চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর কার্যালয়ের সহযোগিতায় মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩০ জুলাই রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য একটি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আশিক হাসান উল্লাহ, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান তানিম, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রা প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ শাহগীর আলম বলেন, মাদকদ্রব্য প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আমরা যদি সবাই যার যার পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখি ও মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি তাহলেই মাদকমুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব। আমাদের যুব সমাজ যাতে মাদকের ভয়াবহতা থেকে দূরে থাকতে পারে সেজন্য সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে মাদক বিরোধী রচনা প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অবৈধ সীমানা প্রাচীর, টিনের ঘর ও চার চালা টিনের ঘর উচ্ছেদ করে প্রায় তিন শতক খাস জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামে এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার সুলতানপুর ও রামরাইল ইউনিয়নের অধীনে সেন্দ মৌজায় রামরাইল ইউনিয়নের শিলাউর গ্রামের সৈয়দ জাকির হোসেন বাহারের ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা রয়েছে। জাকির হোসেনের জায়গার উত্তর পাশে রয়েছে সরকারি রাস্তা। সরকারি সার্ভেয়ার নিয়োগ করে সরকারি রাস্তার সীমানা নির্ধারণের জন্য ২০১৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জাকির হোসেন বাহার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। ওই বছরের ৮ মার্চ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সার্ভেয়ারকে নিয়ে মাপঝোঁক করে সরকারি রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করেন।
সে সময় ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা ও রাস্তার সীমানার উপর ছয়টি পিলার স্থাপন করে জাকিরকে বুঝিয়ে দেন। কিন্তু সেন্দ গ্রামের চার ভাই সেলিম মিয়া, মনির মিয়া, খোকন মিয়া ও মামুন মিয়া নিষ্পত্তিকৃত সীমানা নির্ধারণ লঙ্ঘণ করে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে বরাদ্দ নিয়ে সরকারি রাস্তাটি বিভাজন করেন। পরে তারা জাকিরের জায়গা দখলের পায়তাঁরা শুরু করেন। এক পর্যায়ের তারা সরকারী রাস্তা দখল করে সীমানা প্রাচীর দিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করা শুরু করেন। ২০২০ সালের ১২ জুলাই জাকির হোসেন বাহার নকশা অনুযায়ি সরকারি রাস্তাসহ তার ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে কাছে লিখিত আবেদন করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামের চার ভাই সেলিম মিয়া, মনির মিয়া, খোকন মিয়া ও মামুন মিয়া সেন্দ মৌজার ১ নং বিএস খাস খতিয়ানভুক্ত ৫৬৩২ দাগে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছেন। সেখানে তারা অবৈধভাবে দুটি সীমানা প্রাচীর, একটি ভিটি পাকা টিনের ঘর ও একটি চার চালা টিনের ঘর নির্মাণ করে বসবসা করে আসছিলেন।
২০২০ সালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের ( রাজস্ব) আদালতের এক উচ্ছেদ মামলার রায়ের নির্দেশনা এবং জেলা প্রশাসসক কার্যালয়ের এক চিঠি অনুযায়ী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন অবৈধভাবে দখলদার চার ভাই সেলিম, মনির, খোকন ও মামুনকে প্রথমে গত ১০ এপ্রিল পরে গত ৫ জুনের মধ্যে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও তারা কর্ণপাত না করায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের চার ভাইয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। এসময় দুটি সীমানা প্রাচীর, একটি ভিটি পাকা টিনের ঘর ও একটি চার চালা টিনের ঘর উচ্ছেদ করে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিমশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন জানান, অবৈধ স্থাপনাসহ দখল সরিয়ে নিতে তাদের দুই দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু দখলকারীরা কোনো কর্ণপাত করেননি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) আদালতের উচ্ছেদ মামলা মূলে খাস জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উক্ত অবৈধ স্থাপনা সমূহের কারণে সেখানে সরকারি রাস্তা নির্মান করা যাচ্ছিল না।
চলারপথে রিপোর্ট :
কাউতলী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এর পুনঃ নির্মাণ ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান ১০ নভেম্বর শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
কাউতলী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এর সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ সায়েদুর রহমান সর্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজকোর্টের পিপি এড. মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ এইচ মাহবুব আলম, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অ্যাড. লোকমান হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউতলী পঞ্চায়েত কমিটির সকল সদস্য ও কাউতলী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কার্যকরী কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাউতলী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলম।
মোনাজাত পরিচালনা করেন জামিয়া নুরুল উলুম প্রান্তশালা, নরসিংদীর মুহাদ্দিস ও খতিব মাওঃ মুফতী হেদায়াতুল্লাহ্ নূর।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘আমার জীবন আমার সম্পদ, বীমা করলে থাকবে নিরাপদ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ ০১ মার্চ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় বীমা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে জেলা প্রশাসকের অফিস প্রাঙ্গণ থেকে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের কাউতলী মোড় প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের অফিস প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় বীমা দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও জীবনবীমা করপোরেশনের ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান, ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ইনচার্জ মোহাম্মদ আরজু, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর এরিয়া প্রধান মোঃ মিজানুর রহমান, ফারইষ্ট লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ইনচার্জ মোঃ তাজুল ইসলাম, পপুলার ইন্সুরেন্স কোমপানীর ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান,সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ইনচার্জ মোঃ আবুল বাশার প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা ও জনগণের আগ্রহ ও বিশ্বাস সৃষ্টির মাধ্যমে বীমা কোম্পানী গুলোকে কাজ করতে হবে।
সভায় জাতীয় বীমা কোম্পানী গুলোর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম কে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।