র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ বিশেষ করে ধর্ষণ, অপহরণ, মাদক উদ্ধার, মানব পাচার, হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। নরহত্যাসহ যে কোন ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে জনসাধারণের জন্য নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভিকটিম মোছাঃ সাদিয়া আক্তার কালিকচ্ছ কলেজ পাড়া মহিলা মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী। সে তার নানার বাড়ী নোয়াগাঁও (রাজু খার বাড়ী) হতে প্রতিদিন মাদ্র্রাসায় আসা যাওয়া করত। আসামী কৃষ্ণ কর্মকার নোয়াগাঁও গ্রামের জনৈক শাহিন এর ফার্মেসিতে কাজ করত। ভিকটিম মোছাঃ সাদিয়া আক্তার মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে আসামী কৃষ্ণ কর্মকার তাকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল কথাবার্তা বলে উত্যক্ত করতঃ প্রেমের প্রস্তাব দিত। ভিকটিম আসামী কৃষ্ণ কর্মকারের প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বাড়িতে তার পিতাকে ঘটনা জানালে তার পিতা আসামী কৃষ্ণ কর্মকারকে সাবধান করে। তারপরেও আসামী কৃষ্ণ কর্মকার ভিকটিমের সাথে কথা বলে নানাভাবে প্রলোভন দেয় এবং আসামীর কথা না শুনলে সে ভিকটিমকে সমাজে কলঙ্কিত করার হুমকি দেয়। আসামী কৃষ্ণ কর্মকারের ভয়ে ভিকটিম ঘটনার আগের দিন নোয়াগাঁও হতে তার নিজ বাড়িতে চলে আসে। ভিকটিম মোছাঃ সাদিয়া আক্তারকে গত ১৬ মার্চ ভোর অনুমান ৫টায় কৃষ্ণ কর্মকার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ও প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মোঃ ফারুক মিয়া (৪০) বাদী হয়ে গত ৩০ মার্চ সরাইল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৭/৫৮, তারিখ-৩০/০৩/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৭, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০)। আলোচিত এ ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভিকটিম মোছাঃ সাদিয়া আক্তারকে উদ্ধার ও অপহরণকারী কৃষ্ণ কর্মকারকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব তার গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি আভিযানিক দল গত ৩১ মার্চ ৮টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রাম মহানগরীর বহদ্দারহাট থানাধীন বহদ্দারহাট কাঁচা বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম মোছাঃ সাদিয়া আক্তারকে উদ্ধার ও অপহরণকারী কৃষ্ণ কর্মকার (২৬), পিতা- চিত্ত কর্মকার, সাং- ধিতকুরা (কর্মকার পাড়া), থানা- মাধবপুর, জেলা- হবিগঞ্জ’কে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে, গ্রেফতারকৃত আসামী ও ভিকটিমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার মামলা নং-১৭/৫৮ তারিখ-৩০/০৩/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৭, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) মূলে হস্তান্তর করা হয়েছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে আওয়মী লীগের বিশেষ কর্মীসভা আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে উক্ত কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সংসদের ২৪৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ( সরাইল-আশুগঞ্জ) শূন্য আসনে উপনির্বাচন-২০২৩ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মো: শাহজাহান আলম সাজু এর সমর্থনে সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিশেষ এ কর্মীসভা হয়।
সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ঠাকুর রাব্বি এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মীসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ ও বেসামরিক বিমান পরিবহন, পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩১২ আসনের এমপি ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি (১) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো: হেলাল উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী মো: হেলাল উদ্দিন, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর।
সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উক্ত বিশেষ কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ ও কুফল বিষয়ে সচেতনতা
স্টাফ রিপোর্টার:
আশুগঞ্জে বাল্যবিয়ের কারণ, কুফল ও বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের করণীয় বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ বেতারের ‘তারুণ্যের কণ্ঠের’ আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসনের সহয়োগিতায় গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে এ কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অর্ধ শতাধিক ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক, সাংবাদিক ও উপজেলার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরবিন্দ বিশ^াস।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও তারুণ্যের কন্ঠের কর্মকর্তা সজীব দত্তের উপস্থপানায় বাল্য বিয়ের কারণ, কুফল ও প্রতিকার বিষয়ে মতবিনিময় করে শিক্ষার্থী, অভিভাবকগণ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাল্য বলেন, বিয়ে প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হয়ে মিলিতভাবে প্রতিরোধ করার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, মতবিনিময় বিষয়ক এ অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ বেতারে প্রচার করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ফেসবুক লাইভে এসে জুম্মান খাঁ (৩৫) নামে মাদকাসক্ত এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন।
৮ নভেম্বর বুধবার বিকেলে উপজেলার সাগরদীঘি (পূর্ব পাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তিনি উপজেলার মোগলটুলা এলাকার রমজান খাঁর ছেলে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, জুম্মান নেশাগ্রস্ত ও মাদক কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার নামে সরাইল থানায় মাদক মামলা রয়েছে। মাদক কেনা-বেচার কারণে জুম্মানের সঙ্গে তার বাবা-মা ও কোনো আত্মীয় স্বজনের যোগাযোগ ছিল না। সে তার স্ত্রীকে নিয়ে পূর্ব পাড়ার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি হতাশায় ভুগতেন। সেই হতাশা থেকে বিকেলে নিজের শোবার ঘরে ফেসবুক লাইভে এসে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জানারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৪২ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজা এবং গতকাল বুধবার বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বক্তারমুড়া ও একই দিন বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান এই মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এসময় মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল এলাকার মৃত তোতা মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫০), ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার চর-কাছাপিয়া গ্রামের মোঃ হান্নান মিয়ার ছেলে নাঈম আহম্মেদ (২০) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কান্দিপাড়ার মোঃ ফজলু মিয়ার ছেলে মোঃ পিয়াস মিয়া (৩০)।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহম্মেদ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুগঞ্জ টোল প্লাজার সামনে থেকে মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার শরীরে তল্লাশী চালিয়ে তার কোমরে ও পায়ে রাবার দিয়ে বিশেষ কায়দায় ফিটিং করা অবস্থায় ১২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে বুধবার বিকেলে একই স্থানে অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপ ভ্যান আটক করা হয়। পরে পিকআপভ্যানে তল্লাশী চালিয়ে ২২ কেজি গাঁজা উদ্ধার ও নাঈম আহম্মেদকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
অপরদিকে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বক্তারমুড়া গ্রাম থেকে ২০ কেজি গাঁজাসহ মাদক পাচারকারী পিয়াস মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।