চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৩ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সেলিম মিয়া ও মোঃ শামীম মিয়া নামে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
গতকাল বুধবার রাতে শহরের দক্ষিণ পৈরতলা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সেলিম মিয়া জেলার কসবা উপজেলার বাড়াই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও শামীম মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাজীপাড়ার হারুন মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে দক্ষিণ পৈরতলা এলাকায় সেলিম মিয়ার ভাড়া বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে সেলিম মিয়ার বাসা তল্লাশী করে ১৩ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আফরিন ফাতেমা জুঁইকে (ফুটবল প্রতীক) কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রীর একটি ভিডিও স্থিরচিত্র ব্যবহার করে জুঁই আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জুঁইকে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
আগামীকাল ৩০ মে দুপুর ১২টার মধ্যে প্রার্থীকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশে বলা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আপনি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও এবং স্থিরচিত্র ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন, যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৮ (৫) এর পরিপন্থী। যার সুনির্দিষ্ট তথ্যচিত্র প্রমাণাদি রয়েছে।
এমতাবস্থায়, আপনার বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩২ অনুযায়ী কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না ও বিধি ৩৩ অনুযায়ী কেন প্রার্থীতা বাতিলের সুপারিশ করা হবে না, তা আগামী ৩০ মে বুধবার দুপুর ১২ ঘটিকার মধ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হলো।
এ ব্যাপারে নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘণ করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আফরিন ফাতেমা জুঁইকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী প্রচার-প্রচারণায় প্রধানমন্ত্রীর ছবি অথবা ভিডিও চিত্র ব্যবহার করা যাবে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, গণতান্ত্রিকতার বিকাশের স্বার্থে এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সকলেরই অংশ নেয়া উচিত। সরকার ও ক্ষমতার পরিবর্তনের এই গণতান্ত্রিক চর্চায় কাউকে আমন্ত্রণ করে আনার বিষয় নয়, নির্বাচনে আসা ও অংশগ্রহণ প্রত্যেকের নাগরিক কর্তব্য।
তিনি আরো বলেন, দেশে নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সাংবাদিকরা সমাজের আয়না হিসাবে আপনাদের আয়নায় দেখুন সাধারণ মানুষ নির্বাচন নিয়ে কতোটা উৎসাহী। তিনি আরো বলেন, জনগণ নির্বাচন চায়, তাই নির্বাচন যথাসময়ে হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করবার জন্য তিনি সাংবাদিকদের ভূমিকা পালন করবার জন্য তিনি আহবান জানান। তিনি এসময় আরো বলেন, দেশে প্রচুর রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বিএনপি-জামাতের নাশকতার আন্দোলনে জনগণের কোনো প্রকার সাড়া নেই। তিনি আরো বলেন, আমার নির্বাচনমুখী কাজের শুরু থেকেই সাংবাদিকরা আমাকে সহায়তা করছেন, আগামী নির্বাচনেও আমাকে তারা সহায়তা করবেন। নির্বাচনে কেউ জবরদস্তি করলে সাংবাদিকদের সোচ্চার হতে হবে। তিনি ৪র্থ বারের মতো মনোনয়ন পাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণ ও সাংবাদিকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আমি সাংবাদিকদের ভালোবাসা, দোয়া ও সহায়তা চাই।
আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো: হেলাল উদ্দিন।
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান বাবুল, অ্যাড. মাহাবুল আলম খোকন, শেখ মো. মহসিন, শেখ মো. আনার, সৈয়দ মিজানুর রেজা, এহতেশামুল বারী চৌধুরী তানজিল, মাহমুদুর রহমান জগলু, শাহআলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিস্কার হাত সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার আয়োজনে ও IUGIP, এলডিইডি এর সহযোগিতায় জাতীয় স্যানিটেশন মাস ও বিশ^ হাত ধোয়া দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক ও পৌর পরিষদ সদস্য সুশান্ত সাহা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও পৌর পরিষদ সদস্য মোঃ শামসুর রহমান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও পৌর পরিষদ সদস্য নিরূপা ভৌমিক, তরী বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি মোঃ শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা আক্তার মুন্নী, পৌরসভার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কাউছার, সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কাজী, শহর পরিকল্পনাবিদ জান্নাতুল ফেরদৌস আরা, IUGIP প্রকল্পের সিডিএ মোজাম্মেল হক মজুমদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পৌরসভার সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মুখলেছুর রহমান। সভায় সভাপতির বক্তব্যে পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, বিশ্ব ব্যাপী জনসচেতনতা তৈরী ও উদ্বুদ্ধ করনের জন্য চালানো একটি প্রচারণামূলক দিবস হচ্ছে বিশ্ব হাতধোয়া দিবস। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। হাত ধোয়া ছাড়া যে কোন খাবার গ্রহন করলে এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
এছাড়াও বক্তারা হাত দোয়ার উপর গুরুত্ব আরোপসহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য সকলকে সচেতন করেন এবং জীবানুমুক্ত না থাকলে শরীরে বিভিন্ন ভাইরাস আক্রান্ত হয় বলেও সর্তকর্তসহ বিভিন্ন দিকনিদের্শনা মূলক বক্তব্য রাখেন।