কসবা প্রতিনিধি :
দীর্ঘ চার বছর পর কাতার থেকে লাশ হয়ে দেশে ফিরেছে কসবা উপজেলার সামিউল ইসলাম সাইমন (২২)।
গতকাল বুধবার বিকেলে (বাদ আছর) নামাজে জানাযা শেষে সামিউলের লাশ তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। সামিউল ইসলাম সাইমন কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের মাইজখার গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
সামিউলের বড় ভাই মোঃ রফিক বলেন, তারা ৪ ভাই ও ৬ বোন। ১০ ভাই-বোনের মধ্যে সামিউল তৃতীয়। সামিউল দেশে থাকতে ইলেট্রিকের কাজ করতো।
পরিবারের হাল ধরতে গত চার বছর আগে সে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে পাড়িজমান। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর কাগজপত্রের ত্রুটির কারণে সে অবৈধ অভিবাসী হয়ে যায়।
এই অবস্থায় সে দেশে ফিরলে আর কাতারে প্রবেশ করতে পারবেনা। তাই গত ৪ বছরে সামিউল একবারও দেশে ফিরেনি। অবৈধ অধিবাসী হওয়ায় কাতারে তার নির্দিষ্ট কোন কাজ-কর্মও ছিলোনা। যখন যে কাজ পেতো তাই করতো।
গত ১৩ জানুয়ারি ভোরে কাতারের আল শামাল রোডে একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরেকটি প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে প্রাইভেটকারের আরোহী সামিউল সহ ৪ বাংলাদেশী প্রবাসী নিহত হয়।
বুধবার সামিউলের লাশ দেশে আসে। ৪ বছর পর প্রিয় সন্তানের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন সামিউলের বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্যরা।
বাদ আসর নিজ গ্রামের মাঠে নামাজে জানাযা শেষে সামিউলের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
অভিনব কায়দায় (মাটি কাটার টুকরিতে করে) গাঁজা পাচারের সময় নজরুল ইসলাম (৪৮) ও খোকন মিয়া (৫১) নামে দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে কসবা পৌর এলাকার টিআলী মোড়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত নজরুল ইসলাম নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে ও মোঃ খোকন মিয়া একই উপজেলার গোকুলনগর গ্রামের মন্তাজ আলীর ছেলে।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তারা কৃষক সেজে মাথার মধ্যে মাটি কাটার অনেক গুলো টুকরি (ঝুড়ি) নিয়ে যাচ্ছিলো। পরে তাদের টুকরি তল্লাশী করে টুকরির মধ্যে বিশেষ কায়দায় রাখা ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোট
কসবায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর আহত একই পরিবারের দুই শিশুর মধ্যে রাহাত মিয়া (১০) নামে এক শিশু মারা গেছেন।
গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
দুই শিশুর চাচা সৈয়দাবাদ আদর্শ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক তাজুল ইসলাম হানিফ বলেন, মৃত রাহাত কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় এখনও হাসপাতালে থাকা শিশু রাফির হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। সম্ভবত তার একটি পা কেটে ফেলার প্রয়োজন হতে পারে বলে চিকিৎসক আমাদের বলেছেন।
উল্লেখ্য, ১৩ আগস্ট তিনতলা ভবনের ছাদে খেলতে গিয়ে বিদ্যুতের লাইনে হাত লেগে শিশু রাহাত ও তার ভাই রাফি আহত হয়। পরিবারের লোকজন দুই শিশুকে প্রথমে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করেন। সেখানে প্রায় ২৩ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশু রাহাত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় তীর্থযাত্রার একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। ৮ মার্চ শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের মনকাশাইর নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- জয়দাস (২২), সুমন (৩৬), বাপন দাস (৩৬), সংগীতা দাস (৩০), সুনাকা (৬০), খুশি রায় (৪), কবিতা রানী (৪০), আশা রায় (২৪), রাহুল রায় (১৭), রাকেশ (২৫), কেশব (২৬), গোপাল (৩০), জনি দাস (৩৬), মমতা দাস (৬৮) ও বাপন দাস (৪২)। আহতরা শহরের পাইকপাড়া ও মেড্ডার বাসিন্দা।
হাসপাতাল সূত্রে ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড চন্দ্রনাথ মন্দিরে শিব চতুর্দশী মেলার তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে দুটি বাস জেলা শহরের পাইকপাড়া থেকে রওনা দেয়। পথে একটি বাস কসবার মনকাশাইর এলাকায় অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খালে পড়ে যায়। স্থানীয়রা ও কসবা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় পিকআপভ্যানের চাপায় আলী হোসেন (৬০) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন।
আজ ১০ জুন সোমবার দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের খাড়েরা বাসস্ট্যান্ডের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আলী হোসেন খাড়েরা এলাকার মৃত হাফেজ আহমেদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দুধ বিক্রেতা ছিলেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, পিকআপভ্যানটি আখাউড়া তন্তর বাজার থেকে মাছ বিক্রি করে ফেরার সময় ওই মহাসড়কের পাশে পথচারী আলী হোসেনকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পিকআপভ্যানটিকে জব্দ করা হলে চালক পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও ওসি জানিয়েছেন।