অনলাইন ডেস্ক :
শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, আওয়ামী লীগে বিচ্ছিন্নবাদের কোনো স্থান নেই। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নীলকণ্ঠ।
তিনি বিষপান করেও হজম করতে পারেন। যারা আওয়ামী লীগে বিচ্ছিন্নতার সুযোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করতে চান তাদের হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, আমাদের পিছনে তাকানোর কোনো সুযোগ নেই।
আজ ৯ মার্চ শনিবার বিকেলে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় প্রাঙ্গণে শিল্পমন্ত্রীকে দেওয়া এক বিশাল গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, অতীতে যারা আওয়ামী লীগে থেকেও বিচ্ছিন্নতার সুযোগ নিয়ে ভুল করেছেন, তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে মূলস্রোতে ফিরে আসুন। আওয়ামী লীগ সত্য ও আদর্শের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। ডামি প্রার্থীর সুযোগ নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু করেছেন। ভবিষ্যতের জন্য আপনারা সাবধান হয়ে যান। নরসিংদীতে আমরা আওয়ামী লীগের আমলে মেঘনা নদীতে সেতু, ঘোড়াশালে সারকারখানা, বিসিকসহ অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। আগামীতে নরসিংদী শহরকে মেগাসিটি করারও পরিকল্পনা আমাদের হাতে আছে।
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নরসিংদী সদর-১ আসনের সাংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরো বীরপ্রতীক, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার ড. মাসুদা সিদ্দিক রোজী, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম ভূইয়া, মোন্তাজ উদ্দিন ভূইয়া, এসএম কাইয়ুম, দীপক কুমার সাহা, আসাদুজ্জামান খোকন ও রঞ্জন কুমার সাহা।
শুরুতে জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মন্ত্রী ও এমপিদের ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে পুলিশের জব্দ করা গাড়ি ব্যক্তিমালিকানাধীন গ্যারেজে রেখে মূল্যবান যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া থানার আঙিনায় রাখা মাদকসহ বিভিন্ন মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা গাড়ি থেকেও খুলে নেওয়া হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ।
জানা যায়, দেশের মাদক কারবারের অন্যতম ট্রানজিট পয়েন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ। এই উপজেলার ওপর দিয়ে গেছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। আশুগঞ্জে প্রবেশের কিছুদূর আগেই এর সঙ্গে মিলিত হয়েছে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক। দুটি মহাসড়কের সংযোগস্থল ও মেঘনা পাড়ে অবস্থিত হওয়ায় এটি মাদকের অন্যতম বর্ডার। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা, আখাউড়া, বিজয়নগর, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ ও সিলেটের সীমান্ত এলাকা থেকে প্রতিদিন মাদকের বিপুল পরিমাণ চালান আশুগঞ্জ হয়ে ঢাকায় পাচার হচ্ছে। ফলে পুলিশের অভিযানে প্রায় প্রতিদিনই আটক হচ্ছে মাদক পাচার কাজে ব্যবহৃত গাড়ি। এসব গাড়ির মধ্যে রয়েছে প্রাইভেটকার, পিকআপ ভ্যান, ট্রাক, সিএনজি, কনটেইনার, মোটরসাইকেল ইত্যাদি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েক দিনে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাদকসহ তিনটি বড় ট্রাক, একটি পিকআপ ভ্যান এবং ডায়না গাড়ি আটক করে। নিয়মানুসারে আটক করা এসব গাড়ি থানা হেফাজতে না রেখে মহাসড়কের পাশে কবির সরকার নামের একজনের ব্যক্তিমালিকানাধীন গ্যারেজে রাখা হয়েছে। গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ চোরাইভাবে বিক্রির সুবিধার্থেই এসব গাড়ি থানায় না নিয়ে উক্ত গ্যারেজে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে এসব গাড়ির ব্যাটারি, টুলবক্সের যন্ত্রাংশ, জগসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুলে নেওয়া হয়েছে বা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া এসব গাড়ি থেকে তেল বের করেও বিক্রি করে দেওয়া হয়।
ইয়াছির হাজারি নামের এক ট্রাক মালিক জানান, তার অসাধু ড্রাইভার হুমায়ূন কবির টাকার লোভে ট্রাকে এক মাদক কারবারির গাঁজা নিয়ে গাড়িসহ আটক হয়। অথচ সেসময় তার ট্রাক নিয়ে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বালু আনতে যাওয়ার কথা ছিল। তিনি তার গাড়িটি ফেরত পেতে আদালতে আবেদন করছেন। এর মধ্যেই কবির সরকারের গ্যারেজ থেকে তার গাড়িতে পুরাতন (নষ্ট) চাকা লাগিয়ে রিংসহ নতুন চাকাগুলো নিয়ে গেছে বলে তিনি জানতে পারেন। হাড়ির টুলবক্সেও কোনো যন্ত্রপাতি নেই। এছাড়া প্রায় আড়াই শ লিটার ডিজেল খুলে নেওয়া হয়েছে। চুরি হওয়া মালামালের মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা বলে তিনি দাবি করেন।
তবে গ্যারেজ মালিক কবির সরকার বলেন, গাড়িগুলো পুলিশি পাহারায় রাখা হয়। গাড়ির যন্ত্রাংশ বিক্রি করা হয়নি। নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাটারি ও ত্রিপাল খুলে রাখা হয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশুগঞ্জ থানা পুলিশের কয়েকজন কনস্টেবল জানান, থানায় আটক শত শত মামলার আলামতের গাড়ির কোনোটিরই যন্ত্রাংশ অক্ষত নেই। রাতের আধাঁরে কবির সরকারের লোকজনকে দিয়ে এসব যন্ত্রাংশ খুলে নেওয়া হয়েছে। সচল গাড়িগুলোকে আটক করা হলেও এর কোনটিই এখন চলার উপযোগী নয় বলে তারা জানান। তাদের ঊর্ধ্বতন অফিসাররা জড়িত থাকায় এ বিষয়ে তারা কিছু বলতে পারেন না।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ টোলপ্লাজায় কর্মরত পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্যারেজ মালিক কবির সরকারের সঙ্গে টিআই অযুত কুমার দাস ও ট্র্যাফিক সার্জেন্ট জহিরুল ইসলামের রয়েছে অন্যরকম দহরম-মহরম। সার্জেন্ট জহিরুল আশুগঞ্জ থানার সঙ্গে যোগসাজশে যন্ত্রপাতি চুরির উদ্দেশ্যে জব্দকৃত গাড়িগুলো কবির সরকারের গ্যারেজে নিয়ে রাখেন।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ নাহিদ আহাম্মেদ বলেন, থানার জায়গা স্বল্পতায় গাড়িগুলো অন্য গ্যারেজে রাখা হয়েছে। তবে যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানীর মহাখালীতে নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে লোহার রড পড়ে ১২ বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে।
আজ ২৯ মে সোমবার সকালে উড়াল সড়ক থেকে রড পড়ে শিশুটির মাথা এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায়।রক্তাক্ত অবস্থায় পথচারীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় নিহত শিশুর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ১২ বছর। পরনে ছিল কালো রঙের প্যান্ট ও ফুলহাতা সবুজ গেঞ্জি।
পথচারী আব্দুল কাদির ইমন বলেন, নির্মাণাধীন এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ছিটকে আসা রডটি ওই শিশুর মাথার একপাশ দিয়ে ঢুকে অন্যপাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে আনার পরও শিশুটি বেঁচে ছিল। চিকিৎসকেরা জরুরি ব্যবস্থা নেন। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়।
ঢামেকের পুলিশ কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুর মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল বাজারের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অর্ধশতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদে অভিযান আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মোহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন ও সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট নাজরিন সুলতানা।
অভিযানে মার্কেটের অভ্যন্তরে হাঁটাচলার রাস্তা, বিদ্যমান বৈধ দোকানের সামনে অবৈধভাবে নির্মিত দোকানপাট এবং কমন স্পেসে গড়ে ওঠা অর্ধশতাধিক দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন বলেন, মার্কেটে আগত ক্রেতা সাধারণ যেন নির্বিন্নে চলাফেরা ও কেনাকাটা করতে পারেন সে লক্ষ্যে সরাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন ঠাকুরের নির্দেশে সরাইল উপজেলার একমাত্র বাজারের অভ্যন্তরে বিদ্যমান ফুটপাত, বারান্দা, কমন স্পেসে গড়ে ওঠা অর্ধশতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
এছাড়া নতুন করে অবৈধ আর কোনো দোকানপাট নির্মাণ ও প্রতিষ্ঠা না করতে সর্তক করা হয়েছে এবং নতুন করে দোকান স্থাপন করা হলে উচ্ছেদসহ প্রয়োজনীয় জরিমানা করার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ একরামুল ইসলাম, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বর, বাজার কমিটির সেক্রেটারী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খোরশেদ আলম মিরন হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামী ফয়সাল খান জয়কে (২৫) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয় (র্যাব)। গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দত্তপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন র্যাাব—১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, ভিকটিম খোরশেদ আলম মিরন সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি একই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিও ছিলেন। ২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে দত্তপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব আলাদাদপুর গ্রামের একটি দোকানে মিরন আড্ডা দিচ্ছিলেন। তখন আসামিরা দলবদ্ধভাবে ওই দোকানে উপস্থিত হয়ে মিরনকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ৩০ সেপ্টেম্বর মিরনের স্ত্রী তাহমিনা বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার রায়ে আদালত ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। এদের মধ্যে পলাতক আসামীদের ধরতে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে র্যাাব। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী ফয়সাল খান জয়কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে তারা। আসামীকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।