স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ১৫০জন শীতার্তের গায়ে শীতবস্ত্র কম্বল জড়িয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা। তিনি গত সোমবার রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে উপজেলার মোগড়া বাজার, আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন, খড়মপুর মাজার, আজমপুর রেলওয়ে স্টেশনে থাকা অসহায় ও ছিন্নমূল ১৫০ জন শীতার্তের শরীরে কম্বল জড়িয়ে দেন। এ সময় শীতার্তরা কম্বল পেয়ে সরকার ও ইউএনও’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। কম্বল বিতরণকালে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী জানান, গত ৪-৫ দিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট বেড়ে যায়। তাই স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আসা কম্বল রাতের বেলা বিতরণ করা হয়। তিনি বলেন, সোমবার রাত পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় তিন হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় রেলওয়ে প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের টাকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে রেললাইনে বাঁশের বেড়া দিলেন এক ভুক্তভোগী।
আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর এলাকায় আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পের শূন্যরেখার পাশে এ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন শাহানুর সরকার নামে একজন জমির মালিক। তিনি ওই ইউনিয়নের খারকোট এলাকার মৃত খোরশেদ মিয়ার ছেলে।
আজ ১৩ আগস্ট রবিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশের ও গাছের ডালপালা দিয়ে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইনের ওপর দুপাশে লম্বা বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন শাহানুর সরকার।
ভুক্তভোগী শাহানুর সরকার বলেন, ‘আমি প্রবাসে ছিলাম। ফেরার পর এখন অসুস্থ। আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পে আমার ২৬ শতাংশ জায়গা পড়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের সময় আমার শীবনগর মৌজায় ১৬৮ দাগের সাড়ে ৮ শতক ও ১৬৫ দাগের সাড়ে ১৭ শতকসহ দুই দাগে মোট ২৬ শতক জমি রেলওয়ে অধিগ্রহণ করে নেয়। আমার জায়গা দখলের দীর্ঘদিন পর এর ওপর রেললাইন তৈরির কাজ প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে। কিন্তু আমার এ জায়গার মূল্য এখনো এক টাকাও পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রায় পাঁচমাস ধরে আমি অসুস্থ। অসুস্থ শরীর নিয়ে রেলের বিভিন্ন দপ্তরে ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জমি অধিগ্রহণের পাওনা টাকার জন্য দৌড়ঝাঁপ করে যাচ্ছি। তারপরও টাকা পাচ্ছি না। তাই ক্ষোভ থেকে আমার যতটুকু জমি রেলের মধ্যে পড়েছে সেই জায়গায় বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছি।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে শাহানুর রহমান বলেন, ‘সরকার বা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যদি আমার জমির মূল্য না দিয়ে ট্রেন চালানো শুরু করে তাহলে আমার শরীরের ওপর দিয়ে ট্রেন নিয়ে যেতে হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া-আগরতাল রেল প্রকল্পের সিনিয়র সার্ভে ইঞ্জিনিয়ার রিপন শেখ বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। উনি জানিয়েছেন, উনার টাকা পরিশোধ করে দেওয়া হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ঘরের সামনে পানি। পানি উঠেছে চুলায়। পানিতে তলিয়ে গেছে বাথরুমের রিং। নোংরা পানির দুর্গন্ধে অসহনীয় পরিবেশ। পানি জমেছে চলাচলের রাস্তায়। এমন চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার চরনারায়ণপুর এলাকার সরকারী আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায়। গত ১০/১২ দিন ধরে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতায় দু:ষহ জীবন যাপন করছে প্রকল্পের বাসিন্দারা। বিশেষ করে নারী-শিশুরা খুব কষ্ট করছে। বাথরুম, গোসল, রান্না-বান্নাসহ দৈনন্দিক কাজে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হত-দরিদ্র পরিবারগুলো। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার দাবী জানিয়েছে আশ্রয়ণের বাসিন্দারা।
জানা গেছে, মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে সারা দেশের ন্যায় আখাউড়া উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতক ভূমিতে আধা পাকা ঘর নির্মাণ করে দেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে আখাউড়ায় সাড়ে ৬’শ ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের চরনারায়ণপুর এলাকায় ৭৭টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে প্রায় ৬০টি উপকারভোগী পরিবার বসবাস করছে। গত কয়েক দিন ধরে আখাউড়ায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের একটি পাইপ বন্ধ যাওয়ায় পানি সরতে পারছে না। এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে হত-দরিদ্র পরিবারগুলো।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় পানি জমে আছে। বাথরুমের রিং পানিতে তলিয়ে গেছে। ছোট শিশুরা ঘর বের হতে পারছে না। ময়লা নোংরা পানি মাড়িয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন বাসিন্দারা।
আশ্রয়ণের বাসিন্দা কাজল মিয়ার স্ত্রী আবেদা বেগম বলেন, আমার এক মেয়ে মৃগি রোগী। তাকে নিয়ে সব সময় দুশ্চিন্তাই থাকি। ছোট একটা নাতি আছে। কখন পানিতে পরে যায় সব সময় এই আতঙ্কে থাকি।
পারুল বেগম নামে আরেক নারী বলেন, বাথরুমের ময়লার রিং পানিতে তলিয়ে গেছে। বাথরুম করতে খুব অসুবিধা হইতেছে। দুর্গন্ধে ঘরে থাকা যায় না। তাছাড়া রান্নার চুলা পানিতে তলিয়ে গেছে। রান্না-বান্না করতে খুব অসুবিধা হয়।
সবিতা রানী বর্মন নামে আরেক নারী দুঃখ করে বলেন, আমরর কষ্টের কপাল কষ্টই করতে অইব। তিনি বলেন, ঘরের সামনে ময়লা নোংরা পানি। রাস্তায় পানি। ঘর থেকে বের হতে পারি না। এভাবে আর ভালো লাগে না। ময়লা নোংরা পানিতে হেঁেট পুলাপাইনের পায়ে ঘা হয়ে গেছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্প বাসিন্দাদের সভাপতি নিলেশ বর্মন বলেন, প্রায় ১৫ দিন যাবত পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। চলাফেলা করা যায়। তিনি বলেন, প্রকল্পের পানি নিষ্কাশনের ১টি পাইপ বন্ধ হয়ে গেছে। এজন্য পানি সরে না। পাইপটি মেরামত করে দিলে পানি সরে যেত। বৃষ্টিবাদলার দিন এভাবে পানি জমে আমরা বসবাস করতে পারব না। তিনি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী বলেন, দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে। আমি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সরজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মেয়ের সঙ্গে অভিমান করে জালাল মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকাল ৫টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় জালাল মিয়ার মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মনিয়ন্দ গ্রামে বিষপানের এ ঘটনা ঘটে। নিহত জালাল মিয়া একই গ্রামের তুফানী বাড়ির মৃত সারু মিয়ার ছেলে।
নিহত জালাল মিয়ার ছেলে তানভীর জানান, শনিবার সন্ধ্যার দিকে তারা বাবা জালাল মিয়া তার মেয়ে জিন্নাতকে কলা ও রুটি কিনে খাওয়ার জন্য ২০ টাকা দিয়েছিল। পরে জিন্নাতের ছোটবোনকে দিয়ে ২টি কলা ও ২টি রুটি কিনেন। কলাটি পঁচা হওয়ায় জিন্নাত তার বাবা জালাল মিয়ার সামনে ঢিল দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এতে জালাল মিয়া খুব কষ্ট পায়। পরে ঘরে রাখা গাছের পোকামাকড় মারার বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে জালাল মিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে বিকাল ৫টার দিকে সে মারা যায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসাইন জানান, হাসপাতাল থেকে জেনেছি এক লোক বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। আখাউড়া থানাকে জানানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুমতিতে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় ৩ হাজার ২২৫ কেজি ইলিশ মাছ রপ্তানি করা হয়েছে।
আজ ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে ১টি পিক-আপ ৭০টি কার্টুন ভর্তি ইলিশ মাছ নিয়ে আগরতলায় প্রবেশ করে। এছাড়াও আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে আগরতলায় আরও ইলিশ যাওয়ার কথা রয়েছে।
মাছের রপ্তানীকারক ঢাকার যাত্রাবাড়ির মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ। ত্রিপুরার আগরতলার বিমল রায় মাছগুলো আমদানি করেছেন। মাছের সিএন্ডএফ করেছে আখাউড়ার প্রীতম এন্টারপ্রাইজ।
প্রীতম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ মনির হোসেন বাবুল বলেন, প্রতি কেজি মাছ ১০ ডলার দরে রপ্তানি করা হয়েছে। রপ্তানীকৃত মাছের মূল্য ৩২ হাজার ২৫০ ডলার যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩৬ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা।
এদিকে আজ বিকালে আরও ১ হাজার ৫০০ কেজি মাছ ত্রিপুরায় পাঠানোর কথা রয়েছে। ঢাকার এসএস কর্পোরেশন ত্রিপুরার আগরতলার কৃষ্ণপদ রায়ের কাছে ইলিশ মাছ রপ্তানী করছে।
মাছের সিএন্ডএফকারী প্রতিষ্ঠান এফ.এ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ শাহনেওয়াজ মিয়া শানু বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মেঃ টন করে ইলিশ মাছ রপ্তানীর অনুমতি দিয়েছে। তারই অংশ মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ ৩ হাজার ২২৫ মেঃ টন ইলিশ মাছ রপ্তানী করেছে। বিকালে এসএস কর্পোরেশনের আরও ১ হাজার ৫০০ টন মাছ আগরতলায় পাঠানো হবে। যাত্রাবাড়ীর রপ্তানীকারক ফিস বাজারও এ বন্দর দিয়ে ইলিশ রপ্তানী করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের মাদক বিরোধী পৃথক অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক মাদক পাচারকারী হলো কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত দেঠৎ মোহাম্মদের ছেলে মোঃ আমিনুল ইসলাম প্রকাশ রয়েল(৩৮)।
আখাউড়া থানা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া থানার এস. আই মোঃ মোবারক আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় মনিয়ন্দ এলাকার নোয়ামোড়া- গোপীনাথপুর সড়কের থেকে মোঃ আমিনুল ইসলামকে আটক করে। তাকে তল্লাশী করে প্যান্টের পকেট থেকে ১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, আমিনুলের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় নিয়মিত মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পূর্বেও ২টি মাদক মামলা ও ০১টি অন্যান্য ধারায় মামলা সহ ০৩টি মামলা রয়েছে। তাকে রবিবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।