পেয়েছেন (আম প্রতীক), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির সোহেল মোল্লা পেয়েছেন (একতারা প্রতীক) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) জামাল রানা পেয়েছেন (নোঙ্গর প্রতীক)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শাহীন খান পেয়েছেন (আম প্রতীক) ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস পেয়েছেন (ফুলের মালা প্রতীক)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ মোবারক হোসেন পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী জামাল সরকার পেয়েছেন (একতারা), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম মামিনুল হক সাঈদ পেয়েছেন (ঈগল প্রতীক), ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ মেহেদী হাসান পেয়েছেন (মিনার প্রতীক), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ পেয়েছেন (ফুলের মালা প্রতীক) ও তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান পেয়েছেন (সোনালী আঁশ প্রতীক)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬ (বাঞ্ছারামপুর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আমজাদ হোসেন পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক) ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী কবির মিয়া পেয়েছেন (একতারা প্রতীক) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী সফিকুল ইসলাম পেয়েছেন (আম প্রতীক)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতার চার মামলায় গ্রেফতার ৪১

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 25 July 2024, 198 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, দাঙ্গা ও নাশকতার চার মামলায় আজ ২৫ জুলাই বহস্পতিবার পর্যন্ত ৪১ জনক গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

banner

জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার ভোর রাত পর্যন্ত তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জেলা যুব দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুমেল আহমদ ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজ্জাম্মল হকও রয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতদের অধিকাংশই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক বলে পুলিশ জানিয়েছেন। পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, দাঙ্গা ও নাশকতার চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ১টি, আশুগঞ্জ থানায় ২টি ও সরাইল থানায় একটি মামলা হয়। এসব মামলায় পুলিশ গত সোমবার ২৫ জন, গত মঙ্গলবার ৭ জন, গত বুধবার ৪ জন ও বৃহস্পতিবার ৭ জনক গ্রেফতার করে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, গত ৪ দিনে ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।

দুঃখ প্রকাশের মধ্য দিয়ে উত্তেজনার অবসান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 21 December 2022, 1993 Views,

ভাদুঘরে বিজয় মেলায় প্রবেশের রাস্তা নিয়ে বাদানুবাদ

স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তঃজেলা এক পরিবহন শ্রমিক নেতাকে মারধরের জের ধরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এলোপাথারী বাস রেখে দেড় ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে পরিবহন শ্রমিক নেতারা। গত মঙ্গলবার রাতে পৌর এলাকার ভাদুঘর এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলে এই ঘটনার বিচারের আশ্বাস দিলে রাত ১১টার দিকে মহাসড়কের অবরোধ তুলে নেয় পরিবহন শ্রমিকরা। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে দুইপক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়।
জানা গেছে, পৌর এলাকার ভাদুঘর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের পেছনে পৌরসভার গরুর বাজারে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৭দিন ব্যাপী বিজয় মেলার আয়োজন করে পৌরসভা। বাস টার্মিনালের মাঝখান দিয়ে দুই পাশে উঁচু করে বাঁশ বসিয়ে বিজয় মেলায় যাওয়ার রাস্তা ও লাইটিং করা হয়। টার্মিনালের মাঝখানে বাঁশ বসিয়ে মেলায় যাওয়ার রাস্তায় করায় টার্মিনালে বাস পার্কিং ও বাস ঘুরানো নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। বিষয়টির প্রতিকার চাইতে মঙ্গলবার রাতে আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া-চট্টগ্রাম রুট কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিজয়মেলার অফিসে উপস্থিত থাকা পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কুদদুসের কাছে যান। সেখানে জাকির হোসেনের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কুদদূস শ্রমিক নেতা জাকির হোসেনকে মারধর করেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর ক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা রাত ৯টার সময় কুমিল্লা-সিলেট মহাড়কের ভাদুঘর বাস টার্মিনাল এলাকায় বাস আড়াআড়ি করে রেখে মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে মহাসড়কের দুইদিকে প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। উত্তেজিত শ্রমিকরা এ সময় পৌরসভার প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হক রেজা, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম, আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ ও পরিবহণ শ্রমিক নেতারা ঘটনাস্থলে পৌছে উত্তেজিত শ্রমিকদেরকে এ ঘটনার বিচারের আশ্বাস দিলে রাত সাড়ে ১০টায় অবরোধ তুলে নেয়া হয়। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ব্যাপারে আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া-চট্টগ্রাম রুট কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাতে টার্মিনালের মাঝখান দিয়ে বাস বসিয়ে মেলায় যাওয়ার রাস্তা করায় টার্মিনালে বাস পার্কিং করতে সমস্যা হওয়ার বিষয়টি পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কুদদুসকে বলতে গেলে তিনি প্রথমে আমার সাথে অশোভন আচরণ করেন। পরে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে কয়েকটি থাপ্পর মারেন। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে।
এ ব্যাপারে আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ বলেন, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের এক শ্রমিক নেতাকে মারধর করায় মঙ্গলবার রাতে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। পরে প্রশাসনের আহবানে আমরা অবরোধ তুলে নেই। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুইপক্ষের বৈঠকে বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম বলেন, অবরোধের পর ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিক নেতাদের আলাপ আলোচনা করে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিলে পরিবহন শ্রমিকরা রাত সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নেয়। তিনি বলেন, বুধবার বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস বলেন, রাতের বেলা শ্রমিক নেতা জাকির অন্যান্য শ্রমিকদেরকে সাথে নিয়ে মেলার গেইটের সামনের কয়েকটি বাঁশ ভেঙ্গে ফেলে পরে আমাদের সাথে সে অশোভন আচরণ করে। তিনি জাকিরকে থাপ্পর মারার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বুধবার বেলা ১১টায় সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বৈঠকে উভয়পক্ষ এক অপরের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বৈঠকের পর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) ঘটনাস্থলে গিয়ে বাস টার্মিনাল ও মেলার জায়গা ডিমারগেশন (চিহ্নিত) করে দিয়েছেন। এখন মেলা নিয়ে আর কোন সমস্যা হবে না।