চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিল আখাউড়া উপজেলা। ওই দিন সড়ক বাজারের পোস্ট অফিসের সামনে উড়ানো হয়েছিল স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশের লাল সবুজের পতাকা। আখাউড়া মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে শত্রুমুক্ত হতে শুরু করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।
এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে দুইদিন ব্যাপি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এবং উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়। আজ বুধবার সকালে উপজেলা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে আনন্দ র্যালি বের করা হবে। র্যালি শেষে পোস্ট অফিসের সামনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হবে।
আখাউড়ার বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ৩০ ডিসেম্বর ও ১ ডিসেম্বর উপজেলার আজমপুর ও রাজাপুর এলাকায় পাক বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়। ৩ ডিসেম্বরের যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর ১১ সদস্য নিহত ও মুক্তিবাহিনীর দুইজন শহীদ হন। ৪ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী মিলে আখাউড়ায় আক্রমন শুরু করে। ওই দিন আজমপুরে শহীদ হন লেফটেন্যান্ট ইবনে ফজল বদিউজ্জামান। ৫ ডিসেম্বর দিন ও রাতের যুদ্ধে শত্রুমুক্ত হয় আখাউড়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া পৌরসভার সরু সড়কের ওপর ফুটপাত দখল ও অটোরিক্সা স্ট্যান্ড থাকায় প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়তে হয় জনগণের। রেলস্টেশন, পৌর কার্যালয়, পোস্ট অফিস ও মায়াবী সিনেমা হলের সামনে থাকা অটোরিক্সা স্ট্যান্ডের কারণে সড়ক বাজারের প্রধান সড়কটিতে নিয়মিতই লেগে থাকে যানজট।
সম্প্রতি ড্রেন নির্মাণের কারণে এ সড়কের পৌর কার্যালয়ের সামনে চলাচল দায়। কয়েকমাস ধরেই অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেন গুলোর নির্মাণ কাজ চলছে। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। আর এসব বিষয় ধরা পরে এই এলাকার সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের চোখে।
জনগণের ভোগান্তি দূর করতে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী। এরপর ৩ জুলাই সোমবার বিকেলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী ভার্চুয়ালি মত বিনিময়ের সময়ও মন্ত্রী প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি আখাউড়া পৌর সভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মেয়র সাহেব, জনগণ রেলস্টেশনে নামার পর খুব বিরক্ত হয়। কারণ একপাশে বাজার, আরেক পাশে সিএনজি স্ট্যান্ড। আমি ওসি সাহেবকে বলেছি, স্টেশনের পাশে মাইক্রোবাস যেখানে থাকে সেখানে সিএনজি স্ট্যান্ড নিয়ে যেতে। যেন সড়কটা ফাঁকা থাকে। এই সড়কটি সংস্কার করতে এরই মধ্যে টেন্ডার হয়ে গেছে। কসবা-আখাউড়া জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার অনুরোধ সেখানে বাজার বসাবেন না। আপনি এখানে প্রতিনিধি আমি জানি। আপনি ব্যবস্থা না নিলে আমি ব্যবস্থা নিবো।’
মন্ত্রীর এমন নির্দেশনার কয়েক ঘণ্টা পরই সন্ধ্যা থেকে যানজট নিরসনে উদ্যোগ নেয় পুলিশ। এতে করে স্বস্তি ফিরে এসেছে এলাকায়। অনেক দোকানি নিজ থেকে অস্থায়ী দোকানগুলো সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘স্টেশন থেকে বেরুনোর পথটি যেন পরিষ্কার থাকে সে বিষয়ে মন্ত্রী মহোদয় নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশনা পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অব্যবস্থার তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। ৩০ জুন রোববার বিকালে জেলার সিভিল সার্জনের নিকট প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার আখাউড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিদর্শনে গিয়ে অব্যবস্থাপনা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ দেখতে পেয়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম করেন এবং বিষয়টি ভিডিও কলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হককে দেখালে মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে বিষয়টি মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সিভিল সার্জন ডা. মো. বেলায়েত হোসেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীমা সুলতানাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। দায়িত্ব পেয়ে রোববার তদন্ত কমিটির সদস্যরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে তদন্ত করেন। পরে বিকালে সিভিল সার্জনের নিকট প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত কমিটির সদস্য কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আলী আশরাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়েছি। রিপোর্টে বড় কোন অব্যস্থাপনা পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে স্টোর না থাকায় নিলামযোগ্য মালামালগুলো হাসপাতালের ভেতরে রাখা হয়েছিল। এজন্য দেখতে খারাপ লাগছিল। শিগগিরই এগুলো নিলাম দেওয়া হবে। ওই দিন হাসপালের রোগীদের খাবার দেওয়ায় বিলম্ব এবং নিম্নমানের খাবার সরবরাহের বিষয়ে ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভক্তদের ঢল নেমেছিল সকাল থেকে। শিশু-কিশোরদের আকর্ষণীয় সাজের মধ্য দিয়ে ফুটে ওঠে শ্রীকৃষ্ণের জীবনের নানা ঘটনাবলি। সড়কের দুই পাশে ভীড় করে ভক্তরা। এভাবে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আখাউড়ায় ‘ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালিত হয়েছে। শ্রী শ্রী রাধামাধব আখড়া কেন্দ্রীয় মন্দিরের আয়োজনে শোভাযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে শহরের সাহাপাড়া, দাস পাড়া, ঘোষ পাড়া থেকে শ্রীকৃষ্ণ ভক্তরা জড়ো হন পৌরশহরের রাধানগরস্থ রাধামাধব আখড়া কেন্দ্রীয় মন্দিরে। সকাল ৯টায় বিভিন্ন ফেস্টুন, বর্ণিল সাজে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় বের হয়। পরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই জায়গা গিয়ে শেষ হয়।
এসময় শোভাযাত্রায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী, রাধামাধব আখড়া কেন্দ্রীয় মন্দিরের সভাপতি চন্দন কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক অলক কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক দীপক ঘোষ, সদস্য সচিব বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ভজন দেব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আখড়া মন্দির প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তিতাস নদীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল জব্দ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদনের দায়ে এক বেকারী মালিককে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ ২ অক্টোবর সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আদালত পরিচালনা করা হয়। মৎস্য অফিস ও পুলিশের সহযোগিতায় আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবতী।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সহকারী কশিনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী ও সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহানের সমন্বয়ে গঠিত ভ্রাম্যমান আদালত শহরের বড় বাজার নৌ-ঘাট থেকে খড়মপুর এবং ধরখার পর্যন্ত নদীতে অভিযান চালায়। এসময় নদী থেকে ১৫টি রিং জাল, ৩০টি কারেন্ট জাল ও ২০০ মিটার বেড়জাল জব্দ করে। আদালতের অভিযানে বড় বাজার একটি মাছের আড়ৎ থেকে ৮০ কেজি বিদেশী মাগুর মাছ জব্দ করা হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার মোগড়া বাজারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির দায়ে বিসমিল্লাহ বেকারীর মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
পরে জব্দকৃত জালগুলো উপজেলা পরিষদ মাঠে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। জব্ধকৃত মাছগুলো ৭টি মাদ্রাসার এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
আখাউড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান বলেন, নদীতে অবৈধ জাল দিয়ে দেশীয় মাছ ধরা হচ্ছিল। এসব জালের কারণে মাছের প্রজনন ধ্বংস এবং জীব বৈচিত্র নষ্ট হয়। তাই অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে। বিদেশী মাগুরগুলো আমাদের দেশীয় মাছ খেয়ে ফেলে। এসব মাছ উৎপাদন, পরিবহন ও বিক্রি নিষেধ। এজন্য মাছগুলো জব্দ করা হয়।