চলারপথে রিপোর্ট :
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ, চিকিৎসকের স্যাম্পল ওষুধ বিক্রি, পুরাতন খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ বিভিন্ন অপরাধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় চার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে পৃথক অঙ্কে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ১১ মে শনিবার সকালে পৌরশহরের সড়ক বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয় কর্তৃক অভিযানে মোট ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী। আখাউড়া থানা পুলিশের একটি দল এই অভিযানে সহযোগিতা করেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী সাংবাদিকদের জানান, সকালে আখাউড়া পৌরশহরের সড়ক বাজারে বিভিন্ন ফার্মেসী ও হোটেলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ফার্মেসীতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ, চিকিৎসকের স্যাম্পল ওষুধ বিক্রি, আগের দিনের কাবাব হোটেলের ফ্রিজে সংরক্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধে ৩টি ফার্মেসী ও একটি হোটেল মালিককে সর্বমোট ২৩ হাহাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে একই অপরাধ করলে আইনের যে সাজা রয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব। এ অভিযান চলমান থাকবে।
এসময় আরো সহযোগিতায় ছিলেন জেলা কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের মাঠ পরিদর্শক মোঃ সাইফুল ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সংক্ষিপ্ত পদযাত্রা করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় বিএনপির ঘোষিত শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে দেশব্যাপী পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে পৌরশহরের সড়ক বাজারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেয়। দুপুরে জেলা শহর থেকে ফিরে আখাউড়া ষ্টেশন থেকে পদযাত্রা করে বিএনপির দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জি. মোঃ মুসলিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. এ. রউফ চৌধুরী, মোঃ শাহজাহান চৌধুরী, যুবদল নেতা জাহের চৌধুরী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আদর আলী (৩০) নামে এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৫ জুলাই সোমবার দুপুরে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত আদর আলী ওই গ্রামের নিদু মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় কামরুল ইসলাম নামে আরো একজন গুরুতর আহত হন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত আদর আলীর স্ত্রী, ১ ছেলে ১ মেয়ে রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আদর আলী দুপুরের দিকে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি সংলগ্ন একটি ওয়ার্কশপে যান। ওই সময় ওয়ার্কশপের লোকজন সেখানে তাদের মতো করে কাজ করছেন। ওয়ার্কশপের ভেতরে প্রবেশ করতেই হঠাৎ অসাবধানতাবশত বিদ্যুতের তারে তার পা লেগে যায়। ওয়ার্কশপের মালিক কামরুল ইসলাম দেখেতে পেয়ে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। স্থানীয় লোকজন দেখে তাদের উদ্ধার করেন। এ সময় ঘটনাস্থলেই আদর আলী মারা যান।
গুরুতর আহত কমারুলকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এনু মিয়া বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন ঘটনাস্থলে মারা যান এবং একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় আজ ২১ জানুয়ারি শনিবার দুপুর বেলায় ডোবা থেকে একটি মর্টারশেল উদ্ধার করা হয়েছে। আবু মিয়া নামের এক ব্যক্তি দু’দিন আগে মাটি কাটার সময় একটি টিলা থেকে মর্টারশেলটি উদ্ধার করে তারপর ডোবায় ফেলে রাখে।
উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান মিয়া জানান, উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের আবু মিয়া দু’দিন আগে তার বাড়ির সামনে ছোট্ট একটি টিলা থেকে মাটি নিচ্ছিলেন। এ সময় শেলটি পাওয়া যায়। তবে এটি কি ধরণের জিনিস সেটা নিয়ে নিজেই বিভ্রান্তিকর অবস্থায় ছোট্ট একটি ডোবায় ফেলে রাখেন।
শাহজাহান আরো জানান, শনিবার বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি সেখানে যান। এরপর এই মর্টারশেলটি ডোবা থেকে তোলার ব্যবস্থা করে থানা পুলিশকে খবর দেন।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। এটি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ব্যবহার হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধারের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় পোষ্ট অফিসের সরকারি ৫টি গাছ টেন্ডার ছাড়া কর্তন করা হয়েছে। গাছের পরিমাপ, মূল্য নির্ধারণ এবং সরকারি অনুমতি না নিয়ে পোষ্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন এসব মূল্যবান গাছ কর্তন করেছেন। গাছের কয়েকটি কান্ড এবং ঢালপালা পোষ্ট চত্বরের মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে। এর আগে বুধবার গাছগুলি কাটা হয়। তবে পোষ্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন দাবি করে বলেন গাছ কাটার বিষয়ে বিভাগীয় অনুমতি রয়েছে।
জানা যায়, আখাউড়া পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্র সড়ক বাজারে পোষ্ট অফিসের একতলা ভবন রয়েছে। পোষ্ট অফিস চত্বরে বেশ কিছু ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে। পোষ্ট মাষ্টার আজহার উদ্দিন এসব গাছ থেকে ৫টি গাছ কর্তন করেছেন। এরমধ্যে একটি গাছের গুড়ি থেকে বাকী গাছগুলো কান্ডের উপরের অর্ধাংশ ঢালপালাসহ কেটে ফেলেছেন। তবে গাছ কাটার জন্য পোষ্ট অফিস বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় বন বিভাগের কোন অনুমতি নেয়নি পোষ্ট মাস্টার।
আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সরজমিনে পোষ্ট অফিসে দেখা যায়, পোষ্ট অফিসের সামনের খোলা জায়গায় কিছু গাছের কান্ড এবং ঢালপালা রাখা হয়েছে। গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পোষ্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন বলেন, গাছের ঢালপালা বিদ্যুতের তারে পড়েছিল। এজন্য কেটে দিয়েছি। গাছ কাটার বিষয়ে বিভাগীয় অনুমতি রয়েছে। তবে, তিনি লিখিত কোন অনুমতি দেখাতে পারেন নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা বন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে পোষ্ট অফিসের কোন চিঠি পাইনি। বিষয়টি আমি অবগত নই।
আখাউড়া উপজেলার সদ্য সাবেক বন কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, গাছ কাটতে হলে বন বিভাগকে অবগত করা হলে তারপর মাপঝোক করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়। তারপর নিলাম কমিটি নিলাম দেওয়ার পর নিলাম প্রাপ্ত ব্যক্তি গাছ কাটবেন। এটাই নিয়ম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাক বিভাগের কুমিল্লা ডেপুটি পোষ্ট মাস্টার জেনারেল (ডিপিএমজি) মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন বৃষ্টির পানি যাতে ছাদে না পরে সেজন্য গাছের ঢালপালার ছেটে দেওয়ার নির্দেশনা আছে। তবে গাছ কাটার কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য কসবা পোষ্ট মাস্টারকে নির্দেশ দিয়েছি।