চলারপথে রিপোর্ট :
স্মরণানুষ্ঠান ও ইফতার আয়োজনের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপমহাদেশের প্রখ্যাত আবৃত্তিশিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান আরিফের দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবস পালিত হয়েছে।
আজ ১ এপ্রিল সোমবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ মিলনায়তন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের উদ্যোগে স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিতাস আবৃত্তি সংগঠন পরিচালক মো মনির হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সহকারী পরিচালক সুজন সরকারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী পরিচালক উত্তম কুমার দাস।
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশিষ্ট সংস্কৃতিসেবী অ্যাড. নাসির মিয়া, কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবদুর রহিম, চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার সভাপতি কবি আমির হোসেন, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ পার্থ তলাপাত্র, গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদ সভাপতি আবুল বাসেত, টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান, কবি শৌমিক সাত্তার, তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম সুজন, সোনালী সকাল পরিচালক ফাহিম মুনতাসীর।
এসময় হাসান আরিফ, তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সহসভাপতি মো আতিকুল ইসলাম, আবৃত্তিশিল্পী শরীফ মুহাম্মদ সাঈম, কন্ঠশিল্পী জুমানা কামালের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়া আনুমানিক ১০ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা শিশুটি অবশেষে মারা গেছে।
আজ ২২ জুলাই শনিবার বেলা ১১টার দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। শিশুটি দুইদিন জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অচেতন অবস্থায় ছিলো।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানি রেলওয়ে স্টেশনে অতিক্রমকালে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যায় ১০ বছর বয়সী ছেলে শিশুটি। স্থানীয়রা শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গ্রাম্য চিকিৎসক ও পরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে শিশুটি মারা গেছে।
তিনি আরো বলেন, শিশুটির নাম-পরিচয় সনাক্ত করার চেষ্টা করছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাতিঘর নামক একটি সংগঠনের কাছে তার লাশ দাফনের জন্য হস্তান্তর করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ূবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী গ্রামে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই শিশু পুত্রকে জবাই করে হত্যা করেছে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। আজ ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে চর ছয়ানী গ্রামের দক্ষিণপাড়ার নিজ ঘর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন, ছয়ানী গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেসি আক্তার (৩৫), তার বড় ছেলে মাহিন (১৪) ও ছোট ছেলে মহিন (৭)। এ সময় তাদের ৭ মাস বয়সী বয়সী কন্যা সন্তান ওজিহাকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।
ঘটনার পর পরই ত্রিপল খুলের রহস্য উদ্ধার করতে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, পিবিআই, সিআইডিসহ আইন-শৃংখলাবাহিনীর একাধিক টিম কাজ শুরু করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আইয়ূবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানি গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেসি আক্তার দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান নিয়ে বাড়ির একটি পাকা ভবনে বসবাস করতেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির গৃহপরিচারিকা জেসমিন আক্তার বাসায় কাজ করতে এসে বাড়ির গেইট বন্ধ দেখতে পায়।
পরে তিনি জেসি আক্তারের জায়ের কাছ থেকে চাবি নিয়ে গেইট খুলে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন বিল্ডিংয়ের দরজা বন্ধ।
পরে জেসমিন আক্তার বিষয়টি আশপাশের লোকজনকে জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে রুমের মেঝেতে মা জেকি আক্তার ও বড় ছেলে মাহিনের লাশ এবং পাশের বাথরুমে ছোট ছেলে মহিনের লাশ দেখতে পায়। এ সময় প্রবাসী শাহআলমের ৭ মাস বয়সী কন্যা সন্তান ওজিহাকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, আমরা জেসি আক্তার ও তার বড় ছেলে মাহিনের রক্তাক্ত লাশ মেঝে থেকে ও ছোট ছেলে মহিনের লাশ বাথরুম থেকে উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তাদেরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে ভোরের দিকে পূর্ব পরিচিত অথবা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে বাড়ি থেকে কোন মালামাল খোয়া যায়নি। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা তিনজনকে আটক করেছি। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন ) মোঃ ইকবাল হোসাইন বলেন, আমরা বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে ঘটনার তদন্তকাজ করছি। রহস্য উদঘাটনে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, পিবিআই, সিআইডিসহ আইন-শৃংখলাবাহিনীর একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বন্যার্ততের সহায়তার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সমাজ কর্তৃক সংগ্রহীত ১ লক্ষ টাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার জেলা প্রশাসকের বাংলোতে শিল্পী সমাজের প্রধান সমন্বয়ক বাংলাদেশ টেলিভিশনের সঙ্গীত পরিচালক আলী মোছদ্দেক মাসুদ ও নির্বাহী সমন্বয়ক আল আমীন শাহীন এ সহায়তার অর্থ জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দেন। এ সময়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যা মোকাবেলা দেশের মানুষ যে ভূমিকা রেখেছে তা অনুস্মরণীয়। বন্যার্তদের সহায়তায় শিল্পী সমাজের মানবিক কর্মসূচি প্রসংশনীয়। শিল্পীদের পরিচিতি পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক ইব্রাহিম খান সাদাত। অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন আনিছুল হক রিপন, আলী মাউন পিয়াস, মোহাম্মদ হোসেন, আনিছুল হক রিপন, ফরিদ আহমেদ সাগর, জয়নাল আবেদীন, জিহাদ হেসেন লিটন প্রমুখ। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সমাজের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিকাশে গতিধারার লক্ষ্যে দাবি জানান।