ঢাকা।।
সভাপতি পদে বরাবরের মতোই নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা; সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরও পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।সম্মেলনে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে কোনো পরিবর্তন আসেনি।এনিয়ে দশমবার আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা; ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হলেন তৃতীয়বার।আজ শনিবার সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীন দলটির ২২তম সম্মেলন উদ্বোধনের পর বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বসে কাউন্সিল অধিবেশন।কাউন্সিলে নির্বাচনী অধিবেশনে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নামের প্রস্তাবও আসে।নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া পরিচালনা করতে গঠিত তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনের প্রধান ও দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন সভাপতি পদে শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক পদে কাদেরের নাম কাউন্সিলরদের বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করেন।
সারাদেশ থেকে আসা সাড়ে ৭ হাজার কাউন্সিলর সমস্বরে এই প্রস্তাব সমর্থন করেন।এর আগে পায়রা উরিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
বরিশাল প্রতিনিধি :
জলবায়ু সংকটের পাশাপাশি বায়ু দূষন প্রাণঘাতি হয়ে উঠেছে। ২০১৯ সালে নির্মল বায়ু আইনের খসড়া তৈরি হলেও তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। সরকার ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫’ এর অধীনে বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০২২ জারি করলেও এতে কোন সুফল মিলছে না। বায়ুদূষণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারকে এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে নির্মল বায়ু আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। বরিশালে পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক এক আলোচনা সভার বক্তারা এসব কথা বলেন।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘নির্মল বায়ু আইন ও নবায়নযোগ্য শক্তির প্রয়োজনীয়তা, সম্ভাবনা ও বর্তমান পরিস্থিতি’ বিষয়ক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুব প্লাটফর্ম ইয়ুথ ফর কেয়ার’র উদ্যোগে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, দ্য আর্থ সোসাইটি এবং ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ যৌথভাবে বিষয়ক এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বরিশাল জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোহেল মারুফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর হোসেন। এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলার পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসবি) ইকবাল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় প্রথম সারিতে বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত দুর্যোগে প্রাণহানি কমলেও, ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে। এ সংকট মোকাবিলায় জীবাশ্ম জ্বালানির বদলে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের কোন বিকল্প নেই। বায়ু দূষণ সহ সকল ধরনের দখল-দূষণ বন্ধে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালাতে হবে।
আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, সবার সহযোগিতায় বরিশাল এলাকাকে জলবায়ু ঝুঁকি মুক্ত করতে হবে। তরুণরাও এই কাজের অংশ হয়ে একসাথে ইতিবাচক কাজের মধ্যে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি এ শহরকে একটি জলবায়ু নিরাপদ শহর হিসেবে বিশ্বদরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সমন্বিত কাজের পাশাপাশি নাগরিকদের জনমনে সচেতনতা সৃষ্টিতে তরুণরাই এগিয়ে আসবে। সবুজায়নের কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দুষণকারী প্রতিষ্ঠানে কার্বন ট্যাক্স বসানোর পাশাপাশি ইটভাটা রুখে দিতে হবে, সবুজ ইট ও হলোগ্রামের ব্যবহার বাড়ানো, গণপরিবহন ও সাইকেলিংয়ের প্রসার ঘটাতে হবে, পৃথক লেন করা, বায়ু দুষণ ও জীবাশ্ব জ্বালানির বিরুদ্ধে জনমত ও আন্দোলন গড়ে তোলার সুপারিশ জানানো হয়। আলোচনা সভায় মূল তথ্যপত্র উপস্থাপন করেন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান। যুব নেতৃত্বের প্রচারাভিযান ও ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন আর্থ সোসাইটির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোসলেহ উদ্দিন সূচক ও প্রোগ্রাম অফিসার মোহাম্মাদ মনোয়ারুল ইসলাম (মনিব)।
মূল তথ্যপত্রে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান বলেন, বায়ুদূষণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারকেও এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে বায়ুদূষণ প্রতিরোধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন জরুরি। বিশ্ব বর্তমানে প্রাক শিল্প বিপ্লবের সময়ের ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী রাখতে হবে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এই মুহূর্তে আমরা বৈশি^ক উষ্ণতায় ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের দিকে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে বায়ু দূষণ কমাতে আমাদের অবশ্যই নবায়নযোগ্য শক্তির উপর নির্ভরতা বাড়াতে হবে এবং অনবায়নযোগ্য শক্তির উপর নির্ভরতা কমাতে হবে। পাশাপাশি নির্মল বায়ু আইন অবিলম্বে পাশ করতে হবে, প্রয়োগ করতে হবে। সৌরশক্তির উপর নির্ভরতা বাড়াতে নবায়নযোগ্য শক্তিকে ব্যবসার একটি অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ব্যবসায়ীদের আহবান জানান তিনি। আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক রাশেদ খান, বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক জালিস মাহমুদ, বীর প্রতীক মহিউদ্দিন মানিক, বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাব এর সভাপতি কাজী আবুল কালাম আজাদ, বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন খন্দকার, বরিশালের বেলা প্রতিনিধি লিঙ্কন হোসেন, শহীদ আব্দুর রব সেরানিয়াবাত প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, প্রতীকি যুব সংসদের চেয়ারপার্সন আমিনুল ইসলাম’র (ফিরোজ মোস্তফা) প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম পর্বের (বরিশাল, সিলেট, রংপুর বিভাগ) লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় ৯ হাজার ৩৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি এ পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
গত ৮ ডিসেম্বর রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় একযোগে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন।
এদিকে, অনিয়ম-জালিয়াতি এবং হরতাল-অবরোধের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ায় ১ লাখ ৫৮ হাজার প্রার্থী অনুপস্থিত দাবি করে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন কিছু প্রার্থী। তারা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত আবেদন এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিও করেছেন।
পাশাপাশি ৫৪ জন প্রার্থীর পক্ষে ফাতেমা আক্তার নামে একজন প্রার্থী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন। এ রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফল প্রকাশ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে দুই মন্ত্রণালয়সহ ১৩ অধিদপ্তর-দপ্তরে নোটিশও পাঠিয়েছেন। তবে নিয়োগ সংশ্লিষ্টরা এ নোটিশ পাননি বলে জানিয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বের বর্ধনশীল পাঁচটি অর্থনীতির একটি। জিডিপিতে আমরা বিশ্বের ৩৫তম, ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২০তম জিডিপির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হবে বলে আমরা আশা রাখি।
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘কমনওয়েলথ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড ফোরাম ২০২৩’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও কমনওয়েলথ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ বছর এবং সামরিক সরকারের পরবর্তী বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ মন্দার কবলে পড়েছিল।
তিনি বলেন, ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সুচিন্তিত এবং পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকি। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতার আসার পর সকল উন্নয়নের কাজ থমকে যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর আমরা দেশকে সুপরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাই। আমরা স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে দেশ গঠনের কাজে মনোনিবেশ করি। গণতান্ত্রিক পরিবেশ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সরকারের ধারাবাহিকতা এবং পরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মসূচি দ্রæত বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়নে ভ‚মিকা রেখেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রয়োজন উন্নয়ন সহযোগীদের সমর্থন, আমাদের প্রয়োজন অধিকতর টেকসই বিনিয়োগ। বিনিয়োগ বিকাশের পূর্বশর্ত হিসেবে আমার সরকার যে কার্যক্রমগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করেছে, তা হলো সাংগঠনিক সংস্কার, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ গঠন, বিনিয়োগকারীদের জন্য আকষর্ণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান এবং বিনিয়োগ পরবর্তী সেবা নিশ্চিতকরণ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রায় সকল খাতই উন্মুক্ত। তবে এর মধ্যে কৃষিপণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুত, চিকিৎসা উপকরণ, গাড়ি ও জাহাজ নির্মাণ, তথ্য প্রযুক্তিসহ অনেক খাতে অধিক বিনিয়োগ করা যেতে পারে। এ সকল খাতে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি ব্যবসা হতে উদ্ভূত লাভ/ডিভিডেন্ড নিজ দেশে ফেরত নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া সহজতর করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের কাছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বিডা অনলাইনভিত্তিক ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছে। এর মাধ্যমে ২৬টি সংস্থার ৭৮টি সেবা একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগের পূর্ব শর্ত হচ্ছে অবকাঠামো উন্নয়ন। এজন্য আমরা সমগ্র দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ১০৯টি হাইটেক এবং সফটওয়্যার প্রযুক্তি পার্ক এবং আইটি প্রশিক্ষণ এবং ইনকিউবিউশন সেন্টার স্থাপন করছি। যেখানে বৈদেশিক বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। আমাদের সড়ক, রেল এবং আকাশপথে যোগাযোগ উন্নত হচ্ছে। দেশের প্রায় সকল মহাসড়ক চার বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীত করা হয়েছে বা হচ্ছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলা সরাসরি রাজধানী ঢাকা এবং দেশের অন্য অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। পদ্মা সেতু দিয়ে শিগগিরই ঢাকার সঙ্গে খুলনার রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর তলদেশ দিয়ে শুধু বাংলাদেশেই না, দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল চালু হবে শিগগিরই। চট্টগ্রাম থেকে পর্যটন শহর কক্সবাজারে রেললাইন নির্মাণ কাজ দ্রæত এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, ঢাকায় গত বছর মেট্রোরেলের একাংশ এবং কয়েকদিন আগে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ উদ্বোধন করা হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এসব অবকাঠামোর পুরো অংশ চালু হলে ঢাকায় গণপরিবহন ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
সরকারপ্রধান বলেন, এক সময় বিদ্যুতের অভাবে সাধারণ গ্রাহক তো বটেই, কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হতো। এখন দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন। ২০০৬ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৩,৭৮২ মেগাওয়াট। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৫,২২৭ মেগাওয়াট। জ্বালানি ব্যবস্থাপনার জন্য ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করা হয়েছে। ভাসমান টার্মিনাল থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কমনওয়েলথ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড ফোরামের চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ড এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমি নিয়ে বিরোধ মীমাংসায় ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন জেলা জজরা। পাশাপাশি প্রয়োজন মনে করলে সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজদেরও সরকার ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে নিস্পত্তির জন্য বিচারক হিসেবে নিয়োগ করতে পারবে। এমন বিধান যুক্ত করে ১৯৫০ সালের স্টেট অ্যাকুইজেশন অ্যান্ড ট্যানেন্সি অ্যাক্ট (রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত্ব আইন) সংশোধনরে প্রস্তাব উঠেছে সংসদে। বুধবার সংসদের বৈঠকে এ সংক্রান্ত ‘স্টেট অ্যাকুইজেশন অ্যান্ড ট্যানেন্সি (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’ বিলটি উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
নতুন এই সংশোধনী পাস হলে ভূমি জরিপ সংক্রান্ত মামলা নিস্পত্তির দীর্ঘসূত্রিতা কাটবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করছেন।
বিদ্যমান আইনে বলা আছে, ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন যুগ্ম জেলা জজেরা। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার এই বিচারক নিয়োগ দেবে। এই বিধানের সঙ্গে নতুন ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এভাবে বিচারক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সরকার যুগ্ম জেলা জজদের ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজের ক্ষমতা দিতে পারবে। এছাড়া ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনাল থেকে স্থানান্তর করা মামলা নিস্পত্তির জন্য এক বা একাধিক সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে সরকার নিয়োগ দিতে পারবে।
বিদ্যমান আইনে বলা আছে, ভূমি জরিপ আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক অথবা সাবেক বিচারক। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এই আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়নি।
আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘২০০৪ সালে আইন সংশোধন করে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান করা হয়। ওই বিধানে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে জেলার যুগ্ম জেলা জজদের মধ্য থেকে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক অথবা সাবেক বিচারকদের মধ্য থেকে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালে বিচারক নিয়োগের বিধান করা হয়। পরবর্তীতে মামলার সংখ্যার তুলনায় ট্রাইব্যুনাল কম হওয়ায় মামলা নিস্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নিয়োগে সমস্যার কারণে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন না হওয়ায় জনগণের বিচার প্রাপ্তি বিঘ্নিত হয়। মামলা নিস্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা দূরীকরণ এবং যথাসময়ে জনগণের বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতমাত নিয়ে আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
পারিবারিক আদালত বিল
পারিবারিক আদালত আইনের অধীনে বিচারিক আদালতে হওয়া মামলার রায়ের বিরুদ্ধে জেলা জজ মর্যাদার অন্যান্য আদালতেও আপিল করা যাবে। এছাড়া পারিবারিক আদালতের মামলার কোর্ট ফি ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকার প্রস্তাব করে সংসদে একটি বিল উঠেছে। ‘পারিবারিক আদালত বিল, ২০২৩’ শিরোনামে বিলটি উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
গত বছরের ৩ জুলাই বিলটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পায়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল হওয়ায় ফ্যামিলি কোর্টস অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৫ বাতিল করে বাংলায় নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছে।
আগের আইনে বিচারিক আদালতে হওয়া এ সংক্রান্ত মামলার আপিল শুধু জেলা জজের আদালতে করার সুযোগ ছিল। এতে জেলা জজের ওপর মামলা শুনানির চাপ বাড়ছিল। মামলার চাপ কমাতেই আইনে এই সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, জেলা পর্যায়ে আরও জজ আছেন, নারী-শিশু বা শ্রম আদালত। সরকার গেজেট জারি করে কোনো জেলাতে আপিলের জন্য অতিরিক্ত মামলা আছে, সেক্ষেত্রে জেলা জজ পর্যায়ের অন্যান্য যে জজরা রয়েছেন, তাদেরও আপিল আদালত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।
উত্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, এই আদালতে মামলার কোর্ট ফি বর্তমানে ৫০ টাকা রয়েছে। সেটা বাড়িয়ে ২০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে দাম্পত্য কলহ, তালাক, বিয়ে এবং শিশুদের ভরণপোষণের বিষয়গুলো রয়েছে।
এটুআই নামে নতুন সংস্থা করতে সংসদে বিল
পাবলিক সার্ভিসের ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত করা এবং নাগরিকের জীবনমানে সৃষ্ট সেবা অধিকতর কার্যকর ও টেকসই করার জন্য এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) নামে একটি নতুন সংস্থা করা হচ্ছে। এজন্য এজেন্সি টু ইনোভেট বিল ২০২৩ জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে। মূলত বর্তমান ‘এসপায়ার টু ইনোভেট’এর প্রতিস্থাপক হিসেবে স্থায়ী কাঠামো হবে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট’। বুধবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিলটি সংসদে তোলেন।
বিলে বলা হয়েছে, এই আইন কার্যকর হওয়ার পর সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে এটুআই নামে একটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করবে। এজেন্সি হবে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। এই সংস্থার ১৫ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রী হবেন এর সভাপতি।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “ডিজিটাল প্রযুক্তিভিত্তিক সেবার উদ্ভাবন ও উন্নয়ন, উদ্ভাবনী সংস্কৃতির বিকাশ, পাবলিক সার্ভিসের ইনক্লুসিভ ডিজিটাইজেশন ত্বরান্বিতকরণ, জ্ঞানভিত্তিক সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠা, জনগণের দোরগোড়ায় বিভিন্ন ডিজিটাল পরিষেবা প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালযে়র অধীন ‘একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ প্রকল্প এবং বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন ‘এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)’ প্রকল্প নামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও দপ্তর/সংস্থাকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সেবা প্রদানসহ ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, ই-নথি, ডি-নথি, শিক্ষক বাতায়ন ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, জাতীয় তথ্য বাতায়ন, জাতীয় কলসেন্টার- ৩৩৩ ইত্যাদির মাধ্যমে স্বল্প সমযে় ও স্বল্প ব্যযে় উন্নত সেবা প্রদানে ‘এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)’ মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। পাবলিক সার্ভিসের ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিতকরণ এবং নাগরিকের জীবনমানে সৃষ্ট সেবা অধিকতর কার্যকর ও টেকসই করার জন্য ‘এসপায়ার টু ইনোভেট’র প্রতিস্থাপকরূপে স্থায়ী কাঠামো হিসেবে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই)’ নামে একটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করা এই আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নকে প্রকারান্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’র পুনর্জাগরণ বলা যেতে পারে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) আইন-২০২৩ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
চলারপথে রিপোর্ট :
‘সাগর-রুনি হত্যা মামলার সঠিক তদন্তের জন্য পুলিশকে ৫০ বছর সময় দিতে হবে’ আইনমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের বিষয় জানতে চাইলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেন, এটা বিতর্কের প্রশ্ন না। আমার কষ্ট হয়। আপনাদের জন্য ভালো কথা বললেও আপনারা অন্য ভাবে নেন। আমি বলেছি, যারা সত্যিকারের এই অপরাধটা করেছে তাদেরকে ধৃত করার জন্য সবরকম চেষ্টা করেও যদি সময় লাগে এবং আপেক্ষিক ভাবে আমি বলেছি ৫০ বছরও যদি লাগে। কিন্তু যারা এই অপরাধ করেছে তাদেরকে ধরার জন্য যত সময় লাগুক তাদেরকে আমরা ধরবো। এই কথাকে আপনারা (সাংবাদিক) মনে করেছেন যে, ৫০ বছর লাগবে।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী আরো বলেন, আমার কথা হচ্ছে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। আসল অপরাধিকে ধরা উচিত। আমাদের আইনী কাঠামোতে বলা হয়, যে অপরাধি নয়, তাকে হয়রানি করা যাবে না। প্রকৃত অপরাধীকে ধরতে হবে। সেই কারণে আমি এই কথা বলেছি। আপনারা (সাংবাদিক) গেলেন ক্ষ্যাপে। আমি বুঝলাম না ভালো কথা বললেও আপনারা এরকম ক্ষেপে যান কেন, প্রশ্ন তাঁর।
এই মামলাটির তদন্ত ধীর গতি হচ্ছে কিনা এবং এরকম বিলম্বে তদন্তের আর নজির আছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আমি যেই কারণে সময়ের কথাটা বলেছি। পৃথিবীতে এরকম অনেক মামলা আছে। ৪২ বছর পরে ইউনাইটেড কিংডমে (যুক্তরাজ্য) একটি খুনের মামলার আসামীদেরকে ধরতে পেরেছে। এমেরিকায় কিছু দিন আগে ২৪ বছর পরে একটি খুনের মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে। আমার কথা হচ্ছে-পুলিশ চেষ্টা করছে। তাদের তদন্ত চলছে। প্রকৃত আসামীকে এখন পর্যন্ত তদেেন্ত ধরতে পারছে না, এই জন্য তদন্তে সময় লাগছে।
তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, আপনারা কি চান তদন্ত বন্ধ হয়ে যাক। আমি এই কারণেই বলেছি, যতক্ষণ পর্যন্ত অপরাধিকে না ধরা হবে ততদিন পর্যন্ত তদন্ত চলবে।
এর আগে ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে আইনমন্ত্রী আনিসুল সকাল সোয়া দশটায় আখাউড়া জংশন ষ্টেশনে এসে পৌঁছেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। তিনি ২ দিনের সফরে নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসেন। তিনি বিকালে কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনায় যোগদান করবেন। পরদিন আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নে একটি সেতু উদ্বোধন এবং দলীয় জনসভায় যোগদান করার কথা রয়েছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আতাউর রহমান নাজিম, আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন, উপজেলা মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক পিয়ারা আক্তার পিওনা প্রমুখ।