ঢাকা।।
সভাপতি পদে বরাবরের মতোই নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা; সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরও পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।সম্মেলনে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে কোনো পরিবর্তন আসেনি।এনিয়ে দশমবার আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা; ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হলেন তৃতীয়বার।আজ শনিবার সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীন দলটির ২২তম সম্মেলন উদ্বোধনের পর বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বসে কাউন্সিল অধিবেশন।কাউন্সিলে নির্বাচনী অধিবেশনে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নামের প্রস্তাবও আসে।নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া পরিচালনা করতে গঠিত তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনের প্রধান ও দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন সভাপতি পদে শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক পদে কাদেরের নাম কাউন্সিলরদের বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করেন।
সারাদেশ থেকে আসা সাড়ে ৭ হাজার কাউন্সিলর সমস্বরে এই প্রস্তাব সমর্থন করেন।এর আগে পায়রা উরিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন’স ডে। গোটা বিশ্বের প্রেমিক-প্রেমিকারা এদিন মেতে ওঠেন আনন্দ উৎসবে।
উপহারের দোকান, কফি শপ, শপিং মল সর্বত্রই এই দিনে উৎসবের আমেজ পাওয়া যায়। নতুন প্রজন্মের কাছে ভ্যালেন্টাইনস ডে বছরের ক্যালেন্ডারে এক জরুরি দিনও বটে। ভালোবাসার রঙে রঙে তারা রাঙিয়ে তোলেন ভ্যালেন্টাইনস ডে’কে।
নিউইয়র্কে আনন্দঘন পরিবেশে ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তবে প্রবাসে অনুষ্ঠানের চেয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় সরব থাকেন তারা। বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রী তাদের রঙিন ছবি দিয়ে রাঙিয়ে তোলেন ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম।
ভালোবাসা দিবসকে অন্যভাবে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্স উৎসবও বলা হয়। একটি বার্ষিক উৎসবের দিন যা ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা এবং অনুরাগের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হয়। প্রথম দিকে এটি সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক একজন অথবা দুজন খ্রিস্টান শহীদকে সম্মান জানাতে খ্রিস্টধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল। পরবর্তীতে লোক ঐতিহ্যের ছোঁয়ার মধ্যে দিয়ে এটি বিভিন্ন দেশে আস্তে আস্তে প্রেম ও ভালোবাসার সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক একটি আনুষ্ঠানিক দিবসে পরিণত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হয়ে থাকলেও বাংলাদেশসহ অধিকাংশ দেশেই দিনটি ছুটির দিন নয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক চোরাচালান, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ দমন করতে রেলওয়ে পুলিশকে আরো সক্রিয় হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রেলওয়ে পুলিশের সেবার মান বাড়ানোর বিষয়েও কাজ চলছে। আজ ২৬ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি সরদার তমিজউদ্দীন আহমেদ একথা বলেন। এর আগে তিনি আখাউড়া ও গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, রেলপথ ব্যবহার করে মাদক পাচার প্রতিরোধে রেলওয়ে পুলিশের উপস্থিতি আরো বাড়ানো হবে। যেসব স্টেশনে এখনো পুলিশ মোতায়েন নেই, সেসব স্থানে দ্রুত সময়ের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত আইজিপি আরও বলেন, কসবা রেলস্টেশনে একটি অস্থায়ী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন এবং আখাউড়া রেলস্টেশনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এতে করে রেলপথে মাদক নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হবে। সরদার তমিজউদ্দীন বলেন, এখন থেকে রেলওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ একসঙ্গে কাজ করবে। আমরা সবাই মিলে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করব।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি (এইচআরএম অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স), রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স শেখ মো. রেজাউল হায়দার, ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট কর্মকর্তা, রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স মো. গোলাম রউফ খান, পিপিএম (বার), সিলেট রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার
মোহাম্মদ মেহেদী হাসান,আখাউড়া রেলওয়ে সার্কেলের তদারকি কর্মকর্তা মোঃ এরশাদুর রহমান,আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম. শফিকুল ইসলাম, স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট মো: নূর নবী,আখাউড়া রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী চৌকির (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২০০টি ভাষণ সংবলিত ‘ভায়েরা আমার’ শিরোনামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১২ জুন সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের শুরুতেই বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি। ‘ভাইয়েরা আমার’ নামটি প্রধানমন্ত্রীর নিজের দেওয়া। এ ছাড়া বইটির ভূমিকাও লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষণসমগ্রটির সংগ্রহ, সংকলন ও সম্পাদনা করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম। বইটি প্রকাশ করে জিনিয়াস পাবলিকেশন।
জাতির পিতার এই ভাষণসমগ্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এতে এখন পর্যন্ত পাওয়া সকল ভাষণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বইটির দুইশ’ ভাষণের মধ্যে বাংলাদেশ বেতারের আর্কাইভস থেকে প্রাপ্ত টেপ/সিডি হতে একশ’র বেশি ভাষণ সংগ্রহ করা হয়; যা শ্রুতিলিখনের মাধ্যমে বইটিতে সংযোজন করা হয়েছে। প্রতিটি ভাষণের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা যথাযথভাবে যাচাই করা হয়েছে। বইটিতে প্রতিটি ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হাইলাইট করে আলাদাভাবে প্রদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া সূচিতে ভাষণের বিষয়বস্তু, সাল ও তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতির পিতার ভাষণ শুধু বাংলাদেশেই নয় সমগ্র বিশ্বে এক অমূল্য দলিল। ভাষণসমগ্রটির ভূমিকাতে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘নতুন প্রজন্ম, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু পড়া নয়, সেগুলোর মর্মার্থ অনুধাবন করে নিজ নিজ জীবনে অনুশীলন করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, ‘জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন। এই সোনার মানুষ হতে হলে জাতির পিতার আদর্শ ও জীবনাচরণ চর্চা করা অত্যাবশ্যক।’
ভাষণসমগ্রটি রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী, ও আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে মর্মে মন্তব্য করেন এর সম্পাদক নজরুল ইসলাম।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১০ মার্চ রবিবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সবশেষ ২০২২ সালের ১৯ জুন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব পদে আরও দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান ইহসানুল করিম। তিনি ২০১৫ সাল থেকে সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করছিলেন।
ইহসানুল করিম রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
এনটিভিতে প্রচারিত জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা ‘পিএইচপি কুরআনের আলো’-এর রানার্সআপ হাফেজ ক্বারী সালমান ফারসিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ ২৯ এপ্রিল শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার খান্দুরা গ্রামে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য আলেম-উলামা ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে তাকে স্বর্ণপদক দেয় সৈয়দ মুর্শেদ কামাল স্মৃতি সংসদ।
সৈয়দ মাসউদ বখত কায়েদের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শায়খ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আজহারী, পীর মাওলানা আলাউদ্দিন আল কাদেরী, নাসিরনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ হুসেন চিশতী, খান্দুরা ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জহিরুল ইসলাম, সৈয়দ মুর্শেদ কামাল স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ সাজ্জাদ মুর্শেদ সোহান, সৈয়দ রাফিউল আব্দাল এবং সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম সৈয়দ মুর্শেদ কামালের বড় সন্তান সৈয়দ শাফায়েত মুর্শেদ শুভ।