চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু হচ্ছে তিনদিনের অদ্বৈত গ্রন্থমেলা। অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার শুরু হয়ে মেলা চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে মেলাটি। মেলায় ২০ টি বইয়ের স্টল থাকবে। প্রতিদিন বিকাল থেকে চলবে আলোচনা, কবিতাপাঠ, একক ও দলীয় আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাউল সঙ্গীতের আসর। মেলায় ভারত ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পী-সাহিত্যিকরা অংশ গ্রহণ করবেন। মেলার শেষদিন অদ্বৈত পুরস্কার-২০২৪ মরণোত্তর হিসাবে প্রদান করা হবে প্রখ্যাত অদ্বৈত গবেষক অধ্যাপক শান্তনু কায়সারকে। পুরস্কার হিসাবে প্রদান করা হবে ফুল, উত্তরীয়, সনদপত্র ও নগদ ২৫ হাজার টাকা। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় অমর কথাশল্পী অদ্বৈত মল্লবর্মণের জন্মভূমি শহরের গোকর্ণঘাট এলাকায় এ মেলার উদ্বোধন করবেন বাংলা একাডেমীর চেয়ারম্যান ও প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অদ্বৈত গ্রন্থমেলার আহবায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি মো.আ.কুদদূস।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অদ্বৈত মেলার পুরস্কার কমিটির আহবায়ক কবি জয়দুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, অদ্বৈত মেলার প্রচার কমিটির আহবায়ক মো.মনির হোসেন।
অদ্বৈত মেলার আহবায়ক মো.আ.কুদদূস বলেন, অদ্বৈত মল্লবর্মণ তিতাসপাড়ের শ্রেষ্ঠতম সন্তান ও আন্তর্জাতিক মানের কথাশিল্পী। আমরা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্রান্ড হিসাবে তার স্মরণে তিনদিনের মেলার আয়োজন করেছি। অদ্বৈত গ্রন্থমেলায় এখানকার মানুষের সাংস্কৃতিক উৎসবে রূপ নেবে। মেলায় দেশ-বিদেশের কবি-শিল্পী-সাহিত্যিকরো অংশগ্রহণ করবেন। অদ্বৈত স্মরণে তাঁর জন্মভিটায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে অদ্বৈত গণগ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র, মুক্তমঞ্চ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী বিক্রির সময় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে চার দোকানিকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ১২ জুলাই বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার, সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের আনন্দ বাজারের কাঁচা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে চার দোকানিকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার, সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ সময় দোকানিরা ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ না করা, খচিরা বিক্রেতাদেরকে কোনো ধরনের রশিদ সরবরাহ না করা এবং মূল্য তালিকা না থাকায় বি-বাড়িয়া আড়ৎদারকে ৪ হাজার টাকা ও অপর তিনজন খুচরা ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকাসহ মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভাটেক (ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা) চালক মোঃ শাহপরান (১৮) কে নেশাজাতীয় পানি খাইয়ে তাকে অজ্ঞান করে তার বিভাটেকটি নিয়ে যাওয়ার সময় অজ্ঞানপার্টির ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার বিকেলে জনগণের সহযোগীতায় সদর উপজেলার সুহিলপুর বাজার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার ও চুরি করে নেয়া বিভাটেকটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ গ্রামের কাশেম মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া (১৭), একই এলাকার আবদুল হালিমের ছেলে জাকির খান (১৫) ও একই এলাকার চাঁন বাদশার ছেলে মোঃ হোসেন।
অসুস্থ্য শাহপরানকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার দুপুরে জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের দত্তখোলা গ্রামের আলী আজমের ছেলে বিভাটেক চালক শাহপরান তার বিভাটেক নিয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সুহিলপুর কবরস্থানের সামনে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করার সময় উল্লেখিত তিন আসামী যাত্রীবেশে সুহিলপুর বাজারে যাওয়ার জন্য তার বিভাটেকে উঠে।
এক পর্যায়ে আসামীরা সুহিলপুর বাজারের কাছে এসে তাদের কাছে থাকা নেশাজাতীয় পানির বোতল শাহপরানকে খাওয়ার কথা বললে শাহপরান এই পানি খেয়ে কিছুক্ষনের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তারা শাহপরানকে রাস্তার পাশে ফেলে বিভাটেকটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অন্য বিভাটেক চালকরা তা দেখে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় তিনজনকে আটক করে পুলিশকে খবর দিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাদেরকে গ্রেফতার ও বিভাটেকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় শাহপরানের পিতা আলী আজম সদর মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদেরকে আজ রবিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অসুস্থ্য শাহপরানকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেছেন, একটি পক্ষ আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এখনো কোন প্রকল্প পাস কিংবা অর্থ বরাদ্দ হয়নি। তাহলে অনিয়ম হল কোথায়? তারা রাজনৈতিকভাবে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোতিভাবে এমনটি করছেন।
তিনি আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লাসহ কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পক্ষ থেকে দেয়া এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেওয়া উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।
এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের কার্যকালে রাজস্ব ও এডিপির বরাদ্দে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়নে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসব অভিযোগের মধ্যে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলমের বিরুদ্ধে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি সরকারি নিবন্ধনবিহীন মাদ্রাসার নামে দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ ও জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের শালগাঁও-কালিসীমা গ্রামের শতাধিক প্রকল্পের নামে কয়েক কোটি সরকারি টাকা হরিলুটের অভিযোগ উল্লেখযোগ্য।
তিনি বলেন, অনুসন্ধ্যানে জানতে পেরেছি, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২-২২ অর্থবছর পর্যন্ত সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের পয়াগ দারুল উলুম মাদ্রাসার নামে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলম ১ কোটি ৫৫লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। একই সময়ে জেলা পরিষদের সদস্য সদস্য মোঃ বাবুল মিয়া সদর উপজেলার কালিসীমা-শালগাঁও গ্রামে বিভিন্ন খাতে ১১৮টি প্রকল্প দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
জেলা পরিষদ সদস্য পায়েল হোসেন মৃধা সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনয়নসহ পাশ্ববর্তী বিভিন্ন ইউনিয়নে ভূয়া প্রকল্প বরাদ্দ করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। নাসিরনগর উপজেলা থেকে নির্বাচিত সাবেক সদস্য ফারুকুজ্জামান ফারুক উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র একটি গ্রামে এভাবে বরাদ্দ দিতে পারে না। একইভাবে একটি প্রকল্প শেষ হতে না হতেই একই প্রতিষ্ঠানে বার বার বরাদ্দ দেওয়া যায় না। যা সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলম দিয়েছেন।
মতবিনিময় সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার আরো বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদের নির্বাচিত ৮জন সদস্য স্থানীয় সরকার উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে (আল-মামুন সরকার) বিধি বহির্ভূতভাবে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জেলা পরিষদের প্রথম সভা থেকে নির্বাচিত সদস্যদের পাশ কাটিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার।
তিনি নিজ ক্ষমতাবলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে চার লাখ টাকা, মেয়রকে চার লাখ ও ইউপি চেয়ারম্যানকে তিন লাখ টাকা করে বরাদ্দের বিভাজন করেছেন। যা স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদিত রাজস্ব তহবিল ও এডিপির বরাদ্দের ব্যবহার নীতিমালা ২০২২ এর পরিপন্থী।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল গেজেট বিপ্তপ্তিতে জেলা পরিষদ আইন ২০০০ এর অধিকতর সংশোধনীর প্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদের প্রণীত ২০২২ সালে ১০ নং আইন মোতাবেক প্রত্যেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ক্ষেত্রমতে সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের প্রতিনিধি পদাধিকার বলে জেলা পরিষদের সদস্য।
এছাড়া জেলা পরিষদের এডিপি ও রাজস্ব খাতের অর্থে প্রকল্প গ্রহন, বাস্তবায়ন ও বন্টন নীতিমালা ২০০০ এর ৩ ধারা এর ৩ মোতাবেক জেলা পরিষদের প্রকল্প প্রণয়নের সময় জেলাধীন সকল উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে সমন্বয় করে জনসংখ্যার সংখ্যানুপাতে প্রকল্প গ্রহন ও অনুমোদন করতে হবে। সেই অনুসারে তাদের প্রকল্পের প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে।
আল মামুন সরকার বলেন, তাদের অভিযোগটি সঠিক নয়। কারণ পরিষদে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকল্পের প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। প্রকল্পের প্রস্তাব দিলে সেটি পরবর্তী সভায় পাস হবে। পরবর্তী সভা এখানো হয়নি। অনুমোদনের জন্য প্রকল্প মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় সেই প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে অর্থ বরাদ্দ দিবেন। পরে দরপত্র আহবান করা হবে। যার কোনো কিছুই এখনো হয়নি।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি যদি কোন অনিয়ম করি তাহলে আপনারা আমার বিরুদ্ধে লিখবেন। সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) আমিনুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য আবদুল আজিজ ও রুমানা ফেরদৌসিসহ জেলা পরিষদের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের সদস্য (সদর উপজেলা থেকে নির্বাচিত) ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মোঃ বাবুল মিয়া সাংবাদিকদের জানান, গত ৫ বছরে বিভিন্ন খাতে ১১৮টি প্রকল্প দিয়েছি। সকল প্রকল্পই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। অবহেলিত ও যাদের প্রয়োজন তাদেরকেই প্রকল্প দিয়েছি। সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সত্য নয়। উল্লেখ্য মোঃ বাবুল মিয়া জেলা পরিষদের বিগত পরিষদেও সদস্য ছিলেন।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলমকে কয়েকবার তার মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভি করেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচিকে (কচি মোল্লা) আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
৮ নভেম্বর বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলা শহরের বাগানবাড়ি এলাকা থেকে তাকে আটক করেছে র্যাব।
হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি পৌর শহরের মৌড়াইল এলাকার বাসিন্দা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন জানান, হাফিজুর রহমান মোল্লা কচিকে র্যাব আটক করে রাত দেড়টার দিকে থানায় হস্তান্তর করেছে। তার নামে বিস্ফোরক মামলা রয়েছে।