স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আওতাধীন ৮টি ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ইউনিয়নগুলো হলো- আশুগঞ্জ সদর, চরচারতলা, দুর্গাপুর, তালশহর, আড়াইসিধা, শরীফপুর, লালপুর ও তারুয়া। আশুগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আহবায়ক মো: আলমগীর কবির ও সদস্যসচিব সেলিম পারভেজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের নির্দেশে বিলুপ্ত ঘোষণা আশুগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে। শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক এর পরামর্শে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন বেগবান করার লক্ষ্যে কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে।
আশুগঞ্জ প্রতিনিধি :
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন। নির্বাচনে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া এই আসনের ৫ বাবের সাবেক সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার (কলারছড়ি) প্রতীক পক্ষে কাজ করতে ও নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে আশুগঞ্জ উপজেলার সকল স্তরের জনপ্রতিনিধিদের (ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার) নির্দেশনা দিয়েছে আওয়ামীলীগ।
উপ-নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধিও অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এই নির্দেশনা দেয়া হয়। আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।
আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মুন্সীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলি আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নার রতন, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারি কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের আহমেদ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, বিএনপির ভুল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারনে জাতীয় সংসদ থেকে উকিল আবদুস সাত্তার পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তিনি তার ভুল বুঝতে পেরে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহন করেছেন।
বক্তারা বলেন, উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া একজন ভালো মানুষ। এই আসনের নির্বাচিত ৫বারের সাবেক এমপি। তৃনমূলে তার ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। এদিকে এই আসনে আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থী নেই। আওয়ামীলীগ গণতন্ত্র, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাসী। তাই আওয়ামীলীগ উকিল আবদুস সাত্তারকে সমর্থন দিয়েছে। নির্বাচনে তার জয়ের মধ্য দিয়ে আবারো প্রমান হবে আওয়ামীলীগ অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচনে বিশ্বাসী। দেশ ও বিদেশে এ বার্তা প্রচার হবে। এ জন্য ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও তৃণমুলের নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। যাতে নির্বাচনের দিন বিএনপি-জামাত কোন ধরনের বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে না পারে। এজন্য এ উপ-নির্বাচনকে নিজেদের নির্বাচন মনে করে বেশী সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২২ অক্টোবর রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার যাত্রাপুর-ভবানীপুর সংযোগ সেতুর ভবানীপুর খালের পাশ থেকে নবজাতকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর খালের পাশে শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তার উদ্ধার করে। তিনি আরো বলেন, কে বা কারা কখন নবজাতক ছেলে শিশুটিকে ফেলে গেছে তা জানা যায়নি। জন্মের পর হয়তোব কেউ বাচ্চাটিকে ফেলে গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারত থেকে আমদানি করা প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের এক কোটি চার লাখ টাকার কাঁচামালসহ দুই কাভার্ডভ্যান নিয়ে পালিয়েছেন চালক। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।
৩ নভেম্বর শুক্রবার কোম্পানির লিগ্যাল অফিসার জুলফিকার হোসেন খান বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন।
মামলার বিবাদীরা হলেন, মাগুরা সদরের বুজরুক শ্রীকুন্ডি গ্রামের ওয়াহিদুল মোল্লার ছেলে কাভার্ডভ্যান চালক ইয়াছিন হোসেন (৩৩), একই এলাকার আবছার মোল্লার ছেলে হেলপার জিসান হোসেন (২৫), আনছার বিশ্বাসের ছেলে মিরাজ মিয়া (৩৯), অহিদুল মোল্লার ছেলে হেলপার মো. হৃদয় (১৯) এবং একই জেলার মহম্মদপুর থানার বিনোদপুর গ্রামের আবুল মোল্লার ছেলে কাভার্ডভ্যান চালক মো. তুহিন (৩৫)।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ অক্টোবর ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির বৈদ্যুতিক মালামাল তৈরির কাঁচামাল (অ্যালুমিনিয়াম ইনগট) আমদানি করা হয়। মালামাল নিয়ে ৩০ অক্টোবর রাতে হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে কারখানায় পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে কোম্পানির নিজস্ব দুটি কাভার্ডভ্যান। পরদিন মালামাল নিয়ে হবিগঞ্জে পৌঁছানোর কথা থাকলেও কাভার্ডভ্যান দুটি যায়নি। এ অবস্থায় ১ নভেম্বর বুধবার রাতে কোম্পানির নিজস্ব কাভার্ডভ্যানগুলোতে সংযোজন থাকা জিপিএস ট্র্যাক করে দেখা যায়, কাভার্ডভ্যান দুটি মেঘনা নদীর সেতু অতিক্রম করে আশুগঞ্জের দিকে যাচ্ছে। পরবর্তী সময়ে একাধিকবার ট্র্যাকিং করলে কাভার্ডভ্যান দুটি আশুগঞ্জে অবস্থান দেখায়।
২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে পুনরায় ট্র্যাকিং করলে কাভার্ডভ্যানের জিপিএস এবং চালক-হেলপারের ফোন বন্ধ দেখায়। এ অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও এক কোটি চার লাখ টাকার আমদানি করা কাঁচামালসহ কাভার্ডভ্যান দুটির সন্ধান মেলেনি।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমদ বলেন, মামলার পরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। মালামালসহ কাভার্ডভ্যান দুটি উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।