স্টাফ রিপোর্টার:
বিশ্বে আর্থিক ব্যবস্থায় নারী ও পুরুষের যে ব্যবধান ছিল তা গত এক দশকে প্রথমবারের মতো ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিআইজিডি ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ আয়োজনে এক ওয়েবিনারে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল ফিনডেক্সের ২০২১-এর বৈশ্বিক ফলাফলের বরাতে ওয়েবিনারে জানানো হয়, আর্থিক পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়াবলীতে নারী ও পুরুষের যে ব্যবধান ছিল, গত এক দশকে তা প্রথমবারের মতো নেমে এসেছে ৪ শতাংশে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই ব্যবধান ৬ শতাংশের চেয়ে কিছুটা বেশি। সেখানে দেখা গেছে ৭৪ শতাংশ পুরুষের বিপরীতে ৬৮ শতাংশ নারীর একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ওয়েবিনারে উইমেনস ওয়ার্ল্ড ব্যাংকিংয়ের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ম্যারি অ্যালেন বলেন, আর্থিক ব্যবস্থায় নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। তবে এক্ষেত্রে নারীদের ধরে রাখতে এবং তাদের অংশগ্রহণের হার বাড়াতে যা যা প্রয়োজন, সেসব প্রণোদনাও আমাদের দিতে হবে। আর্থিক সেবা প্রদানকারী ও সেবাগ্রহীতাদের মাঝে বৃহত্তর আস্থা, সচেতনতা এবং প্রাসঙ্গিকতা তৈরিতে আমাদের অবশ্যই মনোযোগী থাকতে হবে। ওয়েবিনারে গ্লোবাল ফিনডেক্সের ফলাফল তুলে ধরেন বিশ্বব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ গ্রুপের মুখ্য অর্থনীতিবিদ এবং গ্লোবাল ফিনডেক্সের প্রতিষ্ঠাতা লিওরা ক্ল্যাপার ফিনডেক্স। তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজনীয়। এটির বিস্তার নারীদের সঞ্চয়ে উৎসাহিত করবে এবং তখন তারা নিজেরাই ডিজিটাল লেনদেন করতে সক্ষম হবেন। একই সঙ্গে এটি নারীদের আয়-ব্যয়ের প্রক্রিয়াকে সহজ করবে ফলশ্রুতিতে তারা পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও করতে পারবে।
ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন। এতে কথা বলেন ইউনিভার্সিটি অব কেন্ট, ক্যান্টারবেরি থেকে জাকি ওয়াহহাজ, আফ্রিকান পপুলেশন অ্যান্ড হেলথ রিসার্চ সেন্টারের ক্যারোলিন ওয়াইনানা, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল থেকে মুন্সি সুলাইমান, বিআইজিডি থেকে লোপিতা হক এবং বিশ্বব্যাংকের জেভিয়ার জিনি।
ওয়েবিনারে আলোচকরা একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। সেখানে বাংলাদেশের ডিজিটাল আর্থিক খাতে কীভাবে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে অবদান রাখছে সে বিষয়ে বিকাশের চিফ এক্সটারনাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার শেখ মো. মনিরুল ইসলাম আলোকপাত করেন।
বিআইজিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন বলেন, কিছু ইতিবাচক চিত্র আজকাল আমরা দেখছি, যা খুবই আশাব্যঞ্জক। কিন্তু আমাদের আরও বেশি করে কাজ করতে হবে যাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির এই ফলাফলগুলো নারীদের জন্য টেকসই ও অর্থবহ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে মোঃ জুলহাস (২৫) ও আরমান হোসেন (১৭) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ফেন্সিডিল বহনকারী একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা জব্দ করা হয়।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর জিলানী ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জুলহাস বিজয়নগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে ও আরমান হোসেন একই গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিমল কর্মকার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ৯৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ এর নির্দেশনায় চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই আবুল কালাম এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ আজ ৬ মে সকাল সাড়ে ১০ টায় ২৮ কেজি গাঁজা, ১টি সিএনজিসহ ১ জন গ্রেফতার করেছে বিজয়নগর থানা পুলিশের একটি দল।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারি হলো উপজেলার মিরাশানী গ্রামের আব্দুল মতিন ভূইয়ার ছেলে মোঃ বশির মিয়া (৩১)।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজয়নগর উপজেলার আউলিয়া বাজার থেকে চম্পকনগর বাজার যাওয়ার পথে সন্দেহজনক সিএনজিতে তল্লাশী চালিয়ে ২৮ কেজি গাঁজা, ১টি সিএনজিসহ ১ জন গ্রেফতার করা হয়।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ২৮ কেজি গাঁজা, গাঁজা পাচারের কাজে ব্যবহারিত একটি সিএনজিসহ ১জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় সংশ্লিষ্ট মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রুজু করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে পুলিশের উপর হামলা করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এ সময় পুলিশের গুলিতে আইয়ূব নূর (৫৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয় এবং পুলিশের একজন এস.আইসহ ১০জন পুলিশ আহত হয়।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার ভোররাতে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের গাবানিমোড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আইয়ূব নূর গাবানিমোড়া গ্রামের মন্তু মিয়া প্রকাশ মস্তু মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায় নিহত মাদক ব্যবসায়ী আইয়ূব নূরের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদকের ৫টি মামলা রয়েছে। হামলার সময় নিহত আইয়ূব নূরের ছেলে আরিফকে হাতকড়া পড়ানো অবস্থায় ছিনিয়ে নিয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ী ও তার স্বজনরা।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ী আইয়ূব নূরের পরিবারের সবাই এলাকার পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। বিজয়নগর থানায় আইয়ূব নূরের বিরুদ্ধে মাদকের ৫টি, তার ছেলে আরিফের বিরুদ্ধে ৫টি ও তার ভাই তোফাজ্জলের বিরুদ্ধে ১০টি মাদকের মামলা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে অভিযান চালায়। পরে পুলিশ আরিফকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পড়ালে পুলিশের উপর হামলা করে মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের স্বজনরা। তারা আরিফকে হাতকড়া পড়ানো অবস্থায় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে আইয়ূব নূর, সালামা বেগম ও ইমন নামে তিনজন আহত হয়।
মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় এস.আই সাঈদুল, এ.এস.আই সেলিম, এ.এস.আই আবদুল্লাহ আল-মামুন ও কন্সটেবল তুষারসহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়।
আহত পুলিশ সদস্য এ.এস.আই আবদুল্লাহ আল-মামুন ও কন্সটেবল তুষারকে বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। তিনি বলেন, আমরা আইয়ূব নূরের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইয়ূব নূরের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদকের ৫টি মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচরে যায় বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার কমর আব্বাস খোখর ও তার পরিবারকে বহনকারি একটি প্রাইভেটকার। তবে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলেও তারা অক্ষত রয়েছেন।
আজ ২৬মে শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টায় উপজেলার রামপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে প্রাইভেটকারে থাকা ডেপুটি হাই কমিশনার কমর আব্বাস খোখর, তার স্ত্রী রেহেনা সারোয়ার খোখর, মেয়ে হুদা আব্বাস খোখর ও ছেলে মোহাম্মদ খোখর অক্ষত রয়েছেন। হাইওয়ে পুলিশ পাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়া বাসের চালক মোঃ সাইফুল ইসলাম-(৩০) কে আটক করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস জানান, পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার কমর আব্বাস খোখর নিজে প্রাইভেটকার চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকা থেকে হবিগঞ্জ জেলার শ্রীমঙ্গল বেড়াতে যাচ্ছিলেন।
‘বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রাইভেটকারটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার রামপুর এলাকায় পৌছলে হবিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দুরন্ত পরিবহনের একটি বাস প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেলেও প্রাইভেটকারে থাকা ডেপুটি হাই কমিশনার এবং তার পরিবারের সদস্যরা অক্ষত থাকে।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর ডেপুটি হাই কমিশনার ও তার পরিবারের সদস্যরা হাইওয়ে থানায় কিছুক্ষণ অবস্থান করে একটি ভাড়া মাাইক্রোবাসে করে তিনি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে চলে যান। তিনি বলেন, আমরা বাসের চালক মোঃ সাইফুল ইসলামকে আটক করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২০ জন আহত হয়েছেন। ১৪ এপ্রিল রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগরের রামপুরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
খাঁটিখাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সারুয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে লোকাল দিগন্ত পরিবহনের বাসের বিজয়নগরের রামপুরা এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। এতে শ্যামলী পরিবহনের বাসটি সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ২০ জনের মতো আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
শ্যামলী পরিবহনের বাসে থাকা আহত সাইফুর রহমান বলেন, আমি ও আমার বন্ধু শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে গিয়েছিলাম। শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকা ফেরার পথে আমাদের বাসের সঙ্গে অন্য একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। পরে দেখি বাস খাদে পরে গেছে। এরপর আমি জানালা ভেঙে বের হয়েছি।
খাটিখাতা হাইওয়ে থানার এসআই সারুয়ার হোসেন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জনের মতো আহত হয়েছেন। আহতদের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।