চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. মো. আবু সাঈদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. মো. আবু সাঈদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ ২৮ অক্টোবর সোমবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আফরিন আহমেদ হ্যাপি এই আদেশ দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রভাবশালী এই চিকিৎসক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টায় তাকে আদালতে নেওয়া হয়। সে সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি আবু সাঈদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গতকাল তার শুনানি হয়নি। এরই প্রেক্ষিতে আজ ২৮ অক্টোবর সোমবার আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ডা. আবু সাঈদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিএমএ’র সভাপতি ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
প্রসঙ্গত, তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। তাকে ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ৬০ নম্বর আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অন্য মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে অস্থায়ী জামিনে রয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজ্ঞাতনামা (৮৫) এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হাসপাতাল ও পুলিশের তথ্যসূত্রে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি নজরুল নামের একব্যক্তি অজ্ঞাত বৃদ্ধকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করেন। প্রায়ই ১০ দিন চিকিৎসার পর ওই অজ্ঞাত বৃদ্ধ বুধবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজ্ঞাত বৃদ্ধ মারা গেছে। বৃদ্ধের পরিবারের কোনো খোঁজখবর মেলেনি।
তিনি আরো জানান, ওই বৃদ্ধের লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআইকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে বলা হয়েছে। অজ্ঞাত বৃদ্ধের পরিচয় শনাক্ত না হলে লাশটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর দাফন করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খানাখন্দে ভরা মহাসড়কে গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাক উল্টে একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোন হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ৪ জুন বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে শহরতলীর বিরাসার বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন মহাসড়কের কাজ চলছে। এতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কিছু অংশে ব্যাপক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বিরাসার এলাকায় মাঝেমধ্যেই যানবাহন উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। বুধবার ভোরে কুমিল্লা অভিমুখী একটি ট্রাক গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই করে যাচ্ছিলো। এসময় বিরাসার নির্মাণাধীন ফোরলেন সড়কের খানাখন্দে সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাকটি উল্টে পড়লে তাতে আগুন ধরে যায়। এরপর প্রচণ্ড শব্দে একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হতে থাকে। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কয়েকটি ভবনের জানালার গ্লাস ফেটে যায়। এসময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সরাইল থেকে দমকল বাহিনীর দুই ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল সাড়ে ৬টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় মহাসড়কের দুই পাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক নিউটন দাস বলেন, ‘আমরা ভোর ৪টা ২০ মিনিটে খবর পাই। এরপর দুটি স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট গিয়ে ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। হতাহত হওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ধারণা করছি, ট্রাকটিতে ২০০ থেকে ৩০০টি গ্যাস সিলিন্ডার ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বিষ্ফোরণের শব্দে আশে পাশের এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসে ঘটনাস্থলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্ম বার্ষিকীতে আলোচনা সভায়
চলারপথে রিপোর্ট :
অনলাইন ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্ম বার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
সকাল ১০টায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
এর পর পর্যায়ক্রমে বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার, জেলা আওয়ামীলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লার নেতৃত্বে প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ, সিভিল সার্জন অফিসসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন।
আলোচনা সভা শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রা ও প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ভিকারুন্নেছা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সকল প্রেরণার উৎস।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতি করতে গিয়ে তাঁর পক্ষে ঘর সংসারের দিকে খেয়াল রাখা সম্ভব ছিলোনা। সেজন্য ঘর সংসারের পুরো দায়িত্ব পালন করেছেন বেগম মুজিব। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন।
আবার তিনি অনেক সময় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সাথে আলোচনা করেছেন, বঙ্গবন্ধুকে সুপরামর্শ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকাঅবস্থায় ৬দফা নিয়ে যখন আওয়ামীলীগের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্ধ ছিলো তখন ৬দফা নিয়ে আন্দোলনকারীদের পক্ষে সফলতার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিলো বেগম মুজিবের। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু যাতে প্যারোলো মুক্তি না নেন সেজন্য বেগম মুজিব জেলখানায় চিরকুট পাঠিয়েছিলেন।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষন দেয়ার আগেও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন কারো কথায় নয়, তুমি যা ভালো মনে করবে ভাষনে তুমি সেই কথাই বলবে। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে, ইতিহাসের বাঁক ঘুরানো দিনগুলোতে মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা দিয়েছেন।
আলোচনা সভা শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
শিক্ষাবান্ধব-নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া অব্যাহত রাখতে শিক্ষকদের যার যার জায়গা থেকে বেশী বেশী ভূমিকা রাখতে শিক্ষকদের অনুরোধ জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ^বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও মহাপরিচালক (অব.) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর গ্রেড-১ প্রফেসর ফাহিমা খাতুন।
আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে পৌর কলেজের শিক্ষকদের সাথে শিক্ষার মনোন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, শিক্ষক সমাজ সাধারণ মানুষের কাছে খুবই সম্মান ও শ্রদ্ধার। তারা শিক্ষকদের বুদ্ধি-পরামর্শ মেনে চলে। শিক্ষার বিস্তার ও শিক্ষাবান্ধব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হলে সাধারণ মানুষকেও এ ব্যাপারে সচেতন করতে শিক্ষকদের সক্রিয় থাকতে হবে। সারা বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষাও বিশ্বমানের হয়ে উঠতে সকলকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজ শিক্ষক পরিষদ এর সাবেক সম্পাদক মাসুম মিয়ার সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন পৌর কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক সাইফুর রহমান মামুন, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগীয় প্রধান ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ব্যবস্থাপনা বিভাগীয় প্রধান মাসুদ খান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগীয় প্রধান পারভেজ রায়হান, শিক্ষক মো. মনির হোসেন, রাবেয়া জাহান তিন্নি, ওমর আল ফারুক রাসেল।