সরাইল প্রতিনিধি :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার বৈশামুড়া এলাকায় গতকাল বুধবার বিকেলে বাস চাপায় ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার চালক মো. সানু মিয়া (৬০) নিহত হয়েছেন। নিহত সানু ওই গ্রামের মো. লালু মিয়ার ছেলে।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, কুমিল্লা ট্রান্সপোর্টের যাত্রীবাহি বাস সুনামগঞ্জের দিকে যাওয়ার পথে বৈশামুড়া এলাকায় একটি ব্যাটারি চালিত বিভাটেক অটোরিক্সাকে চাপ দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই বিভাটেক চালক সানু মিয়া নিহত হন। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
সরাইল প্রতিনিধি :
সরাইল উপজেলায় পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে মাছ ব্যবসায়ী মানিক মিয়াকে (৩৫) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ (বিলেরপাড়) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মানিক মিয়া ওই এলাকার মৃত এলেম মিয়ার ছেলে।
নিহত মানিকের স্ত্রী সামিনা বেগম জানান, ৬ বছর আগে একই বাড়ির বাদলের স্ত্রী শামসুন্নাহারকে এক লাখ টাকা ধার দেন মানিক মিয়া। সেই টাকা ফেরত চাইলে তাদের দুজনের মধ্যে প্রায়ই বাগবিতন্ডা হতো। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাজলের স্ত্রী শিরিনা বেগম টাকা দেওয়ার কথা বলে মানিককে ফোন করে নিয়ে যায় তাদের বাড়িতে। মানিক বাদলদের বাড়িতে গেলে তাদের মধ্যে আবারো বাগবিতন্ডা হয়।
তিনি বলেন, এ সময় আসমত আলী, শিরিন ও শামসুন্নাহার নামে আরও এক নারী মানিকের ওপর হামলা করেন। মানিককে তারা মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে দেওয়ালের সঙ্গে চেপে ধরলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পরিবারসহ পলাতক আছেন। তাদের কারোর বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে নিহত মানিকের স্ত্রী সামিনা বেগম বাদী হয়ে ২ জনকে আসামি করে রাত ১টায় সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সরাইল থানার ওসি আসলাম হোসাইন বলেন, টাকা লেনদেনের বিষয় নিয়ে মানিক মিয়াকে হত্যার অভিযোগে মামলা করেছে তার পরিবার। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর সবকিছু প্রকাশ হবে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আরো ১০টি পণ্যকে মান সনদের আওতায় এনেছে। বিএসটিআই’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের ৩৭তম সভায় বাধ্যতামূলক মান সনদের তালিকায় ১০টি নতুন পণ্যকে মান সনদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিএসটিআই’র প্রাধন কার্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পমন্ত্রী ও বিএসটিআই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। নতুন যে ১০টি পণ্য মান সনদের আওতায় আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ডিসপোজেবল ডায়াপারস, ফেসওয়াস, পেট্রোলয়িাম জেলি, রুটি (ফ্ল্যাটব্রেড/ টরটিলা), এ্যারোসলস, গিজার, শেভিং ফোম/জেল, আই কেয়ার, হেয়ার ডাইস লিকুইড ও শু-পলিশিং লিকুইড। বর্তমানে বিএসটিআই’র বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত পণ্যের সংখ্যা ২২৯টি। বিএসটিআই কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, দ্বিতীয় ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, এ সভায় শিল্প, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, তথ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তথ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বিসিএসআইআর, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক, ইপিবি এবং এমসিসিআই, ক্যাবসহ কাউন্সিলের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ও কাউন্সিলের সদস্য সচিব মোঃ আবদুস সাত্তার এ সভা পরিচালনা করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই সকলের জন্য একটি আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে আরও সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। অভ্যন্তরীণ বাজার এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করা এবং মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে হালাল পণ্যের সার্টিফিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএসটিআইকে পণ্যের হালাল সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে গুণগত মান ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রয়োজনে বিএসটিআইকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ব্যবসায়ীরা করোনা মহামারিকে পূঁজি করে অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। তারা পণ্যে ভেজাল দিচ্ছে, সিন্ডিকেট করছে। তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষকে রক্ষায় বিএসটিআইকে দায়িত্ব নিতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় রেখে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে কাজ করতে হবে।
কাউন্সিল সভার পরে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বিএসটিআই’র ৯১ জন নবনিযুক্ত কর্মকর্তার নিয়োগ, যোগদান এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বিএসটিআই’র মহাপরিচালক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকারসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২২ আগস্ট মঙ্গলবার সরাইল উপজেলা এলজিইডির অধীনে পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি ৩ এর মহিলা কর্মীদের মাঝে জরুরী সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় সরাইল উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ভূঞা উপস্থিত নারী কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় এলজিউডির প্রধান প্রকৌশলীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গ্রামের অতিদরিদ্র নারী জনগোষ্ঠী কে কর্মসংস্থান এর আওতায় আনা এবং তাদের মাধ্যমে গ্রামের রাস্তাঘাট রক্ষণাবেক্ষণ করে জনগণের জীবনমান উন্নয়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো আবদুল মান্নান এর কর্মতৎপরতায় আজকে সরাইল উপজেলার ৯০ জন নারী উপকার ভোগীর মাঝে পিপিই, প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী ঔষধ সহ ফাষ্ট এইড বক্স, মাটি কাটার ঝুড়ি, কোদাল, দা, দুরমুজ, কাজের সময়ে পানি খাওয়ার কলস বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী আরো বলেন বর্তমানে যে প্রকল্প চলছে তা বাস্তবায়ন করতে সবাইকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। রাস্তাঘাট রক্ষণাবেক্ষণে সার্বক্ষণিক নজরদারী করতে হবে। তাহলেই রাস্তা টেকসই হবে এবং সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। উল্লেখ্য, সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে দশ জন করে অতিদরিদ্র মহিলা এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের দারিদ্রতা দূর করছেন।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মো: আবদুর রহিম মিয়া উপ সহকারী প্রকৌশলী, মো: এসকান্দর আলী উপজেলা সার্ভেয়ার সহ এলজিইডি সরাইল উপজেলার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে কৃষকদের নিকট থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান চাল সংগ্রহের নিমিত্তে অনলাইন লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ধান-চাল সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও কমিটির সভাপতি মো. মেজবা উল আলম ভূইঁয়া। সভায় অনলাইনে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা আবেদনকারী কৃষকদের মাঝে অনলাইন লটারি অনুষ্ঠিত হয়।
উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. এমরানুল ইসলাম, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. পারভেজ আহমেদ, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. নুর আলী, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (গুদাম) ওসি এলএসডি মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী, সরাইল উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি মো. তাসলিম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা মো. মাহফুজ আলী, সরাইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আহমেদ তফসির, শাহজাদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোছা. আছমা আক্তার, কালিকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যান মো. সায়েদ মিয়াও সাংবাদিকবৃন্দ।
সভা সূত্রে জানা যায়, অনলাইনে নিবন্ধিত কৃষকের মধ্যে ২৩ শত ৯ জন কৃষক ধান বিক্রির জন্য আবেদন করে। আবেদনকৃত কৃষকদের মধ্যে অনলাইনে লটারির মাধ্যমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৪৮০ জন কৃষক নির্বাচিত হয়। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান- চাল সংগ্রহ চলবে। সরাইল উপজেলা চলতি মৌসুমে সরাইল উপজেলা থেকে ৯ হাজার ৪’শ ৮২ মেট্রিক টন ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা কেজি দরে ৬ হাজার ৯’শ ৩২ মেট্রিক টন, আতব চাল ৪৪ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ১’শ ৯ মেট্রিক টন ও ধান ৩২ টাকা দরে ১ হাজার ৪ শ’৪১ মেট্রিক টন ক্রয় করবে খাদ্য বিভাগ।