চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ জুন চতুর্থধাপে অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলা, বিজয়নগর উপজেলা ও নবীনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২০জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ১২জন, বিএনপির ৩জন ও স্বতন্ত্র ৫জন রয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, বিজয়নগরে ৬জন এবং নবীনগর উপজেলায় ৯জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ লোকমান হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখনের অনুজ মোঃ হেলাল উদ্দিন, সৌদি আরবের রিয়াদস্থ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী সেলিম রেজা, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন ও স্বতন্ত্র আবদুল কারিম।
এছাড়াও সদর উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বিজয়নগর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেত্রী নাছিমা মুকাই আলী (নাছিমা লুৎফুর রহমান), উপজেলা বিএনপির সাবেক যুুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ আল জাবেদ।
অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলীর দেবর মোশাহেদ হোসেন ও বক্তিগত সহকারী হারুনুর রশিদ এবং যুবদল নেতা মোঃ আল জাবেদের ব্যক্তিগত সহকারী মুজিবুর রহমান।
এছাড়াও বিজয়নগর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নবীনগর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামীলীগের ৭ নেতা, বিএনপির ১ নেতা ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটো, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যাপক নুরুন্নাহার বেগম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য এইচ.এম. আল আমিন আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হাবিবুর রহমান, নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহ আলম, বিএনপির সমর্থক ফারুক আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আবদুল মতিন।
এছাড়াও নবীনগর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
স্টাফ রিপোর্টার : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া এই আসনের ৫ বারের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া (কলারছড়ি প্রতীক) বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৮১৭ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ভাসানী (লাঙ্গল প্রতীক) পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৮৩। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ (মোটর গাড়ি প্রতীক) পেয়েছেন ৩ হাজার ২৩৮ ভোট। আবু আসিফ আহমেদ গত শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
তবে, পুলিশের দাবি আবু আসিফ নিজেই আত্মগোপন করেছেন। ভোট গণনা শেষে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন একটি সূত্র এই ফলাফল নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা থেকে ৩৫.১ কেজি গাঁজাসহ জুয়েল (৩৭) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
আজ ৪ ডিসেম্বর বুধবার ১১ টা ৪৫ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, কোম্পানির একটি অভিযানিক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে।
জুয়েল ময়মনসিংহের গৌরীপুর কাশিয়ার চর গ্রামের জিললের ছেলে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও জব্দকৃত আলামত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলে সম্প্রদায়ের দাবির মুখে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সীতানগরের কাজলা বিলের প্রাকৃতিক জলাশয়ে অবৈধ দখলবাজদের দেয়া বাঁধটি অপসারণ করা হয়েছে।
আজ ৩ জুলাই সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মোঃ মোশারফ হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ বাঁধটি অপসারণ করেন।
এ সময় প্রাকৃতিক জলাশয়ে অবৈধভাবে বাঁধ দেয়ার অপরাধে দখলদার কিলন মিয়াকে ১লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। দীর্ঘদিন পর জলাশয়টি উম্মুক্ত করে দেয়ায় জেলে সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই সিতানগর গ্রামের কাজলা বিলের উম্মুক্ত জলাশয়ে বাঁধ নির্মান করেন একটি প্রভাবশালী চক্র। এতে করে মুক্ত জলাশয়ে মাছ শিকার করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন সিতানগর ও কাশিনগর গ্রামের শতাধিক জেলে পরিবার।
উপায়ন্তু না দেখে গ্রামবাসী জলাশয়টি উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করে।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষ থেকে জলাশয়টি উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য দখলদার কিলন মিয়া ও গৌর সাহাকে একাধিক নোটিশ দেয়া হয়।
নোটিশ পেয়েও তারা জলাশয়টি উম্মুক্ত করে না দেয়ায় সোমবার দুপুরে বিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মোঃ মোশারফ হোসেন। তিনি জলাশয়ে থাকা বাঁধটি অপসারন করে দেন ও কিলন মিয়াকে ১লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য নিশিকান্ত ঋষি জানান, গ্রামের শতাধিক পরিবার এই বিলের সাথে জড়িত। প্রভাবশালী গৌর সাহা এবং কিলন মিয়া এই বিলের মধ্য বাঁধ নির্মান করেন। এতে এলাকার জেলে স¤প্রদায়ের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। জেলেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে জলাশয়টি উম্মুক্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, দখলদাররা জলাশয় দখলের বিষয়টি স্বীকার করায় পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫ এর আলোকে দখলদার কিলন মিয়াকে একলাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এখন থেকে জেলেরা উম্মুক্তভাবে জলাশয় থেকে মাছ শিকার করতে পারবেন।