বাংলাদেশে সকল ধর্মের সম অধিকার এবং সহাবস্থান নিশ্চিত করেছে আওয়ামীলীগ সরকার
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোঃ আরিফ হোসেন বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ কলেজে শিক্ষার মান সুরক্ষার জন্য আমাদের শিক্ষকগণ যথাসাধ্য শিক্ষাদান করে যাচ্ছেন।’
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ১০ টায় কলেজের এলটি হলে আয়োজিত অভিভাবক ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এক অভিভাবক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন ভালো রেজাল্ট করতে পারে এ ব্যাপারে আমরা খুবই কমিটেড হয়ে আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। এর বিপরীতে আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীগনকেও পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে হলে কমিটেড হয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। অভিভাবকগনকে তাদের সন্তানদের পড়াশোনার উপর নজরদারি বাড়াতে হবে। সন্তানদের নৈমিত্তিক বিচরণের খবরা-খবর রাখতে হবে। পড়াশোনায় ভালো ফলাফল করতে হলে শিক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই নিয়মিত ক্লাসে যোগদান করতে হবে। পরীক্ষায় যারা ভালো ফলাফল করে থাকে, দেখা গেছে তাদের অধিকাংশই কলেজে নিয়মিত ক্লাস করার ফলেই পরীক্ষায় এমন ভালো রেজাল্ট করেছে। যারা নিয়মিত ক্লাসে আসবেনা, তাদের উপস্থিতির হার কম হলে এবং টেস্ট পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে না পারলে কোনভাবেই তাদেরকে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না।
এ ব্যাপারে আমরা কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিয়মিত ক্লাস করবে না, পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হবে না, অথচ ফাইনাল পরীক্ষা এলেই পরীক্ষায় বসতে চাইবে এমন পরীক্ষার্থী আমরা চাই না।’ তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, তোমরা মনে রাখবে আমরা শিক্ষার্থী চাই, পরীক্ষার্থী চাই না। তুমি মেধাবী হয়ে গড়ে উঠলে এটি যেমন তোমার নিজের আত্মসম্মানের বিষয় হবে, তেমনি তোমার পরিবারও তোমাকে নিয়ে গর্ব করবে, সর্বোপরি তোমার এই মেধাবীপনায় উপকৃত হবে দেশ ও জাতি। কেননা তোমরাই একদিন মেধাবী উত্তর-প্রজন্ম হয়ে দেশের নেতৃত্বভার গ্রহণ করবে। মনে রাখবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে মেধাদীপ্ত জাতি গড়ার কোন বিকল্প নেই।’
অভিভাবক সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মোহম্মদ হামজা মাহমুদ, প্রফেসর আবু সালেহ মো: নাম উদ্দিন, প্রফেসর খালেদ হোসেন খান, এ কে এম ওবায়দুল হক সহযোগী অধ্যাপক গণিত, মো: কামাল হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক গণিত, মো: আনারুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক মো: ফরিদ মিয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্ত ও পুণ্যার্থীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্নঘাট তিতাস নদীর তীরে এসে সমবেত হয়। পরে তারা তিথি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গঙ্গাস্নানে অংশ নেয়।
এসময় ভক্তরা পিতৃ-পুরুষের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় নদীর তীরে বসে পুরোহিতের মাধ্যমে তর্পনবিধি পালন করে পবিত্র মন্ত্র জপ করেন। নদীর পবিত্র জলে এই গঙ্গাস্নানের মধ্য দিয়ে ভক্তরা পরিবারের মঙ্গল কামনার পাশাপাশি দেশ ও জাতির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করেছেন।
গঙ্গাস্নানে অংশ গ্রহন শেষে খোকন কান্তি আচার্য্য বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারো বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে এই গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শাস্ত্রে বলা হয়েছে এই গঙ্গা স্নানের মধ্য দিয়ে জড়ো দেহের পাপ মোচন হয়। যেখানে ভক্তি সহকারে ভক্তরা সমবেত হন, সেখানে ভগবান বিরাজমান থাকেন। গঙ্গাস্থানের মধ্য দিয়ে মনের বাসনা পূর্ণ হয়। সকলেই পরম সুখ লাভ করে থাকেন।
মায়া রানী মোদক জানান, গঙ্গাস্নানের মধ্য দিয়ে আমি নিজের পরিবারের জন্যে মঙ্গল কামনা করেছি। দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় শান্তি কামনা করেছি। ভগবান যেন সবার মঙ্গল করেন।
সুবল দাস বলেন, তিতাস নদীর পবিত্র জলে স্নানের মধ্যদিয়ে ভগবানের কাছে পাপ মুক্তির জন্যে প্রার্থনা করেছি। তিনি সকলের যেন মঙ্গল করেন সেই প্রার্থনা ও করেছি।
গঙ্গাস্নান পরিচালনা কমিটির সভাপতি রতন রায় কর্মকার জানান, গঙ্গাস্নানের জন্য একটি পাকা ঘাট জরুরি দরকার। আমরা স্থানীয় ভাবে বালির বস্তা ফেলে ঘাটটিকে স্নানের জন্য উপযোগী করেছি।
এছাড়া গঙ্গাস্নানের জন্য যে ঘাটটি আছে, সেটি দখল দূষণের কবলে পড়ে অনেকটাই শীর্ণকায়ে পরিণত হয়ছে। আমরা এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর কাছে ঘাটটি রক্ষায় সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
এদিকে ঐতিহ্যবাহী এ গঙ্গাস্নানকে কেন্দ্র করে তিতাস নদীর তীর ঘেষে বসেছে লৌকজ মেলা। মেলায় নাগরদোলা, হরেক রকম বাহারী খাবার মুড়ি-চিড়া, মাঠা, তিল্লাই, বাতাসাসহ মাঠির তৈরী বাহারী খেলনা দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অবৈধ সীমানা প্রাচীর, টিনের ঘর ও চার চালা টিনের ঘর উচ্ছেদ করে প্রায় তিন শতক খাস জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামে এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার সুলতানপুর ও রামরাইল ইউনিয়নের অধীনে সেন্দ মৌজায় রামরাইল ইউনিয়নের শিলাউর গ্রামের সৈয়দ জাকির হোসেন বাহারের ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা রয়েছে। জাকির হোসেনের জায়গার উত্তর পাশে রয়েছে সরকারি রাস্তা। সরকারি সার্ভেয়ার নিয়োগ করে সরকারি রাস্তার সীমানা নির্ধারণের জন্য ২০১৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জাকির হোসেন বাহার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। ওই বছরের ৮ মার্চ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সার্ভেয়ারকে নিয়ে মাপঝোঁক করে সরকারি রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করেন।
সে সময় ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা ও রাস্তার সীমানার উপর ছয়টি পিলার স্থাপন করে জাকিরকে বুঝিয়ে দেন। কিন্তু সেন্দ গ্রামের চার ভাই সেলিম মিয়া, মনির মিয়া, খোকন মিয়া ও মামুন মিয়া নিষ্পত্তিকৃত সীমানা নির্ধারণ লঙ্ঘণ করে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে বরাদ্দ নিয়ে সরকারি রাস্তাটি বিভাজন করেন। পরে তারা জাকিরের জায়গা দখলের পায়তাঁরা শুরু করেন। এক পর্যায়ের তারা সরকারী রাস্তা দখল করে সীমানা প্রাচীর দিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করা শুরু করেন। ২০২০ সালের ১২ জুলাই জাকির হোসেন বাহার নকশা অনুযায়ি সরকারি রাস্তাসহ তার ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে কাছে লিখিত আবেদন করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামের চার ভাই সেলিম মিয়া, মনির মিয়া, খোকন মিয়া ও মামুন মিয়া সেন্দ মৌজার ১ নং বিএস খাস খতিয়ানভুক্ত ৫৬৩২ দাগে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছেন। সেখানে তারা অবৈধভাবে দুটি সীমানা প্রাচীর, একটি ভিটি পাকা টিনের ঘর ও একটি চার চালা টিনের ঘর নির্মাণ করে বসবসা করে আসছিলেন।
২০২০ সালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের ( রাজস্ব) আদালতের এক উচ্ছেদ মামলার রায়ের নির্দেশনা এবং জেলা প্রশাসসক কার্যালয়ের এক চিঠি অনুযায়ী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন অবৈধভাবে দখলদার চার ভাই সেলিম, মনির, খোকন ও মামুনকে প্রথমে গত ১০ এপ্রিল পরে গত ৫ জুনের মধ্যে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও তারা কর্ণপাত না করায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের চার ভাইয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। এসময় দুটি সীমানা প্রাচীর, একটি ভিটি পাকা টিনের ঘর ও একটি চার চালা টিনের ঘর উচ্ছেদ করে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিমশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন জানান, অবৈধ স্থাপনাসহ দখল সরিয়ে নিতে তাদের দুই দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু দখলকারীরা কোনো কর্ণপাত করেননি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) আদালতের উচ্ছেদ মামলা মূলে খাস জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উক্ত অবৈধ স্থাপনা সমূহের কারণে সেখানে সরকারি রাস্তা নির্মান করা যাচ্ছিল না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী, চীফ হুইপ ও চারবারের এমপি অ্যাড. হারুন আল রশিদকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা দেয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাকে আইন কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করেছে।
আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে তার মৌলভীপাড়া কার্যালয়ে ফুলের শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাবিব উল্লাহ, সহযোগী অধ্যক্ষ অ্যাড. সায়দুল্লাহ মৃধা, সহকারী অধ্যক্ষ অ্যাড. মো. আলমগীর, সহকারী অধ্যক্ষ অ্যাড. এ এস এম ইউনুছ ভূইয়া, অফিস সহকারী আক্তার হোসেন, অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন সুমন প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত সবাই তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
ফুলেল শুভেচ্ছা পেয়ে হারুন আল রশিদ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন সবার প্রতি।
তিনি বলেন, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যাতে আমার অর্পিত দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করতে পারি। সবার ভালবাসায় মুগ্ধ আমি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্যার সুযোগে বেশি দামে শুকনাে খাবার বিক্রির দায়ে তিন দোকানিকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ২৬ আগস্ট সোমবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী শহরের আনন্দ বাজারে (চিড়া-মুড়ি-গুড়ের মার্কেট) অভিযান চালিয়ে দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা, ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার না থাকা ও অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রির দায়ে তিন দোকানিকে ৭ হাজার টাকা করে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় জরিমানার পাশাপাশি দোকানিদেরকে সর্তকও করা হয়।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলা বন্যা কবলিত। বন্যার্তদের সহায়তায় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন, সমিতি, বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে শুকনা খাবারের (চিড়া-মুড়ি-গুড়) সহ প্রয়োজনীয় কিছু পন্যের বেচা-কেনা বেড়ে যায়। এই সুযোগে কয়েকটি পন্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।