চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইলে-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী আসনে নতুন চমক আসছে। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে নিজ গ্রাম উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আইরল এলাকায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন জাতিসংঘের রেজিস্ট্রার্ড ডেলিগেট ও বিবিসি নিউজ টোয়েন্টিফোর এর হেড অব নিউজ সাংবাদিক এমডি জালাল।
আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা ও উপজেলার প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়া কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে সাংবাদিক এমডি জালাল বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি, চারবারের সফল প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হিসেবে কাজ করে আসছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে বিশ্বের ৪৭টি দেশ সফর করার সৌভাগ্য হয়েছে। এর মধ্যে নিজ নির্বাচনী এলাকা সরাইল- আশুগঞ্জ এর মানুষের পাশে থাকার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। করোনাকালীন সময়ে নিজের ফ্লাট বিক্রি করার অর্থ দিয়ে নিজ এলাকার হত দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছি। এলাকার শত শত কর্মহীন মহিলাদের সেলাই মেশিন দিয়ে কর্মসংস্থানের চেষ্টা করেছি। এলাকার হত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি প্রদানসহ এলাকার শিক্ষা বিস্তারে অবদান রাখার চেষ্টা করেছি। সর্বোপুরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারাবাহিকতা এলাকায় অব্যাহত রাখার চেষ্টা করেছি।
তিনি আরো বলেন, খুব শীঘ্রই মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে আমেরিকা যাব ইনশাল্লাহ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে ইতিবাচক সাড়া পেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল- আশুগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকায় সকলকে সাথে নিয়ে পুরোদমে নির্বাচননী প্রচারনার কাজ করব। এছাড়া নেত্রী যেভাবে আমাকে নির্দেশনা দিবেন ঠিক সেইভাবেই এলাকায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাব।
সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক মোঃ আইয়ুব খান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইসমত আলী, ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিছ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজ আলীসহ জেলা ও উপজেলা থেকে আগত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়াকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
লেখক গবেষক ও সাস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সরাইলের কৃতিসন্তান সঞ্জীব কুমার দেবনাথের লেখা ‘স্বরগীতিমালিকা’ গ্রন্থটির মোড়ক উম্মোচিত হয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার মহান একুশের বই মেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে বইটির মোড়ক উম্মোচিত হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব খান, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান, উপলদ্ধির নির্বাহী পরিচালক ও সাংবাদিক মো. শরীফ উদ্দিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য কৌষিক প্রমুখ।
তিতাস গ্যাসের সাবেক কোম্পানি সচিব, ত্রিতাল সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক, লেখক সঞ্জীব কুমার জানায়, নিজের লেখা সুর ও স্বরলিপি করা আধুনিক, দেশাত্ববোধক, রাগপ্রধান, গণসঙ্গীতসহ মোট ৭২ টি গানের সমন্বয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় অমর একুশে বই মেলায় বের হয়েছে ‘স্বরগীতিমালিকা’ গ্রন্থটি।
সঙ্গীত শিক্ষাগুরু উস্তাদ আবদুল হামিদকে উৎসর্গকৃত গ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছেন সঙ্গীতগুণি সৈয়দ আবদুল হাদী। প্রকাশনার দায়িত্বে ছিলেন মেলা প্রকাশনীর কর্ণধার এম এস দোহা। প্রচ্ছদ এঁকেছেন মানস দেবনাথ হৃদয়। গ্রন্থটি বই মেলার ‘মেলা প্রকাশনীর’ ৬৮৭ ও ৬৮৮ নম্বর ষ্টলে পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, গ্রন্থটিতে স্বরলিপিকৃত ৩ টি গানে সৈয়দ আবদুল হাদী, ৩ টি গানে প্রয়াত সুবীর নন্দী, ২ টি গানে ফেরদৌস আরা এবং ২ টি গানে আলম আরা মিনু কন্ঠ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত: এর আগে সঞ্জিব কুমার দেবনাথের একাধিক গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘নীলনদের দেশে’, ‘সঙ্গীত স্বরূপ’, ‘ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে পূর্ববাংলা’ ও ‘ভাষা আন্দোলনে সরাইল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ও নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তরুণ-তরুণীদের মতো ভোটকেন্দ্রে হাজির হয়েছেন প্রবীণ ভোটাররাও। নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে খুশি তারা।
আজ ৮ মে বুধবার দুপুর পৌনে ১২টায় সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নাতির কোলে করে আসেন ৯০ বছর বয়সী কাশেম মিয়া। নাতির কোল থেকে নেমে দাঁড়ানোটাই অসাধ্য কিন্তু ভোট দেওয়ার ইচ্ছে ধরে রাখতে পারেননি এই বৃদ্ধ। কথা হলে কাশেম মিয়া বলেন, ‘ভোট দিতাম আইসি।’
এ ছাড়া যেন আর কোনো কথাই মুখে ফুটছে না। এ সময় নাতি ইদ্রিস বলেন, সকাল থেকেই ভোট দিতে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছেন। বয়স হয়ে গেছে, তারপরও ভোট দিতে এসেছেন। দাদাকে কোলে নিয়ে ভোট দেওয়াটা হয়ত একদিন স্মৃতি হয়ে থাকবে। একই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ৭০ বছরের ওসমান গণি বলেন, ছেলের কাঁধে ভর করে ভোট দিতে এসেছি। এই বয়সে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হলে কষ্ট হত। কিন্তু তা হয়নি বলে বেশ ভালোভাবেই ভোট দিতে পেরেছি। ভোট দিয়ে ভালো লাগছে।
এদিকে বুধবার সকালে সরাইল উপজেলার বাড়িউড়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া ইবতেদায়ি মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর কথা হয় প্রবীণ নাগরিক রহিমার সঙ্গে। প্রায় ৯০ বছরের এই নাগরিক ভোট দিতে এসেছেন ছেলের স্ত্রী সাকেরা বেগমের হাত ধরে।
রহিমা বেগম বাড়িউড়া গ্রামের মৃত জারু মিয়ার স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভোট দিতে আইসি। কবে মরে যাই কইতে পারি না।’
অন্যান্য ভোটকেন্দ্রগুলোতেও প্রবীণ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে প্রতিটি কেন্দ্রেই বয়স্ক ভোটারদের লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। তারা সরাসরি ভোট দিয়েছেন।
সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার মোমিনুর রহমান বলেন, নাতির কোলে করে আসা বৃদ্ধ কাশেম মিয়াকে আমি নিজে ভোট দিতে সাহায্য করেছি। তাছাড়া পুলিং অফিসারদের বলা ছিল এ সমস্ত ভোটারদের যেন আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বাড়িউড়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া ইবতেদায়ি মাদরাসার প্রিসাইডিং অফিসার রাশেদুল ইসলাম বলেন, প্রবীণ ভোটাররা যে কষ্ট করে ভোট দিতে আসেন এটাই সৌভাগ্য। ভোট দিতে এসে তারা যেন হেনস্তা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ট্রাক্টরের চাপায় মো. হাফিজুর রহমান (৪০) নামে এক ইটখোলার শ্রমিক নিহত হয়েছে। ভোর ৫টার দিকে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চাকসার গ্রামের দৌলত পাড়ার ব্রিকস ফিল্ডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। হাফিজুর রহমান একই এলাকার মো. আবুল কাসেমের ছেলে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, হাফিজুর ব্রিকস ফিল্ডে শ্রমিকের কাজ করতো। ভোর ৫টার দিকে মাটিবাহী ট্রাক্টর মাটি ফেলতে গিয়ে ভুলবশত হাফিজুরকে চাপা দেয়। পরে ইটখোলার কয়েকজন শ্রমিক হাফিজুরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া। যোগদানের ৪/৫ দিন পরই গ্রহন করেন ব্যতিক্রম উদ্যোগ। দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কাজের ফাঁকে ছুঁটে চলেছেন মাঠে। টিআর কাবিখা কাবিটা ও ঠিকাদারী কাজ সরজমিনে নিয়মিত তদারকি করে আলোচনায় আসেন তিনি। কাজের অনিয়ম ও ভুলক্রটি সংশোধনে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দিতে নারাজ তিনি। কিছুটা নড়েচড়ে সতর্ক অবস্থানে এখন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা। স্বস্থিতে আশার আলো দেখছেন সাধারণ মানুষ।
সূত্র জানায়, সকল নির্বাহী কর্মকর্তাই নিজ উপজেলার সুনাম খ্যাতি অর্জনের লক্ষ্যে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। চেষ্টা করেন নিজের সবটুকু দিয়ে। তাদের মধ্যেও কাজে কর্মে কিছু ব্যতিক্রম ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের উদ্যোগ ও কর্মকা- মানুষের নজর কাড়ে। মনে স্বস্তি দেয়। এমনই একজন ইউএনও মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া। তিনি সরাইলে যোগদান করেছেন ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ডিসেম্বর। যোগদানের ৪-৫ দিন পরই দাপ্তরিক ও প্রশাসনির কাজের বাহিরে ওঁর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ এলাকার সাধারণ মানুষের নজর কেড়েছে।
তিনি সকাল বিকাল দুপুর কোন নোটিশ ছাড়াই ছুটে যান ঠিকাদারদের কাজ তদারকি করতে।
সরজমিনে হাজির হয়ে ইষ্টিমিট আর ওয়ার্ক অর্ডার ধরে কাজের স্বচ্ছতা ও মান দেখেন। তদারকি করতে থাকেন টিআর, কাবিখা আর কাবিটা’র কাজ। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ফিতা ধরে মেপে দেখেন। অনিয়ম, অস্বচ্ছতা বা কোন ধরণের ক্রুটি পেলে দ্রুত সংশোধনের নির্দেশ দেন। সরাইল সদরের আলীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে অনিয়ম ধরা পড়লে ঠিকাদারকে দ্রুত সংশোধনের নির্দেশ দেন ইউএনও। স্বল্প সময়ের মধ্যে কাজটি পুনরায় করতে বাধ্য হন ঠিকাদার। সরজমিন তদারকিতে এখন পূর্বের তুলনায় অনেক বেশী সতর্ক অবস্থানে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে ঠিকাদারী কাজের মান অনেকটা ভাল হচ্ছে। টিআর কাবিখা’র টাকা লুটপাটের সুযোগ পাচ্ছেন না এক শ্রেণির লোকজন। এতে প্রত্যেকটা ইউনিয়ন ও গ্রামের লোকজন স্বস্তি বোধ করছেন। ইউএনও’র পরিশ্রমের বদৌলতে মানসম্মত কাজ পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা।
অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, একসময় কাজের নামে লেফপুজ করে বিল উত্তোলন করে ফেলতো। কাজ না দেখেই বিল দিয়ে দিতেন। বর্তমান ইউএনও মহোদয়ের সরজমিন তদারকির ফলে সেটা আর হচ্ছে না। কাজে ক্রটি থাকলে তিনি বিল আটকে দিচ্ছেন। এই উদ্যোগ জনগণ ও দেশের স্বার্থ রক্ষা করবে। কাজের মানে স্বচ্ছতা ফিরে আসবে। নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, আমার এই উদ্যোগের ফলে সরকারের দেয়া পাবলিক মানির অপচয় রোধ ও কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। সরকারি অর্থে আমার তত্ত্বাবধানে নির্মিত কাজের মান ভালো হবে। সরকারের উন্নয়ন জনগণের কাছে ভালভাবে দৃশ্যমান হবে। জনগণ এর উপকার ভোগ করতে পারবেন। একই সাথে আমার উপর অর্পিত দায়িত্বও যথাযথ ভাবে পালন করা হচ্ছে বলে আমি মনে করি।