স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে মহান বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবি দিবসের আলোচনা হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। প্রেস ক্লাবের আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন জামির সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজনের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সৈয়দ মিজানুর রেজা ও খ আ ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল আমিন শাহিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: সাদেকুর রহমান ও দীপক চৌধুরী বাপ্পী, ক্লাবের আহবায়ক কমিটির সদস্য ইব্রাহিম খান সাদাত, সদস্য আশিকুল ইসলাম, আবদুন নূর, নিয়াজ মুহম্মদ খান বিটু, মফিজুর রহমান লিমন, এইচ এম সিরাজ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভাষা সংহতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মরণ করা হয়েছে ভারতের আসামের শিলচরের বাংলা ভাষা শহীদদের।
আজ ১৯ মে রবিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিতাস আবৃত্তি সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের গভ. মডেল গার্লস স্কুল শহীদ মিনার ও মিলনায়তনে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কমলা ভট্টাচার্য সহ ১১ ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
কর্মসূচির মধ্যে ছিলো ফুলেল শ্রদ্ধা, কবিকন্ঠে কবিতাপাঠ, একক ও দলীয় আবৃত্তি।
কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলার প্রবীণতম সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি আবদুল মান্নান সরকার।
প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারী পরিচালক উত্তম কুমার দাস ও তরী বাংলাদেশ আহবায়ক শামীম আহমেদ।
তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারী পরিচালক সুজন সরকার ও আবৃত্তিশিল্পী সাদিয়া রহমান বীথির সঞ্চালনায় কবিকন্ঠে কবিতাপাঠ করেন কবি আবদুর রহিম, শিরীন আক্তার, শৌমিক সাত্তার, রুদ্র মুহাম্মদ ইদ্রিস, হেলাল উদ্দিন হৃদয়। একক আবৃত্তি করেন সাহিত্য একাডেমী সদস্য নুসরাত জাহান বুশরা, সোনালী সকাল পরিচালক ফাহিম মুনতাসির, নবীনগর আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র পরিচালক শুভেন্দু চক্রবর্তী, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সদস্য রেজা এ রাব্বী, ফারদিয়া আশরাফি নাওমী, ফাহিমা সুলতানা ও অবন্তিকা চক্রবর্তী। দলীয় পরিবেশনা করেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের ছোটদল, মধ্যমদল বালক, বালিকা ও অভিভাবকদল।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক দেওয়ান মাহবুব আলীসহ সরাইল উপজেলার সকল মুক্তিযুদ্ধ সংগঠকদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। দিল্লির সেকেন্দ্রা থেকে এই মহান নেতার সমাধি মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে আনাসহ তাঁর স্মৃতির প্রতি জাতীয় সম্মান ও মর্যাদা প্রদানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করতে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও স্মৃতি সহ সরাইল পরগনা এবং দেওয়ানদের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণে লেখক-সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদদের উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হবে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক দেওয়ান মাহবুব আলীর ম্যুরাল উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহবান জানান।
স্মৃতি সংসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আবদুর রাশেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায়, এডভোডেট গোলাম ফারুক, সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন, দেওয়ান রওশন লাকী এবং প্রেসক্লাস সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক দেওয়ান মাহবুব আলী সমাধি দিল্লির সেকেন্দ্রা থেকে বাংলাদেশে স্থানান্তরপূর্বক জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃত প্রদানের দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩ জানুয়ারি শুক্রবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির (বিআরসি) আয়োজনে চার পর্যায়ের দূরত্বে এই হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চার পর্যায়ের দূরত্বে এই হাফ ম্যারাথন দৌঁড় হয়। এর মধ্যে ছিলো ২ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার ও ২১ কিলোমিটার।
আজ সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ২১ কিলোমিটারে অংশগ্রহণকারী দলটি স্থানীয় নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। পর্যায়ক্রমে রওনা দেয় ৫ এবং ১০ কিলোমিটারের দলটি এবং সর্বশেষ শিশুদের ২ কিলোমিটারের দলটি সোয়া সাতটায় রওনা দেয়। ২১ কিলোমিটারে অংশ নিয়েছেন ১২০ জন। ১০ কিলোমিটারে ২০০ জন, ৫ কিলোমিটারে ৬০ জন ও ২ কিলোমিটারে ২০শিশু। এর মধ্যে ৩৫০ জন পুরুষ, ৩০জন নারী, ২০ জন শিশু এবং পাঞ্চাশোর্ধ ৩৬জন।
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে তিতাস নদীর উপর নির্মিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলার সংযোগ সড়ক শেখ হাসিনা সড়ক (সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) পথে ছড়িয়ে পড়েন দৌড় প্রতিযোগীরা। নির্দেশিত পথে যাঁর যাঁর দূরত্ব অনুযায়ী তাঁরা ছুটে চলেন।
দৌড় শেষে শেখ হাসিনা সড়কের (সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) শিমরাইলকান্দি সেতুর দক্ষিণপাশের একটি জমিতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা এডমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয প্রধান অধ্যাপক দিলারা আক্তার খান।
অংশগ্রহণকারী সবার জন্য একটি করে শুভেচ্ছা স্মারক, সনদ, টি-শার্ট, সকালের নাশতার পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারীদের চ্যাম্পিয়ান ও রানার্সআপ ট্রফি দেওয়া হয়।
মোট ৯ টি পর্যায়ে ২৭ জনের মাঝে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের পাশাপাশি নগদ টাকা দেয়া হয়। সোনালী সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সসহ মোট ১০টি প্রতিষ্ঠান এই আয়োজনে সহায়তা করেন। মেডিকেল সহায়তায় ছিল নোভেল জেনারেল হাসপাতাল। ৭০জন স্বেচ্ছাসেবক এই আয়োজন সফলে কাজ করেছেন।
এর আগে কনকনে হিম বাতাস আর কুয়াশাকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন জেলার দৌড় পাগল চার শ নারী-পুরুষ জড়ো হন নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। কেউ বয়সে তরুণ-তরুণী, কেউ শিশু। অনেকেই আবার বয়স্ক। তবে উচ্ছাসে সবাই সমানে সমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পথে দৌড়ানোর জন্য এসেছেন তাঁরা। ভোরের আগেই নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ছিলো উৎসাহী মানুষের ভিড়ে জম। পরে বিজয়ীদের ট্রফি এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তুকি মূল্যে সদর উপজেলার নিম্ন আয়ের কার্ডধারীদের মধ্যে টিসিবির পন্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সদর উপজেলার মেড্ডা সিও অফিস মোড়ে বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ।
প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মশুর ডাল, ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল দেয়া হয়।
উদ্বোধন শেষে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, নভেম্বর মাসে সদর উপজেলার নিম্ন আয় ও সুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারী মানুষের মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় উদ্বোধন করা হয়েছে। পৌরসভায় ৪৯৫২ জন সহ সদর উপজেলার ১৬৬১৮ জন নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষ ভর্তুকী মূল্যে টিসিবির এই পণ্য পাবেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, মেড্ডা কাল ভৈরব প্রাঙ্গন, কারখানাঘাট ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হয়। তিনি বলেন, নিম্ন আয়ের লোকজনের মাঝে এই কার্যক্রমটি খুবই জনবান্ধব। কোন ডিলার দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কমিটি গঠিত হয়েছে।
আজ ২৬ অক্টোবর শনিবার জেলা কালেক্টরেট কর্মচারি ক্যান্টিনে এই কমিটি গঠন উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আব্দুল লতিফ।
বক্তব্য রাখেন, শুধাংসু সূত্রধর, পল্লব কুমার চক্রবর্তী, আবু বক্কর সিদ্দিক, শাহাজাদা খান, তাসলিমা আক্তার, শিরিনা আক্তার প্রমুখ। সভা শেষে উপস্থিত সকলের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক এমএম জাকারিয়া আহমেদকে সভাপতি ও মো. রুবেল মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠন করা হয়।