চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে মহাসড়কের পাশে পার্কিং করা একটি যাত্রীবাহি অটোরিক্সাকে একটি কাভার্ডভ্যান চাপা দিলে শিশুসহ ৪ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হন। আজ ২১ আগস্ট সোমবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বড়ইবাড়ি গ্রামের মোঃ সোহেল মিয়া (২৭), একই গ্রামের নাজমুল মিয়ার ছেলে মোঃ জিলানী (৮), একই ইউনিয়নের শাখাইতি গ্রামের জাফর আলীর ছেলে মোঃ আসকর মিয়া (৬০) ও কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের আবদুর রশীদের ছেলে মোঃ উজ্জ্বল মিয়া (৩৭)।
আহতরা হলেন, নিহত জিলানীর বাবা নাজমুল মিয়া, মা শাহানা বেগম ও ছোট বোন তাইরিন (দেড় বছর)। আহতদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, দুপুরে ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যান আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ড পৌছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে পার্কিং করা একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিক্সাযাত্রী সোহেল মিয়া ও জিলানী নিহত এবং আসকর মিয়া, উজ্জ্বল মিয়া, নাজমুল মিয়া, শাহানা বেগম ও শিশু তাইরিন আহত হন।
খবর পেয়ে হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে হতাহতের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসকর মিয়া ও উজ্জ্বল মারা যায়।
এ ব্যাপারে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আশুগঞ্জে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় শিশুসহ ৪জন নিহত এবং ৩জন আহত হয়েছে। আমরা নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় যাথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ঘটনার পর পরই কাভার্ড ভ্যানের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রমজানে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার অস্থিতিশীল করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। সিয়ামের মাসের পবিত্রতা রক্ষায় অধিক মুনাফা না নিতে তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান।
আজ ১১ মার্চ সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও কমিউনিটি লিডারদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ হুঁশিয়ারি দেন।
স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ বিরোধী জনসচেতনতা, বাল্য বিবাহ বন্ধকরণ, নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং স্থানীয় পর্যায়ে কৃষি পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সী, ভাইস চেয়ারম্যান মো. সেলিম পারভেজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি কাজী তাহমিনা শারমিন, আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নাহিদ আহামেদ, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ও আশুগঞ্জ শহর শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন ইপটি প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, মসজিদের ইমাম ও খতিবসহ বিভিন্ন কমিউনিটি লিডারগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট নাগরিক। তাই আমাদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আমাদের তরুণ সমাজকে মাদকের ছোবল থেকে বাঁচাতে হবে। বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন খেলাধুলা ও সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা করা।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক স্থানীয় পর্যায়ে কৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পূর্ণাঙ্গ নৌ-বন্দর ঘোষণার প্রায় ১ যুগ হলেও এখনো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দেশের পূর্বাঞ্চলের এই নৌ-বন্দরটি দেশের অন্যান্য নৌ-বন্দরের তুলনায় অবকাঠামোগত দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তবে বিআইডব্লিওটিএ কর্তৃপক্ষের দাবি আধুনিকমানের প্রস্তাবিত অবকাঠামো নির্মিত হলে বর্তমানে বন্দরটিতে চলমান অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যাবে।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানায়, ২০১০ সালে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরকে পোর্ট অব কল থেকে নৌ-বন্দর ঘোষনা করা হয়। পরে ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পালাটানা বিদুৎ কেন্দ্রের জন্য মালামাল পরিবহন করা হয় এই বন্দর দিয়ে। এর পর থেকে আর্ন্তজাতিকভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করে এই নৌ-বন্দরটি। পরে ভারত এই বন্দরটি ব্যবহার করে কয়েক দফায় ভারি স্টীলজাত পন্য, খাদ্য শস্য পরিবহন করে। বর্তমানে এই নৌ-বন্দরটি দেশের অভ্যন্তরীন চাহিদার পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠেছে। যার কারণে বন্দরটিকে নমনীয় ঋনে আধুনিকরনের উদ্যোগ নেয় ভারত সরকার। অবশ্য তার আগে থেকেই আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর ফেরীঘাট এলাকায় নোঙর করতো পণ্যবাহী ছোট-বড় জাহাজ ও বাল্কহেড।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতের কলকাতার হলদিয়া বন্দর, বাংলাদেশের মোংলা, চট্টগ্রাম, নারায়নগঞ্জ সহ অন্যান্য নৌ-বন্দরের সাথে সহজে অভ্যন্তরীন এবং আর্ন্তজাতিক ক্ষেত্রে পন্য আমদানী- রপ্তানী হয়ে আসছে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরের মাধ্যমে। বর্তমানে এই বন্দরের সাথে বিভিন্ন কোম্পানী নিজেদের এজেন্টদের মাধ্যমে মালামাল সরবরাহ করে আসছেন। এর ফলে দিন দিন আশুগঞ্জ নদীবন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন বাড়ছে। এতে করে গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠেছে এই বন্দরটি।
বর্তমানে প্রতি মাসে রড, সিমেন্ট, পাথর, সার, ধান ও গমসহ বিভিন্ন পণ্য বোঝাই ছোট-বড় শতাধিক কার্গো জাহাজ আসে আশুগঞ্জ নদীবন্দরে। তবে বন্দরের জেটি সংখ্যা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হলে বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ জাহাজ বন্দরে আসবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
নৌ-বন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, পর্যাপ্ত জেটির অভাবে পণ্য আনলোডিংয়ে অতিরিক্ত সময় লাগে। এতে করে জাহাজ মালিককে যেমন অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়, তেমনি বন্দরে অবস্থানকালীন বার্থিং ফিও দিতে হয় ইজারাদারকে। সবমিলিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, চাহিদা বিবেচনায় বন্দরে কমপক্ষে আরো ৫টি জেটি নির্মাণ করা প্রয়োজন। এতে করে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও প্রসারিত হবে।
আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরের ব্যবসায়ী আলমগীর মিয়া বলেন, পণ্য পরিবহনে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর ব্যবহারে চাহিদা বাড়লেও বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এখনো হয়নি।
তিনি বলেন, বর্তমানে বন্দরে মাত্র দুটি জেটি রয়েছে। অথচ একেকটি জাহাজ থেকে পণ্য আনলোডিংয়ে সময় লাগে ৪-৫দিন। একটি জাহাজের পণ্য আনলোডিং না হওয়া পর্যন্ত অন্য জাহাজ গুলোকে বন্দরেই নোঙর করে থাকতে হয়। এতে করে নদীতে প্রায়ই জাহাজের জটলা সৃষ্টি হয়। মূলত জেটির স্বল্পতার কারণেই সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন লোড-আনলোডিংয়ের জন্য বন্দরে কমপক্ষে আরো ৫টি জেটি নির্মাণ করা প্রয়োজন। জেটি সংখ্যা বাড়লে বন্দরে বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ জাহাজ আসবে বলে জানান তিনি।
বন্দরের ব্যবসায়ী মোঃ নাসির মিয়া বলেন, প্রতিষ্ঠান ১ যুগ হয়ে গেলেও নৌ-বন্দরের কাঙ্খিত অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। জেটি স্বল্পতার কারনে নির্ধারিত সময়ে জাহাজ থেকে পণ্য আনলোড করা যায় না। বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাকের জন্য একটি ট্রাকইয়ার্ড প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, বন্দরে প্রতিদিনই পন্যবাহী জাহাজ আসে। একটি জাহাজের পণ্য আনলোডিং না হওয়া পর্যন্ত অন্যান্য জাহাজগুলোকে বন্দরেই নোঙর করে রাখতে হয়। মূলত জেটি স্বল্পতার কারণেই সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে।
বন্দরের ব্যবসায়ী শাহীন শিকদার বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় বন্দরটিতে কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেননা ব্যবসায়ীরা। বন্দরে রয়েছে জেটি স্বল্পতা। বন্দরে পন্য খালাসের জন্যে নেই ইয়ার্ড। নৌ-বন্দরে কোনো ওয়ার হাউজ না থাকায় সার সহ বিভিন্ন পন্য খোলা আকাশের নিচে রাখতে হয়। ট্রাক ইয়ার্ড না থাকায় লোড-আনলোডের পর ট্রাকগুলোকে এলোপাথারিভাবে পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় রাখা হয়। তিনি বলেন, কমপক্ষে আরো ৫টি জেটি নির্মান করা হলে বন্দরের কার্যক্রমে আরো গতি আসবে।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ নদীবন্দরের ইজারাদার তৌহিদুল ইসলাম নাসির বলেন, ইজারা মূল্য অনুযায়ী বন্দরে তেমন কোন সুযোগ-সুবিধা নেই। পর্যাপ্ত জেটি না থাকায় পণ্য আনলোডিংয়ে বেশি সময় লাগে। তিনি বলেন, বন্দরে থাকা ২টি জেটির মধ্যে একটি জেটির অবস্থা ভালো না। এছাড়া বন্দরে ওয়্যারহাউজও নেই। এর ফলে আনলোডিংকৃত পণ্য ডেলিভারীতে বিলম্ব হলে পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। তিনি বলেন, বন্দরের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করলে ব্যবসা যেমন প্রসারিত হবে, তেমনি সরকারও লাভবান হবে।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ শহর শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন ইপটি বলেন, একযুগ হয়ে গেলেও বন্দরে অবকাঠামোগত দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি। জেটি স্বল্পতায় নির্ধারিত সময়ে জাহাজ থেকে পণ্য আনলোড করা যায়না। বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাকের জন্য একটি ট্রাক ইয়ার্ড প্রয়োজন। তিনি বলেন, বর্তমানে বন্দরে ১ হাজার ২ শত থেকে দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করেন।
তিনি বলেন, আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরটি আধুনিককরন করা হলে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যের পাশপাশি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে উত্তর পূর্ব ভারতের যে ৭টি অঙ্গরাজ্য আছে সেখান থেকে আমাদানী-রপ্তানী কার্যক্রম জোরদার সহ ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মেচন হবে।
এদিকে বিআইডব্লিওটিএ সূত্র জানায়, বন্দরের সমস্যা লাঘবে ভারতীয় নমনীয় ঋনে ১ হাজার ২শত কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে সাড়ে ৩২ একর জমির উপর আধুনিক মানের নৌ-বন্দর নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন করেছে সরকার। তবে প্রথম দফায় আহবানকৃত দরপত্রটি বাতিল হওয়ায় বন্দরটির উন্নয়ন কাজ পিছিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিওটিএ ভৈরব-আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর উপ-পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম বলেন, আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর আধুনিকরন কাজের প্রথম দফার দরপত্রটি সফল না হওয়ার কারণে দরপত্রটি বাতিল করা হয়েছে। দরপত্রটি ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকের কাছে পুনরায় পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সম্মতিপত্র পাওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে আবারো দরপত্র আহবান করা হবে।
তিনি বলেন, সরকার দ্রুত আধুনিকরণ কাজ শেষ করতে চায়। তাই ভারত থেকে সম্মতি আসলেই দ্রুত টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে কাজ শুরু করা হবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, ভূমি অধিগ্রহণসহ প্রাথমিক পর্যায়ে নৌ-বন্দর নির্মান কার্যক্রমের কাজ এগিয়েছে। বিশেষ করে ভূমি অধিগ্রহণ করে তারা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে আধুনিকমানের বন্দর নির্মানের জন্যে দরপত্র আহবান করা হয়েছিলো। তবে প্রথম দফায় প্রয়োজনীয় দরদাতা না পাওয়ার কারণে দরপত্রটি বাতিল করা হয়। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে পুনরায় দরপত্রের বিষয়ে সম্মতি চাওয়ায় হয়েছে। ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকের কাছ থেকে সম্মতি পাওয়ার পর আবারো দরপত্র আহবান করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ১ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৬৩ কেজি গাঁজাসহ ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি মিনি ট্রাক ও একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।
আজ ১৫ জুলাই শনিবার সকালে ও শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম টোল প্লাজার সামনে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৪০), সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩৪), নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের জাহিদুল হক (২৬), একই গ্রামের রকিব মোল্লা ২০), গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর গ্রামের সুশীল (৫৫) ও জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের খাইরুল ইসলাম (৪৩)।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে ২৩ কেজি গাঁজাসহ সুশীলকে গ্রেফতার করা হয়। সকাল পৌনে ৯টার দিকে একই স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২ কেজি গাঁজাসহ খায়রুলকে গ্রেফতার করা হয়। সকাল ৯টার দিকে একই স্থানে অভিযান চালিয়ে মোটর সাইকেল আরোহী মোহাম্মদ আলী ও সাইফুলকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে তল্লাশী করে তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে একই স্থানে একটি মিনি ট্রাক আটক করা হয়। পরে মিনি ট্রাকে তল্লাশী করে ৩৮ কেজি গাঁজাসহ জাহিদুল ও রকিবকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করা হয়।