সরাইল প্রতিনিধি :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার বৈশামুড়া এলাকায় গতকাল বুধবার বিকেলে বাস চাপায় ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার চালক মো. সানু মিয়া (৬০) নিহত হয়েছেন। নিহত সানু ওই গ্রামের মো. লালু মিয়ার ছেলে।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, কুমিল্লা ট্রান্সপোর্টের যাত্রীবাহি বাস সুনামগঞ্জের দিকে যাওয়ার পথে বৈশামুড়া এলাকায় একটি ব্যাটারি চালিত বিভাটেক অটোরিক্সাকে চাপ দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই বিভাটেক চালক সানু মিয়া নিহত হন। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে এক কন্যা নবজাতকের লাশ পাওয়া গেছে ডোবায়।
২৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধ্যার প্র্বূ মূহুর্তে সরাইল সদরের ছোট দেওয়ান পাড়া আলিমুন্নেছা টাপয়ার সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের ডোবা থেকে ওই লাশটি প্রথমে উঠিয়ে এনেছে এক শিশু। পরে দেখতে পায় মৃত নবজাতকটি কন্যা। স্থানীয়দের প্রশ্ন হচ্ছে এটা কী খুন? নাকি পাপের ফসল।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানায়, রবিবার আছরের পর খেলতে এসে এক কিশোর দেখতে পায় ডোবায় সাদা কাপড়ে মুড়ানো কী যেন পড়ে আছে। কৌতূহল বশত কাছে গিয়ে দেখার চেষ্টা করে। কিশোর সাদা কাপড়ের ভেতরে নবজাতককে দেখতে প্রথমে ভয় পেয়ে যায়। পরে লোকজম আসলে কিশোর কাপড় সহ উপরে নিয়ে আসে। খালি গায়ে কন্যা নবজাতকটি মৃত। জন্মের পর মাথাও মুড়ানো হয়নি। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, সদ্য জন্ম গ্রহন করা এই কন্যা শিশুটির তো কোন শত্রু নেই। ফেরেশতা সমতুল্য শিশুটিকে কেনই বা খুন করবে? এটা হয়ত কারো পাপের ফসল। যেকোন নারী পুরুষের পাপ ধামাচাপা দিতে নিস্পাপ এই শিশুটিকে দুনিয়াতে আসতে না আসতেই জীবন দিতে হয়েছে।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, আমি বিশেষ কাজে এলাকার বাহিরে আছি। তদন্ত কর্মকর্তাকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোর ৩টায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আব্দুস সাত্তার ভূঞার একমাত্র ছেলে মাইনুল হাসান তুষার। তিনি বলেন, বাবা দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এক সপ্তাহ আগে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। শনিবার ভোর ৩টা ২ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মাইনুল হাসান তুষার বলেন, বাবার প্রথম নামাজে জানাযা সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। পরে সেখান থেকে মরদেহ তার নির্বাচনী এলাকা সরাইলে নেওয়া হবে।
আব্দুল সাত্তার ভূঞা ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ ভূঞা ও রহিমা খাতুনের সংসারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি পদে ছিলেন দীর্ঘদিন।
আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও জুনের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকার থেকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে আবদুস সাত্তার আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন এ নেতা।