স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পানিতে ডুবে বোরহান উদ্দিন (০৩) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার খাড়েরা গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। শিশুটি খাড়েরা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।
নিহতের চাচা লোকমান হোসেন জানান, বোরহান উদ্দিনের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন সম্প্রতি বর্তমান নিজ বাড়ি থেকে কিছু দুরে নিজস্ব জমিতে নতুন বাড়ী বাধার জন্য একপাশে গর্ত করে মাটি কাটেন। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর খেলার ছলে শিশু বোরহান উদ্দিন সেখানে গিয়ে গর্তে পরে যায়। বিকেলে শিশু বোরহান উদ্দিনকে পরিবারের লোকজন দেখতে না পেয়ে আশেপাশে খোঁজাখুুজি শুরু করে। কোথাও খুঁজে না পেয়ে এক পর্যায়ে সন্দেহবশত সেখানে গর্তের পানিতে নেমে খোঁজ করলে মেলে শিশু বোরহান উদ্দিনকে। সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলার কুটি-চৌমুহনীতে অবস্থিত সেন্টাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু বোরহান উদ্দিনকে মৃত ঘোষনা করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় নিজ ঘরের খাটের ওপর পড়ে থাকা অবস্থা থেকে ছাইমা আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যৌতুকের দাবিতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ ছাইমার পরিবারের। এ ঘটনার পর থেকে ছাইমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
গতকাল ৮ মে বুধবার রাতে কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের কেয়াইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ইসমাইল মিয়া বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে কসবা থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
নিহতের বড় ভাই শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে তার ছোট বোন ছাইমা আক্তারের বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী কেয়াইর গ্রামের মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে কবির হোসেনের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য ছাইমার ওপর নির্যাতন শুরু করেন তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিয়ের একমাস পর তার স্বামী কবির হোসেন প্রবাসে চলে যান।
এদিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায় সময় তাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিতেন। বোনের সুখের জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। গত প্রায় ৪ মাস আগে প্রবাস থেকে ছাইমার স্বামী কবির হোসেন বাড়িতে এসে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতেন।
তিনি বলেন, বুধবার রাত ৭ টার দিকে বোনের জামাই কবির আমাকে ফোন করে জানান, আমার বোন আত্মহত্যা করেছে। খবর শুনে বোনের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই বাড়িতে কেউ নেই। তাদের ঘরের খাটের ওপর ছাইমার মরদেহ পড়ে আছে। মূলত তাকে হত্যা করে ওই পরিবারের লোকজন পালিয়েছেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহাম্মদ জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর গৃহবধূর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। নানা আয়োজন ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পালিত হল দিবসটি। এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে উপজেলার গোলচত্বরে সম্মুখ সমরের ¯ভৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সম্মুখ সমরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মুখ সমরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, বাংলাদেশ আইনসমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী, মোজাম্মেল হক গোলাপসহ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনেই পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আশুগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।
কসবা প্রতিনিধি :
দীর্ঘ চার বছর পর কাতার থেকে লাশ হয়ে দেশে ফিরেছে কসবা উপজেলার সামিউল ইসলাম সাইমন (২২)।
গতকাল বুধবার বিকেলে (বাদ আছর) নামাজে জানাযা শেষে সামিউলের লাশ তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। সামিউল ইসলাম সাইমন কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের মাইজখার গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
সামিউলের বড় ভাই মোঃ রফিক বলেন, তারা ৪ ভাই ও ৬ বোন। ১০ ভাই-বোনের মধ্যে সামিউল তৃতীয়। সামিউল দেশে থাকতে ইলেট্রিকের কাজ করতো।
পরিবারের হাল ধরতে গত চার বছর আগে সে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে পাড়িজমান। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর কাগজপত্রের ত্রুটির কারণে সে অবৈধ অভিবাসী হয়ে যায়।
এই অবস্থায় সে দেশে ফিরলে আর কাতারে প্রবেশ করতে পারবেনা। তাই গত ৪ বছরে সামিউল একবারও দেশে ফিরেনি। অবৈধ অধিবাসী হওয়ায় কাতারে তার নির্দিষ্ট কোন কাজ-কর্মও ছিলোনা। যখন যে কাজ পেতো তাই করতো।
গত ১৩ জানুয়ারি ভোরে কাতারের আল শামাল রোডে একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরেকটি প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে প্রাইভেটকারের আরোহী সামিউল সহ ৪ বাংলাদেশী প্রবাসী নিহত হয়।
বুধবার সামিউলের লাশ দেশে আসে। ৪ বছর পর প্রিয় সন্তানের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন সামিউলের বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্যরা।
বাদ আসর নিজ গ্রামের মাঠে নামাজে জানাযা শেষে সামিউলের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলাধীন ‘‘সেনাবাদী শহিদ মুক্তিযোদ্ধা সমাধি এবং গণকবর’’ এলাকা পরিদর্শনকালে জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহ বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দীর্ঘ নয়মাসের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়নগর, আখাউড়া ও কসবা উপজেলার বিস্তৃর্ন সীমান্ত অঞ্চল সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে। এসব যুদ্ধে বিপুল সংখ্যক মুক্তিযুদ্ধা হতাহত হয়েছেন। অনেক স্থানে গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লোকজনকে ধরে নিয়ে বধ্যভূমিতে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকশিত করার লক্ষে, এসব যুদ্ধক্ষেত্র, শহীদ সমাধি, গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠকদের স্মৃতি ফলক নির্মাণের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদ চলতি অর্থবছর থেকে এসব বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
তিনি গতকাল (বুধবার) আখাউড়া স্থলবন্দর সংলগ্ন ভারতীয় সীমান্তবর্তী সেনাবাদী শহীদ সমাধি ও গণকবর পরিদর্শন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তাঁর সাথে জেলাপরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দরা জানান, মুক্তিযুদ্ধের নয়মাসে বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত প্রায় দুইশত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাকে এখানে কবরস্থ করা হয়েছে, তাছাড়া এই এলাকায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী গণহত্যায় নিহত শহীদেরকেও এখানে দাফন করা হয়েছে। ভারতীয় সীমান্ত এলাকার শূন্য রেখায় গণকবরটি অবস্থিত হওয়ায়, ভারত সরকারের সম্মতির অভাবে অদ্যবধি এখানে স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়নি।
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান এবিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও সম্মতি গ্রহণ করে চলতি অর্থবছরেই জেলাপরিষদ থেকে ‘‘সেনাবাদী শহীদ সমাধি ও গণকবর’’ সংরক্ষণে প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌরসভার শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ৭ জানুয়ারি রবিবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ব্যক্তির নাম রুহন মিয়া (৫৩)। তিনি কসবা পৌর শহরের শাহপুর এলাকার আলমাছ মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুহন মিয়া শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় হঠাৎ তিনি অচেতন হয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. জামাল চৌধুরী বলেন, অচেতন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। ইসিজি ও অন্যান্য পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি মারা গেছেন। তিনি স্ট্রোক করে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।