আজ মহান বিজয় দিবস

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 15 December 2022, 1426 Views,

স্টাফ রিপোর্টার:
আজ মহান বিজয় দিবস, বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেয়ার দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ এর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও দু’লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্ম সমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সেই হিসাবে বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তির দিন কাল। জাতীয় পর্যায়ে এদিন ঢাকায় প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তববক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিতিতে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বাংলাদেশে অবস্থনরত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণকারী আমন্ত্রিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যগণ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীও এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। এ উপলক্ষ্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। ২৪ বছরের নাগপাশ ছিন্ন করে জাতির ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়। প্রভাত সূর্যের রক্তাভা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। সমস্বরে একটি ধ্বনি যেন নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেয় ‘জয়বাংলা’ বাংলার জয়, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল। মহামুক্তির আনন্দ ঘোর এই দিনে এক নতুন উল্লাস জাতিকে প্রাণ সঞ্চার করে সজিবতা এনে দেয়। যুগ যুগ ধরে শোষিত বঞ্চিত বাঙালি চোখে আনন্দ অশ্রু আর ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় সামনে। বিন্দু বিন্দু স্বপ্নের অবশেষে মিলিত হয় জীবনের মোহনায়। বিশ্ব কবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা, রূপের তাহার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ। বাঙালি যেন খুঁজে পায় তার আপন সত্তাকে।
আদি বাঙালির সাংস্কৃতিক ও আর্থ-সামাজিক জীবন এবং ক্রমবিকাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে বাঙালির শৌর্য-বীর্য যেন আর একবার ধপ করে জ্বলে উঠে। প্রথম আগুন জ্বলে ’৫২-র একুশে ফেব্রুয়ারি। ফাগুণের আগুনে ভাষা আন্দোলনের দাবি আর উন্মাতাল গণমানুষের মুষ্টিবদ্ধ হাত একাকার হয়ে যায় সেদিন। ভাষার জন্য প্রথম বলীদান বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করে। সেই থেকে শুরু হয়ে যায় বাঙালির শেকল ভাঙার লড়াই। পাকিস্তানিদের সাথে হিসেব-নিকেশের হালখাতার শুরুতেই রক্তের আঁচড় দিয়ে বাঙালি শুরু করে তার অস্তিত্বের লড়াই। পলাশীর আম্রকাননে হারিয়ে যাওয়া সেই সিরাজদ্দৌলা আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রূপে এ লড়াইয়ে সেনাপতি হিসেবে আবির্ভূত হন। ’৫২ সালে যে আগুন জ্বলেছিল রাজধানী ঢাকা শহরে সে আগুন যেন ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের আনাচে-কানাচে সবখানে। যে আগুন জ্বলেছিল মোর প্রাণে, সে আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে সবখানে সবখানে। বাঙালির বুকের ভেতর জ্বলে উঠা আগুন যেন সহস্র বাঙালির মধ্যে প্রবাহিত হতে থাকে।
বাষট্টি, ঊনসত্তর এবং সত্তর শেষ করে একাত্তরে বাঙালি জাতি হিসাব করতে বসে। হিসেব-নিকেশ আর দেনা-পাওনায় পাকিস্তানিরাও বসে নেই। তারাও অংক কষতে থাকে কিভাবে বাঙালি জাতিকে যুগ যুগ ধরে পরাধীনতার শেকল পরিয়ে রাখা যায়। তাদের কাছে এই অলংকারই বাঙালির শ্রেষ্ঠ প্রাপ্য। ঘড়ির কাঁটার টিক টিক শব্দ জানিয়ে যায় সময় আসছে হিসেব নিকেশ চুকিয়ে দেয়ার পালা। অবশেষে গভীর কালো নিকষ আঁধার থেকে জেগে উঠে হিরন্ময় হাতিয়ার। ৭ মার্চ একাত্তরের বিশাল জনসমুদ্র থেকে যুগের কবি, মহাকাব্যের প্রণেতা বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠ ঘোষণা দেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তি সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি তখন আরো দেব, তবুও এদেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এই একটি মাত্র উচ্চারণে যেন বাঙালি সত্যিকার দিক-নির্দেশনা পেয়ে যায়। চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকে বাঙালি। বাঙালি বুঝে যায় শেষ কামড় দেয়ার সময় আসন্ন। পাকিস্তানিরাও আর বসে নেই। পুরো জাতিকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে মারাত্মক মারণাস্ত্র নিয়ে ২৫ মার্চ একাত্তর ঘুমন্ত জাতির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় বাঙালি নিধন যজ্ঞ। বাতাসে লাশের গন্ধ, বারুদে বারুদে আর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন আকাশ। এ যেন এক প্রেতপুরী। আকাশে শকুনের উদ্যত থাবা, নিচে বিপন্ন মানুষের বিলাপ। হায় বাংলাদেশ। একি বাংলাদেশ। এ যেন এক জ্বলন্ত শ্মশান। কিন্তু ঠিকই হাড়ের আর খুলির স্তুপ একদিন পাললিক হয়।
মুক্তি পাগল বাংলার দামাল ছেলেরা স্বাধীনতার রক্ত সূর্যকে ছিনিয়ে আনবে বলে একদিন অস্ত্র কাঁধে তুলে নেয়। ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার সবাই শরিক হয়ে থাকে এ লড়াইয়ে। যতই দিন অতিবাহিত হতে থাকে আরো শাণিত হয় প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার অস্ত্র। লক্ষ্য স্থির রেখে শত্রু হননে দৃঢ়তায় এগিয়ে যায় বীর বাঙালি। ইতোমধ্যেই বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন স্পষ্ট হয়ে উঠে। প্রতিবেশী ভারতও জড়িয়ে পড়ে বাঙালির ভাগ্য যুদ্ধে। ডিসেম্বর শেষ পর্যায়ে এসে চূড়ান্ত রূপ নেয় এই যুদ্ধের।
অবশেষে ন’মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে এলো নতুন প্রভাত। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সূচিত হল মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য বিজয়। এর মধ্য দিয়ে এলো হাজার বছরের কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। বাঙালি জাতি এদিন অর্জন করে তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ২ লাখ ধর্ষিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা ধরা দেয় বাঙালির জীবনে।

Leave a Reply

দিল্লি মেট্রোর ১৬০০ যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের দিল্লিতে মেট্রোয় আসন নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা Read more

সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার:…

অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় দলমত Read more

এবারের অলিম্পিকে ২০৬টি দেশের অ্যাথলেট অংশ…

অনলাইন ডেস্ক : খেলার দুনিয়ার সবকিছুকে ছাড়িয়ে যার অবস্থান। যেখানে Read more

অব্যবহৃত মোবাইল ডাটার মেয়াদ কি বাড়বে,…

অনলাইন ডেস্ক : হঠাৎ করে মোবাইল ইন্টারনেট শাটডাউন হয়ে যায় Read more

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, লাশ বাথরুমে ফেলে…

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকের টাকার জন্য স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩৬)কে Read more

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো যুবকের

চলারপথে রিপোর্ট : বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আখতার হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক Read more

দুই মাদকসেবীর কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আরিফ মিয়া (২৭) ও ছাত্তার মিয়া Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতার চার মামলায় গ্রেফতার ৪১

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, Read more

৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে Read more

কোহলি-রোহিতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপে চান গম্ভীর

অনলাইন ডেস্ক : আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় বিরাট কোহলি ৩৮ Read more

রাশিয়ার সুন্দরী বাইকার তুরস্কে দুর্ঘটনায় নিহত

অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার বিখ্যাত সামাজিক ইনফ্লুয়েন্সার তাতায়ানা ওজোলিনা তুরস্কে Read more
ফাইল ছবি

ট্রেন চলাচল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি:…

অনলাইন ডেস্ক : দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কবে থেকে ট্রেন চলবে Read more

জলবায়ু তহবিলের ১০০ কোটি ডলার পাচ্ছি: একনেকে প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 12 September 2023, 474 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল থেকে বাংলাদেশ ১০০ কোটি ডলার পাচ্ছে। এ অর্থ শুধু জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করা যাবে। অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে সুন্দরবন রক্ষা প্রকল্প। এ-সংক্রান্ত প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক ব্যাপকভিত্তিক পরিকল্পনা ডেলটা প্ল্যানের সঙ্গে সমন্বয় করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে আজ ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এসব নির্দেশনা ও পরামর্শ দেন তিনি। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন নির্দেশনা এবং একনেক বৈঠকের অন্যান্য বিষয় তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর ঢাকা সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জলবায়ু তহবিল নিয়ে আলোচনা হয়। ১০০ কোটি ডলার পাওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু সম্পর্কিত ‘উচিত প্রকল্প’ করে তাদের বুঝিয়ে অর্থ আনতে হবে। এ অর্থ পেতে কোনো নির্ধারিত সময়সীমা নেই। তবে দুই-তিন বছরের মধ্যে যখন যা লাগে, তারা দেবে। ডেলটা প্ল্যানের সঙ্গে মিল রেখে প্রকল্প নিতে হবে, যাতে একই ধরনের একাধিক প্রকল্প না থাকে।

প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য নির্দেশনা সম্পর্কে এম এ মান্নান জানান, বন্যার ক্ষতি এড়াতে প্রয়োজনীয় পয়েন্টে আরও বেশি কালভার্ট নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে পানির চাপ বেশি, সেখানে নতুন করে কালভার্ট নির্মাণ করা হলে আর সড়ক ভাঙবে না। সেতু নির্মাণে উচ্চতার বিষয়ে আবারও সতর্ক করেছেন তিনি। সেতুর নকশার বিষয়টিও মনে করিয়ে দেন, যাতে প্রকল্পের মাঝপথে সেতু ভাঙতে না হয়। এ ছাড়া বাণিজ্য-সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আগস্টে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি ডিম-মুরগির কারণে

আগস্টে খাদ্যপণ্যে রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আগস্টে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির কারণ ছিল ডিম ও মুরগি। এ দুটি পণ্যের দর বৃদ্ধির প্রভাবে এত বেশি মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতির বিষয়টি সরকারের নজরে রয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি থেকে স্বাভাবিক মূল্যস্ফীতিতে ফিরে আসা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তিনি।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, ‘মূল্যস্ফীতির চক্রে পড়েছি আমরা।’ প্রতি বছরই আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। নভেম্বর থেকে আবার কমে আসে। তিনি আরও বলেন, ‘বর্ষার কারণেও মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমদানি শুল্ক কমানো, কৃষিতে ভর্তুকি, সুদের হার বাড়ানোসহ সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এসব কারণে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে যায়নি।’

১৯ প্রকল্প অনুমোদন

একনেকে বিভিন্ন খাতের ১৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। এ ব্যয়ের মধ্যে ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা বিদেশি ঋণ, বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর ৪৫০ কোটি এবং বাকি ১২ হাজার ৬০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব জোগান।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১২টি নতুন এবং সাতটি সংশোধিত। এ ছাড়া নতুন করে ব্যয় না বাড়িয়ে সময় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে একটি প্রকল্পের। সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে মোংলা বন্দরের সুবিধাদি সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পে। এ অর্থের ৩ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে চীন সরকার। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামী ডিসেম্বরে কাজ শুরু এবং ২০২৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা।

আখাউড়ায় হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ৭ বছর পর আটক

আখাউড়া, জাতীয়, 4 February 2023, 1781 Views,

আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় একটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী জাকির খাঁ (৪৫) কে আটক করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ কামরুজ্জামান সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে আজ ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার ভোরে ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকা তাকে আটক করে। আটক জাকির খাঁ উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের আমানত খাঁর পুত্র। সে ৭ বছর ধরে পলাতক ছিল।

পুলিশ ও ভূক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সনের আগস্ট মাসের ৬ তারিখ উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হয় শরীফ খাঁ (৫০)। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাজেদা বেগম বাদী হয়ে একই পরিবারের ৪জনসহ ৫জনকে আসামী করে আখাউড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলো আমানত খাঁ ও তার তিন ছেলে জাকির খাঁ, গাজি খাঁ, মাহবুব খাঁ এবং আমান খাঁর ভাতিজা আমীর খাঁ। মামলা হওয়ার থেকেই জাকির খাঁ ও তার দুই ভাই পলাতক ছিল।

বিগত ২০২২ সনের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই হত্যা মামলায় জাকির খাঁসহ তার দুই ভাইয়ের মৃত্যুদন্ড এবং তাদের পিতা আমানত খাঁর যাবজ্জীবন সাজা হয়। আমানত খাঁ বর্তমানে কুমিল্লা কারাগারে সাজা ভোগ করছে। এই মামলার আরেক আসামী আমির খাঁ ২০১৮ সালে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শরীফ খার ছেলে মোঃ রাসেল খা বলেন, আসামী আটক হওয়ায় আমরা খুশি। এজন্য প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সরকারের কাছে আবেদন দ্রুত আমার পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হয়। তাহলেই আমরা শান্তি পাবো।

আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সনে উপজেলার চানপুর গ্রামে একটি হত্যা হয়। যার প্রেক্ষিতে আখাউড়া থানায় হত্যা মামলা হয়। মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী ৭ বছর পলাতক জাকির খাকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। সে ছদ্মবেশে অজ্ঞাত স্থানে অবস্থান করে অটো চালাতো। শনিবার দুপুরে তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত অপর দুই আসামী পলাতক রয়েছে। শোনা যাচ্ছে তারা বিদেশে অবস্থান করছেন।

জিটুজি প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন তরান্বিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

জাতীয়, 6 June 2023, 634 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে সরকারের (জিটুজি) উদ্যোগের অধীনে বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ ৬ জুন মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত ও চীনের মতো বিভিন্ন দেশের সঙ্গে জিটুজি প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দিয়েছেন। কারণ, ওইসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি (লাইন্স অব ক্রেডিট) রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এ বিষয়ে কালবিলম্ব বা অবহেলা যাবে না। কারণ, এসব উদ্যোগ বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পনা কমিশনকে বৈদেশিক অর্থায়নের প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন।

তিনি বলেন, আজকের একনেক সভায় মোট ১১,৩৮৭.৯১ কোটি টাকা ব্যয়ের মোট ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

মান্নান আরো বলেন, ‘মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে, বাংলাদেশ সরকারের অংশ থেকে ৭,৪৪৫.৩৪ কোটি টাকা, ৮০.৭৮ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ও বাকি ৩,৮৬১.৭৯ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসাবে আসবে।’

১৮টি অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে নয়টি নতুন ও নয়টি সংশোধিত প্রকল্প। এছাড়া বৈঠকে একটি প্রকল্পের ব্যয় না বাড়িয়ে সময়সীমা বাড়ানোর অনুমোদন দেয়া হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব ক্ষেত্রে কঠোরতা বজায় রাখতে ও এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রেখে দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সকলকে পুনরায় নির্দেশ দিয়েছেন।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে শেখ হাসিনা বিভিন্ন বাজার ও কাঁচা বাজারের পণ্যের দামের পার্থক্য থাকায় গবেষণা পরিচালনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রী পেঁয়াজ ও আদার মতো পচনশীল আইটেমগুলোর জন্য আঞ্চলিক স্টোরেজ ব্যবস্থা স্থাপনের ওপরও জোর দেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বর্তমান ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির প্রবণতা এবং দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ঘাটতির কারণে লোডশেডিংয়ের কথা স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এখন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা।

মূল্যস্ফীতি কমবে বলে তার পূর্বের ভবিষ্যদ্বাণী উল্লেখ করে মান্নান বলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা কমেনি, বরং বেড়েছে- যার জন্য সরকার তার উপলব্ধ উপকরণ ব্যবহার করার মতো যা যা প্রয়োজন তা করবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রথম কৌশল হবে এটিকে আরও বাড়তে না দেয়া এবং তারপরে তা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শুধু মার্কিন ডলারের উচ্চ বিনিময় হারের কারণেই দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে এটা ঠিক নয়। এর পেছনে আরও কিছু কারণ রয়েছে।

মার্কিন ডলার ছাড়া অন্যান্য মুদ্রার সাথে বাণিজ্য পরিচালনার প্রচেষ্টা চলছে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ এখনও ৩০ বিলিয়ন ডলারের উপরে রয়েছে। তবে এটি আবারও ৫০ বিলিয়ন ডলারে যেতে পারে।’ আগামী অর্থবছরে (অর্থবছর-২৪) মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে রাখার বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার কথা উল্লেখ করে মান্নান বলেন, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে কিছু উদ্বেগ থাকতে পারে, তবে সামনে এমন লক্ষ্য রাখা ভুল নয়।

স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পেঁয়াজ আমদানির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এভাবে আমাদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে ও সঠিক সময়ে বাজারে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ করতে হবে।’ ইইউতে মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমছে উল্লেখ করে মান্নান বলেন, আগামী দিনে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের কাছাকাছি নামিয়ে আনা কঠিন হলেও মূল্যস্ফীতি কমাতে আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের প্রক্রিয়াটি (সাপ্লাই চেইন) মসৃণ রাখতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে- কোনও ধ্বংসাত্মক উপাদান যেন প্রক্রিয়াটিকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে। অন্যথায়, সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করা সত্ত্বেও এটি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।’

সভার শুরুতেই একনেক বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যে আগামী অর্থবছরের জন্য এত চমৎকার বাজেট প্রণয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও অর্থ বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানায়।

এম এ মান্নান বলেন, প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়ায় সরকার আরও কঠোর হবে এবং অনুমোদন দেওয়ার আগে প্রকল্প প্রস্তাব গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রবাসীদের দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রণোদনার পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে সরকার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তিনি বলেন, ‘যদিও কিছু বেসরকারি ব্যাংক রেমিট্যান্স পাঠাতে সরকার নির্ধারিত আড়াই শতাংশের বাইরে কিছু বাড়তি প্রণোদনা দিচ্ছে, তবে এই হার বাড়ানোর বিষয়ে সরকার এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেয়নি।’

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকারের বিপুল আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে যে, ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের কারণে আগামী সাধারণ নির্বাচনে ভোট চাইতে সরকার দৃঢ় মনোবল নিয়ে ভোটারদের কাছে যেতে পারবে।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো, ফরিদপুর জেলাধীন মধুমতী নদীর বাম তীর ভাঙ্গন থেকে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি যাদুঘর সংযোগ রাস্তাসহ অন্যান্য এলাকা সংরক্ষণ ও ড্রেজিং প্রকল্প। বাগেরহাট জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। নতুন ৬টি আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে স্থানভিত্তিক ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং বিদ্যমান গবেষণার উন্নয়ন। নেত্রকোনা জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প (পঞ্চম সংশোধন)। ১০টি মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ১৯টি হোস্টেল ভবন নির্মাণ প্রকল্প। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন আর্টস ফ্যাকাল্টি বিল্ডিং স্থাপন প্রকল্প। হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন এন্ড ট্রান্সফরমেশন প্রকল্প। গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। বাগেরহাট কালেক্টরেটের নতুন ভবন নির্মাণ প্রকল্প। বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভটি প্রজেক্ট-১, শেওলা, রামগড় ও ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উন্নয়ন এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন প্রকল্প। সাতক্ষীরা সড়ক সিটি ও সিটি বাইপাস সড়ককে সংযুক্ত করে সংযোগ সড়কসহ তিনটি লিংক রোড নির্মাণ প্রকল্প। সাভার সেনানিবাস এলাকায় মিট প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপন প্রকল্প। ডিজিএফআই-এর টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি অবকাঠামো, মানবসম্পদ এবং কারিগরি সক্ষমতা উন্নয়ন প্রকল্প। বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প। নড়াইল জেলার জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প।

আজ একনেক সভার শুরুতে বৈশ্বিক টালমটাল পরিস্থিতির মধ্যেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য চমৎকার বাজেট পেশ করায় প্রধানমন্ত্রী,অর্থমন্ত্রী ও অর্থ বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানানো হয়।বাসস

দুর্ঘটনা কমাতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা তৈরির নির্দেশ

জাতীয়, 16 January 2024, 288 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে তিন চাকার যানবাহনের পাশাপাশি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ নির্দেশনার কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইজিবাইক, নসিমন-করিমনের কারণে বেশিরভাগ সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে মোটরসাইকেলেও। আমি মোটরসাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি নিয়ে একটা নীতিমালা তৈরি করার জন্য সচিবকে নির্দেশ দিয়েছি। এর আগে কিছুটা কাজ হয়েছে এই নীতিমালা নিয়ে। এই নীতিমালার কাজ যেন দ্রুত শেষ হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছি।

মন্ত্রী বলেন, এখানে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনেরও দায়িত্ব আছে। তাছাড়া আমাদের হাইওয়ে পুলিশের সংখ্যা কম, এখানে জনবলেরও একটা ব্যাপার আছে।

এদিকে, মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) জানিয়েছে, ২০২৩ সালে সারা দেশে ৫ হাজার ৪৯৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ৫ হাজার ২৪ জন। এর মধ্যে শুধু ডিসেম্বরেই ৪৮৩টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৪১ জনের।

নবীনগরে ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কায় নৌকাডুবি, ২ জনের লাশ উদ্ধার

জাতীয়, নবীনগর, 1 March 2023, 1670 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় তিতাস নদীতে ব্রিজের পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় নৌকা ডুবিতে সংঘর্ষে নবম শ্রেণির ছাত্রীসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ ০১ মার্চ বুধবার বিকালে শ্রীতারামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষণিকভাবে রাত্রি চৌধুরী (১৫) নামে একজনের পরিচয় জানা গেছে। সে নবীনগর উপজেলার বড়াইল গ্রামের প্রহল্লাহের মেয়ে। সে বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। মৃত্যুর সংবাদে নিহত ছাত্রীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার মরদেহ দেখার জন্য আত্মীয়স্বজন ও সহপাঠীরা ভিড় করছেন।

পুলিশ ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার দুপুরে ২০-২৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা পার্শ্ববর্তী নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার রায়পুরা ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি যাচ্ছিল। পথিমধ্যে শ্রীতারামপুর-গোপীনাথপুর গ্রামের মাঝে তিতাস নদীতে নির্মিত ব্রিজের পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় নৌকাটি তলিয়ে যায়। এতে দুইজন মারা যায়।

নিহত রাত্রির মা সন্ধ্যা রানী বলেন, রাত্রি স্কুল ছুটি নিয়ে দাদার বাড়ি বাঁশগাড়ি যাচ্ছিল। নৌকায় ২০-২৫ জন লোক ছিল।

নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় দুইজন মারা গেছে। একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কায় নৌকাটি ডুবে যায়।