স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার চতুর্থ ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ অভিজিৎ রায়ের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাইফুল ইসলাম, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ.স.ম আতিকুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন কুমার দেব, মেডিক্যাল ট্যাকনোলজিষ্ট (ইপিআই)শাখাওয়াত হোসেন, সাংবাদিক সুজিত চক্রবর্তী, সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়া, সাংবাদিক এসএম বদিউল আশরাফ মুরাদ, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি প্রভাষক নির্মল চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এইচএম শুভ সিদ্দিকী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ছদ্মবেশে এক জীবন মিয়া (৫০) নামে এক ডাকাতকে ধরে কাঁধে করে তুলে নিয়ে আসেন পুলিশ। পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য ডাকাত জীবন পুলিশকে কামরালেও হাল ছাড়েনি পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের একটি জমি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জীবন মিয়া হরিপুর গ্রামের হুরন আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা আছে। সম্প্রতি সে মাধবপুর-হরিপুর সড়কে ডাকাতি করতে শুরু করে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ। ডাকাত জীবনকে গ্রেপ্তারের দায়িত্বে থাকা নাসিরনগর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) রুপন নাথ আরো একজন কর্মকর্তা ও তিন পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে হরিপুরে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন জীবন তার সঙ্গীদের দিয়ে একটি জমিতে বসে ইয়াবা সেবন করছিলো। তখন পুলিশ সদস্যরা সেখানে সাদা পোশাকে অবস্থান নেয়।
এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে জীবন ও তার সঙ্গীদের কাছে ইফতার করার জন্য পানি চায়। তখন এক পর্যায়ে জীবনকে আটক করে পড়ানো হয় হাতকড়া।
এ সময় জীবন মিয়া পুলিশ কনস্টেবল রানার হাতে কামড় দিয়ে ও ধস্তাধস্তি করে হাতকড়া নিয়েই দৌঁড়ে পালায়। পুলিশ সদস্যও ছুটে গিয়ে আবার তাকে আটক করে।
এক পর্যায়ে এএসআই মোঃ কামরুল হাতে কাঁধে তুলে নেন। কিছুদূর আনার পর তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কড়া পুলিশ পাহারায় থানায় নিয়ে আসা হয়।
এ ব্যাপারে এস.আই রূপন নাথ জানান, পাঁচজন মিলে এ অভিযান চালানো হয়। জীবন খুবই ধুর্ত। সে পালানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তাকে বাধ্য হয়ে কাঁধে তুলে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় রানা নামে পুলিশ কনস্টেবল আহত হওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সোহাগ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জীবন ডাকাত খুবই ধুর্ত প্রকৃতির। তাকে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছিলো না। গোপন সংবাদে এ অভিযান চালানো হয়। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওরবেষ্টিত উপজেলা নাসিরনগর থেকে এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দিতে মোট ২ হাজার ৫১ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছিল। এর মধ্যে এসএসসির জন্য ১ হাজার ৬৯৯ জন, ৩২১ জন দাখিল ও ৩১০ জন ভোকেশনাল পরীক্ষা দিতে ফরম পূরণ করে। এই শিক্ষার্থীদের ৭০৬ জন ছেলে ও ১ হাজার ৩৪৫ জন মেয়ে। কিন্তু গত ৩০ এপ্রিল শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৯ জন ছেলে ও ৪২ জন মেয়ে অংশগ্রহণ করেনি। কেন এই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি, তা অনুসন্ধান করতে গিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেসব মেয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি, তাদের অধিকাংশই বাল্যবিয়ের শিকার। যাদের বেশিরভাগের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।
প্রতিষ্ঠান প্রধান ও পরীক্ষা-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী মেয়েদের ১৮ বছরের কম বয়সে বিয়ে দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু বাল্যবিয়ে দিতে অনেক অভিভাবকই ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করেন। এরপর কাজিকে ম্যানেজ করে কর্তৃপক্ষের চোখ এড়িয়ে কৌশলে অল্প বয়সেই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেন।
জানা গেছে, এ বছর সবচেয়ে বেশি নারী পরীক্ষার্থী অনুপস্থিতির সংখ্যা উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের সৈয়দ কামরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে। এই স্কুল থেকে ১৫ জন মেয়ে শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়নি, যাদের সবাই বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক সানাউল আমিন ভূঁইয়া বলেন, আমাদের না জানিয়ে এসএসসির ১৫ জন মেয়ে পরীক্ষার্থীকে বিয়ে দিয়েছেন তাদের অভিভাবকরা। এ ছাড়াও ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পড়া ১০ থেকে ১৫ জন মেয়েকেও এ বছরই বিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন বাধা দিলেও ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় কাজিকে ম্যানেজ করে ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করে এসব বিয়ে হচ্ছে। আমরা প্রতিষ্ঠান থেকে বাধা দিলেও তাঁরা উপেক্ষা করেন।
ধরমন্ডল ইউনিয়নের ধরমন্ডল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, পরীক্ষা শুরুর আগের দিন পর্যন্ত আমাদের দু’জন মেয়ে পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ড নেয়নি। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি মেয়েগুলোর বিয়ে হয়ে গেছে। এর মধ্যে একজন শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে পরীক্ষার আগের রাতে।
মোবাইল ফোনে কথা হয় পরীক্ষা শুরুর আগের রাতে বিয়ে হওয়া শিক্ষার্থীর বাবা আনু মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভালো আলিম (মাওলানা) জামাই পাইছি; বিয়া দিছি। এত পড়ালেখা কইরা কী করব? পড়ালেখা কইরা সেই জামাইর ভাতই রান্ধা লাগব।’
নাসিরনগর মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ১৩টি কিশোর-কিশোরী ক্লাব আছে। এসব ক্লাবের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সচেতন করা হচ্ছে। ১৮ বছরের নিচে যেন কেউ বিয়েতে রাজি না হয়, সে বিষয়ে কিশোর-কিশোরীদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। অভিভাবকদের সচেতন করতে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে ইউপি চেয়ারম্যানসহ সবাইকে।
নাসিরনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল হক বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের বিয়ের বিষয়ে জানতে পেরেছি।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম বলেন, জানতে পেরেছি এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি অভিভাবকদের সচেতন করতে। পরীক্ষার আগে বেশ কয়েকটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছি। কিন্তু আমরা চলে আসার পর আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে অনেক অভিভাবক কাবিন ছাড়া বিয়ে দিচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্টের উপজেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩০জুলাই রবিবার বিকালে উপজেলার আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। খেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল মিয়া, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ কবির হোসেন ও মোঃ মাজহারুল হুদা।
নাসিরনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে খেলায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অসীম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ লতিফ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার ও উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি নূর আলম শেখ, বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
খেলায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্টে নূরপুর লাহাজুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ১-০ গোলে পরাজিত করে নাসিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। অপরদিকে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্টে চৈয়ারকুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ১-০ গোলে পরাজিত করে লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়।
খেলা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ী দল, রানার্সআপ খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি বলেন, বর্তমান সরকার খেলাধুলার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। যার ফলে ক্রিকেট ফুটবলসহ সকল খেলায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এইটুর্ণামেন্ট জনপ্রিয়তা পেয়ে গ্রামগঞ্জে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। শুধু তাই নয়, খেলাধুলায় সম্পৃক্ত হওয়ায় আমাদের সন্তানরা বিপথগামী না হয়ে সঠিক পথের দিশা পাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা সদরের ফিরোজিয়া হাফিজিয়িা মাদরাসার হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদান করা হয়েছে। আজ ৫ এপ্রিল শুক্রবার বাদ জুমা মাদরাসা মসজিদে পাগড়ী প্রদান করা হয়।.
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি ও মাদরাসার দাতা মোঃ নাছির চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইমরানুল হক ভূইয়া।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়ার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদ্রাসা জামে মসজিদের খতিব মূফতি মাওলানা নজরুল ইসলাম, ইমাম ও প্রধান শিক্ষক হাফেজ মোঃ ইয়াইয়া মাহমুদ।
এসময় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ প্রধান শিক্ষক এবিএম ছালেম,সদস্য হাজী আলামিন চৌধুরী,ইলিয়াছ মিয়া,প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিমসহ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ,শিক্ষার্থী ও মুসল্লীগণ উপস্থিত ছিলেন। মাদ্রাসার ৩ জন হাফেজ মো: জাকির হোসেন,হাফেজ মো: আবুল খায়ের ও হাফেজ মো: রাকিবুল ইসলামের মাথায় পরিধান করান মাদ্রাসা জামে মসজিদের খতিব মূফতি মাওলানা নজরুল ইসলাম। নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে পুলিশের ভুয়া পরিচয়ধারী দুই ব্যক্তিসহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়দরকান্দি গ্রাম থেকে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশ পরিচয়ধারী ব্যক্তিদের ব্যবহৃত নিবন্ধনবিহীন তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ পরিচয়ধারী দুই ব্যক্তি হলেন নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের বড়নগর গ্রামের রাসেল মিয়া (২৪) ও সরাইল উপজেলা পাকশিমুল ইউনিয়নের তেলিকান্দি গ্রামের মো. রাসেল (২২)।
গ্রেফতার অপর ছয়জন হলেন নাসিরনগর উপজেলার জয়দরকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়া (৪৫), তাঁর বড় ভাই মানজু মিয়া (৪৮), ইছা মিয়া (৪৮), তাঁর ছেলে ইমরান মিয়া (২৩) এবং ইছা মিয়ার ছোট ভাই নান্নু মিয়া (৪৫) এবং সোহেল মিয়া (২৭)।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, জায়গাজমি নিয়ে কয়েক মাস ধরে জয়দরকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের আবদুর রহমানের বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে গত ৬ জানুয়ারি দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষ থেকে একাধিক মামলাও হয়েছে। রাত আটটার দিকে মো. রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে নিবন্ধনবিহীন তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয়জন জয়দরকান্দি গ্রামে যান। তাঁরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে আবদুর রহমানের লোকজনের বসতবাড়িতে ত্রাস সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে পুলিশ পরিচয় দেওয়া লোকজনের কথা ও আচরণ দেখে গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়। পরে খবর পেয়ে সরাইল থানার পুলিশ সদস্যরা জয়দরকান্দি গ্রামে গিয়ে ওই আটজনকে গ্রেফতার করেন।
এ সময় পুলিশের ভুয়া পরিচয়ধারী আরো চারজন পালিয়ে যান। পুলিশ তাঁদের ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করে। থানাহাজতে আটক পুলিশের ভুয়া পরিচয়ধারী দুই ব্যক্তি আজ ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে নিজেদের দায় স্বীকার করেন। তাঁরা দুলালের প্ররোচনায় গ্রামে গিয়ে এমনটি করেছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হাসান বলেন, ভুয়া দুই পুলিশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অপর ছয়জনকে আবদুর রহমানের করা মামলার আসামি হিসেবে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে।