স্টাফ রিপোর্টার :
আইনমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে আদালতে ফিরেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আন্দোলনরত আইনজীবীরা। আজ ১৫ জানুয়ারি রবিবার সকাল থেকে আইনজীবীরা তাদের কাজে যোগ দিয়েছেন। এতে করে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের পদচারনায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে আদালতপাড়ায়।
তবে, আইনজীবীদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী তারা জেলা ও দায়রা জজ শারমীন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন অব্যাহত রেখেছেন।
আদালত সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছরের ২ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আদালত ১ মাসের জন্য (অবকাশকালীন ছুটি) বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে তিন আইনজীবী তিনটি মামলা দাখিল করতে যান। কিন্তু বিচারক মোহাম্মদ ফারুক নির্ধারিত সময়ের পরে যাওয়ায় মামলা তিনটি গ্রহণে আপত্তি জানান। এনিয়ে বিচারকের সাথে আইনজীবীদের বাদানুবাদের ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর আইনজীবীরা সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন। ১ জানুয়ারি আদালত খোলার পর এজলাসে বসে যথারীতি কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক। বিষয়টি জানতে পেরে ২ জানুয়ারি আইনজীবীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে গিয়ে তাকে এজলাস থেকে নেমে যেতে বলেন। এ নিয়ে বিচারকের সাথে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি আদালতের কক্ষে ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পালন করে আদালতের কর্মচারিরা।
এ ঘটনার পর গত ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের কর্মসূচি পালন শুরু করে আইনজীবীরা। তারা জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিচারকের সাথে অশোভন আচরনের অভিযোগে সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে আগামী ১৭ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
এছাড়াও আন্দোলন চলাকালে জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে অশালীন শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে গত ১১ জানুয়ারি ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে গত ১২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় আইনমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে বসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুন নূর দুলালও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নিজেদের দাবির কথা পুনরায় তুলে ধরেন আইনজীবীরা।
বৈঠকে আইনমন্ত্রী আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয়ায় আদালতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা।
এ অবস্থায় গত শনিবার বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতির বিশেষ সাধারন সভা করে দুই বিচারককে আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে বদলির আল্টিমেটাম দিয়ে রবিবার থেকে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা। তবে জেলা ও দায়রা জজ শারমীন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।
আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দুই বিচারককে বদলি না করা হলে তারা আবার সাধারণ সভা করে লাগাতার কর্মসূচি পালন করবেন বলে আল্টিমেটাম দেন।
সভা শেষে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, দুই বিচারককে বদলির দাবি বহাল রয়েছে। আইনমন্ত্রীর সাথে দেখা করার পর তিনি এ বিষয়ে আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন। মন্ত্রীর আশ্বাসের কারণে আমরা ওই দুই বিচারক বাদে বাকি সব আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এদিকে দীর্ঘদিন পর আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিচার প্রার্থীরা।
বাঞ্ছারামপুর থেকে আসা বিচার প্রার্থী মোশারফ সরকার জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বিচার কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। আমরা চাই আর যেন আইনজীবীরা আদালত বর্জন না করেন।
সদর উপজেলার সুলতানপুর থেকে আসা বিচার প্রার্থী আনোয়ার বলেন, আইনজীবীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে খবর পেয়ে আদালতে এসেছি। আর যেন ঝামেলা না হয় এমনটাই প্রত্যাশা করি।
নবীনগর থেকে আসা বিচার প্রার্থী শাহানা বেগম বলেন, কয়েকদিন আদালতে এসে ফিরে গেছি। রবিবার আদালত বসেছে। আমরা চাই আমাদের মামলা গুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হউক।
উল্লেখ্য, জেলা জজ আদালত এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোট ২৩ টি বিচারিক আদালত রয়েছে। দু’টি বাদে ২১টি আদালতের কার্যক্রম রবিবার শুরু হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের ফিরোজুর রহমানসহ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
আজ ৩ ডিসেম্বর রবিবার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ ঘোষণা দেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থনকারীদের জাল স্বাক্ষর, আবেদন ও আয়ের বিবরণীতে অমিল, ঋণখেলাপি এবং নিজেই সমর্থনকারী, নিজেই প্রস্তাবকারীর কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, কাজী জাহাঙ্গীর ও জহিরুল ইসলাম চৌধুরী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে জাকের পার্টির বজলুর রহমান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাক ও নজরুল ইসলাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম জানান, রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনের মধ্যে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এই ৬টি আসনে ৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ফলে ৪৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, রবিবার দুপুরে মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর ফেসবুক লাইভে এসে আইনিভাবে মনোনয়ন ফিরিয়ে আনবেন বলে ঘোষণা দেন ফিরোজুর রহমান।
তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় এমপির (উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী) সামনে এসপি, ইউএনওরা ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সঠিকটা করতে পারে না। তাই আমি নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়ন বৈধ করে নিয়ে আসব।
তিনি আরো বলেন, যখন মনোনয়ন অবৈধ করা হলো তখন আমি কথা বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেছেন আপিলের মাধ্যমে আমাকে কথা বলতে হবে। আমার শতকরা এক ভাগ ভোটারের স্বাক্ষরের মধ্যে একজনের স্বাক্ষরকে বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু যে ভোটারের স্বাক্ষর বাতিল করা হয়েছে তাকে আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বাক্ষরটি ভুয়া বলে স্বীকার করানো হয়েছে। তবে যা ভালো লাগে তারা করুক। আমার সমর্থকরা ধৈর্য ধারণ করুন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে ফিরোজুর রহমান নৌকার টিকিট পাওয়া বর্তমান সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সর্বত্র আলোচিত। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
১১ দিনের ব্যবধানে
স্টাফ রিপোর্টার:
ইতালিতে গত ১১ দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন কারণে সাত বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বা কারও মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আবার কেউ হার্ট অ্যাটাকেও প্রাণ হারিয়েছেন। পরবাসে এমন অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের আবহ বিরাজ করছে। সাত বাংলাদেশীর মধ্যে একজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়।
জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর মো. সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবক রোমের অদূরে সিভিতা ভেক্কিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ। গত ৫ ডিসেম্বর রেদুয়ানুর রহমান নামে বাংলাদেশিকে মৃত অবস্থায় রাস্তায় পাওয়া যায়, তার বাড়ি ঢাকা। পুলিশ মৃতদেহ মর্গে পাঠিয়েছে এবং ঘটনাটি তদন্তাধীন। একই দিনে কাতানিয়া সিসিলিতে মো. শাহ আলম নামে এক বাংলাদেশি যুবক হার্টঅ্যাটাকে মারা যান। ৬ ডিসেম্বর মো. বারেক সারেং নামে আরেক বাংলাদেশি হার্টঅ্যাটাকে দক্ষিণ ইতালির নাপোলির হাসপাতালে মারা যায়। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে। একই দিনে রোমে হার্টঅ্যাটাকে মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মো. ফয়সাল খান। ইমরান দরবারি নামে আরেক বাংলাদেশি ইতালির আনকোনা শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। তার বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। বাংলাদেশি আরেক রেমিট্যান্স যোদ্ধা মোহাম্মদ আজিম গত ৭ ডিসেম্বর ইতালির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। তিনি ঢাকার বাসিন্দা ছিলেন।
চলতি মাসে কয়েক দিনের ব্যবধানে সাত বাংলাদেশির মৃত্যুতে ইতালিতে অনেক প্রবাসী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, মৃতদের বেশিরভাগ বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তাদের অকাল মৃত্যুতে ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে পৌর এলাকার কাউতলীতে অবস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মরণে নির্মিত ‘সৌধ হিরন্ময়’ এ পুষ্পস্তবক অর্পন করে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। সকালে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, জেলা আওয়ামীলীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, জেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার, পৌরসভার পক্ষে মিসেস নায়ার কবির শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। পরে পর্যায়ক্রমে জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করে।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ জিয়াউল হক মীর, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ামিন হোসেন, পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আবু হোরায়রাহসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার দেশপ্রেমী মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন বছর দায়িত্ব পালন শেষে ডিএমপি, ঢাকায় বদলী হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। বদলী উপলক্ষ্যে জেলার শীর্ষ এ পুলিশ কর্মকর্তাকে বিদায় জানিয়ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলার সর্বস্তরের পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের বর্ণাঢ্য প্রথা ও ঐতিহ্যের সাথে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো হয়। বিদায় উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের চৌকস দল বিদায়ী পুলিশ সুপারকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর ফুলে ফুলে সুসজ্জিত গাড়িতে পুলিশ সুপারকে বিদায় জানানো হয়। এ সময় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজাসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।