চলারপথে রিপোর্ট :
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউ কে’র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান অ্যাডভোকেট মেসবাহ উদ্দিন ইকো। তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য। দু’বছর মেয়াদী এই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ চৌধুরী। গত ১২ নভেম্বর লন্ডনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যতম এই সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ।
ইকো ব্রাহ্মণবাডিয়ার বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন-এর পুত্র। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেডক্রিসেন্টের নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
পূর্ব লন্ডনের ক্রিস্টাল ব্যাংকুয়েটিং হলে আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত সংগঠনের ষষ্ঠ এ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম। বিদায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ডাকসুর সাবেক সদস্য দেওয়ান গৌস সুলতান এতে সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান, এমদাদ তালুকদার এম বি ই, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউ কের সভাপতি এ কে এম ইয়াহিয়া এবং বাংলাদেশ টিচার্স এসোসিয়েশন ইউ কের সভাপতি আবু হোসেন, প্রশান্ত পুরকায়স্থ, নিলুফা ইয়াসমীন হাসান, মেহেরুন আহমেদ মালা, মুস্তাফিজুর রহমান, ফয়জুল হক রিপন, ড. অজিত কুমার ঘোষ, কাজী কল্পনা, ব্যারিষ্টার আবুল কালাম, মতিন চৌধুরী প্রমুখ।
৩২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হচ্ছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রশান্ত পুরকায়স্থ বিইএম, সহ-সভাপতি সহুল আহমেদ মকু, নিলুফা ইয়াসমীন হাসান ও সিরাজুল বাসিত চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক সলিসিটার সৈয়দ আবু আকবর আহমেদ ইকবাল, ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও ব্যারিস্টার মাহারুন আহম্মেদ মালা, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মোহাম্মাদ কামরুল হাসান, ব্যারিস্টার কামরুল হাসান ও বেলাল রশীদ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ জাফর, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ ফাইজুল হক রিপন ও খোকন কান্তি ঘোষ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার মিজানুর রহমান, রীপা সুলতানা রাকীব সাংস্কৃতিক সম্পাদক, খালিদ ইয়াহইয়া প্রেস অ্যান্ড পাবলিসিটি সম্পাদক ও এ্যারিনা সিদ্দিকী সুপ্রভা শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্যকরি কমিটির সদস্যরা হলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান, ইসমাইল হোসেন, মাহফুজা রহমান, সৈয়দ সাইদুর রহমান ফারুক, সৈয়দ এনামুল ইসলাম, মির্জা আসাব বেগ, ফখরুল মোহাম্মদ ইসলাম, মোহাম্মদ রফিক আহমেদ, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আবুল কালাম, শারমিন চৌধুরী, সৈয়দ হামিদুল হক, মিসেস কল্পনা কাজী ও সৈয়দ ফারহানা সুবর্ণা। সভায় সংগঠনের জ্যেষ্ঠতম সদস্য ‘একুশের গান’ খ্যাত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও আরো তিনজন অ্যালামনাইর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহন এবং পরলোকগত সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য মাওলানা মোবারক আলী।
এছাড়া সভায় ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনবাসীদের উপর নৃশংস আক্রমনের প্রতিবাদে ও অনতিবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে একটি বিশেষ প্রস্তাব পাশ এবং এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া করা হয়।
সভায় ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার শিকার অগণিত অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে তহবিল সংগ্রহ করা হয় এবং র্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে সংগৃহিত সমুদয় অর্থ গাজার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের ত্রাণকাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান পৌর শহরের মধ্যপাড়া ভাউয়াল দিঘীর পাড়স্থ ছায়াবীথি’র বাসিন্দা প্রফেসর ড. এমদাদুল হকের ১ম মৃত্যু বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার পরিবারের পক্ষ থেকে মধ্যপাড়াস্থ বাস বভনে বাদ আসর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া গ্রামের বাড়ি নরসিংসার গ্রামের মসজিদ ও মাদ্রাসায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ অনুমান সাড়ে ৪টায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি স্ত্রী ২ কন্যা, ৪ ভাই ২ বোনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী ও আত্মীয় স্বজন রেখে যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সভাপতি জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও আকস্মিক দুর্ঘটনায় ক্ষতি গ্রস্তদের উদ্ধার ও সাহায্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট থেকে পঁচিশ সদস্যের একটি শক্তিশালী ‘‘ডিজেস্টারের রেসপন্স ইউনিট’’ গঠন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই ইউনিটের প্রতিটি সদস্যকে আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত দক্ষ মানবকর্মী হিসাবে গড়ে তোলা হবে।
তিনি আজ ১৯ মে শুক্রবার বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্দেশনা ও আর্থিক সহযোগীতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের উদ্যোগে ডিজেস্টার রেসপন্স ইউনিট কর্মীদের চারদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান জায়েদুল হকের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী আলহাজ¦ শাহ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট দানবীর লায়ন ফিরোজুর অলিও এবং প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
অন্যান্যের মধ্যে ইউনিট আহবায়ক কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম শাহাজাদা, আশিকুর রহমান পাঠান ও সালাউদ্দিন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সদর দফতর থেকে আগত জুনিয়র সহকারী পরিচালক কাজি আছাদুজ্জামান, আরসিওয়াই সদস্য তানজিম হাসান এবং ইউনিট লেভেল অফিসার পঙ্কজ সরকার প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই মাদ্রাসার ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার নিহত নাইমা আক্তারের বাবা বিল্লাল মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে, গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রাম থেকে নাইমা আক্তার (১৩) ও মাইমুনা আক্তার (১৫) নামের দুই মাদ্রাসার ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলায় সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসার দুই শিক্ষক হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার (২৮) ও হাফেজ রায়হান খন্দকার (২৬) সহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার ও হাফেজ রায়হান খন্দকার সদর উপজেলার পয়াগ গ্রামের আব্দুল খায়ের খন্দকারের ছেলে।
মামলার পর পর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসায় গত ৬ মাস যাবত নাইমা আক্তার ও ২০২১ সাল থেকে মাইমুনা আক্তার পড়াশুনা করে আসছে। অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার পর মাদ্রাসা এক সপ্তাহের জন্যে বন্ধ থাকায় তারা দুইজন বাড়িতে চলে যায়। মাদ্রাসা খোলার পর গত ২৩ আগস্ট তাদের দুইজনকে যার যার পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসায় এনে শিক্ষকদের কাছে দিয়ে যায়। কিন্তু পরদিন ২৪ আগস্ট সকালে মাদ্রাসা থেকে মোবাইলের মাধ্যমে জানানো হয় নাইমা ও মাইমুনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই খবরে মাদ্রাসায় গিয়ে সিসি টিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে তা দেখানো হয়নি। তাদের দুইজনকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এই অবস্থায় গত ২৭ আগস্ট ভোরে সাদেকপুরে নাইমা ও মাইমুনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর দুইজনের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। মরদেহের অবস্থা ও বর্ণিত আলামতের প্রেক্ষিতে বাদী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন দুই মাদ্রাসার ছাত্রীকে দুই শিক্ষক সহোদর হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার ও হাফেজ রায়হান খন্দকার ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন জানান, হত্যা মামলার পর মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও সরকারি শিশু পরিবারের উদ্যোগে ২৬ মার্চ রবিবার সরকারি শিশু পরিবারের নিবাসীদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
সমাজসেবা অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আবু আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী মিসেস আছমা আক্তার, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও প্রমুখ।
সভায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ইফতার মাহফিলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকের গুলিতে শহীদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সকল সদস্য ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত, দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ’র ভ্রাতৃত্ব কামনা করে মোনাজাত করা হয়।