চলারপথে রিপোর্ট :
দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের দিনাজপুর সদরের ট্রাক চাপায় ইজিবাইক চালক ইকরামুল নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবির) দুই নেপালী ছাত্র। আহতদের উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার খবরে সহপাঠীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
আজ ২ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুর ২টার দিকে দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের ফ্রেন্ডস অটো রাইস মিলের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইজিবাইক চালক ইকরামুল হক (৪০) দিনাজপুর শহরের রামনগর মহল্লার নিজামউদ্দিনের ছেলে। আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নেপালী ছাত্র হলেন, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদে অধ্যায়নরত ২১তম ব্যাচের নেপালি ছাত্র কফিল গাঈ (২২) এবং ১৭তম ব্যাচের মকবুল হোসেন (২৫)।
স্থানীয়, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কে দিনাজপুর শহর থেকে ইজিবাইকে চড়ে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ফ্রেন্ডস অটো রাইস মিলের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক যাত্রীবাহী ইজিবাইকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইক চালক একরামুল হক নিহত হন। গুরুতর আহত হন ইজিবাইকে থাকা হাবিপ্রবির দুই নেপালি শিক্ষার্থী। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে নিহত একরামুল হককে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। আহত দুই হাবিপ্রবি ছাত্রকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ট্রাকটি আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আটকে রাখে পরিস্থিতি শান্ত করে।
দিনাজপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদ হোসেন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ট্রাকটি আটক করা হলেও চালক ও হেলপার পালিয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ তুলে দেওয়া হয়েছে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার করা হয়।
আজ ৩১ জুলাই সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাজিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত। তিনি জানান, বেশ কিছুদিন যাবত পুলিশ কাজিপুর উপজেলায় চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারের অভিযান শুরু করেছে। এর আগেও উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৪টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে আরো ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল আলোচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। শপথও নিয়েছেন তিনি। কিন্তু এর আগেই সংসদ অধিবেশন শেষ হয়ে যায়। জীবনে প্রথমবার সংসদ সদস্য হয়েও অধিবেশনে যোগদান না করার আক্ষেপ তার। তাই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছেন অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।
১৯ নভেম্বর রবিবার দুপুরে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে তিনি দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী আসনে স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ থেকে জয়লাভ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি তাহের উদ্দিন ঠাকুর। এরপর গত ৫০ বছরে আর কেউ এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে জয়লাভ করতে পারেনি। এরমধ্যে ২২ বছর নৌকা প্রতীকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি এ আসনে। সর্বশেষ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবির মুখে উপ-নির্বাচনে নিজ দলীয় প্রার্থীকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
গত ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে অনুষ্ঠিত হওয়া উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা।
এদিকে গণমাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে আশুগঞ্জে দুটি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের সত্যতা পায় কমিটি। এ দুই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি অভিযুক্ত দুই কেন্দ্র ছাড়া জয়ী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহ আলম সাজুকে জয়যুক্ত করে গেজেট প্রকাশিত করে নির্বাচন কমিশন।
১৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী শাহজাহান আলম সাজুকে শপথবাক্য পাঠ করান। কিন্তু এর আগেই ২ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশন শেষ হয়েছে। ফলে শপথ নিলেও জাতীয় সংসদের কোনো অধিবেশনে যোগদান করতে পারেননি তিনি।
এ নিয়ে আক্ষেপের কথা জানালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। তিনি বলেন, একজন সংসদ সদস্য হয়ে অধিবেশনে যোগ দিতে না পারা অবশ্যই কষ্টের ব্যাপার। এরপরও বাস্তবতা মানতে হবে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য দুমাসের মধ্যে এ নির্বাচন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শপথ নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমি সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। অধিবেশনে না বসতে পারলেও ৫০ বছর পর আসনটি উদ্ধার হয়েছে তাতে প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়েছেন। পরবর্তী নির্বাচন ৭ জানুয়ারি হবে। ইনশাআল্লাহ জনগণ আমাকে আবারও বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। তখন সংসদ অধিবেশনে গিয়ে আমি সাধারণ মানুষের কথা হয়তো বলতে পারবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে থেকে সরে যাওয়ার কথা বলায় ট্রেনের চালককে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেছেন কয়েক জন যুবক। এতে ট্রেনের একটি জানালার গ্লাস ভেঙে যায়।
নরসিংদী রেল স্টেশনে সিলেটগামী আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের চালকের সঙ্গে তর্কে জড়ানোর জের ধরে মঙ্গলবার রাতে রেল স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এ ঘটনা ঘটে।
রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, ট্রেনটি ঢাকার বিমানবন্দর রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিলে ইঞ্জিনে চড়ে ভ্রমণ করতে চান নরসিংদীর পাঁচ তরুণ যাত্রী। ট্রেন চালক তাদের ইঞ্জিন থেকে নামিয়ে দিয়ে যাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট বগিতে ভ্রমণ করতে বলেন। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে চালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। একপর্যায়ে তারা ইঞ্জিন থেকে নেমে যান। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে ট্রেনটি নরসিংদী রেল স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাত্রাবিরতি দেয়। ওই সময় পাঁচ তরুণ ট্রেন চালকের সঙ্গে পুনরায় বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা রেল লাইনের পাথর কুড়িয়ে চালক বরাবর ছুড়ে মারেন। এতে চালক বেঁচে গেলেও ট্রেনটির ইঞ্জিনের একটি জানালা ভেঙে গেছে। পরে তরুণরা পালিয়ে যায়।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) উপপরিদর্শক কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, ইঞ্জিনে চড়ে ভ্রমণ করতে বাধা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে চালকের ওপর পাথর নিক্ষেপ করেন পাঁচ তরুণ। রেলওয়ে পুলিশ দৌড়ে তাদের ধরার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নরসিংদী রেল স্টেশনের মাস্টার ইমন খান বলেন, সিলেটগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি এই স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। পাথর ছুড়ে মারার ঘটনায় ২০ মিনিট ট্রেনটি থেমে ছিল। পরে ১০টা ৫ মিনিটে ট্রেনটি আবার গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে জানানো হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি এবং তপশিলের সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানাতে বঙ্গভবনে যান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী নির্বাচন নিয়ে তাঁরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেন।
বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে সিইসি বলেন, শীঘ্রই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। আমরা রাষ্ট্রপতিকে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়েছি। উনি শুনেছেন, সন্তুষ্ট হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেছেন, আসন্ন নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এ ব্যাপারে উনার সহযোগিতার প্রয়োজন হলে সে ব্যাপারে উনি আশ্বাস দিয়েছেন। আমরাও বলেছি, প্রয়োজনে আপনার সহযোগিতা আমরা কামনা করি। রাষ্ট্রপতি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে যেকোনো রকমের সহযোগিতা দিতে তিনি প্রস্তুত থাকবেন। গণতান্ত্রিক যে ধারাবাহিকতা, সাংবিধানিক যে ধারাবাহিকতা সেটা যেকোনো মূল্যে অব্যাহত রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন।
সিইসি বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি, সাংবিধানিকভাবে দায়িত্ব অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে আমরা নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে বদ্ধপরিকর। আমরা সকল রাজনৈতিক দল, সরকার ও জনগণের সহযোগিতা কামনা করে যাচ্ছি। আমরা আশ্বস্ত করেছি, সকলের সহযোগিতায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবিধানিক যে বাধ্যবাধকতা আছে তার আলোকে যথাসময়ে নিষ্কণ্টকভাবে সম্পন্ন করব।
তিনি বলেন, তফসিল ও নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি আমরা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি। যেকোনো মূল্যে ২৯ জানুয়ারির আগেই নির্বাচন করতে হবে। আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আজকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গেলাম। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সম্ভাব্য সময়সূচি নির্ধারণ করব। আমরা যেটা বলেছি, প্রথম সপ্তাহে বা দ্বিতীয় সপ্তাহে; এখনও সেই অবস্থানে আছি।