চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ উপজেলার খোলাপাড়া গ্রামে আধ্যাত্নিক সাধক পুরুষ শাহ আবদুল কাদির শাহ রহ: স্মরণোৎসব ও বার্ষিক ওরস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বাউল উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। তবে উক্ত বাউল উৎসবে ব্যাপক ভক্ত ও আশেকানদের সমাগম ঘটবে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে সারারাত ব্যাপী চলবে এই বাউল উৎসব। এছাড়া নির্মিত শাহ আবদুল কাদির শাহ পাঠাগারেরও উদ্ধোধন করা হবে। এবার গান পরিবেশন করবে ভারতের ত্রিপুরার রাজা হাসান, কুষ্টিয়ার লালন শিল্পি শবনব রাখি। রাতে অনুষ্ঠিত হবে পালাগান। গান পরিবেশন করবেন দেশ বরেণ্য বাউল শিল্পী রুমা সরকার ও জহির পাগলা।
উক্ত বাউল উৎসবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বেশেষে সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন আয়োজকরা।
এ ব্যাপারে বাউল উৎসব আয়োজক কমিটি সভাপতি ও শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন চৌধুরী জানান আমাদের এই বাউল উৎসবের সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র মাহে রমজান মাসকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারধর মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
আজ ১ মার্চ শুক্রবার বেলা ১১ টায় আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্যাট শ্যামল চন্দ্র বসাকের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং করা হয়।
এসময় আশুগঞ্জ বাজারের চক বাজার, মাছ বাজার, মাংসের বাজার, সবজি বাজার পরিদর্শন করা হয়।
বাজার মনিটরিংয়ে দায়িত্বে থাকা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্যাস্ট শ্যামল চন্দ্র বসাক প্রত্যেক দোকানীকে পণ্যের সঠিক মূল্য তালিকা পর্দশন ও গুণগতমান বজায় রেখে পণ্য বিক্রয় করার নির্ধেশ দেন। পুরো রমজান মাস জুড়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হবে বলে জানান।
এসময় মেসার্স মকবুল স্টোরে মূল্য তালিকা না থাকায় দোকানী কে ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বাজার মনিটরিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ, এস আই জসীম উদ্দিনসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ আশুগঞ্জ উপজেলা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন সহ ৭১ সদস্য বিশিষ্ট ৩ বছরের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে শহরের মুন্সেফপাড়ায় ‘‘হ্যালো কিচেন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে’’ ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ আশুগঞ্জ উপজেলা কল্যাণ সমিতির আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ চুনারুঘাট সরকারি কলেজের প্রফেসর উপাধ্যক্ষ মোঃ মাহবুবুর রহমান মানিক, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ডা. সঞ্চীব সূত্রধর।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিল এস এম তোফায়েল আলী রুবেল ও মো. জসিম উদ্দিন বেপারী।
ডা. ইকবাল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. ফাইজুর রহমান ফায়েজসহ আশুগঞ্জ উপজেলার নানা শ্রেনীপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় নব গঠিত কমিটির ৭১ সদস্য বিশিষ্ট সকলকে পরিচয় করিয়ে দেন ডা. ইকবাল হোসাইন।
কমিটির সদস্যবৃন্দ হলো: সভাপতি মিজানুর রহমান, সিনিয়র সহ সভাপতি ডাঃ ফাইজুর রহমান ফয়েজ, সহ সভাপতি মোঃ সাজিদ মিয়া, মোঃ ফারুকুল ইসলাম, শেখ মোঃ জালাল উদ্দিন, মোঃ সালাউদ্দিন সরকার, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ এস আলম, মোঃ আহাদ মিয়া, মোঃ শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম তোফায়েল আলী রুবেল, মোঃ উবায়দুল হক সুচি, মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারী, এম এ মোমেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক সুমন চৌধুরী, মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী, এ এইচ এম তারিকুল ইসলাম সোহেল, মোঃ মোখলেছুর রহমান ভূইয়া, মোঃ শাহজাহান, হাজী আসকর দেওয়ান জামাল, মোঃ নাসির খান, মোঃ তাইফুর রহমান তারেক, অর্থ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম রতন, সহ অর্থ সম্পাদক ইমদাদুল হক, প্রচার প্রকাশনা ও সাংবাদিকতা সম্পাদক সীমান্ত খোকন, আইন সম্পাদক এড. মোঃ বশির আহমেদ, সহ আইন সম্পাদক এড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মোঃ কামাল হায়দার, সহ দপ্তর সম্পাদক এইচ এম আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, আপ্যায়ন সম্পাদক আবুল কালাম মাষ্টার, সহ আপ্যায়ন সম্পাদক মোঃ রাজন মিয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এহসানুল আমিন তুষার, সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তারিফুর রহমান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন, সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ওবায়দুল হক চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শরিফ উদ্দিন সজল, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলী আজগর, দূযোর্গ ও ত্রাণ সম্পাদক রাসেল খন্দকার, সহ দূর্যোগ ত্রাণ সম্পাদক এটিএম সামসুজ্জামান জামাল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হায়দার বাবু, সহ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদীন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ জান্নাতুল আলম ভেরুনিকা, সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোহসেনা আক্তার, শিক্ষা সম্পাদক প্রফেসর এস কে হাবিব, সহ শিক্ষা সম্পাদক এড. মোস্তাক আহমেদ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আনিসুল হক রিপন, সহ-ক্রিড়া ও সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, আইটি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবু সায়েদ, সহ আইটি বিষয়ক সম্পাদক রুবেল মিয়া, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ছালাউদ্দিন, সহ স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ বাচ্চু মিয়া, কার্য নির্বাহী সদস্য এটিএম ফাইজুল কবির, নিয়াজ মনিরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম শাহজাদা, ডাঃ মোঃ আক্তার হোসেন, ডাঃ মনির হোসেন, ডাঃ ফয়সাল আল আহসান, ডাঃ মুশফিকুর রহমান পলাশ, ডাঃ ফৌজিয়া জাফরীন টিকলী, ডাঃ ফোরকান উদ্দিন, ডাঃ শামীমা সুমি, মোঃ নাসির উদ্দিন, মকবুল হোসেন, মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, মাহবুব আলম সুজন, দেলোয়ার হোসেন দুলাল, জাকির চৌধুরী, মোর্শেদ কামাল, কাউসার আহমেদ।
সংগঠনের পক্ষ থেকে সমিতির সাধারণ সভায় সমিতির গঠনতন্ত্র উপস্থাপন ও অনুমোদন করা হয়।
এ সময় আশুগঞ্জ উপজেলার সকল সদস্যদের আন্তরিক অভিনন্দন জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত সকলে একে অপর পেয়ে অনেক উচ্ছ্বসিত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ ও নবীনগরে বজ্রপাতে দুইজন নিহত হয়েছেন।
আজ ১৩ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের ভবানীপুর ও নবীনগর উপজেলার বাইশমোজা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কালু মিয়া আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে ও সরাইল উপজেলার পানিশ্বর এলাকার বাসিন্দা জনি মিয়া।
জানা যায়, বাজার থেকে গরু কিনে বাড়ি ফিরছিলেন চাচা কালু মিয়া ও ভাতিজা হোসেন মিয়া। পথে আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের ভবানীপুরে বৃষ্টির সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতে চাচা-ভাতিজা গুরুতর আহত হলে দ্রুত তাদের আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক কালু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন এবং হোসেন মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করে।
এদিকে, বিকেলে নবীনগর উপজেলার বাইশমোজা বাজারের বৃষ্টি শুরু হলে জনি মিয়া নদীর পাশে বালুর নৌকায় উঠে। এ সময় বজ্রপাতে জনি গুরুত্বর আহত হন। পরে স্থানীয়রা জনিকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আশুগঞ্জ থানার ওসি নাহিদ আহম্মেদ জানান, বিকেলে গরু বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে ভবানীপুরে বজ্রপাতে চাচা-ভাতিজা গুরুতর আহত হন। পরে চাচা মারা যান। ভাতিজাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে। তবে পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাকরির প্রলোভনে রুশ সেনাবাহিনীর হয়ে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে অংশ করে প্রাণ হারিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জের যুবক মোহাম্মদ আকরাম হোসেন (২৫)। ১৮ এপ্রিল শুক্রবার এক সহযোদ্ধার ফোনে মৃত্যুর খবর পৌঁছালে তার বাড়িতে নেমে আসে শোকের ছায়া।
মোহাম্মদ আকরাম হোসেন আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর হোসেনপুর গ্রামের মোরশেদ মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, ওয়েল্ডিং-এর কাজ শেখার পর সংসারের সচ্ছলতা ও নিজের ভবিষ্যতের আশায় প্রায় ১১ মাস আগে তিনি রাশিয়ায় যান। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আকরাম ছিলেন সবার বড়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তার পিতা, যিনি দিনমজুর হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এক মেয়ের বিয়েতে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ায় পরিবারে আর্থিক চাপ আরও বাড়ে। সেই চাপ কমাতেই স্বজনদের সহায়তায় রাশিয়ায় পাঠানো হয় আকরামকে।
রাশিয়ায় গিয়ে প্রথম ৮ মাস একটি চায়না কোম্পানিতে ওয়েল্ডার হিসেবে কাজ করতেন তিনি। যদিও বেতন বেশি ছিল না, তবে তার উপার্জনে পরিবারে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করে। আকরামের আয়ে তার দরিদ্র পরিবার একটু একটু করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।
তবে প্রায় আড়াই মাস আগে আকরাম এক দালালের প্রলোভনে পড়ে চুক্তিভিত্তিকভাবে রুশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। শর্ত ছিল ইউক্রেন যুদ্ধের সম্মুখসারিতে অংশ নিতে হবে। পরিবার থেকে নিষেধ করা হলেও আকরাম জানিয়েছিলেন, ফিরে আসার আর কোনো উপায় নেই। তিনি তার বাবাকে জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ইতোমধ্যে চার লাখ টাকা জমা হয়েছে।
আকরামের মা মোবিনা বেগম জানান, যুদ্ধ চলাকালীন ছেলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। তবে গত ১৩ এপ্রিল থেকে তার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাশিয়ায় অবস্থানরত পরিচিতরাও তার খোঁজ পাচ্ছেন না। শুক্রবার এক সহযোদ্ধা ফোন করে জানান, ইউক্রেন সেনাবাহিনীর মিসাইল হামলায় আকরাম নিহত হয়েছেন। তার ইউনিটের আরও কয়েকজন ওই হামলায় মারা যান। এরপর থেকেই আকরামের ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
ছেলের মৃত্যুর খবরে আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর হোসেনপুর গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। আকরামের মা বারবার ছেলের ছবি বুকে জড়িয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন, অন্যরাও শোকে হতবিহ্বল।
নিহতের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা ও ক্ষতিপূরণ পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন আকরামের পরিবার।