স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তির ফলাফলে তাহিয়া নামের এক শিক্ষার্থীর নাম ১৪ বার উঠেছে। এর মধ্যে মেধা তালিকায় ১০ বার ও অপেক্ষমান তালিকায় চারবার তার নাম উঠে। একইভাবে ফারিয়া জামান জেসি ও ফারিয়া আরফা নামে এক শিক্ষার্থীর নাম পাঁচবার উঠে। একই ছবি ও জন্মনিবন্ধন নম্বরে ফারিয়া জামান জেসি ও ফারিয়া আরফা নামে পৃথক নাম রয়েছে তালিকায়। এ ধরণের ‘অদ্ভুত’ ফলাফলে নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরাও বিষয়টি নিয়ে হতবাক। তবে কি কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে এ বিষয়ে কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গভ. মডেল গালর্স হাই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১৪১ জন ভর্তির জন্য আবেদন নেওয়া হয়। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিতদের তালিকা সোমবার বিকেলে স্কুলের ফটকে লাগিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফলাফল দেখতে ভীড় জমে। ফলাফল ঘেঁটে দেখা যায়, তাহিয়া নামে এক শিক্ষার্থীর নাম মেধা তালিকায় আটবার ও অপেক্ষমান তালিকায় ছয়বার রয়েছে। ফলাফলে তাহিয়ার একই ছবি রয়েছে। তবে একাধিক জায়গায় জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর ভিন্ন। তাহিয়ার বাবার নাম রুবেল মিয়া ও মা লাভলী বেগম। তাহিয়ার নাম মেধা তালিকার ৫, ১৩, ১৭, ২৪, ৩২, ৩৬, ৬৬, ৬৭, ৯৮, ১১৬ তে রয়েছে। অপেক্ষমান তালিকার ৮১, ১০৮, ১১৬ ও ১১৮ তে রয়েছে। একইভাবে ফারিয়া জামান জেসি নামে আরেক শিক্ষার্থীর নাম মেধা তালিকায় তিনবার ও ফারিয়ার আরফা দুইবার রয়েছে। ফারিয়ার ক্ষেত্রে সব ছবি এক থাকলেও নামের ক্ষেত্রে কোথাও ফারিয়া জামান জেসি, ফারিয়া আরফা রয়েছে। তবে জন্মনিবন্ধন নম্বর ও মোবাইল নম্বর একই রয়েছে।
ফারিয়ার বাবার নাম আবু জামিল ও মায়ের নাম তানিয়া আক্তার। ফারিয়ার জামানের নাম ১, ১০৮, ১৩৩, ফারিয়া আরফা নাম মেধাতালিকার ৯৩ ও ১৩৫ এ রয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক পারভীন আক্তার বলেন, ‘ফলাফল দেখার সময় বিষয়টি আমাদের চোখে পড়ে। তাহিয়া নামে শিক্ষার্থীর নাম দুই তালিকায় ১৪ বার উঠেছে। তবে কিভাবে কি হয়েছে সেটা আমাদের জানা নেই।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জুলফিকার হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে আমাদের কোনো হাত নেই।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভনের আনারস প্রতিকের পক্ষে জনতার ঢল নেমেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
আজ ২ জুন রবিবার দুপুরের পর থেকে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে হাজার হাজার আনারস প্রতিকের সমর্থক শ্লোগান দিতে দিতে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এসে জমায়েত হয়। বিকাল ৪ টার পর থেকে পুরো চত্বর কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী সড়কগুলোও জনতার উপস্থিতিতে ভরে যায়। এসময় জনতাকে উদ্দেশ্য করে শাহাদাত হোসেন শোভন বলেন,আজকের বিপুল জনতার স্বত;স্ফূর্ত উপস্থিতি আমাকে অভিভূত করেছে-আবেগে আপ্লুত করেছে। আমি আপনাদের ভালোবাসার ঋণে আবদ্ধ হয়ে গেলাম। আমি প্রার্থী হয়ে মাঠে নামার পর থেকেই গ্রামে-গঞ্জে,শহরের পাড়ায় পাড়ায় সাধারণ মানুষ আমাকে যেভাবে অকুন্ঠ সমর্থন জানিয়েছে তার ঋণ আমি কোনোভাবেই শোধ করতে পারবোনা। আমি আজীবন সদর উপজেলার মানুষের সেবা করে যেতে চাই। আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে সহযোগিতা করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করুন,আমি সদর উপজেলাকে পাল্টে দিতে চাই। সন্ত্রাস-মাদক-ভূমি দস্যুতার বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার থাকবো। কোনো প্রকার অনিয়মরে সাথে আমি আপোষ করবোনা।
নির্বাচনী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম মিয়া।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সিনিয়র সহ-সভাপতি সুজন দত্তের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো.মহসিন,সৈয়দ মিজানুর রেজা,সোমেশ রঞ্জন রায়,এড.তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ,মাও.হাফেজ জাকির হোসেন,স্বপন কুমার রায়,মো.মনির হোসেন,খোকন কান্তি আচার্য,জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমেদ খান,জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যাপক রুমানুল ফেরদৌস,সদর উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ ভূঞা,জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ,সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা,জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ,ওলামা সমন্বয় পরিষদ সভাপতি মাও.আবদুল্লা,জেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি রাবেয়া খাতুন রাখী,জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল,সদর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আলী আজম,সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন রানা,পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন লিটন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপনে দু’দিনের কর্মসূচি পালন করবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ। কর্মসূচির মধ্যে থাকবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী থাকায় বাদ জোহর মসজিদে মসজিদে দোয়া, মন্দির ও গীর্জায় সুবিধানজনক সময়ে প্রার্থনা, বাদ আসর সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে মিলাদ ও কেককাটা। ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরের পর থেকে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা ও বিকালে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে সমাবেশ।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ঘোষিত জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকদের বৈঠক ও দুপুরে অনুষ্ঠিত বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সাবেক জেলা আওয়ামী লীগ কমিটির নেতবৃন্দের বৈঠকে উপরোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক কমিটির সহসভাপতি তাজ মো. ইয়াছিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন, আবদুল হান্নান রতন, প্রচার সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক তানজিন আহমেদ, তথ্য গবেষণা সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রেজা, অর্থ সম্পাদক মহসিন মিয়া, শ্রম সম্পাদক শেখ মো. মহসিন, ত্রাণ সম্পাদক শেখ মো. আনার, শিল্প বানিজ্য সম্পাদক শাহআলম, উপপ্রচার সম্পাদক স্বপন রায়, উপদপ্তর সম্পাদক মো.মনির হোসেন, কার্যকরী সদস্য সেলিম রেজা হাবিব, রেহেনা বেগম রানী,সৈয়দ মো. আসলাম, কাচন মিয়া, ফারুকুল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান জগলু, শাহআলম, খোকন কান্তি আচার্য, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড. শাহানুর ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড. লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা পরিবহন শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান তানিম, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন।
এছাড়া সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ককটেলের বিস্ফোরণ ও বেশ কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আজ ৩০ মার্চ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরাসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি জুয়া খেলার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিরাসার গ্রামের বাবুল মিয়ার পক্ষের আলামিন, একই গ্রামের মিজান আনসারির সাহেব বাড়ি পক্ষের মহিদ মিয়া ও তার ছেলেকে মারধর করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এরই জেরে শনিবার সকাল থেকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি ককটেলের বিস্ফোরণসহ উভয় পক্ষের ১০ থেকে ১২টি বাড়ি ঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের জেলা প্রধান নিউটন দাস জানান, ভোরে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এসব বাড়িতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামের একাধিক পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করেছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত উপসচিব পুলে কোটা পদ্ধতি বহাল এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিসের বহির্ভূতকরণের প্রতিবাদে আজ ২৬ ডিসেম্বর বৃহষ্পতিবার মানববন্ধন করেছে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকী ২৫টি সিভিল সার্ভিস ক্যাডারের কর্মকর্তারা। দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর দিলারা আক্তার খান, জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডাক্তার সাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজের হিসাব বিভাগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম পাঠান প্রমুখ।
এসময় বক্তারা জনবান্ধব সিভিল সার্ভিস প্রতিষ্ঠায় উপসচিব পদে সকল কোটার অবসান চেয়ে বলেন, প্রশাসন ক্যাডারদের আধিপত্যের কারণে অন্যান্য ক্যাডাররা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্ব স্ব দপ্তরগুলোতে স্বস্ব ক্যাডার নিয়োগপ্রাপ্ত হলে সার্বিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটবে যা দেশের জন্যই মঙ্গল। বক্তারা আমলাতান্ত্রিক সিন্ডিকেট ভাঙতে বৈষম্য নিরসন করে সকল ক্যাডারে সমতাসহ উপসচিব পদে কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে ক্যাডার নিয়োগ ও কৃত্যপেশাভিত্তি মন্ত্রণালয়ের দাবী জনান। দেশব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে পালিত এই কর্মসূচিতে ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
র্যাবের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত আইজিপি এম. খুরশীদ হোসেন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনাক্রমে যে কোনো চ্যালেঞ্জ নিতে র্যাব প্রস্তুত।
তিনি আজ ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়ার সরকারপাড়ায় র্যাব-৯-এর অধীনে ক্রাইম প্রিভেশন কোম্পানী-১ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এ সময় র্যাব মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন আরো বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে ভালোবাসতেন। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিশ্বাস করি, আমরা দেশকে ভালোবাসি, দেশের মানুষকে ভালোবাসি আমরা তারই অনুসারী। আমরা দেশের এবং মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করি।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকালীন সময়ে আইন-শৃংখলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। তারা যেভাবে পরিচালনা করেন ঠিক সেভাবে পরিচালিত হবে।
তবে আমাদের দায়িত্ব হবে সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তারা যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এই বিষয়টি নিশ্চিত করা। আমরা এটা দৃঢ়ভাবে করবো। এ ধরনের যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় র্যাব মানসিকভাবে প্রস্তুত।
পরে তিনি র্যাবের ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১ এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্ণেল মাহাবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সূধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খান রফিকুল ইসলাম এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন র্যাব-৯-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মোঃ মুমিনুল হক।
অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ.এস.এম শফিকুল্লাহসহ র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূধী সমাবেশে র্যাবের মহাপরিচালক এম.খুরশীদ হোসেন বলেন, দেশের আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করার জন্য আর্ন্তজাতিকভাবে সুপরিকল্পিতভাবে দেশে মাদক ঢুকছে। মাদকের সাথে আপোষ করলে পরবর্তী প্রজন্মের কি হবে? দেশে এখন মেয়েরাও মাদক সেবন করে। উচ্চ ও মধ্যবিত্তের ছেলে মেয়েরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা চলমান থাকলে আগামী ১০বছর পর কাউকে পাব না যারা আইনশৃংখলা বাহিনীতে যোগ দিতে পারবে।
তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায় সংক্ষিপ্ত সময়ে অনেক টাকার মালিক হওয়া যায়। জনপ্রতিনিধিরাও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। মাদকের গড ফাদারদের গ্রেফতার করতে হবে। তাই মাদক পাচার প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সূধী সমাবেশের পর র্যাব-৯-এর অধীনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-১-এর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন র্যাব মহাপরিচালক। এর আগে র্যাব মহাপরিচালক র্যাবের নিজস্ব হেলিকপ্টারে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাজীপাড়ায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অবতরণ করেন।