চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে ট্রাক চাপায় নিরু দাস (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। আজ ৫ নভেম্বর রবিবার বিকালে উপজেলার বুধন্তি বাজারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নিরু দাসের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিতালপুর গ্রামে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার বিকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বুধন্তি বাজারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় মাধবপুরগামী ট্রাকের চাপায় পড়ে বৃদ্ধ ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরন করা হয়েছে। ঘাতক ড্রাইভার রোমান (৩৫)কে ট্রাকসহ আটক করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে আবু লাল (৬০) নামের এক নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে রবি মোবাইল কোম্পানীর টাওয়ারের ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।
আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের রবি মোবাইল টাওয়ারের কক্ষ থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আবু লালের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আবু লাল ওই এলাকার আবদুল জব্বার ভূঁইয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, আবু লাল রবি মোবাইল কোম্পানির টাওয়ারের নৈশ প্রহরি ছিলেন। সেখানে রাতের কোন এক সময় চোরেরা হানা দিয়ে টাওয়ারের কক্ষের জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে আবু লালের হাত-পা বেঁধে তাকে হত্যা করে মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে যায়।
নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। আবু লালের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে, কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাবেনা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে নাশকতার মামলায় চম্পকনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ২০ অক্টোবর রোরবার বিকাল ৩ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর বাজার এলাকায় পুলিশি অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও মারধরের অভিযোগে বিএনপি নেতা এস এম রাষ্টু মিয়া বাদী হয়ে বিজয়নগর থানায় সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি সহ ১৬৮ জনকে আসামী করে ২৭ আগষ্ট একটি নাশকতার মামলা দায়ের করে।
উক্ত মামলার এজহার ভুক্ত আসামী ছিলেন তিনি।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি করার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগ মনোননীত প্রার্থী ও এই আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের কাছে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এসময় তাঁর সহধর্মীনি, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও মাউশির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ. এইচ মাহবুব আলমসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলাম। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন অগ্রগতির বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছেন। চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডের অসমাপ্ত কাজ গুলো সমাপ্ত করার জন্য তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন।
র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী তার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন। তিনি বলেন, আমি জনগণের জন্য কাজ করেছি। জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
উল্লেখ্য, র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি টানা চতুর্থবারের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা। সংসদ সদস্য হওয়ার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ছিলেন।
২০১০ সালের ২২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চু মৃত্যুবরণ করলে উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এই আসন থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি জাতীয় সংসদদের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। টানা তিনবার বিজয়ী হয়ে তিনি তার সংসদীয় এলাকায় বিপুল উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ১৩টি দেশীয় অস্ত্রসহ মো. সজীব মিয়া (৩০) নামে একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ১৪ অক্টোবর সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের কালীসিমা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ১৩ টি দেশীয় অস্ত্র, ২০ গ্রাম গাজা, ১ বোতল ফেন্সিডিল, ২টি মোবাইল, ১টি মোটর সাইকেল ও নগদ ৩ লাখ ৯১ হাজার ৭৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়। আজ ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। গ্রেফতারকৃত মোঃ সজীব মিয়া কালীসিমা গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে গত ৪এবং ৫ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নিরীহ ছাত্র-জনতার উপর আক্রমনকারী, সন্ত্রাসীসহ সকল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, অবৈধ মাদক কারবারী এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী গত সোমবার রাতে বিজয়নগর উপজেলার কালীসীমা গ্রামের সজীব মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে সজীব মিয়াকে গ্রেফতার করে তার বাড়ি থেকে ১৩ টি দেশীয় অস্ত্র, ২০ গ্রাম গাজা, ১ বোতল ফেন্সিডিল, ২টি মোবাইল, ১টি মোটর সাইকেল ও নগদ ৩ লাখ ৯১ হাজার ৭৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃত সজীব মিয়াকে বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।