অনলাইন ডেস্ক :
লক্ষ্মীপুরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত এখন জেলার মানুষদের কাঁপিয়ে তুলছে। দিনভর সূর্যের দেখা কিছুটা মিললেও সন্ধ্যা নামলেই পুরো এলাকা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে শীতের দাপটে অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষ। হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের। একই সঙ্গে দিন দিন বেড়েই চলেছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ বালাই। প্রতিনিয়ত বয়স্ক থেকে শুরু করে নারী-শিশুসহ সব বয়সী মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা বলছেন ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলে নিজেদের আরো সচেতন হতে হবে।
আজ ১২ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, তৃতীয় তলার শিশু ওয়ার্ডে প্রতিটি বেডে দুজন করে রোগী। ৮টি বেডের বিপরীতে মেঝেতেসহ মোট ২৪ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন ওই ওয়ার্ডে। তারা ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এদের কেউ জ্বর, ঠাণ্ডা, আবার কেউ সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছেন বলে জানান রোগীর স্বজনরা। ভর্তিকৃত রোগীদের কিছুটা উন্নতি হলেও প্রতিদিনই হাসপাতালে আসছেন নতুন নতুন রোগী। এতে করে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ২০-২৫ জন রোগী ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন। ইনডোর ও আউটডোরে প্রতিদিন শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গত কয়েকদিন থেকে এমন পরিস্থিতি চলছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সব হাসপাতালের চিত্র এখন একই রকম। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পাল্লা দিয়ে হাসপাতালগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে বয়স্কদের তুলনায় উদ্বেগজনক হারে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বর্তমানে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও শীতকালীন রোগে আক্রান্ত হওয়ার বড় ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশেষ করে শিশুদের গরম কাপড় পরানো, ঘন ঘন মায়ের দুধ সেবন করাসহ তাদের প্রতি বাড়তি নজর রাখা এবং সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিচ্ছি। এতো দিন খুব ভালোভাবেই চলেছে, বাকি যে সময়টা আছে সেটাও সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে রমনা কালী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এসে এ নিশ্চয়তা জানান তিনি।
এ সময় তার সাথে ছিলেন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান ও নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে সেনাপ্রধান বলেন, ‘শতাব্দীর পর শতাব্দী আমরা বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একসঙ্গে বসবাস করে আসছি। এটা আমাদের ঐতিহ্য। একজনের প্রতি অন্যজনের যে সহমর্মিতা, এটা অতীতে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা উৎসবমুখর সুন্দর পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে পারছেন, তা দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। শুধু ঢাকাতেই না, ঢাকার বাইরে সব জায়গায় আমাদের লোকজন মোতায়েন আছে।’
অনলাইন ডেস্ক :
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পুলিশের ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের কমান্ড্যান্ট (অতিরিক্ত আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে ৬ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে নতুন আইজিপি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত মাসেই চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের চুক্তির মেয়াদ দ্বিতীয় দফায় এক বছর বাড়ানো হয়েছিল। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এর আগে দেড় বছর চুক্তিতে আইজিপি পদে ছিলেন।
চলারপথে ডেস্ক :
দেশে নির্মিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসমূহে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসহ ওজু ও নামাজের আলাদা জায়গা রয়েছে।
এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশজুড়ে ৯,৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ৫৬৪টি মসজিদের মধ্যে ২শ’ মসজিদ উদ্বোধন করেছেন।
তিনি প্রথম দফায় ২০২১ সালের ১০ জুন ৫০টি মসজিদ, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় আরো ৫০টি এবং তৃতীয় দফায় ১৬ মার্চ আরো ৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করেন।
অবশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের জুন নাগাদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
আজ ১৭ এপ্রিল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশজুড়ে আরো ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন।
ইসলাম একমাত্র শান্তির ধর্ম, এর মূল বাণী দেশব্যাপী পৌঁছে দিতেই সারাদেশে মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) চতুর্থ পর্যায়ে ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্মের প্রচার-প্রসার, ইসলামী শিক্ষা যাতে আরও উন্নতমানের হয় সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা ২০১৩ সালে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছি। কওমী মাদরাসায় দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমানের মর্যাদা আমরা এনে দিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম ধর্ম হলো একমাত্র শান্তির ধর্ম। যে ধর্মে নারীদের অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) যখন ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করেছিলেন তখন ইসলাম ধর্ম প্রথম গ্রহণ করেন একজন নারী। তিনি ছিলেন তিনি ছিলেন বিবি খাদিজা (রা.)।
তিনি আজ তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে চতুর্থ ধাপে এসব মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ও মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ও সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলাকে অনুষ্ঠানে যুক্ত করা হয় এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা, আলেম-উলামাসহ সাধারণ মানুষ এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
এছাড়া হজযাত্রীদের জন্যে রেজিষ্ট্রেশান ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরী, অটিজম কর্ণার, দাফন পূর্ব আনুষ্ঠানিকতা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষা ব্যবস্থা, ইসলামিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও ইসলামের দাওয়াতের জন্যে সম্মেলন কেন্দ্র, ইসলামি বই বিক্রয় কেন্দ্র, মসজিদসহ দেশি বিদেশী অতিথিদের জন্যে থাকার সুবিধা থাকবে।
ইসলামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং দেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে শেখ হাসিনা দেশজুড়ে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল ইসলামি ভ্রাতৃত্ব ও এর মূল্যবোধ এবং সেইসাথে চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের সারমর্ম প্রচার করা, কারণ ধর্ম কখনই এগুলোকে সমর্থন করে না।
এছাড়া এটি সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচারের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতেও মনোনিবেশ ঘটাবে। ক্যাটাগরি এ এর আওতায় ৬৪টি জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এলিভেটর সুবিধা ও ২,৩৬০.০৯ বর্গ মিটার ফ্লোর স্পেসহ ৬৯টি চারতলা মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।
ক্যাটাগরি বি এর আওতায় প্রতিটির ১৬৮০.১৪ বর্গ মিটার ফ্লোরস্পেসহ ৪৭৫টি মসজিদ এবং ক্যাটাগির সি এর আওতায় উপকূলীয় এলাকায় প্রতিটির ২,০৫২.১২ বর্গ মিটার ফ্লোর স্পেসসহ ১৬টি মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।