চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সম্মিলিত কওমী প্রজন্ম।
১৯ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে বৃষ্টির মাঝেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনের মাওলানা কাজী সাইফুর রহমান মুন্নার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত কওমী প্রজন্মের মুখপাত্র মুফতি এরশাদুল্লাহ কাসেমী, মুফতি হাবিবুর রহমান আরিফী, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মুফতি সিরাজুল ইসলাম নুরী, মাওলানা এনামুল হাসান শহীদ বাড়িয়া, মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত নবীনগরী, মাওলানা জহিরুল ইসলাম গাজী, মাওলানা ইসহাক আল মামুন, মাওলানা শফিউদ্দিন, মাওলানা হাফেজ আব্দুর রাকিব, এস এম ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা সাবেক গণপূর্ত ও গৃহায়ন মন্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদিরসহ অন্যদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এমপির নির্দেশে দিনমজুর শ্রমিক, আলেম-ওলামাসহ সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে অমানষিক নির্যাতন চালানো হয়। অবিলম্বে সকল সন্ত্রাসী এবং হত্যাকারীদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়। পাশাপাশি নির্দিস্ট সময়ের মধ্যে জেলার হেফাজত ইসলামের সকল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
জীবিকার তাগিদে তিন বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি দিয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার দক্ষিণ ইউনিয়নের বীরচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল হকে ছেলে মো. সোলেমান মিয়া (২৪)। ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের রিয়াদে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সোলায়মান। তার খোঁজ নিতে দু’দিন ধরে বাড়িতে লোকজন আসছেন।
ছবি হাতে বুক চাপড়াচ্ছেন মা। কখনো দু’হাত তুলে বিলাপ করছেন। ছেলের মরদেহ দেখতে পারার আকুতি বাবার কথায়। চোখের কোনে পানি জমা থাকা বাবার শঙ্কা মরদেহ আনতে যে টাকা লাগবে সেটা তিনি পাবেন কোথায়। বোনসহ স্বজনরাও সোলায়মানের শোকে কাতর।
স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন জানানা, চার ভাই-বোনের মধ্যে সোলেমান দ্বিতীয়। বাবা দিনমজুর। এখন অসুস্থ। পরিবারের সুখের আমায় বছর তিনেক আগে সৌদিতে যায় সে। এ জন্য পরিবারের লোকজনকে অনেক টাকা ধারদেনা করতে হয়।
এদিকে দেশে আসবেন বলে প্রায় চার মাস আগে মোবাইল ফোনে বিয়ে করেন সোলেমান। এবারের রমজানের আগে বাড়িতে এসে বৌ ঘরে তোলার কথা। স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করতে না করতেই, হাতে মেহেদী না মুছতেই সোলেমান পরপারে পাড়ি জমিয়েছে। সোলেমানের মৃত্যুতে পুরো পরিবার দিশেহারা।
কেননা, ধারদেনা করে তিন বছর আগে সৌদিতে যান তিনি। এখনো চার লাখ টাকা পাওনা পরিশোধের বাকি। এখন আবার তার মরদেহ আনতে টাকা লাগার খবরে পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
সোলেমানের মা ছেলের ছবি হাতে বারবার বিলাপ করছিলেন, ‘বাপ অসুস্থ দেইক্কা পুলারে মুবাইল ফোনে বিয়া করাইছি। রমজানের আগে বউরে বাড়িত আনলাম অইলে। অহন আমার সব শেষ। আমি পুলার লাশটা দেকতাম চাই। শুনছি লাশ আনতে টেহা লাগবো। এই টেহা আমি পামু কই। সরকার আমডারে সাহাইজ্জ করুক আমার পুতের লাশ দেশে আনার লইগা।
সোলায়মানের প্রতিবেশী ও দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. আব্দুর রহিম জানান, পরিবারটি খুবই দরিদ্র। সোলেমানের টাকায় তাদের সংসার চলতো। বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যুর খবর আসে। সোলেমানের মরদেহ দেশে আনতে সরকার সহযোগিতা করবে বলে আশা করছি।
চলাপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী আদর্শ দেশপ্রেমিক তৈরি করবে। নিজেদের অধিকার আদায়ে অটল থাকতে এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করার ক্ষেত্রে বইটি অসামান্য ভূমিকা পালন করবে।’
বাহেরচর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং অসমাপ্ত আত্মজীবনী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশের তরে অসামান্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন বলেই দেশ স্বাধীনতা লাভ করছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তারই পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির মডেলকে ফলো করছে।’
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এমএস রানা, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন আগামী ১৮ জানুয়ারি শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল। অনুষ্ঠিতব্য দ্বিবার্ষিক সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির কমিটিসহ নেতৃত্ব নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের জেরে আজ ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দুই পক্ষের নেতাদের সাথে আলোচনা করে কেন্দ্র থেকে সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মান্নান। এর আগে আজ দুপুরে এক সমাবেশ থেকে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একাংশের নেতা-কর্মীরা সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। সমাবেশ থেকে নেতা-কর্মীরা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত জেলা বিএনপির ১৪টি ইউনিটের ভোটার তালিকা পরিচ্ছন্নভাবে প্রকাশ করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা সম্মেলনে যাবেন না।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কমিটি ও নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হকের নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বড় একটি অংশ এক পক্ষে। তাঁরা দুজনই জেলা বিএনপির ৩২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। আহ্বায়ক আবদুল মান্নান, সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে আরেক পক্ষ সক্রিয়। প্রায় দুই বছর ধরে উভয় পক্ষ পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করছে। সম্মেলন ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তাপ ছড়িয়েছে।
আগামী ১৮ জানুয়ারি শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনে সভাপতি পদে চারজন, সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে তিনজন দলীয় মনোনয়ন কিনেছিলেন। কিন্তু আজ দুপুরে শহরের আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে আয়োজিত সমাবেশ থেকে হাফিজুর রহমান ও জহিরুল হকের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, আজ বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতাদের ভার্চ্যুয়াল সভা হয়। পরে তারেক রহমানের সাথে স্কাইপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব মুশফিকুর রহমানের বৈঠক হয়। সেখানে জেলার কমিটি ও নেতৃত্বের নানা অসংগতি তুলে ধরেন মুশফিকুর রহমান। ওই সভা শেষে ১৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মান্নান রাতে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু ভাইয়ের সঙ্গে একটু আগে আমার কথা হয়েছে। সম্মেলনের ১৮ জানুয়ারির তারিখ পরিবর্তন হবে। সম্মেলনের নতুন তারিখ পরবর্তী সময়ে জানানো হবে। আপাতত ১৮ জানুয়ারি সম্মেলন হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা আগামী ২০ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। সেখানে আলোচনা সাপেক্ষে নতুন তারিখ নির্ধারণ করে জানানো হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল মিয়াকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রোটারি ক্লাব অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাসের নেতৃবৃন্দ। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা পরিষদ কার্যালয়ে তাঁকে এই ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রোটারি ক্লাব অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাসের প্রেসিডেন্ট রোটারীয়ান ডাঃ মোঃ শওকত হোসেন পিএইচএফ, আইপিপি রোটারীয়ান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান খান পিএইচএফ, রোটারীয়ান পিপি ক্ষমা রানী কর পিএইচএফ, রোটারীয়ান পিপি সাংবাদিক মোঃ শাহজাদা পিএইচএফ, ক্লাব সেক্রেটারি রোটারীয়ান মোঃ জুয়েলুর রহমান পিএইচএফ, রোটারীয়ান গোলাম মোহাম্মদ পিএইচএফ, রোটারীয়ান নাছিমা খান ইভা পিএইচএফ প্রমুুখ। ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদানকালে রোটারী নেতৃবৃন্দ নব নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।