চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান,বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নারী মুক্তিযোদ্ধা বেগম দিলারা হারুনের একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৪ এপ্রিল।
এ উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার সকালে প্রয়াতের কবরে ফাতেহা পাঠ, কোরআন খানি অনুষ্ঠিত হবে। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রমাগত দখল-দূষণে অস্তিত্ব হারিয়ে বিলীন হচ্ছে বাঙালির প্রাণের সাথে মিশে থাকা নদ-নদীগুলো। যার প্রভাবে ধুঁকছে প্রকৃতি ও পরিবেশ। সে অবস্থা থেকে নদী রক্ষার পাশাপাশি জনমনে নদীর প্রতি আন্তরিকতা বাড়াতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বর্ণ্যাঢ্য নৌ র্যালি। গতকাল শনিবার বিকেলে নৌ দিবস উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী তিতাস নদীতে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠন “তরী’র উদ্যোগে এই র্যালির আয়োজন করা হয়।
‘নদী বাঁচলে, বাঁচবে দেশ’ এই স্লোগান সামনে রেখে শহরের তিতাস নদীর আনন্দবাজার নৌ-ঘাট থেকে ১০টি নৌকা নিয়ে র্যালিটি নদীর প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। এ সময় নদী রক্ষার বিভিন্ন স্লোগানে পতাকা আর ব্যানার প্রদর্শন করে সাধারণ জনগনকে সচেতন করা হয়। র্যালিতে কবি-সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে। র্যালিটি দীর্ঘপথ অতিক্রম করার পর ভাদুঘর নৌ ঘাট গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় নদীভিত্তিক কবিতা নিয়ে নদী বন্দনা। উদ্বোধন করেন কবি জয়দুল হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক মীর (শিক্ষা ও প্রযুক্তি)। জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য সচিব ফয়েজুল কবির, সাহিত্য একাডেমির নির্বাহী সদস্য জামিনুর রহমান, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার আহবায়ক ফজলুর রহমান মুকুল প্রমুখ।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, নদীকে বাঁচাতে প্রশাসন সব সময়ই তৎপর রয়েছে। নৌ র্যালির যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে নদীকে দখল-দূষণের হাত থেকে রক্ষায় সচেতন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার অভিযোগ করেন, রাতে রিকশায় করে বাসায় ফেরার সময় পুনিয়াউট লেবেল ক্রসিংয়ে প্রতিরোধক তোলা ছিল। তাই রিকশা বিনা বাধায় ক্রসিং পার হচ্ছিল। এ সময় ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর স্বামী নিহত হন ও এক মেয়ে আহত হয়। লেবেল ক্রসিংয়ে প্রতিরোধক নামানো থাকলে এই দুর্ঘটনা ঘটতো না বলে দাবি করেন তিনি। এ ঘটনায় রেলওয়ের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন, কমিটির সদস্যরা বিষয়টি তদন্ত করছেন। তবে গেটম্যান সুমন মিয়া জানিয়েছেন, লেবেল ক্রসিংয়ে প্রতিরোধক নামানো ছিল। ওই যাত্রীরা নিজেরা প্রতিরোধক উঠিয়ে লেবেল ক্রসিং এলাকা পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় একজন মারা যান।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘যতটুকু জানতে পেরেছি, পুনিয়াউট লেবেল ক্রসিং এলাকায় গেটম্যান গেট ফেলেননি। আমাদের পরিদর্শক সেখানে গিয়েছেন। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করব। এ ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশ বিভাগ দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্তে যা পাওয়া যাবে, সে অনুযায়ী প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হবে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে। এ ছাড়া নিহতের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ এলে তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩২৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে ও রাতে পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার চান্দপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আবুল হোসেন ও একই উপজেলার কাছাইট গ্রামের মনা মিয়ার ছেলে মোঃ বাদল মিয়া। এর মধ্যে গ্রেফতারকৃত আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার শরীর তল্লাশী করে তার কাছে ৩৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
অপর দিকে শনিবার রাত ১০ টার দিকে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাছাইট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার শরীর তল্লাশী করে ২৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত বাদল মিয়ার বিরুদ্ধে নরসিংদী জেলার শিবপুর থানায় খুন ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে এবং আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ ২১মে রবিবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।