কবুতর উড়ানোর ১৫২ প্রতিযোগিকে ক্রেস্ট-ট্রফি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 28 December 2022, 1072 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
শখে কবুতর পালন করে ওরা। সৌখিন কবুতর পালনকারীরা সংগঠিত হয়ে আয়োজন করে প্রতিযোগিতার। তেমনই একটি সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসার এন্ড হাই-ফ্লাইয়ার পিজিয়ন ক্লাব। ২০১৬ সালে ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিয়মিত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। জেলায় ২০২১ ও ২০২২ সালে গ্রীষ্মকালীন কবুতর উড়ানোর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ১৫২ জন। মঙ্গলবার রাতে শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসার এন্ড হাই-ফ্লাইয়ার পিজিয়ন ক্লাব সভাপতি মানিক মিয়ার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা হাই-ফ্লাইয়ার পিজিয়ন ক্লাবের সভাপতি নূরে আলম, খুলনা ফাইভ-টি পিজিয়ন ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মন্নাফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রসক্লাবের সাবেক তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসার এন্ড হাই-ফ্লাইয়ার পিজিয়ন ক্লাব সাধারণ সম্পাদক কাজী রিমন, বিজয়নগর রেসার এন্ড হাই-ফ্লাইয়ার পিজিয়ন ক্লাবের সভাপতি সুমন রেজা।
অনুষ্ঠানে ২০২১ সালের গ্রীষ্মকালীন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী ৬৭ জন এবং ২০২২ সালে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ৮৫ জনকে ক্রেষ্ট এবং প্রতিযোগীদের মধ্যে ২ জন চ্যাম্পিয়ন ও ৪ জন রানার আপকে ট্রফি প্রদান করা হয়। ২০২১ সালের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন মো: রায়হান। তার কবুতর আকাসে উড়ে ৮ঘন্টা ৪৮ মিনিট। আর ২২ সালে চ্যাম্পিয়ন হন রাকিব আহসান মেহেদী। তার কবুতরের উড়ার সময় ৭ ঘন্টা ৪৮ মিনিট।

২০২১ সালে প্রথম রানার আপ মো: নাহিদুল ইসলাম বাবু, ২য় রাকিব আহসান মেহেদী, ৩য় মিয়া মাসুক, ৪র্থ মো: আলামগীর হোসেন, ২০২২ সালে প্রথম রানার আপ নাহিদুল ইসলাম বাবু, ২য় রানার আপ মিজান মিয়া সনু, ৩য় হারিছুজ্জিমান সরকার, ৪র্থ কাজী রিমন। তাদের প্রত্যেকের কবুতর ৫ ঘন্টা থেকে সাড়ে ৭ ঘন্টা আকাসে উড়ে।

আয়োজকরা জানান, বছরের এপ্রিল মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসব্যাপী এই প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী একেকজন তাদের নিজ বাসা থেকে পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে কবুতর আকাসে উড়িয়ে দেন। এর আগে প্রতিযোগি কবুতরের ডানায় ক্লাবের সীল দেয়া হয়। পরে কার কবুতর কতো সময় ধরে আকাসে উড়লো সেই সময় ধরে প্রতিযোগীতার বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ী নির্ধারন করা হয়। আয়োজকরা আরো জানান,সকাল ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে কবুতর উড়াতে হয়। কবুতর ফেরার সময় থাকে সন্ধ্যা অর্থাৎ মাগরিবের আযান পর্যন্ত। এ সময় পর্যন্ত প্রতিযোগিতার জন্যে উড়ানো কবুতরটিকে চোখের দৃষ্টি সীমার মধ্যে রেখে পর্যবেক্ষন করা হয়। মাগরিব পর্যন্ত কবুতরটি নিচে নেমে না এলে ডিসকোয়ালিফাইড হিসেবে গন্য করা হয়।

Leave a Reply

দিল্লি মেট্রোর ১৬০০ যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের দিল্লিতে মেট্রোয় আসন নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা Read more

সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার:…

অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় দলমত Read more

এবারের অলিম্পিকে ২০৬টি দেশের অ্যাথলেট অংশ…

অনলাইন ডেস্ক : খেলার দুনিয়ার সবকিছুকে ছাড়িয়ে যার অবস্থান। যেখানে Read more

অব্যবহৃত মোবাইল ডাটার মেয়াদ কি বাড়বে,…

অনলাইন ডেস্ক : হঠাৎ করে মোবাইল ইন্টারনেট শাটডাউন হয়ে যায় Read more

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, লাশ বাথরুমে ফেলে…

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকের টাকার জন্য স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩৬)কে Read more

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো যুবকের

চলারপথে রিপোর্ট : বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আখতার হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক Read more

দুই মাদকসেবীর কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আরিফ মিয়া (২৭) ও ছাত্তার মিয়া Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতার চার মামলায় গ্রেফতার ৪১

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, Read more

৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে Read more

কোহলি-রোহিতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপে চান গম্ভীর

অনলাইন ডেস্ক : আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় বিরাট কোহলি ৩৮ Read more

রাশিয়ার সুন্দরী বাইকার তুরস্কে দুর্ঘটনায় নিহত

অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার বিখ্যাত সামাজিক ইনফ্লুয়েন্সার তাতায়ানা ওজোলিনা তুরস্কে Read more
ফাইল ছবি

ট্রেন চলাচল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি:…

অনলাইন ডেস্ক : দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কবে থেকে ট্রেন চলবে Read more

সাংবাদিককে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের নিন্দা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 9 January 2023, 1038 Views,
জাতীয় দৈনিক পর্যবেক্ষণ পত্রিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি তরুণ সাংবাদিক আশিকুল ইসলাম প্রকাশ্যে দিবালোকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি এফ এস জামিল পাভেল ও সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চৌধুরী রিপন। যৌথভাবে দেয়া বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ প্রধান হত্যাকারীকে অতি দ্রুত গেফতার করতে সক্ষম হওয়ায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে এ মিশনে অংশ নেয়া সকল খুনীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। নেতৃবৃন্দ এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য এ ঘটনার হোতাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 25 December 2022, 867 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
৭০ বছরে পদার্পণে দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কেককাটা ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভুতি ভূষণ দেবনাথ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ এস এম সফিকুল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুর হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খ আ ম রশিদুল ইসলাম, টেলিভিশন জার্ণালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মন্জুরুল আলম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক রিয়াজউদ্দিন জামির সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দৈনিক ইত্তেফাকের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ আরজু। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন প্রেসক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল আমিন শাহিন, সাবেক সাধারন সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাবেক সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আবদুন নুর, দৈনিক যায়যায়দিনের স্টাফ রিপোর্টার বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাংবাদিক সৈয়দ রিয়াজ আহমেদ অপু ও দৈনিক ইত্তেফাকের সরাইল উপজেলা সংবাদদাতা জুলকার নাইন প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মঞ্চ নাটক ‌সাজন মেঘ’ মঞ্চায়িত

বিনোদন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 6 July 2024, 40 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মঞ্চ নাটক ”সাজন মেঘ” মঞ্চায়িত হয়েছে। সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মঞ্চ নাটক প্রচারের অংশ হিসেবে ৫ জুলাই শুক্রবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। নাটকটি রচনা করেন বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক শান্তুনু কায়সার। নিদর্শনায় ছিলেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন রেজা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, অতিরিক্ত পুলিশ মোঃ ইকবাল হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এস.এম শফিকুল্লাহ, উপাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান শিশির, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও নাটকের নির্দেশক চন্দন রেজা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার সৈয়দ মুহাম্মদ আয়াজ মাবুদ, সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবি আবদুল মান্নান, সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পীঠস্থান, সংস্কৃতির রাজধানী। এই সংস্কৃতির রাজধানীতে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড চলমান থাকবে। জেলা প্রশাসন সব সময় সংস্কৃতির পক্ষে, শিল্প সাহিত্যের পক্ষে। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সবাইকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংস্কৃতি কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিতে যেতে হবে।

নাটকটির মূল সার সংক্ষেপ ছিল শান্ত-স্নিগ্ধ ছায়া সুনিবিড় গ্রাম “সাজন মেঘ”। একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর অযাচিত বর্বরতায় তাদের শান্ত জীবনে নেমে আসে আতংক, ভয়। আক্রান্ত হয় গ্রাম-হাট-ঘাট, প্রান্তর, লোকালয়। সম্ভ্রম হারায় কিশোরী-তরুণী-গৃহবধূ। রুখে দাঁড়ায় গ্রামের তরুণ, তরুণী, কৃষক, কামার-কুমার, আপামর জনতা। ধর্ম আর সমাজের সংস্কার ভেঙ্গে দেশের জন্য একাট্টা হয়ে লড়ে যায় প্রাণপনে।

নাটকটি নির্মাণ সম্পর্কে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও নাটকের নির্দেশক চন্দন রেজা বলেন, “সাজন মেঘ” নাটকটি মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি খন্ডচিত্র। এই নাটকের মাধমে নাট্যকার সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতার একটি চিত্র তুলে ধরেছেন। সংলাপে গেঁথেছেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। সময়ের বাস্তবতা ও নাট্য নির্মাণের প্রয়োজনে মূল নাটকে কিছু সংযোজন বিয়োজন করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, সমাজের গোড়ামী, কুসংস্কার, কূপমন্ডকতা, ধর্মান্ধতা আর মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যখন শকুনেরা জেঁকে বসেছে, ঠিক তখনই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নাটকের মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মানুষের মনে জাগ্রত করার প্রয়াসে দেশের সকল জেলায় নাট্যযজ্ঞ শুরু করেছে। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে ২৩ জন শিল্পী অভিনয় করেন।

তিতাস নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 7 September 2023, 514 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার তিতাসের বুকভরা ঢেউ আর প্রাণের উচ্ছাসে তিতাস নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি গাঁওগেরাম পয়েন্ট থেকে মেড্ডা মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবার পয়েন্ট পর্যন্ত তিতাস নদীতে এই নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।

আজ ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুুপুর পৌনে তিনটার দিকে শিমরাইলকান্দি গাঁওগেরাম পয়েন্টে নৌকা বাইচ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। প্রতিযোগীতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলার ১৫টি নৌকা অংশ গ্রহন করে।

এর মধ্যে ছিলো সদর উপজেলার ৪ টি নৌকা (ভাড়াকৃত), বিজয়নগর উপজেলার ৫টি নৌকা, সরাইল উপজেলার ১টি নৌকা, আশুগঞ্জ উপজেলার ২টি নৌকা (ভাড়াকৃত) নবীনগর উপজেলার ২টি নৌকা (ভাড়াকৃত) ও নাসিরনগর উপজেলার ১ টি নৌকা ( ভাড়াকৃত) প্রতিযোগীতায় নবীনগর উপজেলার নৌকা প্রথম, সরাইল উপজেলার নৌকা দ্বিতীয় এবং সদর উপজেলার নৌকা তৃতীয় স্থান অধিকার করে।

বিকেল ৫টায় মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবার পয়েন্টে তিতাস নদীর পাড়ে অনুষ্ঠিত পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রথম স্থান অর্জনকারী নবীনগর উপজেলার নৌকাকে নগদ ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী সরাইল উপজেলার নৌকাকে ৫০ হাজার ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী সদর উপজেলার নৌকাকে ৩০ হাজার টাকা পুরষ্কার দেয়া হয়। এছাড়াও নৌকা বাইচে অংশ নেওয়া ১৫ টি নৌকাকেই ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।

পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, যত দিন বাঙ্গালি ও বাংলা সংস্কৃতি থাকবে তত দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, তিতাসপাড়ে আজ হাজার হাজার মানুষ। এতেই বুঝা যায় মানুষ নৌকা বাইচকে কত ভালোবাসে। তিনি নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানের সাথে জড়িত সকলকে ধন্যবাদ জানান।

জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, মহামারি করোনার কারনে গত দুই বছর ২০২০ এবং ২০২১ সালে নৌকা বাইচ বন্ধ ছিলো। করোনার পর ২০২২ সালে আবার নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। আগামীতেও এই নৌকা বাইচ অব্যাহত থাকবে।

এদিকে নৌকা বাইচকে কেন্দ্র করে দুপুরের পর থেকে শহরে মানুষের ঢল নামে। নৌকা বাইচ উপভোগ করতে শহরের শিমরাইলকান্দি থেকে মেড্ডা পর্যন্ত তিতাস নদীর তীরে জন¯্রােতে পরিনত হয়। নদীর পাড় ছাড়াও মানুষ নদীর পাড়ের বহুতল বিশিষ্ট ভবনের ছাদে উঠে, শেখ হাসিনা সড়কের ব্রীজে উঠে নৌকা বাইচ উপভোগ করে। আবার অনেকেই নৌকা বাইচ উপভোগ করতে ছোট ছোট নৌকা ভাড়া করে পরিবার পরিজন নিয়ে তিতাস নদীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়।

এদিকে নৌকা বাইচ উপলক্ষে প্রতিযোগীতাস্থলে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও নৌ-পুলিশের কয়েকটি টীম নিয়োজিত থাকে। এছাড়াও ছিল ডুবুরী দল, ফায়ার সার্ভিস ও মেডিকেল টীম। পাশাপাশি নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা সুন্দরভাবে করার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের নেতৃত্বে ৮টি টীম কাজ করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হা-ডু-ডু খেলা অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 26 May 2023, 833 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সংরক্ষণ শাখার (পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শাখা) কর্মীদের নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে বাংলাদেশের জাতীয় খেলার (হা-ডু-ডু খেলার) চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত এই খেলায় সংরক্ষণ শাখার কর্মীরা চারটি দলে ভাগ হয়ে অংশগ্রহণ করে। খেলার চূড়ান্ত পর্বে সাদা ও হলুদ দল প্রতিযোগিতায় নেমে সাদা দল বিজয়ী হয়।

পৗরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আ. কুদ্দূস উপস্থিত থেকে বিজয়ী ও রানার্স আপ দলের মাঝে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ট্রফি তুলে দেন।

এ সময় চ্যাম্পিয়ন দলকে একটি খাসি ও রানার্সআপ দলকে একটি হাঁস পুরস্কার দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক দলের সদস্যকে মেডেল পড়িয়ে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে পৌরসভার সংরক্ষণ সুপারভাইজার মো. গোলাম মোস্তফা এর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি, দৈনিক কুরুলিয়া সম্পাদক ও প্রকাশক ইব্রাহিম খান সাদত।

খেলার ধারা বিবরণী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ।

খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন মো. জহিরুল ইসলাম।

খেলা পরিচালনা করেন মোঃ দেলোয়ার হোসেন দিলু, মো. কিরণ মোল্লা, স্বপন বাবু, লিল মিয়া, নায়েব আলী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, যেকোনো খেলাধুলার ক্রীড়া নৈপূণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি খেলোয়ারদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা অর্জন এবং পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব বন্ধন বৃদ্ধি করায় সহায়ক ভূমিকা রাখে। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা আমাদের শহরকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে দিনরাত পরিশ্রম করে যায়। তার পাশাপাশি এই খেলাধুলার আয়োজনকে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। তিনি ভবিষ্যতে তাদের এই খেলাধুলাগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের মাধ্যমে আরো ভালো কিছু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় অসংখ্য দর্শক দেশের ঐতিহ্যবাহী এই জমজমাট ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হা-ডু-ডু খেলা উপভোগ করেন।