স্টাফ রিপোর্টার:
বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিভিন্ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মী দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন, তাদের ক্ষমা করে দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি। মূলত আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে দলের হাইকমান্ড। শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনে দলের জাতীয় কমিটির বৈঠকে শতাধিক বিদ্রোহী নেতাকর্মীকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কয়েক জন জেষ্ঠ্য আওয়ামী লীগ নেতা। তারা আরও জানিয়েছেন, অন্যান্য বিদ্রোহীরা যদি দলের সভাপতির বরারব কৃতকর্মের কথা স্বীকার করে আবেদন করেন, সেক্ষেত্রে তারাও ক্ষমা পেতে পারেন বলেও জানিয়েছেন নেতারা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের পার্টিতে যারা শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ড করেছেৃ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেকে বিদ্রোহ করেছে, আমাদের পার্টির শৃঙ্খলার বিচ্যুতি ঘটিয়েছে। অনেকেই দলের মধ্যে কোলহল সৃষ্টির জন্য দায়ী। এসব ব্যাপারে শতাধিক আবেদন জাতীয় কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।’
‘জাতীয় কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে যারা আবেদন করেছিল তাদেরকে আমাদের সভাপতি বঙ্গবন্ধুর কন্যা ক্ষমা করে দিয়েছেন। অন্য যারা আছে তারা যদি পার্টির জেনারেল সেক্রেটারির মাধ্যমে সভাপতির কাছে আবেদন করে, তাহলে জাতীয় কমিটি আমাদের সভাপতিকে এই ক্ষমতা দিয়েছে যে, তিনি (শেখ হাসিনা) আবেদন গ্রহণ করতে পারবেন, ক্ষমা করে দিতে পারবেন। এটা জাতীয় কমিটি তার উপর দায়িত্ব অর্পণ করেছে,’ বলেছেন ওবায়দুল কাদের।
গঠনতন্ত্র সূত্রে গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ কর্তৃক গৃহীত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আপিল বিবেচনা ও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্ষমতা দেওয়া আছে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটিকে। সেই কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া বিদ্রোহীদের ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত আসে।
যারা বিগত সময়ে দলের সভাপতির বরাবর আবেদন করে ছিলেন তাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার জাতীয় কমিটির বৈঠকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সভানেত্রীকে উদ্দেশে বলেন, ‘আপা অনেকে তো এটা জানে না। যারা আবেদন করেনি, তাদের কী হবে?’
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, সবার জন্যই এই সুযোগ থাকবে। যারা আবেদন করেনি, তারা আবেদন করতে পারবে। আবেদন করলে তাদেরও ক্ষমা করা হবে।’
জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জেলা পরিষদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নির্বাচন করেছেন। দলীয় প্রার্থী থাকার পর নিজ দলের নেতারা স্বতন্ত্র কিংবা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় অনেক জায়গায় বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে নৌকার প্রার্থী পরাজিত হয়।
এ নিয়ে দলের তৃণমূলে বেশ বিশৃঙ্খলা চলছিল। দলের সাংগঠনিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের তৎপরতা ব্যাপকভাবে বাড়ছে এবং ইউপি নির্বাচনে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে।
তবে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া যেসব নেতাকর্মীদের ক্ষমা করা হচ্ছে, তাদের কাছ থেকে দলের হাইকমান্ড এই প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছে যে- ভবিষ্যতে আর কখনও তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না।
অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এখন আইনের কোনো পরিবর্তন আনতে হলে, আগে শর্তযুক্ত মুক্তি বাতিল করতে হবে। তাকে বিদেশ পাঠানোর ব্যাপারে বর্তমানে আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নাই।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ সব কথা বলেন তিনি।
এর আগে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের মুক্তচিন্তা, মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিকাশ ও সুরক্ষা বিষয়ক বিশেষ র্যাপোটিয়ার আইরিন খান।
আনিসুল হক বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১) এর ক্ষমতাবলে শর্ত যুক্তভাবে সাজা স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং সেটা প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায়। এখন আইনের যে পরিস্থিতি তাতে যদি কোনো পরিবর্তন আনতে হয় সেক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে আগে যে শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হয়েছে সেটাকে বাতিল করতে হবে। তার পরে অন্য বিবেচনা করা যাবে।
তিনি বলেন, আমি বলেছিলাম, উনাকে (খালেদা জিয়া) বিদেশে যাওয়ার আবেদনটা প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করতে হয়। সেই আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ওপরই নির্ভর করে এই ব্যাপারটা। কারণ হচ্ছে এটা আইনের ব্যাপার।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, আইনের যে অবস্থান এখন, সেই অবস্থানে ইট ইজ অ্যা পাস্ট ট্রানজেকশন। আমার মনে হয়, আইনের সেই অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আমাদের (স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের) মধ্যে কোনো ঠেলাঠেলি নেই। আমি পরিষ্কারভাবে আবারও বলছি, যদি কোনো আবেদন আসে; সেই আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে আইনের শাসন আছে। আমরা আদালতের রায়কে শ্রদ্ধা করি। খালেদা জিয়াকে আদালত শাস্তি দিয়েছেন। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, ৪০১ ধারায় উনাকে যে শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেটা সরকারের নির্বাহী আদেশে দেওয়া হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করেই শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হয়। যা তিনি মেনেছেন।
ঢাকা।।
বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে। আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আব্দুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান।আজ শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে এসে আমন্ত্রণ জানায়। আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেন বিএনপির দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালে প্রিন্স।আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সদস্যরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন।এসময় বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা ও ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলকে বলেন, আমাদের সব নেতা কারাগারে। সম্মেলনে কীভাবে যাব? এর জবাবে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম বলেন, এটা সরকারের ব্যাপার। আমরা দলের পক্ষ থেকে এসেছি। আমরা আশা করব আপনাদের প্রতিনিধি দল সম্মেলনে যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা বার বার তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, জনগণের মধ্যে বিএনপির কোনো রাজনৈতিক গুরুত্ব নেই। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের প্রতি যে দায়িত্ববোধ ও সংবেদনশীলতা দেখানো প্রয়োজন বিএনপি তা বিগত দিনে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণে তাদের রাজনৈতিক শক্তির সাংগঠনিক ভিত্তি জনগণের মধ্যে প্রোথিত নেই।
আজ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতাদের বক্তব্যকে হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মনগড়া আখ্যা দিয়ে এসব বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
বিএনপি কোনো সমস্যার সমাধান করতে না পারলেও সংকট সৃষ্টি করতে পারে বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমানের আমলেই রোহিঙ্গা সংকটের শুরু। বিএনপি যতবার ক্ষমতায় এসেছে এই সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। বিএনপি কোনো সমস্যার সমাধান করতে না পারলেও সংকট সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যে রূপরেখা উপস্থাপন করা হয়েছে তা অত্যন্ত হাস্যকর। এটা রোহিঙ্গা সংকটকে আরও ঘনীভূত করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ছাড়া আর কিছু নয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আমলে পার্বত্য-অঞ্চলে অশান্তির সূচনা হয়। সেই অশান্ত পাহাড়ে শান্তির পতাকা উড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এখানে বাংলাদেশ কোনো পক্ষ নয়, পক্ষ হলো দুটি। একটি মিয়ানমার সরকার, অন্যটি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। এই দুপক্ষের বিবাদমান সমস্যার বিরূপ প্রভাবের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, এই সংকট সমাধানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসনে শেখ হাসিনার গৃহীত উদ্যোগ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে একটি আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্য সর্বক্ষেত্রে অনুকরণীয় উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি এবং কূটনৈতিক সাফল্যের কারণে কৌশলগত ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আরও সুসংহত হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে আমাদের এই সাফল্যের অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে। কোনো প্রকার দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
তিনি বলেন, জনগণের ওপর আস্থা না রেখে যে কোনো উপায়ে ক্ষমতার মসনদে বসার জন্য তারা বরাবরই বিদেশি প্রভুদের দ্বারস্থ হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে তাদের তথাকথিত আন্দোলনে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের নিকট করুণা ভিক্ষার মধ্য দিয়ে তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। একটি রাজনৈতিক দল কতটুকু দেউলিয়া ও নির্লজ্জ হলে এই ধরনের অবিবেচনা প্রসূত আবেদন জানাতে পারে!
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং ১৮ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২৬ জুন বুধবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি স্বাক্ষরিত এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে জেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির দফতর সম্পাদক মো. মনির হোসেন এই কমিটি ঘোষণা দেন।
নতুন কমিটিতে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন কমিটির সহ-সভাপতি পদে মো. হেলাল উদ্দিন, মো. হেলাল উদ্দিন-২, বেগম নায়ার কবীর (মেয়র ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা) বহাল রয়েছেন।
কমিটির অন্যান্য সহ-সভাপতিরা হলেন সৈয়দ মিজানুর রেজা, কামরুজ্জামান আনছারী, সোমেশ রঞ্জন রায়, গোলাম মহিউদ্দিন খোকন, মো. শাহজাহান আলম সাজু, ডা. আবু সাঈদ, প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের, কাজী হারিসুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক পদে মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, আব্দুল হান্নান রতন, অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা নিশাত।
আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল। কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এমবি কানিজ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. আনার, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল খালেক বাবুল, দফতর সম্পাদক মনির হোসেন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহআলম (হালদারপাড়া), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. মোস্তফা কামাল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফারহানা সিদ্দিক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবর, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহনুর ইসলাম, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক নুরুন্নাহার, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক স্বপন রায়, শ্রম সম্পাদক মোশতাক আহমেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. ডিউক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মহসিন, তানজিল, সৈয়দ এখতেশামুল বারী তানজিল, উপ-দফতর সম্পাদক সুজন দত্ত, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন যারা
আনিছুল হক এমপি (আইনমন্ত্রী) এ.বি তাজুল ইসলাম এমপি (বাঞ্ছারামপুর) অ্যাডভোকেট শাহআলম (সাবেক সংসদ সদস্য), মইনউদ্দিন মঈন এমপি (সরাইল-আশুগঞ্জ), এবাদুল করিম বুলবুল (সাবেক সংসদ সদস্য) ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (সাবেক সংসদ সদস্য) হাজী মো. মুসলিম মিয়া, শিউলি আজাদ, জহিরুল ইসলাম ভূঞা, আল-আমিনুল হক আলামিন, অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন, এম এ এইচ মাহবুব আলম, জায়েদুল হক, ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম নবী, আবুল হোসেন, অ্যাড. লোকমান হোসেন, অ্যাড. বাকির উদ্দিন, মুর্শেদ কামাল, আবু আব্বাস, মাহমুদুর রহমান জগলু, সাইদুজ্জামান আরিফ, অ্যাড. রাশেদুল কাউসার জিবন, সিরাজুল ইসলাম, অ্যাড. শিব শংকর দাস, গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সেলিম রেজা হাবীব, রফিকুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, হাজী বাবুল মিয়া, ডা. আশীষ চক্রবর্তী, মিনারা আলম, জাহাঙ্গীর আলম, মো. নাজির মিয়া, হাসান সারওয়ার, মোবারক হোসেন রতন। জাতীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়াকে।
উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য যারা
আরমা দত্ত এমপি, অ্যাডভোকেট আবু আমজাদ, কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল হাই, আজিজুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হেবজু মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আবু তাহের, বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমার নাগ, অমৃত লাল সাহা, সুহাস দাস চৌধুরী, রেহেনা বেগম রানী, মমতাজ বাশার, সুভাষ পাল, মিজানুর রহমান, আব্দুল আউয়াল, এম এ তাহের, এ কে এম একরামুজ্জামান এমপি ও বোরহানউদ্দিন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি’র নির্দেশক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, নব-নির্বাচিত এই কমিটির সকল সদস্য নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা, আন্তরিকতা ও সততার সাথে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবেন। পাশাপাশি সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগক আরও সুদৃঢ়, সুসংগঠিত ও শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হবে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, আমরা বিশ্বাস করি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি’র নেতৃত্বে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-শোষণ-বঞ্চনা ও দুর্নীতিমুক্ত একটি উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের সংগ্রামে জনগণকে সম্পৃক্ত এবং ঐক্যবদ্ধ করতে নতুন নেতৃত্ব যথাযথ ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে।