মসজিদ রোডের ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানের মায়ের ইন্তেকাল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 17 January 2023, 1361 Views,
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামে মসজিদ রোডের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রহমানিয়া লাইব্রেরীর স্বত্বাধিকারী মোঃ খলিলুর রহমানের মাতা ফিরোজা বেগম (৭০) বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলীর ঘাটুরাস্থ সাতবাড়িয়া গ্রামে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। গতকাল সোমবার বাদ এশা আশুগঞ্জের খড়িয়ালা নিজ গ্রামে সরকার বাড়ি স্কুল মাঠে মরহুমার জানাজা শেষে দাফন করা হয়। মরহুমার মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যসহ অন্যান্যদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
এদিকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানের মাতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ও দৈনিক আজকের হালচাল পত্রিকার বার্তা সম্পাদক সৈয়দ মোঃ আকরাম। তিনি এক বিবৃতিতে মরহুমার বিদেহী আতœার মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

Leave a Reply

আখাউড়ায় স্ত্রীর অভিযোগে মাদকাসক্ত স্বামীর কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় স্ত্রীর দেওয়া অভিযোগে মাদকাসক্ত Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত দামে ওষুধ বিক্রির দায়ে…

চলারপথে রিপোর্ট : মাত্র সাড়ে ৭ টাকার ইনজেকশন প্রায় ৫০ Read more

এশিয়ান কাপের মূলপর্বে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক : মিয়ানমারকে হারিয়ে চমক দেখানোর পর বাংলাদেশ নারী Read more

কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ

চলারপথে রিপোর্ট : ফেনীর পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকা Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বীজ, সার ও গাছের চারা…

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে সরাইল Read more

ইখলাস মানুষের হৃদয়ে সৃষ্টি হয়

আল্লামা মাহ্‌মূদুল হাসান : ইখলাস মানুষের দিলে সৃষ্টি হয়। আর Read more

প্রাথমিক তদন্তেই ভুয়া মামলার আসামিরা রেহাই…

অনলাইন ডেস্ক : উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ফৌজদারি কার্যবিধির একটি সংশোধন Read more

গাজীপুরে শফিক, তারিক, পাপনের ১০ তলা…

জায়েদুল কবির ভাঙ্গি, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর : গাজীপুর সদরের চান্দনা Read more

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা পরিষদ…

অনলাইন ডেস্ক : বরগুনার পাথরঘাটায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা Read more

ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরো ৮১ ফিলিস্তিনি…

অনলাইন ডেস্ক : গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৮১জন ফিলিস্তিনি Read more

কৃষি বীজ সংরক্ষণাগার ভেঙে দোকান নির্মাণের…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলি Read more

মিথ্যা মামলা করলে কী কী শাস্তি?

অনলাইন ডেস্ক : দেশের অন্যতম আলোচিত বিষয় হলো মিথ্যা মামলা। Read more

কাঁচামরিচের দাম বেশি রাখায় ৪ দোকানিকে জরিমানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 3 July 2023, 1170 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেশী দামে কাঁচা মরিচ বিক্রির দায়ে ৪ ব্যবসায়ীকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

banner

আজ ৩ জুলাই সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান পৌর এলাকার কাউতলী কাচা বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানকালে ব্যবসায়িদের ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ না করা, আড়ৎদাররা খুচরা ব্যবসায়িদেরকে কোনো ধরনের রশিদ সরবরাহ না করা এবং দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় ৪ ব্যবসায়িকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

জরিমানাপ্রাপ্তদের মধ্যে সততা বাণিজ্যালয়কে ৩ হাজার, মায়ের দোয়া সবজি আড়ৎদারকে ১ হাজার টাকা, সুমন সবজি আড়ৎদারকে ১ হাজার টাকা ও মোঃ জানু মিয়া সবজি আড়ৎদারকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান জানান, গত কিছুদিন ধরে বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ি নিজেদের ইচ্ছেমতো দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি করেন।

দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়াও কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে ভোক্তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাউতলী বাজারে অভিযান চালিয়ে ৪ ব্যবসায়িকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানকালে সদর থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লারের উদ্যোগে রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারিকে সংবর্ধনা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 25 October 2023, 960 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের অ্যাডহক নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের অ্যাডহক নির্বাহী কমিটির সেক্রেটারি মনোনীত হওয়ায় তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সংবর্ধনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।

banner

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

সংবর্ধনা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক হাবিবুর রহমান পারভেজের সঞ্চালানায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অনুভূতি করে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদেকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক কবি জয়দুল হোসেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম. কাউসার এমরান, সিনিয়র সদস্য আবদুন নূর, সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মোঃ আকরাম, মফিজুর রহমান লিমন, প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সংবর্ধিত অতিথি সৈয়দ মিজানুর রেজা ও মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।

আলোচনা সভায় বক্তারা বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউনিটের নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান পদে সৈয়দ মিজানুর রেজা ও সেক্রেটারি পদে মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লাকে নিযুক্ত করায় বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাটির চেয়ারম্যান, মহাসচিব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেডক্রিসেন্ট ইউনিটে কোন নির্বাচন হয়না। তারা ইউনিটের আজীবন ভোটারদের তালিকা হালনাগাদ ও তাদের পরিচয়পত্র তৈরী করে দ্রুত একটি সুন্দর ও সুষ্ঠ নির্বাচনের আয়োজন করার জন্য নব-নিযুক্ত দুই নেতার প্রতি আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথিরা বলেন, সোসাইটির দেয়া নির্দেশনা মেনেই আমরা ইউনিটকে পরিচালনা করবো। তারা দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের সহযোগীতা প্রত্যাশা করে তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করার জন্য প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

জেলা বিএমএ’র মতবিনিময় সভা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 8 July 2023, 1161 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসায় কোন রোগীর মৃত্যু হলে সেটি “ভুল চিকিৎসা নয়, এটি দুর্ঘটনা এবং এটি অপরাধ হিসেবে গন্য করা যাবেনা উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা করেছেন জেলা বিএমএর নেতৃবৃন্দ।

banner

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ এফ. জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও বেসরকারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ।

লিখিত বক্তব্যে ডাঃ আবু সাঈদ বলেন, চিকিৎসকরা রোগীদের সম্মতি নিয়ে অস্ত্রোপচার করে থাকেন। দণ্ডবিধির ধারা ৮৮ ও ৮৯ অনুসারে চিকিৎসা প্রদানকারী চিকিৎসক এক্ষেত্রে রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার পরও রোগীর মৃত্যু হলে সেটা কোনোভাবেই হত্যা মামলা হতে পারে না। তিনি বলেন, এই আইনে চিকিৎসকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সততার সাথে নিঃসংকোচ চিত্তে কর্তব্য পালন করার নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে এবং হত্যা মামলার মতো ফৌজদারি মামলা হতে ‘দায়মুক্তি’ প্রদান করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ধারা ৮৮ ও ৮৯ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ধারা ৮৮ অনুসারে ভাল উদ্দেশ্যে বা রোগ উপশমের উদ্দেশ্যে সম্মতিসহ কোনো রোগীর অস্ত্রোপচার করার সময় বা পরবর্তীতে যদি ‘মৃত্যু’ ঘটে তবে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যাবে না। আর দণ্ডবিধির ধারা ৮৯ অনুসারে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বা মানসিক প্রতিবন্ধী কোনো ব্যক্তি সম্মতি দিতে অসমর্থ হলে এবং তাকে সুস্থ করার উদ্দেশ্যে কোনো অস্ত্রোপচার করা হলে এবং সেটি করতে গিয়ে মৃত্যু ঘটলে তা কোনো অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না।

তিনি বলেন, তারপরও সম্প্রতি চিকিৎসা দুর্ঘটনায় কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে চিকিৎসকদের নানাভাবে হয়রানি করছেন। অথচ চিকিৎসা সঠিক নাকি ভুল সেই মতামত দেয়ার একমাত্র এখতিয়ার বিএমডিসির।

তিনি বলেন, তদন্তে চিকিৎসকের ভুল বা অপরাধ প্রমাণিত হলে রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে বিচার হবে। চিকিৎসা দুর্ঘটনা কোনো অপরাধ নয়। তবে রোগীর স্বজনরা জানে না চিকিৎসা নিয়ে কোনো সন্দেহ হলে বিচারের জন্য বিএমডিসির কাছে অভিযোগ দায়ের করতে হয়। এই সুযোগে কতিপয় অতিউৎসাহী মিডিয়া জনগণকে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দেয়। বিচার প্রক্রিয়া যেমন আদালতে বিচারকের কাছে গোপনীয়, তেমনি চিকিৎসকের কার্যক্রম ও তার নিজের পেশাগত গোপনীয়তা বিএমডিসির আইন দ্বারা নির্ধারিত এবং সংরক্ষিত। রোগীর শরীর অস্ত্রোপচারে আকস্মাৎ দুর্ঘটনা ঘটে যায় যেমন জ্ঞান না ফেরা, হার্ট ব্লক হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণ বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গ জখম হওয়া যা চিকিৎসকের কাছে অনাকাঙ্খিত। এ কারণেই বাংলাদেশ পেনালকোড-এ সার্জনকে দায়মুক্তি দেয়া আছে।

তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ধারা ৩০৪, ৩০৪ এর উপধারা ক ও খ প্রয়োগ করে যদি কোনো চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করতে হয়, সেক্ষেত্রে আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের মতামত লাগবে। এবং উপযুক্ত মেডিকেল বোর্ড কর্তৃক তদন্তে দোষী সাব্যস্থ হলেই কেবল এই ধারাটি প্রযোজ্য হবে। রোগীর মৃত্যুকে হত্যাকান্ড হিসেবে নথিভূক্ত করা অনাকাঙ্খিত। গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি চিকিৎসক আবু সাঈদের অনুরোধ, তারা যেন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করেন এবং সঠিক কারণ অনুসন্ধ্যানে বিএমডিসি, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনকে সাহায্য করেন। সেই সাথে চিকিৎসায় কোনো রোগী মারা গেলে তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন প্রকাশের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সাবেক তত্বাবধায়ক ডাঃ মো. শওকত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রানা নূর সামস্, ডাঃ ফয়েজুর রহমান ফয়েজ, ডাঃ আজহারুর রহমান তুহিন, খোকন দেবনাথ, মাহফিদা আলম প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্য পাঠের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হন চিকিৎসক নেতারা। কিভাবে মিডিয়া ক্রাইম হলো? একজন চিকিৎসক অধিক হাসপাতালে কিভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন এবং তার মান কতুটুকু? বেসরকারি হাসপাতালে রাতে কেন কোনো চিকিৎসক থাকেন না? সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের দূর্ব্যবহারসহ সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক।

মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।

প্রয়াত জিল্লুর রহমান ব্যতিক্রমধর্মী এক প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা ছিলেন : আল-মামুন সরকার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 30 May 2023, 1489 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, জেলা বিএনপি আহবায়ক প্রয়াত জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে, শোকাহত পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি প্রয়াত জিল্লুর রহমানকে ব্যতিক্রমধর্মী এক প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা হিসাবে আখ্যায়িত করে তাঁর মৃত্যুতে তাঁর দল ও জেলাবাসী একজনযোগ্য নেতাকে হারিয়েছেন।

banner

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৫ পুলিশ সদস্যকে সুসজ্জিত গাড়িতে বিদায় দিলেন এসপি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 2 August 2023, 1044 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের ১৫ সদস্যকে সুসজ্জিত গাড়িতে করে বিদায় জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তাদের বিদায় জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিদায়ী পুলিশ সদস্যরা।

banner

বিদায়ী পুলিশ সদস্যরা হলেন, পুলিশ পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ মো. সাজিদুল হক, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সোহেল সুলতান, পুলিশ কনস্টেবল মো. আনোয়ার হোসেন, মো. ইব্রাহীম, আব্দুর রশিদ, আবু সাদেক, মো. শাহ আলম, মো. সুলতান আহাম্মদ, মো. আবু ইউসুফ, মো. গোলজার হোসেন, বোরহান উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, মো. আজিজুর রহমান ও খোরশেদ মিয়া।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ লাইন্স সূত্রে জানানো হয়, জন্ম তারিখ অনুযায়ী সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের ১৫ সদস্য। তাই গত ৮ জুলাই মাসিক কল্যাণ সভায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো হয়।

পরে জেলার পুলিশ সুপার তার সরকারি বাংলোতে তাদের সঙ্গে নিয়ে নৈশভোজ করেন। তাদের বিদায় স্মরণীয় করে রাখতে অনাড়ম্বর আয়োজনের নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।

গতকাল মঙ্গলবার তাদের প্রত্যককে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিতে পুলিশ লাইন্সের ভেতরে কয়েকটি পুলিশ ভ্যান ও মাইক্রোবাস ফুল-বেলুন দিয়ে সাজানো হয়। তাদের বিদায় জানাতে উপস্থিত হন পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা। এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিদায়ী পুলিশ সদস্যরা। পরে বাড়িতে পৌঁছে দিতে সুসজ্জিত গাড়িগুলোতে তাদের বিদায় জানানো হয়।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, কেউ একবার পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করলে তিনি সারাজীবনই পুলিশ হিসেবে পরিচিত হয়। তার মধ্যে যেন সেই অনুভূতি না হয় তিনি ডিপার্টমেন্ট ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তাদের আপন মনে করে তাদের সঙ্গে নৈশভোজ করেছি এবং সুসজ্জিত গাড়িতে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি।