স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার সুলতানপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ফ্রেন্ডশীপ কানেক্ট ব্যাচ-১৯৯৯ এর সদস্য মহিবুর রহমান বিপ্লবের পিতা রুস্তম খান (৯০) ও রবিউল ইসলাম রবিনের ছোট ভাই রাইসুল ইসলাম নোমান (৩২) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রুস্তম খান গত শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাড়িতে ও রাইসুল ইসলাম নোমান গত বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। এদিকে বিপ্লবের পিতা ও রবিনের ভাইয়ের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন ফ্রেন্ডশীপ কানেক্ট ব্যাচ-১৯৯৯ এর সদস্যরা। দুইজন মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় সংগঠনের পক্ষ থেকে আজ বিকেলে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। সুলতানপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন খুরশিদ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অনুষ্ঠিতব্য দোয়া মাহফিলে সংগঠনের সদস্যসহ শুভাকাক্সক্ষীদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন সংগঠনের অন্যতম সদস্য গোলাম সামদানী রুমান।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৬ মে রবিবার বিকালে নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদদূস।
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এস.আর.এম ওসমান গনির সজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি আব্দুল মান্নান সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহিদুল ইসলাম।
আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত গান কবিতা আবৃতি ও তার জীবনী আলোচনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিখোঁজের একদিন পর আশুগঞ্জ উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আরাফাত আবিদ (২১) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুগঞ্জের লা-ভিডা নামক একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আবিদের লাশ উদ্ধারের পর সন্ধ্যায় তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়। লাশ উদ্ধারের সময় আশুগঞ্জের হাসপাতাল থেকে আবিদের প্রেমিকা মাহিদা আক্তার তৃষাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তৃষা পুলিশকে জানায়, আবিদ আত্মহত্যা করছে। তবে আবিদের পরিবারের দাবি আবিদকে হত্যা করা হয়েছে। মৃত আবিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পশ্চিম পাইকপাড়ার প্রবাসী হেলাল উদ্দিনের ছেলে। গ্রেফতার হওয়া মাহিদা আক্তার তৃষার বাড়ি সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামে।
আবিদের স্বজনরা জানান, গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধন করার কথা বলে আবিদ বাসা থেকে বের হয়। এ সময় তার মোবাইলে একটি ফোন আসে। দুপুরে আবিদ মোবাইল ফোনে তার মাকে জানায় রাতের বেলায় সে বন্ধুদের সাথে থাকবে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবিদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। দুপুরে আশুগঞ্জের লা-ভিডা হাসপাতাল থেকে পুলিশ আবিদের লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে যান।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ঘাটুরা গ্রামের কাজী বাড়ির মাহিদা আক্তার তৃষা নামে একটি মেয়ের সাথে আবিদের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এই সম্পর্কের জের ধরে আবিদ তার বন্ধু আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর গ্রামের ইয়াছিন এবং প্রেমিকা মাহিদা আক্তার তৃষাকে নিয়ে তাদের পূর্ব পরিচিত আশুগঞ্জ উপজেলা সদরের রেলগেইট এলাকার অপর বন্ধু হযরত আলীর বাসায় যায়। সেখানে তারা রাত্রি যাপন করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইয়াছিন, হযরত আলী ও মাহিদা আক্তার তৃষা আবিদের লাশ নিয়ে আশুগঞ্জের লাভিডা হাসপাতালে যায়। খবর পেয়ে আশুগঞ্জ থানার পুলিশ হাসপাতাল থেকে আবিদের লাশ উদ্ধার ও প্রেমিকা তৃষাকে গ্রেফতার করে। আবিদের পরিবারের দাবি তৃষা, ইয়াছিন ও হযরত আলী আবিদকে পরিকল্পিত খুন করেছে।
আবিদের বাবা হেলাল উদ্দিন বলেন, বুধবার সকালে আমার ছেলে জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট সংশোধন করার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় তার মোবাইলে একটি কল আসে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি খবর পান আশুগঞ্জের একটি হাসপাতালে আবিদের লাশ রয়েছে। খবর পেয়ে তিনি আশুগঞ্জ গিয়ে ছেলের লাশ নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, আবিদকে পরিকল্পিত খুন করা হয়েছে। তিনি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চান।
স্থানীয় বাসিন্দা নাহিদ জানান, বুধবার সকালে ইয়াছিন নামে একটি ছেলে তাকে ফোন করে আবিদকে বাসা থেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে আশুগঞ্জে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান জানান, বুধবার দুপুরে আশুগঞ্জের লা-ভিডা নামক একটি হাসপাতাল থেকে আমরা আবিদের লাশ উদ্ধার করি। এ সময় হাসপাতালে লাশের সাথে তৃষা নামের এক তরুনী ছিলো। তৃষা আমাদেরকে জানায়, আবিদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বুধবার তারা পরিবারের অজান্তে বিয়ে করে আশুগঞ্জে তাদের পরিচিত এক বাসায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি টয়লেট থেকে এসে দেখেন আবিদ আত্মহত্যা করেছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আজাদ রহমান আরো জানান, আমরা আবিদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা ও তৃষাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে তৃষাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় এখনো কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুষ্ঠরোগ বিষয়ে সাংবাদিকদের সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহযোগিতায় ও দি লেপ্রোসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (প্রয়াস) এর উদ্যোগে আজ ২৩ জুলাই রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় কুষ্ঠরোগ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক ডাঃ মফিজুর রহমান ফিরোজ।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, দি লেপ্রোসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (প্রয়াস) এর টেকনিক্যাল সাপোর্ট অফিসার জুয়েল খিয়াং ও ফিল্ড ফেসিলেটর নূরে আলম।
কর্মশালায় বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ১৬জন কুষ্ঠরোগী সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩ জন, কসবায় ২ জন, নাসিরনগরে ৪ জন, আশুগঞ্জে ১ জন, বিজয়নগরে ১ জন,বাঞ্ছারামপুরে ৩ জন ও নবীনগরে ১ জন রয়েছে। তবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত জেলার আখাউড়া ও নবীনগর উপজেলায় কোনো কুষ্ঠরোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এর আগে ২০১৯ সালে ৫৪ জন, ২০২০ সালে ৩৮ জন, ২০২১ সালে ৩৭ জন ও ২০২২ সালে ৪৪ জন রোগী সনাক্ত করা হয়। সনাক্তকৃত রোগীদের ধরণ দেখে দুইভাগে ভাগ করে চিকিৎসা দেয়া হয়।
প্রাথমিক অবস্থায় রোগীদেরকে ৬ মাস ও গুরুতর রোগীদের ১২ মাস করে চিকিৎসা দেয়া হয়। ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়া ১২৯ রোগীর মধ্যে সবাই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ২০২২ সালের ৪৪ জন রোগীর মধ্যে ৩৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
তবে ২০২২ সালের ৯ জন ও ২০২৩ সালে ১৪ জনসহ মোট ২৩জন রোগী বর্তমানে ১২ মাসের চিকিৎসায় অর্ন্তভুক্ত হয়ে এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কর্মশালায় বলা হয়, এক সময় কুষ্ঠরোগীকে সমাজে বহু বঞ্চনার শিকার হতে হলেও এখন সে চিত্র পাল্টে গেছে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে কুষ্ঠরোগ শতভাগ নিরাময় সম্ভব। কুষ্ঠরোগ ব্যাকটেরিয়াজনিত ছোঁয়াচে রোগ হলেও চিকিৎসার আওতায় এলে ছোঁয়াচের মাধ্যমে অপর ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ার মাত্রাও বহুলাংশে কমে যায়।
কর্মশালায় কুষ্ঠরোগ সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ ১২ জুন সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের বিরাসার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ চলাকালে অর্ধশত ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এ নিয়ে নতুন ও পুরাতন কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এ ঘটনায় নতুন কমিটির আহ্বায়ক শাহীনুর রহমানের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। আজ সোমবার নতুন আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ আনন্দ মিছিল করার জন্য বিরাসার এলাকায় জড়ো হয়। এ সময় পুরাতন কমিটির আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী ও অন্য নেতৃবৃন্দ একই স্থানে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, কমিটি নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। একপক্ষ আরেক পক্ষকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।