ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারকের সঙ্গে শিষ্টাচারবহির্ভূত ও অশালীন আচরণে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে সংগঠনটির সভাপতি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবর রহমানের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কতিপয় আইনজীবী ২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর এজলাস কক্ষে বেআইনিভাবে বিচারিক কাজে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করেন। একই সঙ্গে তাঁরা বিচারকের সঙ্গে শিষ্টাচারবহির্ভূত ও অশালীন আচরণ করেন; যা অনভিপ্রেত, ন্যক্কারজনক ও দুঃখজনক। এতে বিচার বিভাগের মর্যাদা ও সম্মান মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। শিষ্টাচারবহির্ভূত ওই আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে; যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের নিন্দনীয় ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ কাজ করার দুঃসাহস না দেখায়।
শিষ্টাচারবহির্ভূত ওই আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে; যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের নিন্দনীয় ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ কাজ করার দুঃসাহস না দেখায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে এজলাস চলাকালে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁইয়াসহ কয়েকজন আইনজীবী বিচারককে গালিগালাজ করছেন। তবে তানভীর ভূঁইয়ার দাবি, তিনি বিচারককে গালি দেননি। ভিডিওটি সম্পাদনা করা হয়েছে।
এদিকে, আইনজীবী ও আদালত কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে স্থবির হয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালত। বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অসৌজন্যমূলক আচরণ, বিচারিক কাজে হস্তক্ষেপ, কর্মচারীদের মারধর, মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আদালতের কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়া শহরতলীতে ৪৯টি ভারতীয় মোবাইল ফোন সেটসহ স্বপন খান (৪০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে বিয়াল্লিশ্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির কাছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এনড্রয়েড মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।
বিকেলে পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সদর থানা পুলিশ কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিয়াল্লিশর এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
এ সময় আখাউড়া পৌর এলাকার নিজাম খানের ছেলে স্বপন খানকে ৪৯টি ভারতীয় মোবাইল ফোনসহ গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের আস্থা ও ভরসা সেনাবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী তাদের কর্মদক্ষতা দিয়ে তা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, যেকোনো সেনাবাহিনীর জন্য আস্থা ও আত্মবিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আস্থা ও আত্মবিশ্বাস না থাকলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যায় না। আজ আমি বলতে পারি আমাদের সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা ও ভরসা আছে।
আজ ২২ জুলাই শনিবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সেনা নির্বাচন বোর্ড (প্রথম পর্যায়) ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের বাহিনী। তারা সবসময় দেশের জনগণের পাশে থাকে এবং যেকোনো দুর্যোগে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনীর সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে সর্বত্র তারা কাজ করছে।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তাই আমরা নিশ্চিত যে কাজগুলো গুণগত মান নিশ্চিত করে দ্রুততার সঙ্গেই সম্পন্ন হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু সেনাবাহিনীকে বলেছিলেন- আমাদের সেনাবাহিনী হবে জনগণের সেনাবাহিনী।
এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের সেনাবাহিনী হিসেবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বাংলাদেশ সেনা নির্বাচন বোর্ড-২০২৩-কে নিরপেক্ষ মূল্যায়নের মাধ্যমে পদোন্নতির জন্য যোগ্য ও বিচক্ষণ কর্মকর্তাদের বাছাই করতে বলেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আপনাদের পেশাদার যোগ্যতা বিবেচনা করে এটি করা উচিত। যৌক্তিক এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে তুলনামূলক মূল্যায়ন করা উচিত
তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া অফিসারদের কমান্ড দেওয়ার দক্ষতা বা (বিশেষ পরিস্থিতিতে) দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে কিনা- সেদিকে আপনাদের মনোযোগ দিতে হবে।
পদোন্নতির জন্য যোগ্য কর্মকর্তাদের বাছাই করার জন্য নির্বাচন বোর্ড সততা ও সঠিক বিচারের সঙ্গে পবিত্র দায়িত্ব পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, মাঠের কাজে তাদের অভিজ্ঞতা এবং তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং তাৎক্ষণিকভাবে সরঞ্জামাদি ব্যবহার করার ক্ষমতা বিবেচনা করুন। আমরা চাই আপনি নিরপেক্ষ মূল্যায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের নেতৃত্বের (বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে) কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাসী বলে কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ উন্নয়নের পূর্বশর্ত।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, সেনাবাহিনী যেকোনো দুর্যোগ ও সংকটময় সময়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী সবসময় দেশের মানুষের পাশে আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের আব্দুল মোনেম মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমকে জোরপূর্বক কথিত পদত্যাগ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে শিক্ষার্থীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির কাছে অধ্যক্ষের কথিত পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার চেয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এর আগে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে জড়ো হন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৯ আগষ্ট কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী বহিরাগত ছেলে মেয়েদের নিয়ে কলেজে প্রবেশ করে অধ্যক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাদের লেখা একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে অধ্যক্ষকে বাধ্য করেন। যা অধ্যক্ষের পদত্যাগপত্র বলে তারা দাবি করে তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, এই পদত্যাগ আমরা মানিনা, আমরা অধ্যক্ষকে স্বপদে বহাল চাই।
শিক্ষার্থীরা বলেন, অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম কলেজে যোগদান করার পর কলেজের সার্বিক শিক্ষার মান বেড়েছে। তিনি কলেজের সার্বক্ষনিক লেখাপড়ার তদারকি করেন। আমরা তাকে স্বপদে বহাল চাই। তাই আমরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম শেখের কাছে তাকে দ্রুত স্বপদে বহাল করার দাবি জানিয়েছি।
কলেজ শিক্ষার্থী আফজাল হোসেন, শরীফ উল্লাহ, মুজাহিদ আহমেদ বলেন, কলেজের কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ষড়যন্ত্র করে অধ্যক্ষকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নিয়েছেন। আমরা এই পদত্যাগ মানি না।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, কলেজ অধ্যক্ষকে পূর্ণবহালের দাবিতে শিক্ষার্থীরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। এই বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক মানবজমিনের ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ স্টাফ রিপোর্টার জাবেদ রহিম বিজন। আজ ১৬ আগস্ট শুক্রবার ক্লাব কার্যালয়ে সভাপতি পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সালের ৬ মার্চ ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি। তার শূন্য পদে এই নির্বাচনে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহন চলে। পরে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রেস ক্লাব উপ-নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মো: ইকরামুল হক নাহিদ।
নির্বাচন তত্ত্বাবধান করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো: ইকবাল হোসেন।
নির্বাচনে জাবেদ রহিম বিজনের প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন স্থানীয় দৈনিক তিতাস কন্ঠের সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রেজা।
নির্বাচনে সদর মডেল থানা পুলিশ ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আর্মি ক্যাম্প ইনচার্জ সেনাবাহিনীর ৩৩বীরের ওয়ারেন্ট অফিসার দিদারুল আলমের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা কিছু সময় দায়িত্ব পালন করেন।
পরে নব-নির্বাচিত সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লার নেতৃত্বে ক্লাব সদস্যরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এছাড়া নবীনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোরাব, সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির, সদস্য শফিকুল ইসলাম বাদল এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা আলাদাভাবে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
জাবেদ রহিম বিজন এর আগে প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পিকআপভ্যানের ধাক্কায় ঝুমা নামে (৫) এক শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মালিহাতা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ঝুমা ওই এলাকার সেলিম মিয়ার মেয়ে।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সিলেটগামী তরমুজবোঝাই একটি মালবাহী পিকআপভ্যান মহাসড়কের মালিহাতা এলাকা অতিক্রম করছিল। এসময় রাস্তা পার হতে গিয়ে পিকআপের ধাক্কায় শিশু ঝুমা গুরুতর আহত হয়। আর পিকআপটি সড়কে উল্টে যায়। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরো বলেন, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।